Loading AI tools
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টিমোথি টিম গ্রান্ট সাউদি (ইংরেজি: Timothy "Tim" Grant Southee; জন্ম: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮) নর্থল্যান্ড রিজিয়নের হোয়াঙ্গারেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে আউটসুইং বোলিং করে থাকেন। তবে দলের প্রয়োজনে নিম্নসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে বোলারদের উপর ব্যাপকভাবে চড়াও হয়ে ব্যাটিংও করে থাকেন টিম সাউদি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টিমোথি গ্র্যান্ট সাউদি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হোয়াঙ্গারেই, নর্থল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী বোলার, নিচেরসারির ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৭) | ২২ মার্চ ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ জানুয়ারি ২০১৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫০) | ১৫ জুন ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৬ জুলাই ২০১৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬–বর্তমান | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | চেন্নাই সুপার কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ১৯ বছর বয়সে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে অভিষেক ঘটে সাউদির। বর্তমানে তিনি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টেস্ট – এ তিন ধরনের ক্রিকেট খেলাতেই সংশ্লিষ্ট আছেন। এর পরের মাসেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ঐ টেস্টে ৫ উইকেট সংগ্রহের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ বলে ৭৭ রানও করেছেন তিনি।[1] ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপে ১৭.৩৩ রান গড়ে ১৮ উইকেট সংগ্রহ করে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং হক কাপে নর্থল্যান্ডের পক্ষে খেলে থাকে সাউদি।
টিম সাউদি নিউজিল্যান্ডের হোয়ানগারেই এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন ও নর্থল্যান্ডে শৈশব কাটান। হোয়াঙ্গারেই বয়েজ হাইস্কুল এবং পরবর্তীতে কিংস কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। পরিবারসহ তিনি হোয়াঙ্গারেই এলাকায় ভেড়ার খামার নিয়ে অবস্থান করছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত সাউদি’র পরিবারে কুপার নামে এক পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে ডিসেম্বর, ২০১২ সালে।[2]
সাউদি ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট আউট-সুইং বোলিং করে থাকেন।[3] আঠারো বছর বয়সে নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষ হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে টিম সাউদি’র। এরই মাঝে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ২০০৬-২০০৯ মেয়াদকালে অনূর্ধ্ব-১৯ আইসিসি বিশ্বকাপ খেলেন।
২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে। প্রতিযোগিতায় ৫ উইকেট ও ১১৩ রান করেছিলেন তিনি।[4] কিন্তু নেপালের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্লেট ফাইনালে তার দল হেরে যায়।[5] তন্মধ্যে, ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বোলিংয়ে অসম্ভব ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।[6] জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৫/১১ লাভসহ ৫ খেলায় ১৭ উইকেট দখল করেন ৬.৬৪ রান গড়ে। প্রতি ওভারে তিনি রান দিয়েছেন মাত্র ২.৫২ রান।[7] তারচেয়ে ১ খেলা বেশি খেলে ও ১ উইকেট বেশি নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পারনেল।[8] কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে তার দল হারলেও তিনি ৪/২৯ নিয়েছিলেন।[9]
একমাসের মধ্যে সাউদি তার অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলেন। তরুণদের নিয়ে গড়া ঐ টেস্ট দলে আরও ছিলেন মার্টিন গাপটিল, হামিশ বেনেট এবং কেন উইলিয়ামসন।
