Remove ads
ভারতের অধোরাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক একক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের প্রশাসনিক বিভাগগুলি হল ভারতের অধোরাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক একক, দেশের এই বিভাগগুলি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিবিন্যাসে সজ্জিত।
ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্য এবং অঞ্চল একই স্তরের উপবিভাগের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় নাম ব্যবহার করে থাকে যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় যা-ই মণ্ডল বা উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য হিন্দিভাষী রাজ্যে তহশিল, তা-ই গুজরাত, গোয়া, কর্ণাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে তালুক নামে পরিচিত।[১]
শুধু গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ক্ষুদ্রতর বিভাগ ব্লক, গ্রাম বা মৌজা, আবার নগর বা শহুরে এলাকায় এই গ্রামীণ এককের বদলে রয়েছে পৌর প্রশাসন।
প্রশাসনের ছয় স্তরের রূপরেখা নীচের চিত্রটিতে বর্ণিত হল,
রাষ্ট্র (যেমন ভারত) | |||||||||||||||||
রাজ্য (যেমন পশ্চিমবঙ্গ) | |||||||||||||||||
বিভাগ (যেমন মালদা বিভাগ) | |||||||||||||||||
জেলা (যেমন মুর্শিদাবাদ জেলা) | |||||||||||||||||
উপজেলা (এক্ষেত্রে মহকুমা) (যেমন লালবাগ মহকুমা) | |||||||||||||||||
ব্লক (যেমন মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক) | |||||||||||||||||
ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে "সহযোগী কাজের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য" এই রাজ্যগুলিকে এক একটি উপদেষ্টা পরিষদ সহ ছয়টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের পার্ট-৩ এর মাধ্যমে ভারতের আঞ্চলিক পরিষদগুলি স্থাপন করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিশেষ সমস্যাগুলি অন্য একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা তথা ১৯৭১ সালে উত্তর-পূর্ব পরিষদ আইনের অন্তর্গত উত্তর-পূর্ব পরিষদ দ্বারা সমাধান করা হয়।[২] এই আঞ্চলিক পরিষদগুলির প্রতিটির বর্তমান গঠন নিম্নরূপ:[৩]
প্রতিটি অঞ্চলে একটি আঞ্চলিক সদর দফতর রয়েছে যেখানে একটি আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[৭] বেশ কয়েকটি রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে সদস্যপদ রয়েছে, কিন্তু আঞ্চলিক বিভাগে কোনও রাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগ কার্যকর করা হয় না। তারা যে অঞ্চলগুলির অন্তর্গত সেগুলির সাংস্কৃতির প্রচার করার পাশাপাশি, প্রতিটি আঞ্চলিক কেন্দ্র অনুষ্ঠান আয়োজন করে ও অন্যান্য অঞ্চলের শিল্পীদের আমন্ত্রণ করে ভারতের অন্যান্য সাংস্কৃতিক অঞ্চলগুলির মধ্যে আন্তর্প্রতিস্থাপন এবং জনসংযোগ তৈরি করার কাজও করে।
ভারত ২৮ টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (একটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল সহ) নিয়ে গঠিত।[১৫] কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত প্রশাসকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলগুলির মধ্যে তিনটিকে (দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর, পুদুচেরি) আংশিক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যেখানে নির্বাচিত আইনসভা এবং মন্ত্রীদের কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা থাকলেও তা হ্রাসপ্রাপ্ত।
ক্রমিক | রাজ্য | কোড | সদর |
---|---|---|---|
১ | অন্ধ্রপ্রদেশ | AP | অমরাবতী |
২ | অরুণাচল প্রদেশ | AR | ইটানগর |
৩ | আসাম | AS | দিসপুর |
৪ | উত্তরপ্রদেশ | UP | লক্ষ্ণৌ |
৫ | উত্তরাখণ্ড | UT | ভরাড়ীসাঁই (গ্রীষ্মকালীন), দেরাদুন (শীতকালীন) |
৬ | ওড়িশা | OD | ভুবনেশ্বর |
৭ | কর্ণাটক | KA | বেঙ্গালুরু |
৮ | কেরল | KL | তিরুবনন্তপুরম |
৯ | গোয়া | GA | পানাজি |
১০ | গুজরাত | GJ | গান্ধীনগর |
১১ | ছত্রিশগড় | CG | রায়পুর |
১২ | ঝাড়খণ্ড | JH | রাঁচি |
১৩ | তামিলনাড়ু | TN | চেন্নাই |
১৪ | তেলেঙ্গানা | TS | হায়দ্রাবাদ |
১৫ | ত্রিপুরা | TR | আগরতলা |
১৬ | নাগাল্যান্ড | NL | কোহিমা |
১৭ | পশ্চিমবঙ্গ | WB | কলকাতা |
১৮ | পাঞ্জাব | PB | চণ্ডীগড় (হরিয়ানারও সদর ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) |
১৯ | বিহার | BR | পাটনা |
২০ | মণিপুর | MN | ইম্ফল |
২১ | মধ্যপ্রদেশ | MP | ভোপাল |
২২ | মহারাষ্ট্র | MH | মুম্বাই (গ্রীষ্মকালীন), নাগপুর (শীতকালীন) |
২৩ | মিজোরাম | MZ | আইজল |
২৪ | মেঘালয় | ML | শিলং |
২৫ | রাজস্থান | RJ | জয়পুর |
২৬ | সিকিম | SK | গ্যাংটক |
২৭ | হরিয়ানা | HR | চণ্ডীগড় (পাঞ্জাবেরও সদর ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) |
২৮ | হিমাচল প্রদেশ | HP | শিমলা (গ্রীষ্মকালীন), ধর্মশালা (শীতকালীন) |
ক্রম | কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | কোড | সদর |
---|---|---|---|
ক | আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | AN | পোর্ট ব্লেয়ার |
খ | চণ্ডীগড় | CH | চণ্ডীগড় (এছাড়াও এটি পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সদর) |
গ | জম্মু ও কাশ্মীর | JK | শ্রীনগর (গ্রীষ্মকালীন), জম্মু (শীতকালীন) |
ঘ | দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ | DD | দমন |
ঙ | জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি | DL | নতুন দিল্লি |
চ | পুদুচেরি | PY | পুদুচেরি |
ছ | লাক্ষাদ্বীপ | LD | কাবারাত্তি |
জ | লাদাখ | LA | লেহ ও কার্গিল |
ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক বিভাগ গঠনের অনুমতি দেয়, যা তাদের নিজ নিজ রাজ্যের মধ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত করার উপযোগী।[১৬] বর্তমানে এই স্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলির অধিকাংশই উত্তর পূর্ব ভারতে অবস্থিত।
ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদগুলিকে নিচে দেখানো হলো।
রাজ্য | স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | সদর | জেলা / উপজেলা |
---|---|---|---|
আসাম | বড়োল্যান্ড ক্ষেত্রীয় পরিষদ | কোকরাঝাড় | কোকরাঝাড়, বাক্সা, চিরাং,উদালগুড়ি |
দেউরি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | নারায়ণপুর | লক্ষীমপুর | |
উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | হাফলং | ডিমা হাসাও | |
কার্বি আংলং স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | ডিফু | পূর্ব ও পশ্চিম কার্বি আংলং | |
মিশিং স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | ধেমাজি | ধেমাজি | |
রাভা হাজং স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | দুধনৈ | কামরূপ গ্রামীণ, গোয়ালপাড়া | |
সোনোয়াল কাছাড়ি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | ডিব্রুগড় | ||
ঠেঙ্গাল কাছাড়ি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | তিতাবড় | ||
