Remove ads
বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমা ফরিদপুর থেকে পৃথক হয়ে রাজবাড়ী জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৭০ সালে গড়াই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১৮৭১ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির পূর্ববঙ্গ অংশে রেলপথ কলকাতা হতে গোয়ালন্দ ঘাট (অপর নাম: গ্যাঞ্জেস বন্দর) পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। ঢাকাসহ বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব অংশে সহজে যাতায়াতের অবধারিত একটি স্থান হওয়ায় একে "বাংলার দ্বারপথ" নামে অভিহিত করা হত। রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পদ্মানদীর ওপারে পাবনা জেলা, পূর্বে পদ্মা নদীর ওপারে মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলা এবং পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলা অবস্থিত।
রাজবাড়ী | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: পদ্মাকন্যা | |
বাংলাদেশে রাজবাড়ী জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′ উত্তর ৮৯°৩০′ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
প্রতিষ্ঠা | ১ মার্চ ১৯৮৪ |
সংসদীয় আসন | ২টি |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | মনোয়ারা বেগম |
আয়তন | |
• মোট | ১,১১৮.৮০ বর্গকিমি (৪৩১.৯৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১০,১৫,৫১৯ |
• জনঘনত্ব | ৯১০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.০০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৭০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রাজবাড়ী জেলার বৃহত্তম শহর রাজবাড়ী। রেলপথকে কেন্দ্র করে এ শহর বিকাশ লাভ করে বলে একে রেলের শহর বলা হয়। প্রমত্তা পদ্মার গা ঘেঁষে অবস্থিত বলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত রাজবাড়ী জেলার ব্র্যান্ডিং নাম "পদ্মাকন্যা রাজবাড়ী"। রাজবাড়ী জেলা মূলত কৃষিপ্রধান জেলা। পাট, পেঁয়াজ, আখ, পান, খাদ্যশস্য ইত্যাদি উৎপাদনে রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশে বিশেষ অবদান রাখে। পেঁয়াজ উৎপাদনে সারাদেশের মধ্যে ৩য় অবস্থানে আছে রাজবাড়ী জেলা।
বর্তমান রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের পর উত্তর পশ্চিম ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কিয়দংশ) অঞ্চল রাজশাহীর জমিদারীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাটোর রাজার জমিদারী চিহ্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে স্নানমঞ্চ, দোলমঞ্চ। পরবর্তীতে এ জেলা এক সময় যশোর জেলার অংশ ছিল। ১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এছাড়াও রাজবাড়ী জেলার বর্তমান উপজেলাগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাংশা থানা এক সময় পাবনাজেলার অংশ ছিল। ১৮৫৯ সালে পাংশা ও বালিয়াকান্দিকে নবগঠিত কুমারখালী মহকুমার অধীনে নেয়া হয়। ১৮৭১ সালে গোয়ালন্দ মহকুমা গঠিত হলে পাংশা ও রাজবাড়ী এ নতুন মহকুমার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং রাজবাড়ীতে মহকুমা সদর দফতর স্থাপিত হয়। ১৮০৭ সালে ঢাকা জালালপুরের হেড কোয়ার্টার ফরিদপুরে স্থানান্তর করা হয় এবং পাংশা থানা ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসির সময় ঢাকা জালালপুর ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলে গোয়ালন্দ তখন ফরিদপুরের অধীনে চলে যায়। তখন পাংশা, বালিয়াকান্দি পাবনা জেলাধীন ছিল। ১৯৮৩ সালে সরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি থানাকে মান উন্নীত থানায় রূপান্তরিত করলে রাজবাড়ীকে মান উন্নীত থানা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই জুলাই থেকে সরকার অধ্যাদেশ জারী করে সকল মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করার ফলে রাজবাড়ী উপজেলা হয়। গোয়ালন্দ মহকুমার প্রশাসনিক দপ্তর রাজবাড়ীতে থাকায় অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ সকল মহকুমাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে রাজবাড়ী জেলায় রূপান্তরিত হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এ জেলায় একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। ২১ ও ২২ এপ্রিল পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে পর্যায়ক্রমে ২ জন এবং ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাকবাহিনী পাংশা উপজেলার রামকোল ও মাথুরাপুর গ্রামের ১০ জন লোককে হত্যা করে এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। নভেম্বর মাসে বালিয়াকান্দি উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। এছাড়াও নভেম্বর মাসে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলহাদীপুর গ্রামে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। জেলার ৫টি স্থানে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে:
