হরিদ্বার
ভারতের শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
হরিদ্বার (/hʌrɪˈdwɑːr/; স্থানীয় উচ্চারণⓘ, হরদ্বারও বলা হয়, ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলার একটি প্রাচীন শহর এবং পৌরসভা। কিংবদন্তি অনুযায়ী, এখানেই দেবী গঙ্গা ভগবান শিবের জটা থেকে মুক্তি পেয়ে পৃথিবীতে নেমেছিলেন। গঙ্গোত্রী হিমবাহের প্রান্তে গোমুখ থেকে উৎপন্ন হয়ে, উৎস থেকে ২৫৩ কিলোমিটার (১৫৭ মা) চলে, হরিদ্বারে প্রথমবারের জন্য সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে প্রবেশ করে। যা থেকে এই শহরটির প্রাচীন নাম হয়েছে গঙ্গাদ্বার।
হরিদ্বার | |
---|---|
শহর | |
উপরে থেকে ঘড়ির কাঁটা অনুসারে: হর কি পৌরিতে গঙ্গা আরতি, চণ্ডী দেবী মন্দির, হর কি পৌরির সকালের দৃশ্য, মনসা দেবী মন্দির, হরিদ্বার রেলস্টেশন, গঙ্গা নদীর পাশে শিবমূর্তি, হর কি পৌরির সন্ধ্যা দৃশ্য এবং চণ্ডী দেবী মন্দিরে যাবার জন্য রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। | |
স্থানাঙ্ক: ২৯.৯৪৫° উত্তর ৭৮.১৬৩° পূর্ব / 29.945; 78.163 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
উত্তরাখণ্ড জেলার জেলা তালিকা | হরিদ্বার জেলা |
পৌরসভা | ১৮৬৮ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র – কাউন্সিল |
• শাসক | হরিদ্বার পৌর কর্পোরেশন |
• মেয়র | অনিতা শর্মা (আইএনসি) |
• পৌর কমিশনার | অলোক কুমার পান্ডে, আইএএস |
আয়তন | |
• শহর | ১২.৩ বর্গকিমি (৪.৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩১৪ মিটার (১,০৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | ২,২৮,৮৩২[2] |
• মহানগর | ২,৩১,৩৩৮ |
ভাষা সমূহ | |
• সরকারি | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ২৪৯৪০১ |
টেলিফোন কোড | +৯১-১৩৩৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে-০৮ |
যৌন অনুপাত | ১.১৮[1] ♂/♀ |
হরিদ্বার বা হরদ্বারকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে সপ্তপুরী নামে পরিচিত সাতটি পবিত্রতম স্থানের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রমন্থন অনুসারে,[3] উজ্জয়িনী, নাশিক এবং প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-সহ হরিদ্বার এমন চারটি স্থানের মধ্যে একটি যেখানে অমৃতের বিন্দু, (যা অমরত্ব প্রদান করে) পড়েছিল। মহাজাগতিক পাখি গরুড় অমৃতের কলস বহন করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে অমৃত ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি কুম্ভমেলায় অভিব্যক্ত হয়েছে, যা প্রতি ১২ বছরে একবার হরিদ্বারে পালিত হয়। হরিদ্বার কুম্ভ মেলা চলাকালীন, লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পর্যটকরা মোক্ষ অর্জনের জন্য এবং তাদের স্খালন করার জন্য গঙ্গা নদীর তীরে ধর্মীয় স্নান করতে হরিদ্বারে জমায়েত হয়। ব্রহ্ম কুণ্ড হচ্ছে সেই জায়গা, যেখানে অমৃত পড়েছিল। এটি হর কি পৌরিতে অবস্থিত (আক্ষরিক অর্থে, "প্রভুর পদবিন্যাস") এবং হরিদ্বারের সবচেয়ে পবিত্র ঘাট হিসাবে বিবেচিত হয়।[4] এটি কাঁওয়ার তীর্থযাত্রার প্রাথমিক কেন্দ্রও, যেখান থেকে লক্ষ লক্ষ অংশগ্রহণকারী গঙ্গা থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে এবং শত শত মাইল বয়ে নিয়ে গিয়ে, শিব মন্দিরগুলিতে নৈবেদ্য হিসাবে দেয়।[5]
হরিদ্বার সদর শহর এবং জেলার বৃহত্তম শহর। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (এসআইডিসিএল) এর দ্রুত বিকাশমান শিল্প তালুকসহ আজ এই শহরটি এবং ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড এর জনপদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক কাছাকাছি শহরগুলির, তার ধর্মীয় গুরুত্বের বাইরেও বিকাশ ঘটাচ্ছে।
হরিদ্বার ভারতীয় সংস্কৃতি ও বিকাশের একটি বর্ণময় চিত্র উপস্থাপন করেছে। পবিত্র রচনায় এটি আলাদাভাবে কপিলস্থান, গঙ্গাদ্বার এবং মায়াপুরী নামে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এই অঞ্চলটি চারধাম (উত্তরাখণ্ড ভ্রমনের চারটি মূল স্থান যেমন, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রি) ভ্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। পরবর্তীকালে শৈবরা (ভগবান শিবের অনুগামী) এবং বৈষ্ণবরা (ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা) এই স্থানটিকে যথাক্রমে হরদ্বার এবং হরিদ্বার বলে পৃথকভাবে ডাকে, কারণ হর হলেন শিব এবং হরি হলেন বিষ্ণু।