ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের রাজধানীর তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ১৩০ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট এই দেশ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনবহুল গণতন্ত্র। এই দেশ ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ফেডারেল সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।[১] পুদুচেরি ও দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ সমস্ত রাজ্য নির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। বাকি পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিযুক্ত প্রশাসক দ্বারা শাসিত হয়। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে, রাজ্যগুলিকে ভাষার ভিত্তিতে পুনুরগঠিত করা হয়।[২] তারপর থেকে তাদের গঠন কম-বেশি অপরিবর্তিতই থেকেছে। প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিভিন্ন প্রশাসনিক রাজ্যে বিভক্ত।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের রাজধানীগুলিকে প্রশাসনিক, আইনবিভাগীয় ও বিচারবিভাগীয় রাজধানী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনিক রাজধানীতে প্রশাসনিক অধিকরণগুলি অবস্থিত, আইনবিভাগীয় রাজধানীতে বিধানসভা গুলি অবস্থিত এবং বিচারবিভাগীয় রাজধানীতে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ আদালতগুলি অবস্থিত। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজধানী
পাদটীকা
- ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শিলং আসাম ও মেঘালয়ের যৌথ রাজধানী ছিল।[৩]
- চণ্ডীগড় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এই দুই রাজ্যের রাজধানী। এছাড়া এটি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।[৪]
- রায়পুর ছত্তিশগড়ের অন্তর্বর্তীকালীন রাজধানী। নয়া রায়পুর শহরকে রাজ্যের ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে স্থির করা হয়েছে।
- পানাজি ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে পর্তুগিজ শাসনাধীন গোয়ার রাজধানী ছিল।[৫]
- নাগপুর ১৮৬১ থেকে ১৯৫০ পর্য্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের মধ্য প্রদেশ ও বেরারের রাজধানী ছিল।[৬] এই প্রদেশই ছিল স্বাধীন ভারতে গঠিত মধ্য প্রদেশের মূল অংশবিশেষ।[৬] নাগপুর এই নবগঠিত রাজ্যের রাজধানী ছিল।[৭] ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে মধ্য প্রদেশ থেকে বিদর্ভ অঞ্চলকে বিভক্ত করা হয় এবং বোম্বাই রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে নাগপুর মহারাষ্ট্র রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানীতে পরিণত হয়।[৮] (১৮৬১–১৯৫৬)
- লাহোর ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী ছিল।[৯] বর্তমানে এটি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত।
- ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ হতে গ্যাংটক সিকিমের রাজধানী ছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে সিকিম ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়।[১০]
- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ হতে মাদ্রাজ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রাজধানী ছিল। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে এই প্রেসিডেন্সিকে মাদ্রাজ রাজ্য হিসেবে পুনর্গঠিত করা হয়। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যের নতুন নামকরণ করা হয় তামিলনাড়ু।
- ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দ হতে কলকাতা বাংলা প্রেসিডেন্সির রাজধানী ছিল। ১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলা প্রেসিডেন্সি পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ববঙ্গে বিভক্ত হয়েছিল এবং কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
উৎস
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.