Loading AI tools
হিন্দু দেবী, বিষ্ণুর পত্নী, ত্রীদেবীর একজন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লক্ষ্মী (সংস্কৃত: लक्ष्मी) হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।পার্বতী এবং সরস্বতীর সাথে তিনি ত্রিদেবীর একজন।[10] তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী ইনি স্বত্ত্ব গুন ময়ী। জৈন স্মারকগুলিতেও লক্ষ্মীর ছবি দেখা যায়। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। মহাবিশ্বের সৃষ্টি, সুরক্ষা এবং রূপান্তর করতে বিষ্ণুকে সহায়তা করেন।[11] যখন বিষ্ণু অবতার হিসেবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, তখন লক্ষ্মী তার সাথে সঙ্গী হিসেবে আসেন।[12] যেমন রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা,রাধা রূপে তাঁদের সঙ্গিনী হন।[13][14][15] [16] লক্ষ্মীর আটটি বিশিষ্ট প্রকাশ অষ্টলক্ষ্মী, যা সম্পদের আটটি উৎসের প্রতীক।[17] প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার এবং প্রাচীন মুদ্রাগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের মধ্যে লক্ষ্মীর প্রতি স্বীকৃতি এবং শ্রদ্ধার ইঙ্গিত দেয়।[18][19] লক্ষ্মীর মূর্তি ও মূর্তিগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে হিন্দু মন্দিরগুলিতেও পাওয়া গেছে, অনুমান করা হয় এগুলি প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধর।[20][21] লক্ষ্মী পূজা অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। নবরাত্রির সময় দীপাবলি ও শারদ পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়।[22] এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন।[23]
হিন্দুধর্ম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
লক্ষ্মী | |
---|---|
ত্রিদেবী এবং পঞ্চ প্রকৃতির গোষ্ঠীর সদস্য | |
অন্যান্য নাম | শ্রী, নারায়ণী, ভার্গবী, ভগবতী, পদ্মা, কমলা, বৈষ্ণবী, লক্ষ্মী |
দেবনাগরী | लक्ष्मी |
অন্তর্ভুক্তি | |
আবাস | বৈকুণ্ঠ, মণিদ্বীপ |
মন্ত্র | ওঁ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ মহালক্ষ্ম্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রীয়ৈ ধীমহি তন্নোঃ শ্রী প্রচোদয়াৎ। প্রনাম মন্ত্র : ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে। সর্ব্বত পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে।। |
প্রতীকসমূহ | পদ্ম, শঙ্খ, চক্র, গদা, জ্ঞান মুদ্রা, গদা, বরদমুদ্রা, স্বর্ণ |
দিবস | বৃহস্পতিবার |
বাহন | গরুড় , পেঁচা, হাতি, সিংহ |
উৎসব | দীপাবলি (লক্ষ্মীপূজা), শারদ পূর্ণিমা, ভারলক্ষ্মী ব্রত, নবরাত্রি, সংক্রান্তি[5] |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
সহোদর | জ্যেষ্ঠা বা অলক্ষ্মী, চন্দ্র |
সঙ্গী | বিষ্ণু[6] |
সন্তান | • কামদেব[7]
• বালা এবং উত্সাহ (বায়ুপুরাণ)[8] • কর্দম, চিক্লিত এবং অন্যান্য ১৬ জন পুত্র (ঋগ্বেদ)[9] |
লক্ষ্মী হলেন ত্রিদেবীর একজন। তিনি রজঃ গুণ এবং ইচ্ছাশক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন ।[25][26]
লক্ষ্মীর মূর্তি, প্রতিমা এবং ভাস্কর্যগুলিকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়। লক্ষ্য জানা এবং উদ্দেশ্য বোঝার জন্য তার নাম সংস্কৃত মূল শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[27] তার চার হাত চার পুরুষার্থের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়, যেগুলো হচ্ছে: ধর্ম (নৈতিক, নৈতিক জীবনের সাধনা), অর্থ (ধন-সম্পদ, জীবনের উপায়), কাম (প্রেমের সাধনা, মানসিক পরিপূর্ণতা), এবং মোক্ষ (আত্ম-জ্ঞানের সাধনা, মুক্তি)।[28][29]
