Loading AI tools
ভারতীয় সঙ্গীত রচয়িতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাজেশ রোশন (জন্মনাম: রাজেশ রোশন লাল নাগরথ, জন্ম: ২৪ মে ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং বাদ্যযন্ত্র বাদক। তিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রের গানে সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশনের ছোট ভাই এবং অভিনেতা হৃতিক রোশনের চাচা।
রাজেশ রোশন राजेश रोशन | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | রাজেশ রোশন লাল নাগরথ |
জন্ম | বোম্বে, বোম্বে রাজ্য, ভারত | ২৪ মে ১৯৫৫
ধরন | চলচ্চিত্রের গান |
পেশা | সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক |
বাদ্যযন্ত্র | বঙ্গো , গিটার , সঙ্গীত পরিচালনা |
কার্যকাল | ১৯৭৪-বর্তমান |
তার চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা শুরু হয় ১৯৭৪ কুওয়ারা বাপ চলচ্চিত্র দিয়ে। জুলি (১৯৭৫) ও কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি দুইবার [ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক পুরস্কার] লাভ করেন। এছাড়া কহো না... প্যার হ্যায় চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে আইফা পুরস্কার ও স্ক্রিন পুরস্কার লাভ করেন।
রাজেশ রোশন ১৯৫৫ সালের ২৪ মে ভারতের বোম্বে রাজ্যের বোম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সঙ্গীত পরিচালক রোশন লাল নাগরথ ও মা ইরা রোশন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার বড় ভাই চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন।[1] তিনি অভিনেতা হৃতিক রোশনের চাচা, যার অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
রাজেশকে তার প্রথম চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ পাইয়ে দেয় তার মেহমুদ। তার সুরারোপিত প্রথম চলচ্চিত্র কুওয়ারা বাপ (১৯৭৪)। এই ছবিতে কিশোর কুমারের কণ্ঠে "আরি আজা নিন্দিয়া" গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[1] পরের বছর জুলি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক পুরস্কার লাভ করেন।[2] প্রিয়তমা চলচ্চিত্রে রাজেশ তার বড় ভাই রাকেশের চলচ্চিত্রের প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন। বসু চ্যাটার্জি পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে তার সুর করা কিশোর কুমারের কণ্ঠে "কোই রোকো না দিওয়ানে কো" গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং কিশোর কুমারের গাওয়া সেরা গানের তালিকা রয়ে যায়। পরের বছর তার ভাইয়ের জন্য ইনকার চলচ্চিত্রে মোহাম্মদ রফির কণ্ঠে "দিল কি কলি ইয়ুহী সদা" এবং খাট্টা মিঠা চলচ্চিত্রে কিশোর কুমার ও লতার কণ্ঠে "থোড়া হ্যায় থোড়ে কি জরুরত হ্যায়" ও "তুমসে মিলে থা প্যার" গানের সুর করেন। এই সময়ে তিনি দেব আনন্দের পরপর তিনটি চলচ্চিত্র দেশ পরদেশ (১৯৭৮), লুটমার (১৯৭৯), মন পছন্দ (১৯৮০) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার সুযোগ পান।[1]
২০০০ এর দশকে তিনি কহো না... প্যার হ্যায় (২০০০), কারোবার (২০০০), ক্যায়া কেহনা (২০০০), মেলা (২০০০), অফিসার (২০০১), মুঝে মেরি বিবি সে বাচাও (২০০১), না তুম জানো না হাম (২০০২), আপ মুঝে অচ্ছে লগনে লগে (২০০২), কোই মেরে দিল সে পুচে (২০০২), কোই... মিল গয়া (২০০৩), লাভ অ্যাট টাইম স্কয়ার (২০০৩) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। কহো না... প্যার হ্যায় তার সুরকৃত সর্বোচ্চ বিক্রিত চলচ্চিত্রের গান।[3]
পুরস্কার | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ১৯৭৬ | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | জুলি | বিজয়ী |
১৯৭৮ | স্বামী | মনোনীত | ||
১৯৭৯ | দেশ পরদেশ | মনোনীত | ||
১৯৮০ | মিস্টার নটবরলাল | মনোনীত | ||
কালা পাত্থর | মনোনীত | |||
১৯৮৯ | খুন ভরী মাঙ্গ | মনোনীত | ||
১৯৯৬ | করন অর্জুন | মনোনীত | ||
১৯৯৭ | পাপা কেহতে হ্যায় | মনোনীত | ||
২০০১ | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী | ||
২০০৪ | কোই... মিল গয়া | মনোনীত | ||
আইফা পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
২০০৪ | কোই... মিল গয়া | মনোনীত | ||
জি সিনে পুরস্কার | ২০০৪ | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | কোই... মিল গয়া | মনোনীত |
স্ক্রিন পুরস্কার | ২০০১ | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | কহো না... প্যার হ্যায় | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত | মনোনীত | |||
২০০৪ | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | কোই... মিল গয়া | মনোনীত | |
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত | মনোনীত |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.