Loading AI tools
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ক্রিকেট খেলায় একজন খেলোয়াড় একটি ইনিংসে যখন একশত বা ততোধিক রান সংগ্রহ করে, তখন ক্রিকেটের পরিভাষায় তা সেঞ্চুরি বা শতরান নামে আখ্যায়িত করা হয়।[1] একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশীপ হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। প্রধান পরিচালনাকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)[2] ক্রিকেটের এ সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতি চার বছর অন্তর ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।[2][3] সর্বশেষ ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত ১৫টি দেশের খেলোয়াড়গণ সর্বমোট ১৬৩টি সেঞ্চুরি করেন।[4] একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদাপ্রাপ্ত সকল দলই সেঞ্চুরি করেছে।[lower-alpha 1] এছাড়াও অস্থায়ীভাবে ওডিআই মর্যাদার অধিকারী ৫টি দলের খেলোয়াড়ও সেঞ্চুরি করেছেন।[lower-alpha 2] অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দল যৌথভাবে ২৫ সেঞ্চুরি করে শীর্ষস্থানে রয়েছে।[4][lower-alpha 3]
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (অক্টোবর ২০২৩) |
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস ১৩৭ করেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে।[6] একইদিন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার পূর্ব আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১৭১* রান সংগ্রহ করেন যা পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মর্যাদা পায়। ১৯৮৩ সালে ভারতের কপিল দেব জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৭৫* রান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস ১৮১ ও ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেন অপরাজিত ১৮৮* রান করেন। শচীন তেন্ডুলকর সর্বাধিক ছয় সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন।[7] তারপরেরই শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং যৌথভাবে ৫ সেঞ্চুরি করেন।[7] মার্ক ওয়াহ, সৌরভ গাঙ্গুলী, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও এবি ডি ভিলিয়ার্স যৌথভাবে রয়েছেন ৪ সেঞ্চুরি করে। ওয়াহ, গাঙ্গুলী ও ম্যাথু হেইডেন - এ তিনজন একক প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ৪ সেঞ্চুরি করেন যথাক্রমে ১৯৯৬, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের প্রতিযোগিতায়।[7] পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাঙ্গাকারা ধারাবাহিকভাবে ৪টি শতক হাঁকান। আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়ান মাত্র ৫০ বলে দ্রুততম শতরান করেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।[8] ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার বিশ্বকাপে ওডিআই অভিষেক ঘটিয়ে সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে তার। ২০১১ সাল পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটিয়ে সেঞ্চুরি করার বিরল কীর্তিগাঁথা টিকে রয়েছে।[lower-alpha 4][11] ২০১১ সালে সর্বাধিক ২৪ সেঞ্চুরি হয়; অন্যদিকে ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন ২ সেঞ্চুরি হয়। বর্তমান বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই ৩৮টি সেঞ্চুরি হয়েছে।
২০১১ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনালে মোট ছয়টি সেঞ্চুরি হয়েছে।[12] তন্মধ্যে পাঁচটি দলকে জয়লাভে সহায়তা করেছে।[13] ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলীয় অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ব্যক্তিগত ১৪৯ রান সংগ্রহের মাধ্যমে ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী হয়েছেন। তার সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৭২ বলে যা ফাইনালের দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে স্বীকৃত।[14] অন্যদিকে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে মাহেলা জয়াবর্ধনে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেও তার দল পরাজিত হয়।[13]
প্রতীক | অর্থ |
---|---|
রান | রান সংগ্রহ |
* | ব্যাটসম্যান অপরাজিত ছিলেন |
রানটি ঐ সময়ের বিশ্বকাপ রেকর্ড ছিল | |
ফাইনালে রান সংগ্রহ | |
বল | বল মোকাবেলা করা |
৪ | চারের সংখ্যা |
৬ | ছয়ের সংখ্যা |
এস/আর | স্ট্রাইক রেট (১০০ বলের বিপরীতে রান) |
টাই | খেলা টাই হয় |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.