Loading AI tools
মহারাষ্ট্রের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লাতুর জেলা ভারত এর মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি জেলা (মহারাষ্ট্রের জেলা)। লাতুর শহরটি জেলা সদর দপ্তর এবং এটি মহারাষ্ট্রের ষোড়শ (১৬তম) বৃহত্তম শহর। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, লাতুরসিটির জনসংখ্যা ৩৮২,৭৫৪ জন।[1]। জেলাটি প্রাথমিকভাবে একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির জেলা । মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৫.৪৭% শহুরে জনসংখ্যার অন্তর্ভুক্ত। [2]
লাতুর জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
মহারাষ্ট্রে লাতুরের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
প্রশাসনিক বিভাগ | ঔরংআবাদ ডিভিশন |
সদরদপ্তর | লাতুর |
তহশিল | 1. লাতুর, 2. উদ্গির, 3. আহমেদপুর, 4. ঔসা, 5. নীলাংগা, 6. রেণাপুর, 7. চাকুর, 8. দেওনি, 9. শিরুর অনন্তপাল, 10. জলকোট. |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ২টি (অংশত) লাতুর & ওসমানাবাদ |
• বিধানসভা আসন | ৬ |
আয়তন | |
• মোট | ৭,১৫৭ sq km বর্গকিমি (বিন্যাসন ত্রুটি: invalid input when rounding বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৪,৫৫,৫৪৩ |
• পৌর এলাকা | ২৫.৪৭% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭৯.০৩% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯২৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
লাতুরের একটি প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে, সম্ভবত রাষ্ট্রকূট যুগের। যে রাষ্ট্রকূট বংশ ৭৫৩-৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ অবধি দাক্ষিণাত্য শাসন করেছিল, তাদের একটি শাখার আদি বাড়ি ছিল এই শহরে। প্রথম রাষ্ট্রকূট রাজা দন্তিদুর্গ লাতালুর শহরের অধিবাসী ছিলেন; সম্ভবত লাতুরের প্রাচীন নামই লাতালুর। ঐতিহাসিকভাবে, রত্নপুর নামটি লাতুরের নাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথিতে। অবিনাশএর অধিবাসী রাজা অমোঘবর্ষ লাতুর শহরের উন্নতিসাধন করেছিলেন যা কিনা তাদের আদিভূমি ছিল। যুগে যুগে লাতুর বিভিন্ন রাজবংশ যেমন সাতবাহন, শক, চালুক্য, দৌলতাবাদ, মহারাষ্ট্র, দেওগিরি, দিল্লী সুলতানিয়াত ইত্যাদি দ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। দক্ষিণ ভারতের বাহমনি শাসকরা, আদিলশাহী, এবং মুগলরা ও এই শহরকে শাসন করেছে বিভিন্ন শতাব্দী জুড়ে। সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি হায়দ্রাবাদের স্বাধীন রাজত্বের অংশ হয়ে ওঠে; হায়দ্রাবাদের অধীনে কর পদ্ধতির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগ শোষণকারী করের অনুশীলন শেষ হয়েছিল[3]। ১৯০৫ সালে এটি আশেপাশের এলাকার সাথে সংযুক্ত হয়ে লাতুর তহসিল নামকরণ হয় এবং ওসমানাবাদ জেলার অংশ হয়ে যায়, যা ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত নিজামের অধীনে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের একটি অংশ ছিল। নিজামের রাজাকার বাহিনীর প্রধান কাসিম রিজভী ছিলেন লাতুরের বাসিন্দা। স্বাধীনতার পর এবং হায়দ্রাবাদের ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে মিলিত হওয়ার পরে, ওসমানাবাদ বম্বে প্রদেশের অংশ হয়ে ওঠে।১৯৬০ সালে, মহারাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পরে, ওসমানাবাদ মহারাষ্ট্রের একটি জেলায় পর্যবসিত হয়। পরবর্তীকালে প্রাক্তন মন্ত্রী কেশবরাও সোনাওয়ানে ও নবনির্বাচিত বিধানসভা সদস্য বিলাসরাও দেশমুখ এর যৌক্তিক প্রচেষ্টার ফলে ১৯৮২ সালের ১৬ই আগস্ট উসমানাবাদ জেলা থেকে পৃথক লাতুর জেলার সৃষ্টি হয়।