তিওয়া জনগোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ | মরিগাঁও | ||
লাদাখ | কার্গিল স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ | কার্গিল | কার্গিল |
লেহ স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ | লেহ | লেহ | |
মণিপুর | চান্দেল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | চান্দেল | |
চূড়াচাঁদপুর স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | চূড়াচাঁদপুর | ||
সদর পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | কাংপোকপি | সাইকুল, সাইতু এবং কাংপোকপি জেলার সদর পাহাড় পশ্চিম মহকুমা | |
সেনাপতি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | সেনাপতি | ||
তামেংলং স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষ | তামেংলং | ||
উখরুল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | উখরুল | ||
মেঘালয় | গারো পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | তুরা | পূর্ব গারো পাহাড় জেলা, পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা, দক্ষিণ গারো পাহাড় জেলা, উত্তর গারো পাহাড় জেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা |
জৈন্তিয়া পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | জোয়াই | পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা, পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা | |
খাসি পাহাড় স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | শিলং | পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা, পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা, পূর্বাঞ্চলীয় পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা, রি ভোই জেলা | |
মিজোরাম | চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | কমলাসাগর | তুইচং মহকুমা |
লাই স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | লংৎলাই | লংৎলাই মহকুমা, সাংগাউ মহকুমা | |
মারা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | সাইহা | সাইহা মহকুমা, টিপা মহকুমা | |
ত্রিপুরা | ত্রিপুরা উপজাতি অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ | খুমুলুঙ | |
পশ্চিমবঙ্গ | গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন | দার্জিলিং | কালিম্পং জেলা, দার্জিলিং জেলার সদর, কার্শিয়াং, মিরিক মহকুমা ও শিলিগুড়ি মহকুমার কিছু মৌজা। |
ভারতীয় রাজ্যগুলির অধিকাংশই একাধিক বিভাগে বিভক্ত, যেগুলির দাপ্তরিক, প্রশাসনিক ও সরকারী মর্যাদা রয়েছে এবং প্রতিটি বিভাগের নেতৃত্বে একজন সিনিয়র আইএএস অফিসার রয়েছেন, যাকে বিভাগীয় অধিকর্তা বলা হয়। বর্তমানে, ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে ১৮ টি এবং ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩ টিতে জেলোর্ধ প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। গুজরাত, কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, সিকিম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও গোয়া রাজ্য এবং দমন ও দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলি , পুদুচেরি, চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনো বিভাগ নেই। বর্তমানে ভারতে মোট ১০২ টি বিভাগ রয়েছে।
|