লক্ষ্মীর প্রতীকীচিত্রে, তিনি পদ্মের উপর বসে থাকেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন এবং প্রথম অথবা দ্বিতীয় হস্তে সাধারণত পদ্ম ধারণ করেন। পদ্ম হিন্দুধর্ম এবং অন্যান্য ভারতীয় ঐতিহ্যে প্রতীকী অর্থ বহন করে। এটি বৈদিক প্রেক্ষাপটে জ্ঞান, আত্মোপলব্ধি এবং মুক্তির প্রতীক এবং তন্ত্র ( সহস্রার ) প্রসঙ্গে বাস্তবতা, চেতনা এবং কর্মের প্রতিনিধিত্ব করে।[30] পরিষ্কার বা অপরিষ্কার জলে পদ্ম ফুটে, যা ভাল অথবা খারাপ পরিস্থিতি নির্বিশেষে বিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি একটি অনুস্মারক যে ভাল এবং সমৃদ্ধি প্রস্ফুটিত হতে পারে এবং একজনের আশেপাশের মন্দ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে না।[31][32]
স্কন্দপুরাণে লক্ষ্মী সহস্রনাম , লক্ষ্মী তন্ত্র , মার্কন্ডেয় পুরাণ , দেবী মাহাত্ম্য এবং বৈদিক শাস্ত্রে লক্ষ্মীর আঠারো হাতের কথা বর্ণনা করা আছে এবং তার আঠার হাতে জপমালা, কুঠার, গদা, শর, বজ্র, পদ্ম, কলস, দণ্ড, তরবারি, ঢাল, শঙ্খ, ঘণ্টা, মদিনা পাত্র, ত্রিশূল, ফাঁস এবং চক্র রয়েছে।[33][34][35]
লক্ষ্মীর নীচে, পিছনে বা পাশে, প্রায়শই এক বা দুটি হাতি (যা গজলক্ষ্মী নামে পরিচিত) এবং মাঝে একটি পেঁচা দেখানো হয়।[36] হাতিকে ব্যাপক সমৃদ্ধির জন্য কাজ, শক্তি, জল, বৃষ্টি এবং উর্বরতার প্রতীক ধরা হয়।[37] আর যখন চারপাশে অন্ধকার থাকে, পেঁচা তখন রোগী পর্যবেক্ষণ, দৃষ্টি ও জ্ঞান আবিষ্কারের প্রচেষ্টা করে। দিনের আলোতে অন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পাখি হিসাবে, পেঁচা জ্ঞান এবং সম্পদ অর্জনের পরে অন্ধত্ব এবং লোভ থেকে বিরত থাকার প্রতীকী অনুস্মারক হিসাবেও দেখা হয়।[38] ঐতিহাসিক ডিডি কোসাম্বির মতে, অধিকাংশ ইম্পেরিয়াল গুপ্ত রাজা বৈষ্ণব ছিলেন এবং দেবী লক্ষ্মীকে সর্বোচ্চ সম্মান করতেন।[39] তাদের শাসনামলে বেশিরভাগ মুদ্রায় দেবী লক্ষ্মী সিংহবাহিনী (সিংহের মতো পর্বত) ছিল।[40] গুপ্ত শাসক প্রকাশদিয়ার শাসনামলের মুদ্রায় গরুড়ধ্বজা এবং উল্টোদিকে লক্ষ্মী রয়েছে।[39] গুপ্ত যুগের ভাস্কর্য শুধুমাত্র লক্ষ্মীর সাথে সিংহকে যুক্ত করা হতো, কিন্তু পরে দুর্গা বা উভয় দেবীর সম্মিলিত রূপকে প্রকাশ করা হয়েছিল। [41][42][43] সিংহ আবার বীর লক্ষ্মীর সাথে যুক্ত, যিনি অষ্টলক্ষ্মীর একজন।[44] ইতিহাসবিদ বিসি ভট্টাচার্য মতে, “দুটি সিংহের সাথে গজলক্ষ্মীর একটি মূর্তি পাওয়া যায় - একটি তার দুই পাশে। তার মাথার কাছে দুটি হাতিও দেখানো হয়েছে এবং এর দ্বারা আমরা বলতে পারি যে গরুড়ের সাথে সিংহও লক্ষ্মীর বাহন।"[45]
তার একটি হাতে কলসীতে বিদ্যমান যা মূল্যবান সম্পদের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক সম্পদেরও প্রতীকীরূপ।[30] তার খোলা হাতে একটি মুদ্রা রয়েছে যা করুণা বা দান করা বোঝায়।[29]
লক্ষ্মীর পোশাকটি লাল বর্ণের স্বর্ণখোচিত কারুকাজ করা, যা সৌভাগ্য এবং সম্পদের প্রতীক। তিনি ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী, প্রায়শই তার স্বামী বিষ্ণুর সাথে প্রতিনিধিত্ব করেন। বিষ্ণু হলো পালনকর্তা, যিনি ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ মানব জীবন বজায় রাখেন। এর প্রতীকী অর্থ সম্পদ এবং সমৃদ্ধি জীবন, ন্যায়বিচার এবং শান্তির পৃষ্টপোষক।[30]
জাপানে দেবী লক্ষ্মী কিশোতেন নামে পরিচিত , তাকে সাধারণত তার হাতে নিয়োইজু রত্ন (如意宝珠 / চিন্তামনি) দিয়ে চিত্রিত করা হয়।
লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা" সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও "বারোমাসের পাঁচালি"-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।
বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর সাপ্তাহিক পূজা করে থাকেন। এই পূজা সাধারণত বাড়ির সধবা স্ত্রীলোকেরাই করে থাকেন। "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা"-য় এই বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীব্রত ও পূজা প্রচলন সম্পর্কে একটি যে লৌকিক গল্পটি রয়েছে, তা এইরকম: এক দোলপূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী ও নারায়ণের কাছে গিয়ে মর্ত্যের অধিবাসীদের নানা দুঃখকষ্টের কথা বললেন। লক্ষ্মী মানুষের নিজেদের কুকর্মের ফলকেই এই সব দুঃখের কারণ বলে চিহ্নিত করলেন।. কিন্তু নারদের অনুরোধে মানুষের দুঃখকষ্ট ঘোচাতে তিনি মর্ত্যলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করতে এলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক ধনী বণিক বাস করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলেদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ধনেশ্বরের বিধবা পত্নী সেই ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন। লক্ষ্মী তাকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন। ধনেশ্বরের স্ত্রী নিজের পুত্রবধূদের দিয়ে লক্ষ্মীব্রত করাতেই তাদের সংসারের সব দুঃখ ঘুচে গেল। ফলে লক্ষ্মীব্রতের কথা অবন্তী নগরে প্রচারিত হয়ে গেল। একদিন অবন্তীর সধবারা লক্ষ্মীপূজা করছেন, এমন সময় শ্রীনগরের এক যুবক বণিক এসে তাদের ব্রতকে ব্যঙ্গ করল। ফলে লক্ষ্মী তার উপর কুপিত হলেন। সেও সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে লাগল। তারপর একদিন সধবাদের লক্ষ্মীপূজা করতে দেখে সে অনুতপ্ত হয়ে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইল। লক্ষ্মী তাকে ক্ষমা করে তার সব ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে সমাজে লক্ষ্মীব্রত প্রচলিত হল।[46]
অর্থঃ দক্ষিণহস্তে পাশ, অক্ষমালা এবং বামহস্তে পদ্ম ও অঙ্কুশধারিণী, পদ্মাসনে উপবিষ্টা, শ্রীরূপা, ত্রিলোকমাতা, গৌরবর্ণা, সুন্দরী, সর্বালঙ্কারভূষিতা, ব্যগ্রহস্তে স্বর্ণপদ্মধারিণী এবং দক্ষিণহস্তে বরদাত্রী দেবীকে ধ্যান করি।
পুজো শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করুন। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাকে জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুন।
এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিন। তার ওপর ঘট বসান। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিন। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার সংখ্যা যেন বিজোড় হয়। আর পাতার ওপর তেল সিঁদুরের ফোঁটা দেবেন। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজান। ইচ্ছা করলে ঘটে ও লক্ষ্মীকে একটি করে মালাও পরাতে পারেন।
ঘট স্থাপনের পর মাকে প্রণাম করার পালা। ধ্যান মন্ত্রে মা কে
প্রণাম করুন।
এরপর মা লক্ষ্মীকে আপনার ঘরে আবাহন করবেন আহবান মন্ত্র সহযোগে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান জানান। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলুন এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ কর। আমার গৃহে অধিষ্ঠান কর। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ কর মা। এইভাবে মাকে আহবান জানাবেন ।
