সিওয়ান জেলা
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.
সিওয়ান জেলা হল ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৯টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর সিওয়ান। সিওয়ান জেলা ১৯৭২ সাল থেকে বিহারের সারন বিভাগের অন্তর্গত। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এই জেলার জিরাদেইয়ের বাসিন্দা ছিলেন।[1] আলি বক্সের নামানুসারে এই জেলা আগে আলিগঞ্জ সিওয়ান নামে পরিচিত ছিল।
সিওয়ান জেলা सीवान ज़िला ضلع سیوان | |
---|---|
বিহারের জেলা | |
বিহারে সিওয়ানের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | বিহার |
প্রশাসনিক বিভাগ | সারন |
সদরদপ্তর | সিওয়ান, বিহার |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | সিওয়ান |
• বিধানসভা আসন | সিওয়ান, জিরাদেই, দারাউলি, রঘুনাথপুর, দারাউন্দা, বারহারিয়া, গোরিয়াকোঠি, মহারাজগঞ্জ |
আয়তন | |
• মোট | ২,২১৯ বর্গকিমি (৮৫৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৩,১৮,১৭৬ |
• জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭১.৫৯% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৮৪ |
প্রধান মহাসড়ক | ৮৫ নং জাতীয় সড়ক |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সিওয়ান জেলা বিহারের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। প্রাচীন কালে এটি কোশল রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।[2]
পূর্বে সিওয়ান জেলা সারন জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৯৭৬ সালে এটি পৃথক জেলার মর্যাদা পায়।[3]
সিওয়ান শব্দটি এসেছে শিবমন নামে এক বান্ধ রাজার নাম অনুসারে। শিবমনের উত্তরসূরিরা বাবরের আগমনের আগে অবধি এই অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। সিওয়ানের মহারাজগঞ্জ মহকুমাটিকে এই রাজাদের রাজধানী মনে করা হয়। সম্প্রতি এই জেলার ভেরবানিয়া গ্রামে বিষ্ণুর একটি প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।। ১৭৯০-এর দশকে গোর্খা রাজারা সিওয়ান রাজ্য সাময়িকভাবে দখল করেছিলেন। তারপর এখানে ব্রিটিশ আধিপত্য স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই অঞ্চলে যাদব ও রাজপুত জাতির লোকেরা বাস করে।[4]
খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দীতে সিওয়ান কাশী রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৩শ শতাব্দীতে এখানে মুসলমানেরা আসে। ১৫শ শতাব্দীতে সিকন্দর লোদি এই অঞ্চল জয় করেন। বাবর যুদ্ধ জয় সেরে ফেরার পথে সিওয়ানের কাছে ঘর্ঘরা নদী পার করেন। ১৭শ শতাব্দী শেষে এই অঞ্চলে ডাচেরা আসে। তারপরই এই অঞ্চলে ব্রিটিশরা আসে। ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করে ব্রিটিশরা বাংলা ও বিহারের আধিপত্য অর্জন করলে, সিওয়ান ব্রিটিশদের অধীনস্থ হয়। সিপাহি বিদ্রোহে সিওয়ান গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করেছিল। ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনেও সিওয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।[2]
সিওয়ান জেলার আয়তন ২,২১৯ বর্গকিলোমিটার (৮৫৭ মা২)।[5]
সিওয়ান জেলা দুটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: সিওয়ান ও মহারাজগঞ্জ।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সিওয়ান জেলার জনসংখ্যা ৩,৩১৮, ১৭৬।[6] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১০১ তম।[6] জেলার জনঘনত্ব ১,৪৯৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩,৮৭০ জন/বর্গমাইল)।[6] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২২.২৫%।[6] সিওয়ান জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮৪ জন মহিলা[6] এবং সাক্ষরতার হার ৭১.৫৯%।[6]