কাইল মিলসের আঘাতজনিত অনুপস্থিতির কারণে ২২ মার্চ, ২০০৮ তারিখে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে অভিষিক্ত হন। এ সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর ১০২ দিন; যা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ৭ম টেস্ট অভিষেকধারী খেলোয়াড়।[10] প্রথমদিনেই তিনি মাইকেল ভন ও অ্যান্ড্রু স্ট্রসকে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে আউট করেন। পরে কেভিন পিটারসেনেরও উইকেট দখল করেন। দ্বিতীয় দিন তিনি আরও দু’টি উইকেট লাভ করেন। এরফলে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট লাভ করেন টিম সাউদি। এ ইনিংসে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাড়ায় ৫/৫৫। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিনি নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম অর্ধ-শতক করেন মাত্র ২৯ বলে। তিনি ৪০ বলে অপরাজিত ৭৭* রান করেন; যাতে নয়টি ছয় ও চারটি চার ছিল।[11] অভিষেকে মাত্র চারজন টেস্ট ক্রিকেটার – ওয়ালি হ্যামন্ড, নাথান অ্যাসলে, ম্যাথু হেইডেন এবং ওয়াসিম আকরাম ইনিংসে ছয় বা ততোধিক ছক্কা হাকিয়েছিলেন।[12]
যুবদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের দল নির্বাচকমণ্ডলী ও কোচগণ সাউদির প্রতি ভীষণভাবে আকৃষ্ট ছিলেন। ২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নির্বাচকমণ্ডলীর ম্যানেজার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’র ভাই ও জাতীয় বোলিং কোচ ডেল হ্যাডলি তাকে ভারতে পাঠান। ডেল হ্যাডলি পরবর্তীতে বলেছেন যে, ডেনিস লিলি যেমন উদীয়মান গ্লেন ম্যাকগ্রা’র প্রতিভা দেখেছেন; তিনিও তেমনি সাউদির প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন। অন্যদিকে রিচার্ড হ্যাডলিও ব্ল্যাক ক্যাপদের কোচ জন ব্রেসওয়েলের কানে সাউদি’র আসন্ন সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে রাখার জন্য বলে রেখেছেন।[13] ৩০ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে দুইটি টি২০ আন্তর্জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শহীদ আফ্রিদি এবং জহির খানের পর সাউদি তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন।[14] একমাত্র নিউজিল্যান্ডীয় এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের সদস্য হিসেবে আইসিসি’র ঘোষিত দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।[15] বিশ্বকাপে তার দল ১২জন বোলার ব্যবহার করলেও সাউদি এবং নাথান ম্যাককুলাম প্রত্যেকটি খেলাতেই বোলিং করেছিলেন।[16] সেমি-ফাইনাল প্রত্যাশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩/২৫ নিয়ে দলকে বিজয়ী করেন।[17] পাকিস্তানের শীর্ষ পাঁচজন ব্যাটসম্যানের তিনজনই তার শিকার হন। নিউজিল্যান্ডের প্রত্যেকটি খেলাতেই তিনি উইকেট লাভ করেছিলেন। গ্রুপ পর্বে কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ও প্রথম সেমি-ফাইনালে তিনটি করে উইকেট নেন।[18] দলে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড জানুয়ারি, ২০১১ থেকে বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সাউদি’র উত্তোরণ ও বিশ্বকাপের সফলতায় তার ভূমিকা ছিল বেশি। প্রতিযোগিতা শেষে সাউদিকে ডোনাল্ড বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সুইং বোলার হিসেবে মন্তব্য করেন।[19]
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য সাউদি-সহ ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে নিউজিল্যান্ড দল গ্রুপ-পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় খেলায় অংশগ্রহণ করে। তার অসামান্য বোলিং নৈপুণ্যে ৩৩.২ ওভারে ইংল্যান্ড দল মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। তিনি ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৭ উইকেট পান।[20] স্বল্প রানকে তাড়া করতে গিয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ১৮ বলে অর্ধ-শতকের ন্যায় বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড মাত্র ১২.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে ও ৮ উইকেটের সহজ জয় পায়। তার এ বোলিং ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা পরিসংখ্যান। এছাড়াও, এ বোলিং নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ও বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডীয় বোলারদের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ৫-উইকেট লাভ।[21] ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৩৩ | ৩৯ | পাকিস্তান | ওয়েলিংটন রিজিওন্যাল স্টেডিয়াম | ওয়েলিংটন | নিউজিল্যান্ড | ২০১১ |
২ | ৭/৩৩ | ৮৮ | ইংল্যান্ড | ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়াম | ওয়েলিংটন | নিউজিল্যান্ড | ২০১৫ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.