এরপর আপনার পূজাদ্রব্যগুলি একে একে লক্ষ্মীকে দেবেন।
লক্ষ্মী আপনার গৃহে পূজা নিতে এলেন, তাই প্রথমেই একটুখানি জল ঘটের পাশে লক্ষ্মীপদচিহ্নে দেবেন। এটি মা লক্ষ্মীর পা ধোয়ার জল। এরপর দুর্বা ও একটু আতপ চাল ঘটে দেবেন। এটি হল অর্ঘ্য। এর সঙ্গে একটি ফুলও দিতে পারেন। এরপর লক্ষ্মীকে একটি চন্দনের ফোঁটা দেবেন। লক্ষ্মীর প্রতিমা না থাকলে ফুলে চন্দন মাখিয়ে ঘটে দেবেন। এরপর লক্ষ্মীকে ফুল দেবেন। তারপর প্রথমে ধূপ ও তারপর প্রদীপ দেখাবেন। শেষে নৈবেদ্যগুলি নিবেদন করে দেবেন। তারপর ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন। মন্ত্র— এয সচন্দনপুষ্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ। (শ্রী উচ্চারণ হবে শ্রীং, নমঃ উচ্চারণ হবে নমহ।) পুষ্পাঞ্জলি এক, তিন বা পাঁচ বার দিতে পারেন। পুষ্পাঞ্জলির পর নারায়ণের উদ্দেশ্যে একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা ঘটে দেবেন। তারপর ইন্দ্র ও কুবেরের নামে দুটি ফুলও ঘটে দেবেন। মা লক্ষ্মীর পেচককেও একটি ফুল দেবেন। তারপর দেবীকে প্রণাম করুন। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করুন।
মা লক্ষ্মীপূজায় নিষিদ্ধ বিষয় ১. মায়ের পূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবেন না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে মা লক্ষ্মী ত্যাগ করে যান।
২. মায়ের পূজায় কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে নেই, শুধু শাঁখ বাজান
৩. দেবীর ঘটে তুলসীপাতাও দেবেন না।
৪. ঘটের পাশে মায়ের একটি পা অবশ্যই আঁকবেন ।
৫. লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে শ্রী নারায়ণকে পূজা করতে হয়।
৬. লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে
সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে
করে নেওয়াই ভাল।
নমস্তেহস্তু মহামাযে শ্রীপীঠে সুরপূজিতে ।
শঙ্খচক্রগদাহস্তে মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ১ ৷৷
নমস্তে গরুডারূটে কোলাসুরভয়ঙ্করি ।
সর্বপাপহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ৷৷ ২৷৷
সর্বজ্ঞে সর্ববরদে সর্বদুষ্টভযঙ্করি । সর্বদুঃখহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৩।।
সিদ্ধিবুদ্ধিপ্রদে দেবি ভুক্তিমুক্তিপ্রদাযিনি ।
মন্ত্রপূতে সদা দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। 8 ।।
আদ্যন্তরহিতে দেবি আদ্যশক্তিমহেশ্বরি । যোগজে যোগসম্ভূতে মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।৷ ৫৷৷
স্থূলসূক্ষ্মমহারৌদ্রে মহাশক্তিমহোদরে । মহাপাপহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৬৷৷
পদ্মাসনস্থিতে দেবি পরব্রহ্মস্বরূপিণি । পরমেশি জগন্মাতমহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৭৷৷
শ্বেতাম্বরধরে দেবি নানালঙ্কারভূষিতে । জগতিস্থতে জগন্মাতমহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৮৷৷
মহালক্ষ্ম্যষ্টকং স্তোত্রং যঃ পঠেদ্ভক্তিমান্নরঃ । সর্বসিদ্ধিমবাপ্নোতি রাজ্যং প্রাপ্নোতি সর্বদা ৷৷ ৯৷৷
এককালে পঠেন্নিত্যং মহাপাপবিনাশনম্ । দ্বিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং ধনধান্যসমন্বিতঃ ।।১০।।
ত্রিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং মহাশত্রুবিনাশনম্ । মহালক্ষ্মিভবেন্নিত্যং প্রসন্না বরদা শুভা ।। ১১ ৷৷
ইতি শ্রীমহালক্ষ্মীস্তব ।।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.