Remove ads
ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাশিক জেলা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এছাড়াও এই জেলাটি নাসিক জেলা নামে পরিচিত। নাশিক শহরটি এই জেলা সদর দপ্তর। নাশিক ভাল ওয়াইন উৎপাদনের জন্য পরিচিত হয়।
নাশিক জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
মহারাষ্ট্রে নাশিকের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
প্রশাসনিক বিভাগ | নাশিক বিভাগ |
সদরদপ্তর | নাশিক |
তহশিল | 1. নাশিক, 2. সিন্নার, ৩. ইগাতপুরী, ৪. ত্রিম্বাক, ৫. নিফাধ, ৬. ইয়েলা, ৭. পেথ, 8. দিন্দরী ৯. চাঁদাবাদ, ১০. নন্দগাঁও, ১১. সুরগনা, ১২. কালমান, ১৩. দেওলা, ১৪. বাগলান, ১৫. মালেগাঁও[১] |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ১. নাশিক, ২. দিনদোরী (এসটি), ৩. ধুলে (ধুলে জেলার সঙ্গে) ভিত্তি হল(Election Commission website) |
আয়তন | |
• মোট | ১৫,৫৮২ বর্গকিমি (৬,০১৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬১,০৯,০৫২ (১১th in INDIA)(৩rd in Maharashtra) |
• পৌর এলাকা | ৫৮.৬৭% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৮৯.৯৫% |
যানবাহন নিবন্ধন | এমএইচ১৫(নাশিক শহর)
এমএইচ৪১(মেলেগাঁও) এমএইচ৫১(সিন্নার) এমএইচ৫২(ইগাতপুর) এমএইচ৫৩(নাশিক রোড) |
প্রধান মহাসড়ক | এপএইচ-৩, এনএইচ-৫০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
নাশিক জেলা মহারাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম জেলা। এই জেলার মোট জনসংখ্যা হল ৬১,০৯,০৫২ জন এবং উত্তর মহারাষ্ট্র অঞ্চলের ১৫,৫৮২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে জেলাটি। এই জেলার উত্তর দিকে ধুলে জেলা, পূর্বে জলগাঁও জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব ঔরঙ্গাবাদ জেলা, দক্ষিণে আহমদনগর জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে থানে জেলা, পশ্চিমে গুজরাত রাজ্যের ভলসাদ ও নবসারী জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে ডাঙ্গস জেলা অবস্থিত।
জেলা পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশ উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত দাক্ষিণাত্যের মালভূমি, যা খুবই উর্বর ও কৃষিকার্যে উপযোগী। জেলার পশ্চিমাঞ্চল কয়েকটি ব্যতিক্রম গ্রামের ছাড়াও পাহাড়ী এবং রেভিন্স দ্বারা বিভক্ত এবং এখানে সহজে চাষাবাদ সম্ভব। পাহাড়ের পশ্চিম ঢালগুলি থেক দমনগঙ্গা নদী সহ বিভিন্ন নদী নির্গত হয়েছে,। যে গুলি এর পর পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পতিত হয়।
দাক্ষিণাত্যের মালভূমির উপর অবস্থিত জেলার বৃহত্তর পূর্ব অংশটি খোলা, উর্বর এবং চাষবাসের জন্য উপযুক্ত। পূর্ব ও পশ্চিমে বিস্তৃত সাতমলা-চাঁদাবাদ পাহাড় মালভূমি অঞ্চলের প্রধান বিভাজক গঠন করে। উপদ্বীপীয় ভারতের বৃহত্তম নদী গোদাবরী এই জেলার জেলার ত্রিম্বকেশ্বর পাহাড়ে উৎপত্তি এবং জেলাটির মাধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। সাতমলা-চাঁদাবাদ পাহাড় একটি জলবিভাজিকা গঠন করে, যেমন নদীগুলি গোদাবরী নদীর দক্ষিণে জলনিকাশির কাজ করে। এইগুলির মধ্য কদভ ও দারন নদী উভয়ই অন্তর্ভুক্ত যা গোদাবরী নদীর উপনদী। সাতমলা-চাঁদাবাদ পাহাড়ের উত্তরে গির্না নদী এবং তার উপনদী মোসাম, পূর্ব উপত্যকায় তাপ্তী নদীতে মিলিত হয়।
ত্রিম্বকেশ্বর শিব মন্দির ত্রিম্বকে অবস্থিত, যা বারো জ্যোতিলিঙ্গের মধ্যে একটি, যেখানে মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বকেশ্বরে হিন্দু বংশোদ্ভূত নিবন্ধন করা হয়। পবিত্র গোদাবরী নদীর উৎপত্তি ত্রিম্বাকের কাছাকাছি।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নাশিক জেলার জনসংখ্যা ৬১,০৯,০৫২ জন,[২] যা এল সালভাদর [৩] অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় সমান। [৪] জনসংখ্যার হিসাবে ভারতের ১১ তম স্থান (মোট ৬৪০ টির মধ্যে) পেয়েছে জেলাটি। [২] জেলাটিতে বর্গ কিলোমিটার (১,০২০/বর্গ মাইল) প্রতি ৩৯৩ জন মানুষ বসবাস করেন। [২] এই জেলায় ২০০১-২০১১ এর দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২২.৩৩%। [২] নাশিকের প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ৯৩১ জন নারীর যৌন অনুপাত রয়েছে [২] এবং ৮০.৯৬% এর সাক্ষরতার হার রয়েছে। [২]
২০০৭ সালের হিসাবে জেলার ৭৫.৬৪% মানুষ শহুরে। [৫]
মারাঠি হল আধিকারিক বা সরকারি এবং মূল কথ্য ভাষা। অহরানী এবং ভিলি জেলার উত্তরে ছোট ছোট অংশগুলিতে বিভিন্ন উপভাষা কথিত হয়। [৬] নাশিক, ত্রিম্বকেশ্বর মত ধর্মীয় স্থানগুলিতে প্রাচীন ভারতীয় ভাষা সংস্কৃত কথ্য এবং ব্যাপকভাবে বোঝা যায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.