লাতুর জেলা ভারতের মহারাষ্ট্রের মারাথওয়াড়ায় অবস্থিত, ১৭°৫২' উত্তর থেকে ১৮°৫০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬°১৮' পূর্ব থেকে ৭৯°১২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এর মধ্যে দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে অবস্থিত। এটি সমুদ্রতল থেকে গড় ৬৩১ মিটার (২,০৭০ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত। সমগ্র লাতুর জেলাটি দাক্ষিণাত্যের বালাঘাট মালভূমিতে অবস্থিত। লাতুর জেলা উত্তর-পূর্বে নান্দেড় জেলা দ্বারা আবদ্ধ; পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কর্ণাটক এর রাজ্য সীমানা; দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসমানাবাদ জেলা ;পশ্চিমে বীড জেলা ; এবং উত্তর-পশ্চিমে পারাওনী জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ।
জেলার গড় বৃষ্টিপাত ৬০০ থেকে ৮০০ মিমি। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস অবধি বর্ষাকাল হয়। প্রধানত মাঝারি তাপমাত্রা দেখা যায় সারা বছর। ভারতবর্ষের অন্যান্য জায়গার মতই বর্ষা অনিশ্চিত। গ্রীষ্মের শুরু থেকে মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত গ্রীষ্ম শুষ্ক এবং গরম হয়; তাপমাত্রা থাকে ২৪° সে থেকে ৪০সে পর্যন্ত, কখনো কখনও ৪১ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এও পৌঁছয় তাপমাত্রা। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি শীতকাল হয় ;মাঝে মাঝে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর কমে পৌঁছলেও সাধারণত তাপমাত্রা প্রায় ১৩।৯° সি থেকে ২১.৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থাকে।জানুয়ারি থেকে মার্চে মাঝারি তাপমাত্রা বজায় থাকে।
লাতুর জেলা গোদাবরী নদীর অববাহিকায় অবস্থিত।যদিও জেলায় ব্যবহৃত বেশিরভাগ জল নেওয়া হয় মঞ্জিরা নদী থেকে; বিংশ এবং একবিংশ শতকের প্রথম দিকে পরিবেশগত অবনতি এবং পলি পড়ার কারণে মঞ্জিরার নাব্যতা অনেক কমে গেছে [4]। জেলার অন্য প্রধান নদীগুলি হল তিনার (তিরানা), রেনা, মানার, তাওয়ার্জা (তওরাজো), তিরু ও ঘর্নি [5]। এই নদী এবং কয়েকটি ছোট ছোট নদী সেচ ও ব্যবহার্য জল প্রদানের জন্য দায়ী[6]। বৃহৎ বাঁধগুলির মধ্যে রয়েছে সল নদীর ওপর সাকল বাঁধ, তাওয়ার্জা বাঁধ উপর দেবরগণ বাঁধ, ঘর্ণী বাঁধ, মাসললা বাঁধ এবং তিরু বাঁধ[6]। জেলার উত্তরাঞ্চলে তিনটি প্রধান নদী রয়েছে, মানিয়াড়, লেন্দী (তেরুর উপনদী) এবং তিরু (তিরু)[7] ।
ভারতর ২০০১ আদমশুমারি (লোক গণনা) অনুসারে লাতুরের জনসংখ্যা ২,০৮০,২৮৫ জন [8]। জনসংখ্যার ৫২% পুরুষ এবং ৪৮% নারী। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭%, এবং নারীদের মধ্যে ৬৩%। জনসংখ্যার প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে ৯৩৫ জন মহিলা [8]।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে লাতুর জেলার জনসংখ্যা ২,৪৫৫,৫৪৩ জন[2] যা প্রায় কুয়েত[9] এর জনস্ংখ্যা অথবা আমেরিকার নেভাদা[10] রাজ্যের জনসংখ্যার সমান। জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এটি ১৮১তম স্থান অধিকার করে [2] জেলার জনঘনত্ব ৩৪৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৮৯০ জন/বর্গমাইল).[2]। ২০০১-২০১১ দশকের লাতুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৮.০৪% [2]। জনসংখ্যার প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারীর সংখ্যা ৯২৪ জন যা আগের আদমশুমারি থেকেও কম[2]। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%[2]। প্রধান কথ্য ভাষা মারাঠি তবে, উর্দু, তেলুগু, গুজরাটি এবং কন্নড় ভাষার ও প্রচলন আছে[11]।
