Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর নামক সংস্থা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে এই পুরস্কার প্রদান করে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রগতি ও উন্নতির জীবনব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[1] ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ থেকে বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব দ্বারা গঠিত একটি কমিটি পুরস্কার প্রাপকের নাম নির্বাচন করে।[2] পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণকমল পদক, নগদ ₹ ১০,০০,০০০ (ইউএস$ ১২,২২৩.৩) ও একটি শাল প্রদান করা হয়।[3]
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার | |
---|---|
বিবরণ | লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার |
দেশ | ভারত |
পুরস্কারদাতা | কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৬৯ |
ওয়েবসাইট | http://dff.nic.in/NFA.aspx |
ভারতীয় চলচ্চিত্রে দাদাসাহেব ফালকের অবদানের স্বীকৃতিতে ভারত সরকার ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এই পুরস্কার প্রচলন করে।[4] ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলে পরিচিত ফালকে একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন, যিনি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হরিশচন্দ্র নামক ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[1]
১৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দেবিকা রাণীকে প্রথম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের ইতিহাসে অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কপূর একমাত্র মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপক ছিলেন।[5] তার পুত্র রাজ কপূর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ১৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে পিতার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ও ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সমারোহে নিজেও এই পুরস্কার লাভ করেন।[6][7][lower-alpha 1] বোম্মিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি (১৯৭৪) ও বোম্মিরেড্ডি নাগি রেড্ডি (১৯৮৬);[10] রাজ কপূর (১৯৮৭) ও শশী কপূর (২০১৪);[11] এবং বলদেব রাজ চোপড়া (১৯৯৮) ও যশ চোপড়া (২০০১) এই তিন জোড়া ভাই ও লতা মঙ্গেশকর (১৯৮৯) ও আশা ভোঁসলে (২০০০) এই দুই বোন এই পুরস্কার লাভ করেন।[12][13]:৭২সাম্প্রতি এই পুরস্কারটি পাচ্ছেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন,৬৬ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এই পুরস্কারে সম্মানিত হবেন। ৭০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ।[১৪]
সাল (সমারোহ) |
চিত্র | পুরস্কার প্রাপক | চলচ্চিত্র | টীকা |
---|---|---|---|---|
১৯৬৯ (১৭তম) |
দেবিকা রাণী | হিন্দি | ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম নারী হিসেবে স্বীকৃত[14] দেবিকা রাণী প্রথম ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে কর্ম নামক প্রথম ভারতীয় ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম চুম্বন দৃশ্য দৃশ্যায়িত করা হয়।[15] দেবিকা ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে বম্বে টকিজ নামক প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ কোম্পানি তৈরি করেন।[16] | |
১৯৭০ (১৮তম) |
বীরেন্দ্রনাথ সরকার | বাংলা | ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মক্রাফ্ট ও নিউ থিয়েটার্স নামক দুইটি চলচ্চিত্র নির্মাণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বীরেন্দ্রনাথ সরকার ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন দিকপাল। তিনি কলকাতা শহরে দুইটি চলচ্চিত্র থিয়েটারও প্রতিষ্ঠা করেন।[13]:৬৩২ | |
১৯৭১ (১৯তম) |
পৃথ্বীরাজ কপূর (মরণোত্তর) |
হিন্দি | পৃথ্বীরাজ নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেন ও ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে আলম আরা নামক ভারতের প্রথম সবাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।[5] | |
১৯৭২ (২০তম) |
পঙ্কজ মল্লিক | • বাংলা • হিন্দি |
সুরকার, গায়ক ও অভিনেতা পঙ্কজ মল্লিক নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে নেপথ্য যন্ত্র-সঙ্গীত পরিচালনা করে তার দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।[13]:৫৯৩ আকাশবাণীতে ১৯৩১ খ্রিস্টব্দে মহিষাসুরমর্দিনী নামক একটি বিখ্যাত বেতার অনুষ্ঠানে সুর প্রদানের জন্যও তিনি বিখ্যাত।[17] | |
