ব্রিটিশ ভারতের সাবেক প্রদেশ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পাঞ্জাব প্রদেশ ছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের একটি অঞ্চল। পাঞ্জাব অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকাই ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আওতাভুক্ত ছিল এবং এটি ছিলো ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আসা ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশেষ এলাকাগুলোর একটি। এটি দিল্লি, জলন্ধর, লাহোর, মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডি - এই পাঁচটি প্রশাসনিক বিভাগ এবং কয়েকটি দেশীয় রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত ছিল।
পাঞ্জাব پنجاب | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রদেশ | |||||||||||
২ এপ্রিল ১৮৪৯–১৯৪৭ | |||||||||||
১৯০৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন পাঞ্জাব | |||||||||||
রাজধানী | লাহোর * মারি ১৮৭৩-১৮৭৫ (গ্রীষ্মকালীন) * সিমলা ১৮৭৬-১৯৪৭ (গ্রীষ্মকালীন) | ||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | নব্য সাম্রাজ্যবাদ | ||||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ২ এপ্রিল ১৮৪৯ | ||||||||||
• ভারত ভাগ | ১৪-১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ||||||||||
| |||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | ভারত পাকিস্তান |
ভারত বিভাগের ফলে এই প্রদেশটি পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিম পাঞ্জাব নামে বিভক্ত হয়ে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানে একীভূত হয়।
পাঁচটি নদী দ্বারা বিধৌত হওয়ায় 'পাঞ্জাব' নামের উদ্ভব হয়েছে; ফার্সি শব্দ "পাঞ্জ" (হিন্দিতে 'পাঁঞ্চ) (পাঁচ) এবং "আব" (পানি) থেকে এই নামকরণ করা হয়েছে। এই পাঁচটি নদী হলো ঝিলাম, চেনাব, রাভি, বিপাশা এবং শতদ্রু। এসব নদী সিন্ধু নদের শাখা।
ভৌগোলিক দিক থেকে এই রাজ্যটি একটি ত্রিকোণ আকারের অঞ্চল ছিল, যার ত্রিভুজাকারের দুই দিক গঠন করেছে সিন্ধু নদ এবং তার উপনদী শতদ্রু, তাদের সঙ্গমস্থল অবধি, উত্তরে ঐ দুটি নদীর মধ্যবর্তী নিম্নতর হিমালয় পর্বতশ্রেণীতে গঠিত হয়েছে ত্রিভুজেের ভূমি, তাছাড়া ব্রিটিশ শাসনের অধীনে গঠিত অঞ্চলটিতে,এই সীমার বাইরেও একটি বৃহৎ নালীর ন্যায় লম্বা অংশ অন্তর্ভুক্ত আছে। উত্তরসীমা বরাবর হিমালয় পর্বতমালা এটিকে কাশ্মীর ও তিব্বত থেকে আলাদা করেছে। পশ্চিমে এটি সিন্ধু নদের দ্বারা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের থেকে পৃথক হয়েছে, যতক্ষণ না তা দেরা গাজি খান জেলার সীমানা পৌঁছেছে, যেটি সুলাইমান বিন্যাস দ্বারা বেলুচিস্তান থেকে পৃথক হয়েছে[১]।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.