Loading AI tools
ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, এবং অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাকেশ রোশন (জন্মনামঃ রাকেশ রোশন লাল নাগরাথ, জন্মঃ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। পাশাপাশি তিনি চিত্রনাট্য রচনা, চিত্রসম্পাদনা ও ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। অভিনেতা হিসেবে তিনি মূলত সঞ্জীব কুমার ও রাজেশ খান্না অভিনীত চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় কাজ করেছেন। পরে তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে পরিচালনার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার প্রথমদিকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী খুদগর্জ (১৯৮৭), খুন ভরী মাঙ্গ (১৯৮৮), হাস্যরসাত্মক-নাট্যধর্মী কিষেণ কানাইয়া (১৯৯০), প্রতিশোধ-নাট্যধর্মী করণ অর্জুন (১৯৯৫)।
রাকেশ রোশন | |
---|---|
राकेश रोशन | |
জন্ম | রাকেশ রোশন লাল নাগরথ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯[1] |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৭০-বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০) কোই... মিল গয়া (২০০৩) |
দাম্পত্য সঙ্গী | পিঙ্কি রোশন |
সন্তান | সুনয়না (কন্যা) হৃতিক রোশন (পুত্র) |
পিতা-মাতা | রোশন লাল নাগরথ (পিতা) অপর্ণা (মাতা) |
আত্মীয় | রাজেশ রোশন (ভাই) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
২০০০ এর দশকে রাকেশ রোম্যান্টিক কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০), বিজ্ঞানকল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র কোই... মিল গয়া ও কৃষ চলচ্চিত্র ধারাবাহিক-এর দ্বিতীয় পর্ব কৃষ (২০০৬) এবং ২০১০ এর দশকে কৃষ চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র কৃষ ৩ (২০১৩) পরিচালনা করেন। কহো না... প্যার হ্যায় চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, আইফা পুরস্কার, জি সিনে পুরস্কার ও বলিউড মুভি পুরস্কার; এবং কোই... মিল গয়ার জন্য অন্যান্য সামাজিক অনুষঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, অপ্সরা পুরস্কার, ও জি সিনে পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে আইফা পুরস্কার লাভ করেন।
রাকেশ ১৯৪৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের বোম্বে রাজ্যের বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসূত্রে তিনি একজন পাঞ্জাবি। তার পিতা রোশন লাল নাগরথ ছিলেন একজন সঙ্গীত পরিচালক এবং মাতা অর্পণা। ১৬ বছর বয়সে তার পিতা মারা যান।[2] তার ছোট ভাই রাজেশ রোশন একজন সঙ্গীত পরিচালক। তিনি মহারাষ্ট্রের সাতারার আর্মি বোর্ডিং স্কুলে পড়াশুনা করেন।[2]
অল্প বয়সে তার বাবা মারা যাওয়ার পর ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়া বা চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ আসে। রাকেশ দ্বিতীয় সুযোগটি লুফে নেন। তিনি পরিচালক আরএস রাওয়ালের সহকারী হিসেবে যোগ দেন। রাওয়াল তখন দিলীপ কুমার অভিনীত সংঘর্ষ চলচ্চিত্রের কাজ করছিলেন। পরে তিনি পরিচালক মোহন কুমারের সহকারী হিসেবে দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। দুটি চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রাজেন্দ্র কুমার। রাজেন্দ্র তার পারিবারিক বন্ধু ছিল। রাকেশের বাবা তার কিছু চলচ্চিত্রের হিট গানের সুরকার ছিলেন। রাজেন্দ্র তার কাছে তার পছন্দ জানতে চাইলে রাকেশ অভিনয় করার আগ্রহের কথা জানায়। রাজেন্দ্রই তাকে তার প্রথম দুই চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে ভূমিকা পাইয়ে দেয়।