Remove ads
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাথান জন অ্যাসলে, এমএনজেডএম (ইংরেজি: Nathan Astle; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নাথান জন অ্যাসলে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯৭) | ১৩ জানুয়ারি ১৯৯৬ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৩) | ২২ জানুয়ারি ১৯৯৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ জানুয়ারি ২০০৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১/৯২ - ২০০৬/০৭ | ক্যান্টারবারি উইজার্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
নাথান অ্যাসলে মূলত ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, র্যাঞ্জার্স এ.এফ.সি'র পক্ষে ফুটবল খেলাসহ অটো রেসিংয়েও দক্ষ তিনি।
ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী টেলর ইস্ট ক্রাইস্টচার্চ-শার্লি ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। ঐ ক্লাবেই ব্রুস টেলর, ক্রেইগ ম্যাকমিলান ও মাইকেল পাপসের ন্যায় ক্রিকেটার পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।[১] ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি ও মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড ইয়ং ক্রিকেটার্স দলে খেলার সুযোগ পান ও ইংল্যান্ড ইয়ং ক্রিকেটার্স দলের বিপক্ষে মাঠে নামেন। তিন খেলার সিরিজে ৩১.৭৫ গড়ে ১২৭ রান তুলতে পেরেছেন।[২]
সুদীর্ঘ ১২ বছরব্যাপী ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িত ছিলেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। ২২৩টি ওডিআইয়ে ৭,০৯০ রান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে মাঝারি সারিতে ব্যাটিং করতেন। ৮১ টেস্টে ৪,৭০২ রান করেছেন। ২০০২ সালে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুততম দ্বি-শতক রান করেছেন।
১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজে খেলার জন্য মনোনীত হন। এরপর তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের একটি খেলায় অংশ নিয়ে ৯৫ রান করেন। এরফলে নিউজিল্যান্ড দল সিরিজে সমতা আনয়ণ করে ও ১৩ খেলার পর জয় পায়।[৩] নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন কোচ গ্লেন টার্নারের অধীনে অ্যাসলেকে টেস্ট দলে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়াও তাকে একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামার সুযোগ দেয়া হয়।[৪]
১৯৯৭ সালে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে অনুষ্ঠিত চারদেশীয় পেপসি ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে তিনি দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। প্রথম খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৭ রানসহ নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৪৩ গড়েন। নিউজিল্যান্ড খেলায় ২২ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে ও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য তিনি মনোনীত হন। ঐ বিশ্বকাপে দলের প্রথম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে শতক হাঁকান তিনি। কিন্তু ঐ প্রতিযোগিতার বাদ-বাকী খেলায় তিনি রান তুলতে ব্যর্থ হন। ১৮.৫ গড়ে তিনি মাত্র ১১১ রান করেন।[৬] পূর্বতন বিশ্বকাপের ন্যায় ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও তিনি সফলতা দেখাতে পারেননি। ৯ খেলায় ৮.৭৭ গড়ে তিনি মাত্র ৭৯ রান তোলেন।[৭] কিন্তু ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরি করেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরিসহ ৭ খেলায় তিনি ৪২.৬০ গড়ে ২১৩ রান তোলেন।[৮]
২৬ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে ২০০৬-০৭ সালের কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের খেলা চলাকালীন ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার কথা ঘোষণা করেন।[৯] এরপর কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ২০০৯ সালে ক্যান্টারবারি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনাধীন ক্রাইস্টচার্চ মেট্রোপলিটন লীগের প্রধান ক্লাব বার্নসাইড ওয়েস্ট ক্রাইস্টচার্চ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান।
১৯৯৫, ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যালমেনাক কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন তিনি। ১৯৯৮ সালে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বর্ষসেরা একদিনের আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানের পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে ক্রিকেট খেলায় অবদান রাখায় রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় তাকে নিউজিল্যান্ড অর্ডার অব মেরিট প্রদান করা হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.