১৯৭৩ (২১তম) |
রুবি মায়ার্স | হিন্দি | রুবি মায়ার্স ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে বীর বালা নামক একটি চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় শুরু করেন।[13]:৪৬, ৪১, ২৩১ | |
১৯৭৪ (২২তম) |
বোম্মিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি | তেলুগু | পনেরোটি তেলুগু চলচ্চিত্রের পরিচালক বোম্মিরেড্ডি নরসিংহ রেড্ডি প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন যাকে পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়।[18] | |
১৯৭৫ (২৩তম) |
ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় | বাংলা | বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের একজন প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে বিলাত ফেরত নামক একটি চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। তিনি ১৯১৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দো-ব্রিটিশ ফিল্ম কোম্পানি, ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে লোটাস ফিল্ম কোম্পানি ও ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ডোমিনিয়িন ফিল্মস নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।[13]:৫৫২ | |
১৯৭৬ (২৪তম) |
কানন দেবী | বাংলা | বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম নারী হিসেবে স্বীকৃত কানন দেবী ১৯২০-এর দশকে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। তিনি শ্রীমতি পিকচার্স নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে বহু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।[19] | |
১৯৭৭ (২৫তম) |
নীতীন বসু | • বাংলা • হিন্দি |
নীতীন বসু একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক ও সংলাপ রচয়িতা ছিলেন, যিনি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ভাগ্য চক্র নামক বাংলা চলচ্চিত্রে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম নেপথ্য সঙ্গীত প্রচলন করেন।[13]টেমপ্লেট:২৬২-২৬৪[20] | |
১৯৭৮ (২৬তম) |
রাইচাঁদ বড়াল | • বাংলা • হিন্দি |
রাইচাঁদ বড়াল ভারতীয় চলচ্চিত্র সঙ্গীতের একজন দিকপাল সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। বড়াল ও নীতীন বসু ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম নেপথ্য সঙ্গীত প্রচলন করেন।[21] | |
১৯৭৯ (২৭তম) |
সোহরাব মোদী | হিন্দি | অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহরাব ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্রথম সেক্সপিয়ারের ধ্রুপদী সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটান।[13]:৫৯০ | |
১৯৮০ (২৮তম) |
পৈডি জয়রাজ | • হিন্দি • তেলুগু |
অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক জয়রাজ ভারতীয় ঐতিহাসিক চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রচলনও করেন।[22] | |
১৯৮১ (২৯তম) |
নওশাদ | হিন্দি | সঙ্গীত পরিচালক নওশাদ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রেম নগর নামক চলচ্চিত্রে প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন।[23] তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে শব্দ মিশ্রণের কৌশল আনয়ন করেন।[13]:৫০১,৫০২ | |
১৯৮২ (৩০তম) |
অক্কিনেনী লক্ষ্মীবরপ্রসাদরাও | • হিন্দি • তামিল • তেলুগু |
অভিনেতা, পরিচালক তথা প্রযোজক অক্কিনেনি লক্ষ্মীবরপ্রসাদরাও তিনটি ভাষার প্রথম সবাক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। এগুলি হল হিন্দি চলচ্চিত্র আলম আরা, তামিল চলচ্চিত্র কালিদাস ও তেলুগু চলচ্চিত্র ভক্ত প্রহ্লাদ[24] তিনি ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রসাদ স্টুডিওজ ও ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে কালার ফিল্ম ল্যাবোরেটরিজ প্রতিষ্ঠা করেন।[25] বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রসাদ ১৫০ টিরও অধিক চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।[26] | |
১৯৮৩ (৩১তম) |
দুর্গা খোটে | • হিন্দি • মারাঠি |
দুর্গা খোটে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত অযোধ্যেচা রাজা নামক প্রথম মারাঠি সবাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[27] তিনি ফ্যাক্ট ফিল্মস এবং দুর্গা খোটে প্রোডাকশনস নামক দুইটি চলচ্চিত্র-নির্মাণ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।[28] | |
