লখনউ জেলা
উত্তর প্রদেশের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লখনউ জেলা হল উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। লখনউ শহরটি জেলা সদর এবং জেলাটি লখনউ বিভাগের অন্তর্গত। এটি উত্তরপ্রদেশের রাজধানীও।
লখনউ জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
![]() উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | লক্ষ্ণৌ |
সদর দপ্তর | লক্ষ্ণৌ |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্রগুলি | লখনউ এবং মোহনলালগঞ্জ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৫২৮ বর্গকিমি (৯৭৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৫,৮৯,৮৩৮ |
• জনঘনত্ব | ১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৭০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://lucknow.nic.in/ |
ঐতিহাসিক পটভূমি
ঐতিহাসিকভাবে আওধের (অযোধ্যা) একটি অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, লখনউ সবসময়ই বহুসংস্কৃতির জায়গা।[১]
জলবায়ু
সারাংশ
প্রসঙ্গ
লক্ষ্ণৌ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জলবায়ু লেখচিত্র | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
লখনউ জেলার জলবায়ু মূলত উপজাতীয় প্রকৃতির। মে ও জুন মাসে উষ্ণ পরিবেশ এবং জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্ণৌয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সারাংশ
প্রসঙ্গ
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৭,৯৩,২৪১ | — |
১৯১১ | ৭,৬৪,৪১১ | −০.৩৭% |
১৯২১ | ৭,২৪,৩৪৪ | −০.৫৪% |
১৯৩১ | ৭,৮৭,৪৭২ | +০.৮৪% |
১৯৪১ | ৯,৪৯,৭২৮ | +১.৮৯% |
১৯৫১ | ১১,২৮,১০১ | +১.৭৪% |
১৯৬১ | ১৩,৩৮,৮৮২ | +১.৭৩% |
১৯৭১ | ১৬,১৭,৮৪৬ | +১.৯১% |
১৯৮১ | ২০,১৪,৫৭৪ | +২.২২% |
১৯৯১ | ২৭,৬২,৮০১ | +৩.২১% |
২০০১ | ৩৬,৪৭,৮৩৪ | +২.৮২% |
২০১১ | ৪৫,৮৯,৮৩৮ | +২.৩২% |
source:[২] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা ৪,৫৮৯,৮৩৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ২,৩৯৪,৪৭৬ জন এবং ২,১৯৫,৩৬২ জন। ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে লক্ষ্ণৌ শহরের জনসংখ্যা ছিল ৩,৬৪৭,৮৩৪ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১,৯৩২,৩১৭ জন এবং বাকি ১,৭১৫,৫১৭ জন মহিলা।লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা, মহারাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ২.৩০ শতাংশ। ২০০১ সালের আদমশুমারিতে, লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা, মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ২.১৯ শতাংশ ছিল।[৩] লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা জর্জিয়া [৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৫] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে ৩১ তম স্থানে আছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)।[৬]
জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,৮১৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪,৭০০ জন/বর্গমাইল)।[৬] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১এর দশকে ২৫.৭৯% ছিল।[৬] লক্ষ্ণৌতে প্রতি এক হাজার পুরুষের জন্য ৯০৬ জন মহিলা ( যৌন অনুপাত) রয়েছে,[৬] এবং এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯.৩৩%।[৬]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩,৬৪৭,৮৩৪ জন। ২০০১ সালের জনসংখ্যার তুলনায় জনসংখ্যায় ২৫.৮২ শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী লক্ষ্ণৌ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩২.০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।[৩]
জেলা মানচিত্র
ধর্ম
লক্ষ্ণৌ শহরে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংহতি বজায় রয়েছে। যদিও লক্ষ্ণৌয়ে মুসলিম লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল, কিন্তু এখানকার স্থানীয়রা তাদের অনেকগুলি সভার ব্যয় বহন করেছিল।[৮]
১৯১৫ সালে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ, উভয় দলের যৌথ অধিবেশনে, লখনৌ চুক্তি সম্বন্ধে একমত হয়েছিল।
এখানকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে সঙ্কট মোচন হনুমান মন্দির, শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ এবং চন্দ্রিকা দেবী মন্দির।
ভাষা সমূহ
২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯১.১৯% হিন্দিতে এবং ৭.৫৬% উর্দুতে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে কথা বলে।[৯]
আওধি ভাষা, যা হিন্দি উপভাষা ধারাবাহিকতার মধ্যে পড়ে, সেটি এখানকার ৩.৮ কোটি মানুষের, প্রধানত আওধ অঞ্চলের, কথ্য ভাষা। ।[১০] উর্দু এবং হিন্দিও জেলার মূলধারার দুটি ভাষা।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.