Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১) হচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০ম প্রতিযোগিতা। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে এই বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত এই বিশ্বকাপে জয়ী হয়।[১] এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আয়োজক দেশ হওয়ার সুযোগ পায়। বিশ্বকাপের সব ম্যাচই একদিনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের। চৌদ্দটি জাতীয় ক্রিকেট দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। এদের মধ্যে দশটি পূর্ণ সদস্য ও চারটি সহকারী সদস্য দল।[২] বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারি ও ২ এপ্রিল, ২০১১-এর মধ্যে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ম্যাচটি খেলা হয়।[৩] টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দু'দিন আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।[৪] ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজিত হয়েছিল ২ এপ্রিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
তারিখ | ১৯ ফেব্রুয়ারি – ২ এপ্রিল ২০১১ |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন ও নক-আউট |
আয়োজক | ভারত শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ |
বিজয়ী | ভারত (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | শ্রীলঙ্কা |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ১৪ |
খেলার সংখ্যা | ৪৯ |
দর্শক সংখ্যা | ১২,২৯,৮২৬ জন (ম্যাচ প্রতি ২৫,০৯৮ জন) |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | যুবরাজ সিং |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | তিলকরত্নে দিলশান (৫০০) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | শহীদ আফ্রিদি (২১) জহির খান (২১) |
উদ্বোধনী খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যে ঢাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকায়।
আইসিসি’র পূর্ণ সদস্যসমূহ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। আইসিসি’র ১০টি পূর্ণ সদস্যগুলো হল:
দলের নাম | যোগ্যতার ধরন |
---|---|
অস্ট্রেলিয়া | পূর্ণ সদস্য |
বাংলাদেশ | পূর্ণ সদস্য |
ইংল্যান্ড | পূর্ণ সদস্য |
ভারত | পূর্ণ সদস্য |
নিউজিল্যান্ড | পূর্ণ সদস্য |
পাকিস্তান | পূর্ণ সদস্য |
দক্ষিণ আফ্রিকা | পূর্ণ সদস্য |
শ্রীলঙ্কা | পূর্ণ সদস্য |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | পূর্ণ সদস্য |
জিম্বাবুয়ে | পূর্ণ সদস্য |
এছাড়া আইসিসি সহযোগী সদস্যদের মধ্য থেকে ৪টি দলকে বিশ্বকাপ খেলতে দেয়া হয়। ৪টি দল বেছে নেয়ার জন্য সহযোগী দেশগুলোর জাতীয় দলগুলোর মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।[৫]
দলের নাম | যোগ্যতার ধরন |
---|---|
আয়ারল্যান্ড | ১ম ২০০৯ আইসিসি বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ার |
কানাডা | ২য় ২০০৯ আইসিসি বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ার |
নেদারল্যান্ডস | ৩য় ২০০৯ আইসিসি বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ার |
কেনিয়া | ৪র্থ ২০০৯ আইসিসি বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ার |
বিশ্বকাপের মাস্কটটি ২ এপ্রিল ২০১০ কলম্বোতে উন্মোচন করা হয়, যার নাম 'স্টাম্পি'। একটি প্রতিযোগিতা করে ২ আগস্ট ২০১০ এর নাম চূড়ান্ত করা হয়, যাতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটামোদিরা। স্টাম্পি হচ্ছে ১০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যমী হাতি।[৬]
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের থিম সং 'দে ঘুমাকে' [বাংলায় 'মার ঘুরিয়ে] ২০১০ সালের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ হয়। যেহেতু ২০১১ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা; তাই গানটির তিনটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সম্প্রচার সত্ব আইসিসি ২০ লক্ষ আমেরিকান ডলারে ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টসের কাছে বিক্রয় করেছে। যার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ২২০টিরও বেশি দেশে খেলাগুলো সম্প্রচার করা হয়েছে।
মূল নিবন্ধ: ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৮ কোটি টাকা) পাবে।[৭]
বিশ্বকাপের সবগুলো ভেন্যুর নাম ২রা নভেম্বর ২০০৯ আইসিসি ঘোষণা করে। যার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২টি স্টেডিয়াম শুধুমাত্র বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হয় (ক্যান্ডি ও হাম্বানতোতা)।[৮]
ভারত | ||||
---|---|---|---|---|
কলকাতা | চেন্নাই | নয়াদিল্লী | নাগপুর | আহমেদাবাদ |