১৯৮৪ (৩২তম) |
সত্যজিৎ রায় | বাংলা | ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে পথের পাঁচালী নামক চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম আবির্ভাব ঘটে।[13]:৬১২ ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন।[29][30][31][32] | |
১৯৮৫ (৩৩তম) |
শান্তারাম রাজারাম বণকুদ্রে | • হিন্দি • মারাঠি |
অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শান্তারাম রাজারাম বণকুদ্রে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে সৈরন্ধ্রী নামক ভারতের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র[13]:২৫৩ ও ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে অযোধ্যেচা রাজা নামক প্রথম মারাঠি সবাক চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন। তিনি পঞ্চাশ বছর ধরে একশোর বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[33] | |
১৯৮৬ (৩৪তম) |
বোম্মিরেড্ডি নাগি রেড্ডি | তেলুগু | বোম্মিরেড্ডি নাগি রেড্ডি ১৯৫০-এর দশক থেকে শুরু করে পঞ্চাশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি বিজয় বাহিনী স্টুডিওজ নামক তৎকালীন যুগের এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র স্টুডিও নির্মাণ করেন।[10] | |
১৯৮৭ (৩৫তম) |
রাজ কপূর | হিন্দি | টাইম পত্রিকা অনুসারে, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ কপূরের আওয়ারা নামক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় সর্বকালের সেরা দশটি অভিনয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।[34] | |
১৯৮৮ (৩৬তম) |
অশোক কুমার | হিন্দি | অশোক কুমার অছুত কন্যা, বন্ধন ও কিসমত নামক অত্যন্ত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত।[35] | |
১৯৮৯ (৩৭তম) |
লতা মঙ্গেশকর | • হিন্দি • মারাঠি |
নেপথ্য গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ১৯৪০-এর দশকে চলচ্চিত্রে তার জীবন শুরু করেন।[36] | |
১৯৯০ (৩৮তম) |
অক্কিনেনী নাগেশ্বর রাও | তেলুগু | ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে ধর্মপত্নী নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করে নাগেশ্বর রাও আড়াইশোর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[37] | |
১৯৯১ (৩৯তম) |
ভালজী পেঁঢারকর | মারাঠি | চলচ্চিত্র নির্মাতা ভালজী পেঁঢারকর ১৯২০-এর দশকে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন এবং ষাটটিরও বেশি মারাঠি চলচ্চিত্র ও ৮টি হিন্দি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।[38] | |
১৯৯২ (৪০তম) |
ভূপেন হাজারিকা | অসমীয়া | ভূপেন হাজারিকা অসমীয়া ভাষায় লোকসঙ্গীত গাওয়ার জন্য বিখ্যাত।[39] | |
১৯৯৩ (৪১তম) |
মজরুহ সুলতানপুরী | হিন্দি | সঙ্গীতকার সুলতানপুরী ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাহান নামক চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম গান লেখেন এবং প্রায় ৩৫০টি হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় ৮০০০ গান রচনা করেন।[40] | |
১৯৯৪ (৪২তম) |
দিলীপ কুমার | হিন্দি | ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে জোয়ার ভাঁটা নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করে দিলীপ কুমার পরবর্তী ছয় দশক ধরে প্রায় ৬০টির বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[13]:২৬৯, ৪৭০, ৫৪৮ | |
১৯৯৫ (৪৩তম |
রাজকুমার | কন্নড় | প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছরের চলচ্চিত্র জীবনে রাজকুমার ২০০টির বেশি কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[41] | |
১৯৯৬ (৪৪তম) |
শিবাজী গণেশন | তামিল | গণেশন ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পরাশক্তি নামক চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ও ৩০০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[42] | |
১৯৯৭ (৪৫তম) |
রামচন্দ্র নারায়ণজী দ্বিবেদী | হিন্দি | অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগো নামক দেশাত্মবোধক গান রচনার জন্য বিখ্যাত রামচন্দ্র নারায়ণজী দ্বিবেদী প্রায় ৮০টি হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গান রচনা করেন।[43] | |
১৯৯৮ (৪৬তম) |
বলদেব রাজ চোপড়া | হিন্দি | চলচ্চিত্র নির্মাতা বলদেব রাজ চোপড়া ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বি. আর. ফিল্মস নামক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।[44] তিনি নয়া দৌড় নামক চলচ্চিত্র ও মহাভারত নামক জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য সুপরিচিত।[45] | |