রাজবাড়ী রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। রাজার নামে রাজবাড়ী। রাজবাড়ীর সেই রাজা নেই। কিন্তু রাজবাড়ী জেলা রাজার সেই ঐতিহ্য ধারণ করে আছে আজো। পদ্মা, হড়াই, গড়াই, চন্দনা, কুমার আর চত্রা পলিবাহিত এক কালের 'বাংলার প্রবেশদ্বার' বলে পরিচিত গোয়ালন্দ মহকুমা আজকের রাজবাড়ী জেলা। ১৯৮৪ সালের ১ লা মার্চ গোয়ালন্দ মহকুমা রাজবাড়ী জেলায় রুপান্তরিত হয়। তবে কখন থেকে ও কোন রাজার নামানুসারে রাজবাড়ী নামটি এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলার রেল ভ্রমণ পুস্তকের (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) একশ নয় পৃষ্ঠায় রাজবাড়ী সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় সুবাদার নিযুক্ত হয়ে আসেন। এ সময় এ অঞ্চলে পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের জন্যে তিনি সংগ্রাম শাহকে নাওয়ারা প্রধান করে পাঠান। তিনি বানিবহতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং লালগোলা নামক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন। এ লালগোলা দুর্গই রাজবাড়ী শহরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বর্তমানে লালগোলা গ্রাম নামে পরিচিত। সংগ্রাম শাহ্ ও তার পরিবার পরবর্তীকালে বানিবহের নাওয়ারা চৌধুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
এল.এন. মিশ্র উক্ত পুস্তকে উল্লেখ করেন যে, রাজা সংগ্রাম শাহের রাজদরবার বা রাজকাচারী ও প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী অফিস বর্তমান রাজবাড়ী এলাকাকে কাগজে কলমে রাজবাড়ী লিখতেন (লোকমুখে প্রচলিত)। ঐ পুস্তকের শেষের পাতায় রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে রাজবাড়ী নামটি লিখিত পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশনটি ১৮৯০ সালে স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক আনন্দনাথ রায় ফরিদপুরের ইতিহাস পুস্তকে বানিবহের বর্ণনায় লিখেছেন - নাওয়ারা চৌধুরীগণ পাঁচথুপি থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে বানিবহে এসে বসবাস শুরু করেন। বানিবহ তখন ছিল জনাকীর্ণ স্থান। বিদ্যাবাগিশ পাড়া, আচার্য পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া, শেনহাটিপাড়া, বসুপাড়া, বেনেপাড়া, নুনেপাড়া নিয়ে ছিল বানিবহ এলাকা। নাওয়ারা চৌধুরীগণের বাড়ি স্বদেশীগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল। মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজা সূর্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মচারী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তার পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তারই পুত্র রাজা সুর্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ করা হয় ১৮৯০ সালে। বিভিন্ন তথ্য হতে জানা যায় যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে করার দাবি তোলা হলে বানিবহের জমিদারগণ প্রবল আপত্তি তোলেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যে স্থানটিতে রাজবাড়ী রেল স্টেশন অবস্থিত উক্ত জমির মালিকানা ছিল বানিবহের জমিদারগণের। তাদের প্রতিবাদের কারণেই স্টেশনের নাম রাজবাড়ীই থেকে যায়। এ সকল বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয় যে, রাজবাড়ী নামটি বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। এলাকার নাওয়ারা প্রধান, জমিদার, প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণ রাজা বলে অভিহিত হতেন। তবে রাজা সূর্য কুমার ও তার পূর্ব পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ি বলে সমধিক পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।
