তুলসীদাস
হিন্দু সন্তকবি, ধর্মসংস্কারক ও দার্শনিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
তুলসীদাস (হিন্দি: तुलसीदास; হিন্দি উচ্চারণ: [t̪ʊls̪iːd̪aːs̪], তিনি গোস্বামী তুলসীদাস (गोस्वामी तुलसीदास) নামেও পরিচিত ছিলেন[2]) (১৪৯৭/১৫৩২[1]–১৬২৩) ছিলেন একজন হিন্দু সন্তকবি, ধর্মসংস্কারক ও দার্শনিক। তিনি রামানন্দের গুরুপরম্পরায় রামানন্দী সম্প্রদায়-ভুক্ত ছিলেন। তুলসীদাস তার রাম-ভক্তির জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি একাধিক জনপ্রিয় গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তবে তিনি রামচরিতমানস মহাকাব্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এই গ্রন্থটি হল সংস্কৃত রামায়ণ মহাকাব্যের অবধি অনুবাদ। তার অনুদিত গ্রন্থটি রামচরিতমানস নামে সমধিক পরিচিত।
গোস্বামী তুলসীদাস | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | রামবোলা ১৪৯৭ বা ১৫৩২[1] গোন্ডা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
মৃত্যু | ১৬২৩ |
দর্শন | বৈষ্ণবধর্ম |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
গুরু | নরহরিদাস |
সম্মান | গোস্বামী, অভিনববাlমীকি, ভক্তশিরোমণি, ইত্যাদি |
জীবদ্দশায় তুলসীদাসকে মূল রামায়ণ মহাকাব্যের রচয়িতা বাল্মীকির অবতার মনে করা হত।[3] রামভক্ত হনুমানের জনপ্রিয় স্তোত্র হনুমান চালিশাও তারই রচনা বলে মনে করা হয়।[4]
তুলসীদাস তার জীবনের অধিকাংশ সময়টাই বারাণসী শহরে অতিবাহিত করেন।[5] বারাণসীতে গঙ্গা নদীর তীরে তুলসীঘাট তারই নামাঙ্কিত।[2] বারাণসীতে সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির তারই প্রতিষ্ঠিত। কথিত আছে, যেখানে এই মন্দিরটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেই তিনি হনুমানের দর্শন লাভ করেছিলেন।[6] রামলীলা নামে রামায়ণ-ভিত্তিক লোকনাট্যের প্রচলনও তুলসীদাসই করেছিলেন।[7]
তুলসীদাসকে হিন্দি, ভারতীয় ও বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি মনে করা হয়।[8][9][10][11] তুলসীদাস ও তার সাহিত্যকর্মের প্রভাব ভারতের শিল্পকলা, সংস্কৃতি ও সমাজে সুদূরপ্রসারী। আজও এই প্রভাব দৃষ্ট হয় স্থানীয় ভাষা, রামলীলা নাটক, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, জনপ্রিয় সংগীত ও টেলিভিশন ধারাবাহিকগুলিতে।[7][12][13][14][15][16]