১৯৯৯ (৪৭তম) |
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় | হিন্দি | পঁয়তাল্লিশটি হিন্দি চলচ্চিত্রের পরিচালক হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় অনুরাধা, আনন্দ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত।[13]:৪৯২, ৪৯৪, ৫৯২ | |
২০০০ (৪৮তম) |
আশা ভোঁসলে | • হিন্দি • মারাঠি |
নেপথ্য গায়িকা আশা ভোঁসলে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সঙ্গীতের ইতিহাসে তার গানই সবচেয়ে বেশি রেকর্ডিং করা হয়েছে বলে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড দ্বারা তিনি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।[46] | |
২০০১ (৪৯তম) |
যশ চোপড়া | হিন্দি | যশ রাজ ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা যশ চোপড়া প্রথম ধুল কা ফুল নামক চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন। তিনি মোট বাইশটি হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।[47] | |
২০০২ (৫০তম) |
দেব আনন্দ | হিন্দি | হিন্দি চলচ্চিত্রের চিরসবুজ নায়ক হিসেবে পরিচিত[48] অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা দেন আনন্দ ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে নবকেতন ফিল্মস প্রতিষ্ঠা করেন ও ৩৫টি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।[49] | |
২০০৩ (৫১তম) |
মৃণাল সেন | বাংলা | মৃণাল সেন ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম রাত ভোর নামক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন ও পরবর্তী ৫০ বছরে ২৭টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[50][51] | |
২০০৪ (৫২তম) |
অদূর গোপালকৃষ্ণন | মালায়ালম | মালায়ালম ভাষায় সমান্তরাল চলচ্চিত্রের দিকপাল হিসেবে পরিচিত পরিচালক অদূর গোপালকৃষ্ণন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত স্বয়ম্বরম নামক তার দ্বারা প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[52] | |
২০০৫ (৫৩তম) |
শ্যাম বেনেগাল | হিন্দি | বেনেগাল ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম অঙ্কুর নামক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার চলচ্চিত্রগুলি নারী ও তাদের অধিকারকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।[53] | |
২০০৬ (৫৪তম) |
তপন সিংহ | • বাংলা • হিন্দি |
তপন সিংহ ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলা, হিন্দি ও উড়িয়া ভাষায় মোট চল্লিশটির বেশি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।[54] | |
২০০৭ (৫৫তম) |
মান্না দে | • বাংলা • হিন্দি |
পাঁচ দশক ব্যাপী কর্মজীব্নে নেপথ্য গায়ক মান্না দে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন।[55] | |
২০০৮ (৫৬তম) |
বেঙ্কটরাম পণ্ডিত কৃষ্ণমূর্তি | হিন্দি | গুরু দত্তের সঙ্গে যৌথ কাজের জন্য পরিচিত আলোকচিত্র নির্দেশক কৃষ্ণমূর্তি ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে কাগজ কে ফুল নামক ভারতের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্রটি ক্যামেরাবন্দী করেন।[13]:৪৯৫-৫০০ কাগজ কে ফুল ও প্যায়াসা নামক চলচ্চিত্রে তার আলোর কৌশল ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।[56] | |
২০০৯ (৫৭তম) |
দগ্গুবাতি রামনায়ডু | তেলুগু | দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের চলচ্চিত্রজীবনে রামনায়ডু বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ১৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।[57] নয়টি ভাষায় চলচ্চিত্র প্রযোজনার কারণে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী হন।[58] | |
২০১০ (৫৮তম) |
কৈলাশম বালাচন্দর | • তেলুগু • তেলুগু |
চলচ্চিত্র নির্মাতা বালাচন্দর ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম নীরকিমিঝি নামক একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কবিথালয়া প্রোডাকশনস নামক চলচ্চিত্র নির্মাণ কোম্পানির মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় শতাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[59] | |
২০১১ (৫৯তম) |
