শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

গর্ডন গ্রীনিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

Remove ads

কুথবার্ট গর্ডন গ্রীনিজ, এমবিই (ইংরেজি: Gordon Greenidge, জন্ম: ১ মে, ১৯৫১) বার্বাডোসের সেন্ট পিটার এলাকার ব্ল্যাক বেসে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার[] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সদস্য গর্ডন গ্রীনিজ বিশ্বের অন্যতম সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
Remove ads
Remove ads

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৭০ থেকে ১৯৮৭ সময়কালের ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৩ সালে হ্যাম্পশায়ার দল দ্বিতীয়বারের মতো তাদের ইতিহাসে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। সারে দলের তুলনায় দলটি ৩১ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।[] দলটি ২০ খেলায় অংশ নিয়ে ১০টিতে জয় পায় ও বাদ-বাকী খেলাগুলোয় ড্র করে। এ মৌসুমে রিচার্ড জিলিয়াট দলের নেত্বত্ব দেন। গর্ডন গ্রীনিজ ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিকসংখ্যক ১,৬২০ রান তুলেন।

Remove ads

খেলোয়াড়ী জীবন

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে গ্রীনিজ শুরুতেই ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ২২ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে ব্যাঙ্গালোরের এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টেস্টে ভিভ রিচার্ডসের সাথে তারও অভিষেক ঘটে। রিচার্ডস তেমন সফলতা না পেলেও তিনি ঠিকই তার অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছিলেন।[][] এরপর থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত একাধারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।

তিনি তার সহযোগী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেসমন্ড হেইন্সকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে গড়া অর্ধেক রানেই সফলকাম হয়েছিলেন।[] এ দু’জন সর্বমোট ৬,৪৮২ রান তুলেছিলেন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।[]

Remove ads

সাফল্যগাঁথা

তিনি ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করেন। গ্রীষ্মকালীন ঐ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলটি ৫-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল। পরবর্তীকালে ঐ সিরিজটি ব্ল্যাকওয়াশ নামে পরিচিতি পায়।

জুন, ১৯৮৪ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্টে তিনি ২১৪ রান করেছিলেন। এরপর জুলাই, ১৯৮৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টের পঞ্চম দিবসেও তিনি ডাবল সেঞ্চুরি হিসেবে ২২৩ রান করেন। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ইনিংসগুলোর অন্যতম ও প্রথম যা শেষদিনে সফলতমভাবে ৩৪২ রান করে টপকিয়ে বিজয়ী হয়েছিল। স্মর্তব্য যে, লর্ডসেও দলটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়লাভ করেছিল।

টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে বার্বাডিয়ানদের মধ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন গর্ডন গ্রীনিজ।

প্রশিক্ষক

Thumb
গর্ডন গ্রীনিজের খেলোয়াড়ী জীবনের লেখচিত্র।

গর্ডন গ্রীনিজ খেলাধূলায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার অপূর্ব দক্ষতা ও ক্রীড়াশৈলী উপহার দিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক বা কোচ হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। তার অসাধারণ দিক-নির্দেশনার ফলে ঐ বছরই আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। একই সাথে দলটি ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে সক্ষমতা দেখায়।

Remove ads

সম্মাননা

১৯৭৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন।[]

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পরিচালনা করার মাধ্যমে দলটিকে আইসিসি ট্রফি জয়ে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। এর ফলস্বরূপ তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাংলাদেশের সম্মানিত নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

এছাড়াও তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর ঘটনাক্রমে ২৬ জুন, ২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পূর্ববর্তী সময়ে তাদের অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যের দরুন টেস্টখেলুড়ে দলের বিরল মর্যাদা লাভ করে।

২০০৯ সালে আইসিসি’র ক্রিকেট হল অব ফেমের উদ্বোধনী তালিকায় ৫৫জনের একজন মনোনীত হন।[]

Remove ads

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

Loading content...

বহিঃসংযোগ

Loading content...
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads