মহারাষ্ট্রের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আহমেদনগর জেলা পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি জেলা। এটি মহারাষ্ট্র রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা। ঐতিহাসিক আহমেদনগর এ জেলার সদরদপ্তর। এটি আহমেদনগর সালতানাতের অংশ ছিল। এ জেলার শিরদি শহর সাঁই বাবার জন্য এবং মেহেরাবাদ মেহের বাবার জন্য বিখ্যাত। আহমেদনগর জেলা সোলাপুর, ওসমানাবাদ, বিদ, ঔরাঙ্গাবাদ, নাসিক, থানে ও পুনে জেলার সাথে সীমানা ভাগ করেছে।
আহমেদনগর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
মহারাষ্ট্রে আহমেদনগরের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
সদরদপ্তর | আহমেদনগর |
সরকার | |
• জেলা কালেক্টর | রুহুল দ্বিভেদি[১] |
• লোকসভা কেন্দ্র | আহমেদনগর |
• বিধানসভা কেন্দ্র | ১২ |
আয়তন | |
• মোট | ১৭,৪১৩ বর্গকিমি (৬,৭২৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৫,৪৩,১৫৯ |
• জনঘনত্ব | ২৬০/বর্গকিমি (৬৮০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১৭.৬৭% |
জনসংখ্যা | |
• স্বাক্ষরতা | ৯০.২২% |
• লিঙ্গ অনুপাত | ৯৩৪ মহিলা / ১০০০ পুরুষ |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | MH-16 MH-17 and MH-51 |
প্রধান মহাসড়ক | NH-50, NH-222 SH-10 |
ওয়েবসাইট | http://ahmednagar.nic.in |
যদিও আহমেদনগর জেলা ১৮১৮ সালে গঠিত হয়েছিল, তবুও বলা যেতে পারে যে আহমেদনগরের আধুনিক ইতিহাস ১৮৬৯ সালে শুরু হয়েছিল, যে বছর নাশিক ও সোলাপুর জেলা গঠিত হয়েছিল এবং নগরকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল এবং পরে বর্তমান নগর জেলা গঠিত হয়েছিল। ১৮১৮ সালে তৃতীয় মুসলমান-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠা বাহিনীর পরাজয়ের পরে আহমেদনগর জেলা তৈরি হয়েছিল, যখন পেশোয়ারের বেশিরভাগ ডোমেনগুলো ব্রিটিশ ভারতে সংযুক্ত ছিল। জেলাটি ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত বোম্বে প্রেসিডেন্সির সেন্ট্রাল বিভাগের অধীনে ছিল। এরপর এটি বোম্বে রাজ্যের অধীন হয়। ১৯৬০ সালে নতুন গঠিত মহারাষ্ট্র রাজ্যের অন্তর্গত হয়।
আহমেদনগর জেলা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মধ্যভাগে, ১৯°০৫' উত্তর অক্ষাংশ ও ৭৪°৪৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর দক্ষিণ-পূর্বে সোলাপুর, ওসমানাবাদ ও বিদ জেলা, উত্তর-পূর্বে ঔরাঙ্গবাদ জেলা, উত্তর-পশ্চিমে নাসিক ও থানে জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে পুনে জেলা অবস্থিত। এ জেলার আয়তন ১৭,৪১৩ বর্গকিলোমিটার।
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ী আহমেদনগর জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ৪,৫৪৩,০৮৩ জন,[২] যা কোস্টারিকা রাষ্ট্রের[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার সমান।[৪] জনসংখ্যারভিত্তিতে এটি ভারতের ৩৩তম জনবহুল জেলা (ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এ জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৬৬ জন (প্রতি বর্গমাইলে ৬৯০ জন) বসবাস করে। ২০০১-২০১১ সময়কালে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১২.৪৩ শতাংশ। আহমেদনগর জেলার লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছে ৯৩৪ জন। জেলার স্বাক্ষরতার হার ৮০.২২% ।
২০০৬ সালে ভারতের পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় আড়মেদনগর জেলাকে ২৫০টি পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহের মধ্যে তালিকাভুক্ত করে (৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এটি ব্যাকওয়াড রিজিওন গ্রান্ড ফান্ড প্রোগ্রামের আওতায় তহবিলপ্রাপ্ত মহারাষ্ট্রের ১২টি জেলার একটি।[৫]
আহমেদনগর বিভিন্নভাবে মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত জেলাগুলোর একটি। অর্ধ-শতাব্দী আগে দেশটি "সহযোগিতার মাধ্যমে গ্রামীণ সমৃদ্ধি" বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এখানে সর্বাধিকসংখ্যক চিনি কারখানা গড়ে উঠেছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.