[2] তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ঘর ঘর কী কাহানী ১৯৭০ সালে মুক্তি পায়। তিনি খুব কমই একক অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। তার বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই নারী প্রধান ছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হেমা মালিনীর পরায়া ধন (১৯৭১), ভারতীর আঁখ মিচোলি, রেখার খুবসুরত, জয়া প্রদার কামচোর (১৯৮২)। একক অভিনেতা হিসেবে এবং নারী-পুরুষ উভয় কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে তার সফল চলচ্চিত্রসমূহ হল রাখির বিপরীতে আঁখো আঁখো মে (১৯৭২), যোগিতা বালির বিপরীতে নফরত (১৯৭৩), লিনা চন্দরভকরের বিপরীতে এক কুওয়ারি এক কুওয়ারা, বিন্দিয়া গোস্বামীর বিপরীতে হামারি বহু অলকা (১৯৮২), রতি অগ্নিহোত্রির বিপরীতে শুভ কামনা (১৯৮৩)। আঁখো আঁখো মে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন জয় ওম প্রকাশ এবং রাকেশকে প্রধান চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেন। পরে রাকেশ জয় ওম প্রকাশ পরিচালিত আক্রমণ (১৯৭৫) ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন সঞ্জীব কুমার।
রাকেশ তিনি বেশ কিছু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সঞ্জীব কুমারের সাথে মন মন্দির (১৯৭১), ঋষি কাপুরের সাথে খেল খেল মে (১৯৭৫), দেব আনন্দের সাথে বুলেট (১৯৭৬), বিনোদ খান্নার সাথে হত্যারা, রণধীর কাপুরের সাথে ডঙ্গি, জিতেন্দ্রর সাথে খান্দান (১৯৭৯), শশী কাপুরের সাথে নিয়ত। তিনি রাজেশ খান্নার সাথে নিয়মিত কিছু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় কাজ করেন যার মধ্যে চলতা পুরজা (১৯৭৭) ছাড়া বাকি তিনটি চলচ্চিত্র - ধনবান (১৯৮১), আওয়াজ, (১৯৮৪) ও আখির কিউ? (১৯৮৫) ব্লকবাস্টার হিট হয়। আখির কিউ? চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন জয় ওম প্রকাশ। তিনি কয়েকটি বহু তারকা সংবলিত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। যার মধ্যে রয়েছে দেবতা (১৯৭৮), শ্রীমান শ্রীমতি (১৯৮২), হাতকড়ি, যার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জীব কুমার; এবং খাট্টা মিঠা (১৯৭৮), দিল অউর দিওয়ার (১৯৭৮), উনিশ-বিশ (১৯৮০) জাগ উঠা ইনসান (১৯৮৪)।
১৯৮০ সালে রাকেশ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্মক্রাফট প্রতিষ্ঠা করেন এবং আপ কে দিওয়ানে (১৯৮০) নির্মাণ করেন। ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়। ১৯৮২ সালে তার প্রযোজনায় পরবর্তী চলচ্চিত্র কামচোর মুক্তি পায়। ছবিটি পরিচালনা করেন কাশীনাথুনী বিশ্বনাথ। ছবিটি বক্স অফিসে হিট হয় এবং ছবির সঙ্গীত ও অভিনেত্রীর অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়। ১৯৮৪ সালে তিনি জাগ ওঠা ইনসান চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। এটিও ব্যবসাসফল হয়।[3]
১৯৮৬ সালে তিনি ভগবান দাদা চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। ছবিটি পরিচালনা করেন জয় ওম প্রকাশ এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রজনীকান্ত ও রাকেশ দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি তেমন ব্যবসা করতে পারে নি।[2] একই বছর তার অভিনীত বহু তারকা সংবলিত চলচ্চিত্র এক অউর সিকান্দর ও মাকার ব্যবসাসফল হয়। পরের বছর ১৯৮৭ সালে তার চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক হয় খুদগর্জ দিয়ে। ছবিটি হিট হয়। তার প্রযোজিত আপ কে দিওয়ানে ফ্লপ হওয়ার পর কামচোর হিট হলে জাগ ওঠা ইনসান চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় এক ভক্ত তাকে "কে" দিয়ে শুরু শব্দ দিয়ে ছবি নির্মাণের প্রস্তাব দেন। প্রথমে এতে মনোযোগ না দিলেও পরে ভগবান দাদা ফ্লপ হওয়ার পর তিনি লক্ষ্য করেন তার "কে" দিয়ে শুরু হওয়া শব্দের চলচ্চিত্রসমূহ - খুবসুরত, খাট্টা মিঠা, কামচোর, খান্দান, ও সর্বশেষ খুদগর্জ ব্যবসাসফল হলে তিনি "কে" দিয়ে শুরু হওয়া শব্দে মনোনিবেশ করেন।[4] তার পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র খুন ভরী মাঙ্গ (১৯৮৮) বক্স অফিসে হিট হয়। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রেখা। ১৯৮৯ সালে তিনি সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে বহুরানী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মানিক চট্টোপাধ্যায় এবং প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে তিনি জ্যাকি শ্রফ ও অনিল কাপুরকে নিয়ে কালা বাজার (১৯৮৯); অনিল কাপুর-মাধুরী দীক্ষিত জুটিকে নিয়ে কিষেণ কানাইয়া (১৯৯০) ও খেল (১৯৯২); এবং পরে শাহরুখ খানকে নিয়ে কিং আঙ্কেল (১৯৯৩), করন অর্জুন (১৯৯৫) ও কয়লা (১৯৯৭) চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।[5]
রাকেশ পরিচালনায় প্রথম স্বীকৃতি লাভ করেন কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০) এর জন্য। তিনি এই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, আইফা পুরস্কার, জি সিনে পুরস্কার ও বলিউড মুভি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ বলেন ছবিটি রাজেশ খান্না অভিনীত আরাধনা (১৯৭৯) থেকে অনুপ্রাণিত।[6] তার পরবর্তী সাফল্য আসে বিজ্ঞানকল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র কোই... মিল গয়ার মাধ্যমে। অন্যান্য সামাজিক অনুষঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার,[7] অপ্সরা পুরস্কার, ও জি সিনে পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে আইফা পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৬ সালে কোই... মিল গয়ার অনুবর্তী পর্ব কৃষ নির্মাণ করেন। ছবিটি বক্স অফিসে সফল হয়। ২০০৮ সালে তিনি ক্রেজি ফোর এবং ২০১০ সালে কাইটস চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। ২০১৩ সালে তিনি কৃষ চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে তৃতীয় পর্ব কৃষ ৩ নির্মাণ করেন। তার সর্বশেষ প্রযোজিত চলচ্চিত্র কাবিল ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। সুজয় ঘোষ পরিচালিত ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন হৃতিক রোশন ও ইয়ামি গৌতম।
রাকেশ ১৯৭০ সালে পিঙ্কি রোশনকে বিয়ে করেন। পিঙ্কি পরিচালক ও প্রযোজক জয় ওম প্রকাশের কন্যা। তাদের প্রথম সন্তান সুনয়নার জন্ম হয় ১৯৭২ সালে এবং দ্বিতীয় সন্তান হৃতিক রোশন ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করে।[2]
পুরস্কার | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ২০০৪ | অন্যান্য সামাজিক অনুষঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | কোই... মিল গয়া | বিজয়ী |
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
২০০৪ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কোই... মিল গয়া | বিজয়ী | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
২০০৬ | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | কৃষ | মনোনীত | |
আইফা পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ কাহিনী | মনোনীত | |||
২০০৪ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কোই... মিল গয়া | মনোনীত | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ কাহিনি | মনোনীত | |||
২০০৬ | বর্ষসেরা সৃজনশীল ব্যক্তি | কৃষ | বিজয়ী | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ কাহিনি | মনোনীত | |||
জি সিনে পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
২০০৪ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কোই... মিল গয়া | বিজয়ী | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | মনোনীত | |||
অপ্সরা পুরস্কার | ২০০৪ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কোই... মিল গয়া | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | মনোনীত | |||
বলিউড মুভি পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রযোজক) | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | বিজয়ী |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.