২৩.৪৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.০৯° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত এ জেলার মোট আয়তন ১,০৯২.২৮ বর্গ কিলোমিটার। রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পাবনা জেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর জেলা ও মাগুরা জেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলা এবং ঝিনাইদহ জেলা। রাজবাড়ীকে ঘিরে পদ্মা, চন্দনা, গড়াই নদী ও হড়াই নদী[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন], কুমার নদী ও চিত্রা নদী।
রাজবাড়ী জেলায় সর্বমোট ৪২টি ইউনিয়ন, ৩ টি পৌরসভা ও ৫টি উপজেলা রয়েছে।[২]
উপজেলা | আয়তন
(একর) |
জনসংখ্যা | পৌরসভার
সংখ্যা |
ইউনিয়নের
সংখ্যা |
সংসদীয় আসন |
---|---|---|---|---|---|
রাজবাড়ী সদর | ৭৮,১৩৫ | ৩,৩১,৬৩১ | ১ টি | ১৪ | রাজবাড়ী-১ |
গোয়ালন্দ | ৩৫,৫৫৭ | ১,১২,৭৩২ | ১ টি | ৪ | রাজবাড়ী-১ |
পাংশা | ৫৭,৮৬৩ | ২,৪০,০৬১ | ১ টি | ১০ | রাজবাড়ী-২ |
কালুখালি | ৩৯,৯৪০ | ১,৫৫,০৪৪ | ০ টি | ৭ | রাজবাড়ী-২ |
বালিয়াকান্দি | ৫৯,১১২ | ২,০৭,০৮৬ | ০ টি | ৭ | রাজবাড়ী-২ |
মোট | ২,৭০,৬০৭ | ১০,৪৬,৫৫৪ | ৩ টি | ৪২ টি |
২০২২ সালের পপুলেশন সেন্সাস প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অনুসারে জেলার লিঙ্গানুপাত ৯৭.৭৯।
রাজবাড়ী জেলার ৯০.৬% জনগোষ্ঠী মুসলিম। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় ৯.২৯%। খ্রিস্টান রয়েছে প্রায় ০.০১% এবং অন্যান্য মতাবলম্বী রয়েছে প্রায় ০.০৬ %। জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় হিন্দু জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি পরিলক্ষিত হয়। রাজবাড়ী পৌরসভা ও শহিদ ওহাবপুর ইউনিয়নে অল্প সংখ্যক খ্রিস্টান মতাবলম্বীর বাস রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলার মসজিদসমূহের মধ্যে শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত বড়ো মসজিদের নাম প্রথমত উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে রেলওয়ে স্টেশন রোড জামে মসজিদ, মারোয়াড়ীপট্টি মসজিদ, কাজীকান্দা মসজিদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শহরের বাইরে বিশেষত পাংশা ও গোয়ালন্দ অঞ্চলে বেশ কিছু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ রয়েছে। রাজবাড়ী জেলার বৃহত্তম ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহিদ খুশি রেলওয়ে ময়দান ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গনে যা স্থানীয়ভাবে রেলের মাঠ নামে পরিচিত।
শহরের হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির (স্থানীয়ভাবে পাটবাজার মন্দির), পুরাতন হরিসভা মন্দির, নতুন হরিসভা মন্দির, হরিতলা মন্দির, স্টেশন রোড কালীবাড়ী ইত্যাদির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শহরের বাইরে বালিয়াকান্দি উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মন্দির রয়েছে।
জেলার প্রাচীনতম গির্জা রাজবাড়ী সাইলাস মিড মেমোরিয়াল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ১৯১১ সালে স্থাপিত হয়। এছাড়াও জেলার শহিদ ওহাবপুরে একটি মিশনারি গির্জা রয়েছে।
বৃহৎ শিল্পের মধ্যে গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিল নামে একটি সুতাকল, রাজবাড়ী জুট মিল, মোস্তফা প্লাস্টিক লিমিটেড, সুনিপূন অর্গানিক্স নামে একটি রেক্টিফাইড স্পিরিট প্রস্তুতকারী কারখানা অন্যতম। এ ছাড়া শিল্পনগরী বিসিক এর অধীনে বেশ কিছু ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা রয়েছে। মূলত কৃষি নির্ভর হলেও চাকরি, ব্যবসা করা এ জেলার মানুষের অন্যতম পেশা। কামার, কুমার, তাঁতী, জেলে ও হরিজন প্রভৃতি পেশার লোকজনও এ জেলায় বসবাস করে। কিছুসংখ্যক অবাঙ্গালী পরিবারও এ জেলায় বসবাস করে।
রাজবাড়ী জেলার অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। জেলাটিতে ধান, পাট, আখ, গম, বাদাম, তিল, যব, ভুট্টা, ইক্ষু, পিঁয়াজ, তামাক এবং ডাল জাতীয় কৃষিজাত পণ্য উৎপাদিত হয় তাছাড়া কলা এবং মাছ চাষ করা হয়।তাছাড়া রাজবাড়ী জেলা চমচমের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত। জেলাটি শিল্পে সমৃদ্ধ না হলেও অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কলেজ ও বিদ্যালয় সমূহ হলো:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.