এখানে প্রতিবছর শ্রী সিদ্ধেশ্বর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার লোক উদ্গির তেহশিল এর হাত্তিবেতে প্রতি একদশীতে গঙ্গারাম মহারাজের সমাধিতে জড়ো হয় পূজা করার জন্যে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ১০, ১১ এবং ১২ তারিখে, প্রথমবারের মতো 'লাতুর উতসব' পালিত হয় শ্রী অমিত দেশমুখের পরিচালনায়। তার পর থেকে এটি লাতুরের একটি বাতসরিক উতসবে পরিণত হয়েছে।
লাতুর জেলা পরিষদের শিক্ষা বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট ১২৮৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪৮৭ টি বেসরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার প্রাথমিক মাধ্যম হচ্ছে মারাঠি। তবে অনেক বিদ্যালয়েই শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি, সেমি-ইংরেজি, উর্দু ইত্যাদি ভাষা। লাতুর তার লাতুর প্যাটার্ন জন্য বিখ্যাত, যা এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অনেক বছর ধরে রাজ্যের শীর্ষ স্থানাধিকারী উপহার দিয়েছে।
গত কয়েক বছরে উচ্চশিক্ষার জন্য লাতুর একটি শিক্ষাগত কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যা স্নাতক ডিগ্রী এবং মাস্টার ডিগ্রি প্রদান করে। বেশিরভাগ সুপ্রতিষ্ঠিত পেশাদারী ডিগ্রি কলেজগুলি লাতুর শহরে অবস্থিত, মফস্বল অঞ্চলে সম্প্রতি কিছু কলেজ নির্মিত হয়েছে। লাতুরের ভালো ফলাফলের জন্য, রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী লাতুরে পড়াশোনা করতে আসে।
প্রশাসনিকভাবে জেলাটি পাঁচটি বিভাগে বিভক্ত যেমন লাতুর, নিলাঙ্গা, ঔসা, আহমদপুর ও উদগির, এবং আরও দশটি তালুক ও দশটি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। তালুকগুলি লাতুর, উদগির, আহমেদপুর, ঔসা, নীলাঙ্গা, রেনাপুর, চাকুর, দেওনি, শিরুর অনন্তপাল, এবং জালকোট। লাতুর শহরটি জেলা সদর দপ্তর। জেলার ৯৪৫ টি গ্রাম ও ৭৮৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। লাতুর জেলায় ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। এইগুলি লাতুর সিটি (বিধানসভা), লাতুর সিটি, লাতুর গ্রামীণ (বিধানসভা), লাতুর গ্রামীণ, উদগির (বিধানসভা), উদগির, ঔসা(বিধান) ঔসা, নিলাঙ্গা (বিধানসভা), নিলাঙ্গা এবং আহমেদপুর (বিধানসভা), আহমেদপুর[12]। লাতুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে লাতুর (লাতুর,নিলাঙ্গা,আহমদপুর ও উদগির) বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যে এবং ওসমানাবাদ (ঔসা বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যে)[13]।
লাতুর শহরটি শুধুমাত্র একটি করপোরেশন, আহমদপুর, ঔসা, নিলঙ্গা ইত্যাদি কয়েকটি প্রধান শহুরে কেন্দ্র এবং সকলেরই পৌর কাউন্সিল রয়েছে। নিম্নলিখিত ২8 টি বড় গ্রাম, গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারা পরিচালিতঃ মুরুদ, চাকুর, কিল্লারি নালেগাঁও ঔরাদ শাহজানি রেনাপুর দেওনি পানগাও কিনগাও শিরুর তাজবাদ শিরুর অনন্তপাল কাসারশিরশী (কাদার্সিসী) ওয়াদওয়ানা জালকোট ওডওয়াল নাগনাথ সাকোল হাদোলটি উজানি মাতোলা খারোলা বাবহালগাঁও ভাদা হালগারা হান্ডারগুলি চাপোলি নিতুর লোহারা চিঞ্চোলি রাওওয়াড়ি
হায়দ্রাবাদ এর নিজামএর সময় লাতুর ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি একটি শিল্প কেন্দ্র এবং কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি। লাতুর মারাথওয়াড়া-এর ক্রমবর্ধমান শিল্পকৌশল হাব।
লাতুর এ উতপাদিত ডালের গুণ ও পরিমাণের জন্য লাতুর সমগ্র ভারতে পরিচিত বিশেষ করে তুর ডাল বা অড়হর ডাল লাতুরের প্রধান উতপাদিত পণ্য। এছাড়াও মুগ, মুসুর এবং ছোলার ডালের একটি প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হল লাতুর। এখানে বিবিধ তৈল বীজ প্রধানত সূরযমুখী এবং সোয়াবীন উতপাদন হয় এখানে। তাছাড়া তালা চাবি, পেতলের বাসনপত্র, গুঁড়া দুধ ইত্যাদির জন্যেও পরিচিত লাতুর। এটি মঞ্জরা, শক্কর কারখানা, বিকাশ ইত্যাদি চিনিকলের জন্যও বিখ্যাত।