ইডেন গার্ডেন্স | এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়াম | ফিরোজ শাহ কোটলা | বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম |
সরদার প্যাটেল স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা: ৯০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪৮,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪৪,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪৮,০০০ |
মুম্বই | মোহালি | ব্যাঙ্গালোর | ||
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম | পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম |
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম | ||
ধারণক্ষমতা: ৩৩,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৩৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪০,০০০ | ||
শ্রীলঙ্কা | বাংলাদেশ | |||
কলম্বো | পাল্লেকেলে | হাম্বানতোতা | চট্টগ্রাম | ঢাকা |
আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম | পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম |
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম |
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা: ৩৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৩৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৩৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ২০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ২৫,০০০ |
আম্পায়ার নির্বাচিত প্যানেল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলা পরিচালনা করার জন্য ১জন সংরক্ষিত আম্পায়ার হিসেবে এনামুল হককে ছাড়াও ১৮জন আম্পায়ার মনোনীত করে। তন্মধ্যে ৫ জন অস্ট্রেলিয়ার, ৬ জন এশিয়ার, ৩ জন ইংল্যান্ডের, ২ জন নিউজিল্যান্ডের ও ১ জন করে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নিচে ছক আকারে আম্পায়ারদের তালিকা দেখানো হলো:-
|
|
নিচের ১৪টি ম্যাচ বিশ্বকাপ শুরুর আগে খেলা হয়[৯] (এই খেলাগুলো ওডিআইয়ের মর্যাদাভুক্ত নয়)।
ব |
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ |
ব |
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ |
ব |
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ |
ব |
প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ৪টি দল কোয়ার্টার ফাইনাল এ উঠবে।
দল | খেলা | জ | প | টা | এনআর | এনআরআর | প |
---|---|---|---|---|---|---|---|
পাকিস্তান | ৬ | ৫ | ১ | ০ | ০ | +০.৭৫৮ | ১০ |
শ্রীলঙ্কা | ৬ | ৪ | ১ | ০ | ১ | +২.৫৮২ | ৯ |
অস্ট্রেলিয়া | ৬ | ৪ | ১ | ০ | ১ | +১.১২৯ | ৯ |
নিউজিল্যান্ড | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ০ | +১.১৩৫ | ৮ |
জিম্বাবুয়ে | ৬ | ২ | ৪ | ০ | ০ | +০.০৩০ | ৪ |
কানাডা | ৬ | ১ | ৫ | ০ | ০ | −১.৯৮৭ | ২ |
কেনিয়া | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ০ | −৩.০৪২ | ০ |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
দল | খেলা | জ | প | টা | এনআর | এনআরআর | প |
---|---|---|---|---|---|---|---|
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬ | ৫ | ১ | ০ | ০ | +২.০২৬ | ১০ |
ভারত | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ০ | +০.৯০০ | ৯ |
ইংল্যান্ড | ৬ | ৩ | ২ | ১ | ০ | +০.০৭২ | ৭ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ০ | +১.০৬৬ | ৬ |
বাংলাদেশ | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ০ | –১.৩৬১ | ৬ |
আয়ারল্যান্ড | ৬ | ২ | ৪ | ০ | ০ | –০.৬৯৬ | ৪ |
নেদারল্যান্ডস | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ০ | –২.০৪৫ | ০ |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||||
২৩ মার্চ – ঢাকা, বাংলাদেশ | ||||||||||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ১১২ | |||||||||
৩০ মার্চ – মোহালি, ভারত | ||||||||||
পাকিস্তান | ১১৩/০ | |||||||||
পাকিস্তান | ২৩১ | |||||||||
২৪ মার্চ – আহমেদাবাদ, ভারত | ||||||||||
ভারত | ২৬০/৯ | |||||||||
অস্ট্রেলিয়া | ২৬০/৬ | |||||||||
২ এপ্রিল – মুম্বই, ভারত | ||||||||||
ভারত | ২৬১/৫ | |||||||||
ভারত | ২৭৭/৪ | |||||||||
২৫ মার্চ – ঢাকা, বাংলাদেশ | ||||||||||
শ্রীলঙ্কা | ২৭৪/৬ | |||||||||
নিউজিল্যান্ড | ২২১/৮ | |||||||||
২৯ মার্চ – কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ||||||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৭২ | |||||||||
নিউজিল্যান্ড | ২১৭ | |||||||||
২৬ মার্চ – কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ||||||||||
শ্রীলঙ্কা | ২২০/৫ | |||||||||
ইংল্যান্ড | ২২৯/৬ | |||||||||
শ্রীলঙ্কা | ২৩১/০ | |||||||||
ব |
ব |
ব |
ব |
ব |
|
|
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.