সোনিপত জেলা হল উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে একটি। সোনিপাত শহরটি জেলা সদর। এটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের একটি অংশ। এটি দিল্লি, পানিপথ, রোহতক, জিন্দ, ঝজ্জর এবং বাগপথ (উত্তরপ্রদেশ) জেলা দিয়ে ঘেরা। জেলা দক্ষিণ সীমানায় আছে দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, উত্তরে পানিপথ জেলা, উত্তর-পশ্চিমে জিন্দ জেলা, পূর্বে যমুনা নদীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য, এবং পশ্চিমে রোহতক জেলা

দ্রুত তথ্য সোনিপত জেলা, দেশ ...
সোনিপত জেলা
হরিয়ানার জেলা
Thumb
হরিয়ানায় সোনিপথ জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যহরিয়ানা
বিভাগরোহতক বিভাগ
সদর দপ্তরসোনিপত
তহশিল১. সোনিপত, ২.খারখৌদা, ৩.গোহানা, ৪. গনৌর
আয়তন
  মোট২,২৬০ বর্গকিমি (৮৭০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট১৪,৫০,০০১
  জনঘনত্ব৬৪০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
  পৌর এলাকা৩,২১,৪৩২
জনসংখ্যার উপাত্ত
  সাক্ষরতা৭৩.৭১
  লিঙ্গ অনুপাত৯৩৭/১০০০
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
প্রধান মহাসড়কএনএইচ -১ এনএইচ -৭১ পূর্ব সীমান্তবর্তী এক্সপ্রেসওয়ে, পশ্চিম সীমান্তবর্তী এক্সপ্রেসওয়ে জাতীয় মহাসড়ক ৩৩৪ বি (ভারত) জাতীয় মহাসড়ক ৪৪ (ভারত)
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত৬২৪ মিমি
লোকসভা কেন্দ্রসোনিপথ
বিধানসভা কেন্দ্রগুলিগনৌর, রাই, খারখৌদা, সোনিপথ, গোহানা, বরোদা
ওয়েবসাইটhttp://sonipat.nic.in/
বন্ধ
Thumb
কোস মিনার সোনিপথ বাস স্ট্যান্ড

নামের উৎপত্তি

জেলাটির নাম প্রশাসনিক সদর দপ্তর, সোনিপাতের নামানুসারে হয়েছে। সোনিপাত আগে সোনপ্রস্থ নামে পরিচিত ছিল, যা পরে স্বর্ণপ্রস্থ হয়ে ওঠে (সুবর্ণ শহর), যা দুটি সংস্কৃত শব্দ, 'স্বর্ণ' (সোনা) এবং প্রস্থ (স্থান) থেকে উদ্ভূত হয়েছে। একটি সময়ের মধ্যে, ধ্রুপদী নাম স্বর্ণপ্রস্থের উচ্চারণটি স্বর্ণপাত এ পরিবর্তিত হয়ে যায়, এবং তারপর এসেছে বর্তমানের, সোনিপাত । এই শহরের প্রাচীনতম উল্লেখটি মহাভারত মহাকাব্যে পাওয়া যায়, এবং সেই সময়, হস্তিনাপুর রাজ্যের পরিবর্তে পাণ্ডবদের দাবি করা পাঁচটি গ্রামের মধ্যে এটি ছিল একটি।

ইতিহাস

১৯৭২ সালের ২২শে ডিসেম্বর পূর্ববর্তী রোহতক জেলাটি ভেঙে এই জেলাটি তৈরি করা হয়েছিল।

ভূগোল

বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, পুরো জেলাটি পাঞ্জাব সমভূমির একটি অঙ্গ, তবে অঞ্চলটি কিছু কিছু অংশে সমতল নয়। জেলার বেশিরভাগ অঞ্চলে, মাটি সমৃদ্ধ বর্ণের সূক্ষ্ম দোআঁশ মাটি। তবে কিছু অঞ্চলে বালুকাময় মাটি রয়েছে আবার কিছু অঞ্চলে কাল্লার (লবণাক্ত এবং ক্ষারীয় প্রভাব যুক্ত মাটি, অনুর্বর) রয়েছে। সমভূমিটি দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে ঢালু হয়েছে।

শিক্ষা

জেলাটি ভারতের অন্যতম প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ ছাড়াও এই জেলাতে রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালে মুরথালয় দীনবন্ধু ছোটু রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ২০০৬ সালে সোনিপথে ভগত ফুল সিং মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে রথধনের কাছে ও. পি. জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি ২০১২ সালে, জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও পরিচালনা সংস্থা, নিফটেম নামে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট কুন্ডলিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা দিল্লি সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ২০১৩ সালে, দিল্লির কাছে, রাজীব গান্ধী শিক্ষা শহর, সোনিপথের দিল্লি এনসিআর সোনপেটে এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

জনসংখ্যার উপাত্ত

আরও তথ্য বছর, জন. ...
ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৩,৩০,২০৮    
১৯১১২,৮৪,৮৫৬−১.৪৭%
১৯২১৩,০৭,০৯১+০.৭৫%
১৯৩১৩,২০,৮৪০+০.৪৪%
১৯৪১৩,৭৯,৭৯৮+১.৭%
১৯৫১৪,৩২,২৮২+১.৩%
১৯৬১৫,৪৬,৮৭৩+২.৩৮%
১৯৭১৬,৭৯,৮৩৪+২.২%
১৯৮১৮,৩৯,২৯৮+২.১৩%
১৯৯১১০,৪৫,১৫৮+২.২২%
২০০১১২,৭৯,১৭৫+২.০৪%
২০১১১৪,৫০,০০১+১.২৬%
সূত্র:[১]
বন্ধ

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সোনিপথ জেলার জনসংখ্যা ১,৪৫০,০০১,[২] যা গ্যাবন[৩] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৪] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে ৩৩৮তম স্থানে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে) আছে।[২] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৯৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৮১০ জন/বর্গমাইল)[২] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৫.৭১% ছিল।[২] সোনিপথে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ৮৫৩ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে,[২] এবং এখানে সাক্ষরতার হার ৮০.৮%।[২]

২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯৮.১০% তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে হিন্দিতে এবং ১.২৫% পাঞ্জাবীতে কথা বলে।[৫]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.