লাতুর জেলার সমস্ত রেল লাইন ব্রডগেজ হয়। এটি সেন্ট্রাল রেলওয়ে এর অংশ। লাতুর রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নির্মিত হয়েছিল যখন বারশি রেললাইনটি ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়েছিল।লাতুর থেকে কুরদুবাড়ি পর্যন্ত মিরজের রেললাইন লাইন ছিল ন্যারো গেজ। সম্পূর্ণ রেললাইনটি অর্থাৎ মিরাজ থেকে ওসমানাবাদ পর্যন্ত ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয় ২০০৮ সালে।প্রথম পর্যায়ে কুরদুবাড়ি থেকে মিরাজ অবধি অংশটি ২০০২ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়।দ্বিতীয় পর্যায়ে লাতুর থেকে উসমানাবাদ পর্যন্ত সেপ্টেম্বর ২০০৭ এ এবং তৃতীয় পর্যায়ে অক্টোবর ২০০৮ এ উসমানাবাদ থেকে কুরদুবাড়ি পর্যন্ত ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। লাতুর এখন কুরদুবাড়ির মাধ্যমে (সরাসরি লাতুর থেকে ১০০৬ নম্বর এবং মুম্বাই থেকে ১০০৫) সরাসরি মুম্বাইয়ের সাথে সংযুক্ত রেলপথে। লাতুর হায়দ্রাবাদের সাথেও সংযুক্ত ওসমানাবাদে-হায়দ্রাবাদ ট্রেন সংখ্যা ৭০১৩ দ্বারা[14]। গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশনগুলি লাতুর, লাতুর রোড এবং উদগির। জেলাতে মোট ১৪৮ কিমি ব্রড গেজ রেলওয়ে লাইন রয়েছে।
লাতুর জেলার মোট সড়ক দৈর্ঘ্য ১৩,৬৪২ কিমি। বেশ কয়েকটি জাতীয় ও রাজ্য সড়ক গিয়েছে লাতুর জেলার মধ্য দিয়ে।
জেলা সদর দপ্তরে বাস রুটগুলি ৯৬% গ্রামের সাথে সংযুক্ত। পৌর বাস সার্ভিস বাসগুলি পরিচালনা করে যা এই অঞ্চলের পরিষেবা দেয় এবং লাতুর সিটি এলাকায় সংযোগ স্থাপন করে। মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহন করপোরেশন (এমএসআরটিসি) রাজ্য পরিবহন বাসগুলি জেলার সব গ্রামেই পরিষেবা দেয়।
লাতুর বিমানবন্দর]] লাতুর শহরের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের চিঞ্চোলিরাওবাড়ির কাছাকাছি অবস্থিত। এয়ারপোর্টটি ১৯৯১ সালে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লুডিডি)দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং তারপর এমআইডিসিকে হস্তান্তরিত হয়। এটি প্রায় ১৪০ মিলিয়ন টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয় এবং এটি ৯৯ বছরের লিজে চালানো হচ্ছে রিলায়ান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মাধ্যমে[15]। বর্তমানে লাতুর বিমানবন্দর থেকে কোন নির্ধারিত এয়ার সার্ভিস নেই, যদিও এয়ারপোর্টে ১৪ থেকে ১৬ বার প্রতি মাসে বিমান চলাচল করতে দেখা যায়[16]।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন লাতুর শহরের কাছাকাছি তাদের হোমগ্রাউন্ড নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও লাতুর অঞ্চলের জন্য একটি বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স অনুমোদন করা হয়েছে, যা লাতুর, ওসমানাবাদ ও নান্দেদ জেলার খেলোয়াড়দের চাহিদা পূরণ করবে। জাতীয় স্তরে কাবাডি ও বাস্কেট বল অনুষ্ঠিত হয়েছে লাতুর জেলায়।
লাতুর জেলাতে ১২টি সরকারি হাসপাতাল, ৪৬ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১৯ টি ডিসপেনসারী এবং ২৩ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সহায়তা গ্রুপ পরিচালিত হয়। একটি স্পেশাল স্পেশালিস্ট হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে লাতুরে যা ১১টি সংলগ্ন জেলায় রোগীদের পরিষেবা দেবে। এই ছাড়াও অনেকগুলি বেসরকারি হাসপাতালও রয়েছে।
এর পাশাপাশি, লাতুরের দুটি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছেঃ যথা "সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল" এবং বেসরকারী "এমআইএমএসআর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল"।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.