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় | বাংলা | পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বহু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত[60] সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অপুর সংসার নামক ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের কর্মজীবনে তিনি পরিচালক মৃণাল সেন ও তপন সিংহের মত বিখ্যাত পরিচালকদের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।[61] | |
২০১২ (৬০তম) |
প্রাণ | হিন্দি | বলিউড অভিনেতা প্রাণ তার পঞ্চাশ বছরের কর্মজীবনে অধিকাংশ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।[13]:৫০৫-৫০৯ | |
২০১৩ (৬১তম) |
গুলজার | হিন্দি | গুলজার বন্দিনী নামক ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের একটি চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে নিজের ও মেরে আপনে নামক ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের একটি চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। রাহুল দেব বর্মণের মত সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে একসাথে কাজের জন্য পরিচিত তার পঞ্চাশ বছরের কর্মজীবনে বহু পুরস্কার লাভ করেন।[62] | |
২০১৪ (৬২তম) |
শশী কপূর | হিন্দি | ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে পিতা পৃথ্বীরাজ কপূর পরিচালিত ধর্ম্পুত্র নামক একটি চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে শশী কপূর অভিনয় শুরু করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র নির্মাণ কোম্পানি চালু করেন।[11] | |
২০১৫ (৬৩তম) |
মনোজ কুমার | হিন্দি | দেশপ্রেমিক নায়ক হিসেবে তার ইমেজের জন্য পরিচিত, কুমার ১৯৫৭ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র ফ্যাশন দিয়ে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দেশাত্মবোধক থিম ভিত্তিক চলচ্চিত্রের অভিনেতা এবং পরিচালক, কুমারকে আদর করে "ভারত কুমার" বলা হয়।[63] | |
২০১৬ (৬৪তম) |
কাসিনাধুনি বিশ্বনাথ | তেলুগু | বিশ্বনাথ একজন সাউন্ড রেকর্ডিস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ষাট বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে, বিশ্বনাথ পারফর্মিং আর্ট, ভিজ্যুয়াল আর্ট এবং নন্দনতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র সহ বিভিন্ন ঘরানার ৫৩টি ফিচার ফিল্ম পরিচালনা করেছেন। বিশ্বনাথ পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।[64][65] | |
২০১৭ (৬৫তম) |
বিনোদ খান্না | হিন্দি | মন কা মিট (১৯৬৮) চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন, খান্না প্রাথমিকভাবে ১৯৭০-এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনেতা হিসেবে তার কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন।[66] তিনি চলচ্চিত্র থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়েছিলেন (১৯৮২-১৯৮৭) এবং ১৯৯৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।[67] | |
২০১৮ (৬৬তম) |
অমিতাভ বচ্চন | হিন্দি | সাত হিন্দুস্তানি-তে আত্মপ্রকাশ করা, বচ্চন প্রায়শই তার অনন্য কন্ঠস্বর এবং অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরিচিত। বলিউডের শাহেনশাহ হিসেবে পরিচিত, তিনি পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী ক্যারিয়ারে ২০০ টিরও বেশি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতাদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন। [68] | |
২০১৯ (৬৭তম) |
রজনীকান্ত | তামিল | অপূর্ব রাগাঙ্গাল (১৯৭৫ চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন, রজনীকান্ত হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা যিনি প্রাথমিকভাবে তামিল সিনেমায় কাজ করেন যেখানে তাকে ভালোবেসে সুপারস্টার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ (২০০০) এবং পদ্মবিভূষণ (২০১৬) দ্বারাও সম্মানিত হন।[69] | |
২০২০ (৬৮তম) |
আশা পারেখ | হিন্দি | মা (১৯৫২) চলচ্চিত্রে একজন শিশু শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, আশা পারেখ একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি প্রাথমিকভাবে হিন্দি সিনেমায় কাজ করেন যেখানে তাকে আদর করে জুবিলি গার্ল বলা হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ভারতের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের প্রাথমিক যুগে বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিজ পরিচালনাও করেছেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী (১৯৯২) দিয়েও সম্মানিত করেছিল। [70] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.