বেড়া উপজেলা
পাবনা জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বেড়া বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[2]
বেড়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বেড়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | পাবনা জেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মোঃ রেজাউল হক বাবু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৮.৬০ বর্গকিমি (৯৫.৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[1] | |
• মোট | ২,৩১,৪৩০ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৩.৫৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৭৬ ১৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
বেড়া উপজেলার উত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা ও চৌহালি উপজেলা, দক্ষিণে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা ও রাজবাড়ী সদর উপজেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি উপজেলা ও মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা ও শিবালয় উপজেলা, পশ্চিমে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলা ও সাঁথিয়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
বেড়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। বেড়া পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এছাড়া ইউনিয়নগুলি হচ্ছে-
ইতিহাস
জনশ্রুতি আছে যে, আরবী ‘‘বেড়ুহা’’ শব্দের অপভ্রংশ হচ্ছে ‘বেড়া’। এর পূর্বনাম ছিলো শম্ভুপুর। খ্রীস্ট জন্মের পূর্ব হতে উত্তরবঙ্গের নদনদীর সঙ্গমস্থল হিসেবে শম্ভুপুর ব্যাপক পরিচিত ছিল। এই শম্ভুপুরে তাই গড়ে উঠেছিল জনবসতি। নৌপথে জলদস্যুদের আক্রমণ আর প্রমত্তা নদীর উত্তাল স্রোত পেরিয়ে বেড়ার নিকটবর্তী হলেই তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতো। একারণে বেড়া নিরাপদ পোতাশ্রয়ের উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। যতদূর জানা যায় ৮০০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে আরব বণিকেরা বেড়াতে তাদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে। আবার সুলতানী শাসনামলে একবার আরবদেশে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ হয়। সেই দুর্ভিক্ষের সময় এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে বেড়া বন্দরের মাধ্যমে আরবদেশে পাঠানো হয়। ইংরেজ শাসনামলে জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক থানা ‘মথুরা’ যমুনার করালগ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে ১৮২৮ সালে যমুনার পশ্চিম উপকূলে বেড়া নামক স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে বেড়া উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে এর কার্য পরিধি অনেক বেড়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বেড়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
জনসংখ্যা ২৩১,৪৩০ জন (২০০১ এর শুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ ১২০,৬১৫ জন,মহিলা ১১০,৮১৫ জন। ঘনত্বঃ ৯৩১ জন প্রতি বর্গ কিঃমিঃতে।
শিক্ষা
সরকারী/রেজিঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় ১০৭ টি। কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০২ টি। কিন্ডারগার্টেন ১৬ টি। এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৪ টি। মাধ্যমিক স্কুল ১৮ টি। মাদ্রাসা ৭ টি (আলীম মাদ্রাসাঃ ২টি )। কলেজ ৪ টি। ডিগ্রি কলেজ ২ টি। কারিগরী কলেজ ১ টি। সাক্ষরতার হার ৩৩.৫৪% (পুরুষ ৩৮.০৯%,মহিলা ২৮.০৬% ) । বিশ্ববিদ্যালয় ১ টি ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়
- আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কৈটোলা
- আমিনপুর আয়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
- বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- বেড়া বি. বি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- বেড়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- বেড়া হাই স্কুল
- ভারেঙ্গা একাডেমী
- ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়, নাটিয়াবাড়ী
- নাকালিয়া সাঁড়াশিয়া বণিক উচ্চ বিদ্যালয়
- আল হেরা একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- নতুন ভারেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়,সোনাপদ্মা
অর্থনীতি
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব
- মোহিতমোহন মৈত্র (? - ২৮ মে, ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- মির্জা আব্দুল জলিল, উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ( চেয়ারম্যান প্রাইভেটাইজেশন কমিশন),সাবেক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সাবেক বাণিজ্য সচিব, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ কৃষকলীগ।
- মির্জা আব্দুল হালিম সাবেক প্রতিমন্ত্রী (নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়) পাবনা জেলার প্রথম মন্ত্রী।
- মির্জা আব্দুল আউয়াল (সাবেক সংসদ সদস্য)
- অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী)
- এডভোকেট শামসুল হক টুকু ( জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার)
- এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এবং বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা)
- মনজুর কাদের (সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য)
নদীসমূহ
বেড়া উপজেলায় ৫টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে গঙ্গা নদী, ইছামতি নদী, যমুনা নদী, বাদাই নদী এবং হুরাসাগর নদী।[3]
দর্শনীয় স্থান
- কাজিরহাট ফেরি ঘাট
- তের জমিদার বাড়ি,
- হুরাসাগর নদী তীরে বেড়া পোর্ট,
- কৈটোলা পাম্প হাউজ,
- বেড়া পাম্প হাউজ,
- বেড়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ,
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.