কিছু রাজ্য এমন অঞ্চল নিয়ে গঠিত, যেগুলির কোনও সরকারী প্রশাসনিক সরকারী মর্যাদা নেই। তারা পুরোপুরিভাবে ভৌগোলিক অঞ্চল; কিছু ঐতিহাসিক দেশ, রাজ্য বা প্রদেশের সাথে মিলে যায়। একটি অঞ্চল এক বা একাধিক বিভাগ নিয়ে গঠিত হতে পারে, প্রতি অঞ্চলে গড়ে প্রায় তিনটি বিভাগ। তবে, অঞ্চলের সীমানা এবং বিভাগের সীমানা সবসময় ঠিক মিলে যায় না। এখনও পর্যন্ত অঞ্চলগুলিকে সরকারী প্রশাসনিক মর্যাদা দেওয়ার কোনও তোড়জোড় হয়নি। যদি এটি করা হয়, তবে সম্ভবত অঞ্চলগুলির সীমানাগুলিকে কিছুটা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে যাতে তারা তাদের তখনকার জেলার সীমান্তের সাথে হুবহু মিলে যায়।
ভারতের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আবার জেলায় বিভক্ত। ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট জেলার সংখ্যা ৭৬৬ টি। প্রতিটি জেলার দায়িত্বে থাকেন একজন আইএএস অফিসার, যাকে জেলা শাসক নামে অভিহিত করা হয়।
ক্রমিক নং | রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | জেলার সংখ্যা | জনসংখ্যা[১৭] | জনসংখ্যা/জেলা |
---|---|---|---|---|
১ | অন্ধ্রপ্রদেশ | ২৬ | ৪,৯৩,৮৬,৭৯৯ | ১৮,৯৯,৪৯২ |
২ | অরুণাচল প্রদেশ | ২৬ | ১,৩৮৩,৭২৭ | ৫৩,২২০ |
৩ | আসাম | ৩৫ | ৩,১১,৬৯,২৭২ | ৮,৯০,৫৫১ |
৪ | বিহার | ৩৮ | ১০,৪০,৯৯,৪৫২ | ২৭,৩৯,৪৫৯ |
৫ | ছত্তিশগড় | ৩৩ | ২,৫৫,৪৫,১৯৮ | ৭,৭৪,০৯৭ |
৬ | গোয়া | ২ | ১৪,৫৮,৫৪৫ | ৭,২৯,২৭৩ |
৭ | গুজরাত | ৩৩ | ৬,০৪,৩৯,৬৯২ | ১৮,৩১,৫০৬ |
৮ | হরিয়ানা | ২২ | ২,৫৩,৫১,৪৬২ | ১১,৫২,৩৩৯ |
৯ | হিমাচল প্রদেশ | ১২ | ৬৮,৬৪,৬০২ | ৫,৭২,০৫০ |
১০ | ঝাড়খণ্ড | ২৪ | ৩,২৯,৮৮,১৩৪ | ১৩,৭৪,৫০৬ |
১১ | কর্ণাটক | ৩১ | ৬,১০,৯৫,২৯৭ | ১৯,৭০,৮১৬ |
১২ | কেরল | ১৪ | ৩,৩৪,০৬,০৬১ | ২৩,৮৬,১৪৭ |
১৩ | মধ্যপ্রদেশ | ৫২ | ৭,২৬,২৬,৮০৯ | ১৩,৯৬,৬৬৯ |
১৪ | মহারাষ্ট্র | ৩৬ | ১১,২৩,৭৪,৩৩৩ | ৩১,২১,৫০৯ |
১৫ | মণিপুর | ১৬ | ২৭,২১,৭৫৬ | ১,৭০,১১০ |
১৬ | মেঘালয় | ১২ | ২৯,৬৬,৮৮৯ | ২,৪৭,২৪১ |
১৭ | মিজোরাম | ১১ | ১০,৯৭,২০৬ | ৯৯,৭৪৬ |
১৮ | নাগাল্যান্ড | ১৬ | ১৯,৭৮,৫০২ | ১,২৩,৬৫৬ |
১৯ | ওড়িশা | ৩০ | ৪,১৯,৭৪,২১৮ | ১৩,৯৯,১৪১ |
২০ | পাঞ্জাব | ২৩ | ২,৭৭,৪৩,৩৩৮ | ১২,০৬,২৩২ |
২১ | রাজস্থান | ৩৩ | ৬,৮৫,৪৮,৪৩৭ | ২০,৭৭,২২৫ |
২২ | সিকিম | ৬ | ৬,১০,৫৭৭ | ১,০১,৭৬৩ |
২৩ | তামিলনাড়ু | ৩৮ | ৭,২১,৪৭,০৩০ | ১৮,৯৮,৬০৬ |
২৪ | তেলেঙ্গানা | ৩৩ | ৩,৫১,৯৩,৯৭৮ | ১০,৬৬,৪৮৪ |
২৫ | ত্রিপুরা | ৮ | ৩৬,৭৩,৯১৭ | ৪,৫৯,২৪০ |
২৬ | উত্তরপ্রদেশ | ৭৫ | ১৯,৯৮,১২,৩৪১ | ২৬,৬৪,১৬৫ |
২৭ | উত্তরাখণ্ড | ১৩ | ১,০০,৮৬,২৯২ | ৭,৭৫,৮৬৯ |
২৮ | পশ্চিমবঙ্গ | ২৩ | ৯,১২,৭৬,১১৫ | ৩৯,৬৮,৫২৭ |
ক | আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | ৩ | ৩,৮০,৫৮১ | ১,২৬,৮৬০ |
খ | চণ্ডীগড় | ১ | ১০,৫৫,৪৫০ | ১০,৫৫,৪৫০ |
গ | দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ | ৩ | ৫,৮৬,৯৫৬ | ১,৯৫,৬৫২ |
ঘ | জম্মু ও কাশ্মীর | ২০ | ১,২২,৫৮,৪৩৩ | ৬,১২,৯২২ |
ঙ | লাদাখ | ২ | ২,৯০,৪৯২ | ১,৪৫,২৪৬ |
চ | লক্ষদ্বীপ | ১ | ৬৪,৪৭৩ | ৬৪,৪৭৩ |
ছ | দিল্লি | ১১ | ১,৬৭,৮৭,৯৪১ | ১৫,২৬,১৭৬ |
জ | পুদুচেরি | ৪ | ১২,৪৭,৯৫৩ | ৩,১১,৯৮৮ |
৩৬ | মোট | ৭৬৬ | ১,২১,০৬,৯২,২৫৮ | ১৫,৮০,৫৩৮ |
তহসিল, তালুক, মহকুমা, মন্ডল, সার্কেল হলো ভারতের উপজেলার বিভিন্ন নাম, যার নেতৃত্বে একজন তহসিলদার বা তালুকদার বা এমআরও থাকেন। এগুলি বিভিন্ন গ্রাম বা গ্রামসমষ্টি (বা পঞ্চায়েত) নিয়ে গঠিত। তহসিল স্তরে সরকারী বা নির্বাচিত সংস্থাগুলিকে পঞ্চায়েত সমিতি বলা হয়।
রাজ্য | ধরন | সংখ্যা |
---|---|---|
অন্ধ্রপ্রদেশ | মন্ডল | ৬৬৪ [১৮] |
অরুণাচল প্রদেশ | বৃত্ত | ১৪৯ |
আসাম | মহকুমা | ১৫৫ |
বিহার | মহকুমা | ১০১ |
ছত্তিশগড় | তহসিল | ১৪৯ |
গোয়া | তালুক | ১২ |
গুজরাত | তালুক | ২৪৮ |
হরিয়ানা | তহসিল | ৬৭ |
হিমাচল প্রদেশ | তহসিল | ১০৯ |
ঝাড়খণ্ড | মহকুমা | ২১০ |
কর্ণাটক | তালুক | ২০৬ |
কেরালা | তালুক | ৭৭ |
মধ্য প্রদেশ | তহসিল | ৩৬৭ |
মহারাষ্ট্র | তালুক | ৩৫৩ |
মণিপুর | মহকুমা | ৩৮ |
মেঘালয় | মহকুমা | ৩৯ |
মিজোরাম | মহকুমা | ২২ |
নাগাল্যান্ড | বৃত্ত | ৯৩ |
ওড়িশা | তহসিল | ৪৮৫ |
পাঞ্জাব | তহসিল | ৭২ |
রাজস্থান | তহসিল | ২৬৮ |
সিকিম | মহকুমা | ৯ |
তামিলনাড়ু | তালুক | ২০১ |
তেলেঙ্গানা | মন্ডল | ৪৫২ |
ত্রিপুরা | মহকুমা | ৩৮ |
উত্তর প্রদেশ | তহসিল | ৩৫০ |
উত্তরাখণ্ড | তহসিল | ১১৩ |
পশ্চিমবঙ্গ | মহকুমা | ৬৯ |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | ধরন | সংখ্যা |
---|---|---|
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | তহসিল | ৭ |
চণ্ডীগড় | তহসিল | ১ |
দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ | তালুক | ৩ |
দিল্লি | তহসিল | ৩৩ |
জম্মু ও কাশ্মীর | তহসিল | ৫৫ |
লাদাখ | তহসিল | ৪ |
লক্ষদ্বীপ | মহকুমা | ৪ |
পুদুচেরি | পঞ্চায়েত | ১০ |
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বা সিডি ব্লক বা শুধু ব্লক নামে পরিচিত প্রশাসনিক স্তরটি, মহকুমা প্রশাসনিক বিভাগের পরবর্তী স্তর (এটি উন্নয়নের উদ্দেশ্যে, যেখানে রাজস্বের ক্ষেত্রে একক হল তহসিল)।
রাজ্য | সউ ব্লক | সংখ্যা |
---|---|---|
বিহার | ঐ | ৫৩৪ |
হরিয়ানা | ঐ | ১৪০ |
ঝাড়খণ্ড | ঐ | ২৬৩[১৯] |
ত্রিপুরা | ঐ | ৫৮ |
উত্তরাখণ্ড | ঐ | ৯৫ |
পশ্চিমবঙ্গ | ঐ | ৩৪১[২০] |
গ্রাম হলো ভারতের প্রশাসনিক বিভাগের সর্বনিম্ন স্তর। গ্রাম পর্যায়ে সরকারি সংস্থাগুলিকে গ্রাম পঞ্চায়েত বলা হয়। ২০০০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে আনুমানিক ২,৫৬,০০০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত একটি বড় গ্রাম বা একাধিক ছোট গ্রামের একত্রীকরণ, যার মিলিত জনসংখ্যা আবশ্যিক ৫০০ গ্রামসভার বেশি। একাধিক গ্রামের সমষ্টিকে কখনও কখনও হোবলি বা পাট্টিও বলা হয়।
বিশুদ্ধ জলের প্রাপ্যতা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং শিক্ষা সহ নির্দিষ্ট কিছু সরকারী কার্যাবলী এবং কার্যক্রমগুলি উপ-গ্রাম স্তরে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।[২১] এই উপ-গ্রামগুলিকে "বাসস্থান" বা "পাটন" বলা হয়। ভারতছ ১৭,১৪,৫৫৬ টি[২২] পাটন রয়েছে। বেশিরভাগ গ্রামেই একটি পাটন থাকে তবে কিছু রাজ্যে (উল্লেখযোগ্যভাবে কেরালা এবং ত্রিপুরা) গ্রামের সাথে পাটনের অনুপাত বেশি।[২৩]
একটি মহানগর এলাকায় সাধারণত একাধিক বিচারব্যবস্থা এবং পৌরসভা থাকে: আশেপাশের এলাকা, টাউনশিপ, শহর, বহির্গমন, শহরতলী, কাউন্টি, জেলা, রাজ্য এবং এমনকি দেশান্তরেও এর বিস্তার হতে পারে যেমন ইউরোডিস্ট্রিক্ট। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তনের সাথে সাথে মহানগর এলাকাগুলি প্রধান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। মহানগর এলাকায় এক বা একাধিক শহুরে এলাকা, তারসাথে স্যাটেলাইট শহর, শহর এবং মধ্যবর্তী গ্রামীণ এলাকাগুলিও অন্তর্ভুক্ত যা আর্থ-সামাজিকভাবে শহুরে কেন্দ্রের সাথে আবদ্ধ। পরিবহন ও বিনিময় দ্বারা পরিমেয় ভারতের কিছু মহানগরগুলি হল: মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ এবং পুণে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.