জেরুসালেম
মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র শহর, ইসরায়েলের দাবীকৃত রাজধানী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র শহর, ইসরায়েলের দাবীকৃত রাজধানী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জেরুসালেম বা জেরুজালেম (/dʒəˈruːsələm/; হিব্রু ভাষায়: יְרוּשָׁלַיִם Yerushaláyim, pronounced [jeʁuʃaˈlajim] (; )আরবি: القُدس al-Quds, উচ্চারণ [al.quds] (, স্থানীয় উচ্চারণ: ) [il.ʔuds] [note 2]) হলো এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যে ভূমধ্যসাগর ও মৃত সাগরের মধ্যবর্তী যোধাইয়ান পর্বতের নিচু মালভূমিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় শহর। এ শহরটি কিছু ধর্মের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে, ইব্রাহিমীয় ধর্মের ইহুদী ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয়ই জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করে; এই কারণে শহরটি একটি পবিত্র শহর হিসেবেও বিবেচিত।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
জেরুসালেম | |
---|---|
শহর | |
পুরনো শহর থেকে জয়তুন পর্বতের সাথে আল-আকসা মসজিদ (বামে) এবং কুব্বাত আস-সাখরা (ডান) উপর হারাম আল-শরিফ টাওয়ার অফ ডেভিড পবিত্র সমাধি | |
ডাকনাম: ইর হা-কোডেশ (পবিত্র শহর), বাইত আল-মাকদিস (পবিত্রতার ঘর) | |
স্থানাঙ্ক: ৩১°৪৭′ উত্তর ৩৫°১৩′ পূর্ব | |
পরিচালিত | ইসরায়েল |
দাবিকৃত | ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন[note 1] |
ইসরায়েলী জেলা | জেরুসালেম |
ফিলিস্তিনের গভর্ণরেট | কুদস |
গিহন স্প্রিং সভ্যতা | ৩০০০–২৮০০ খ্রিষ্টপূর্ব |
ডেভিডের শহর | ১০০০ খ্রিষ্টপূর্ব |
বর্তমান পুরাতন শহরের দেয়াল নির্মাণ | ১৫৪১ |
পূর্ব-পশ্চিম জেরুসালেম বিভাজন | ১৯৪৮ |
পুনর্মিলন | ১৯৬৭ |
জেরুসালেম আইন | ১৯৮০ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র–কাউন্সিল |
• শাসক | জেরুসালেম পৌরসভা |
• ইসরায়েলী মেয়র | মোশে লিওন (লিকুদ) |
আয়তন | |
• শহর | ১২৫.১৫৬ বর্গকিমি (৪৮.৩২৩ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৬৫২ বর্গকিমি (২৫২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭৫৪ মিটার (২,৪৭৪ ফুট) |
জনসংখ্যা (টেমপ্লেট:ইসরায়েল জনসংখ্যা)টেমপ্লেট:ইসরায়েল জনসংখ্যা | |
• শহর | টেমপ্লেট:ইসরায়েল জনসংখ্যা |
• মহানগর[5] | ১২,৫৩,৯০০ |
জেরুসালেমের জনসংখ্যা বিষয়ক ইতিহাস (২০১৭)[6][7] | |
• ইহুদি | ৬০.৮% |
• আরব | ৩৭.৯% |
• অন্যান্য | ১.৩% |
সময় অঞ্চল | IST, PST (ইউটিসি+০২:০০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | IDT, PDT (ইউটিসি+০৩:০০) |
Postal code | 9XXXXXX |
Area code | +৯৭২-২ |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৮) | ০.৭০৪[8] – উচ্চ |
ওয়েবসাইট | jerusalem.muni.il |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | জেরুসালেমের পুরাতন শহর এবং এর দেয়াল |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানদণ্ড | ii, iii, vi |
মনোনীত | ১৯৮১ |
সূত্র নং | ১৪৮ |
অঞ্চল | আরব রাষ্ট্র |
বিপর্যয়ের সম্মুখীন | ১৯৮২–বর্তমান |
জেরুসালেমে প্রতিটি ধর্মের পবিত্র কিছু স্থান পাওয়া যায়। এর একটু দক্ষিণে জর্ডান নদীর পশ্চিম প্রান্তেই 'মৃত সাগর' নামক একটি লবণাক্ত হ্রদ রয়েছে। এখানে মুসলিমদের অন্যতম পবিত্র জায়গা বাইতুল মাকদিস অবস্থিত।
জেরুসালেমের জনসংখ্যা ৫,০০০ বছরের ইতিহাসে বহুবার পরিবর্তিত হয়েছে। মধ্যযুগ থেকেই এর পুরানো শহরটিতে বাসকারী জনসংখ্যা ইহুদি, মুসলিম, খ্রিস্টান ও আর্মেনীয় এই চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে।
১৯০৫ সালের পূর্বের জনসংখ্যার তথ্য অনুমানের উপর ভিত্তি করে পাওয়া যায়। যেগুলো প্রধানত বিদেশী পরিব্রাজক বা সংস্থার কাছ থেকে জানা। কারণ পূর্বের জনসংখ্যার তথ্য সাধারণত জেরুসালেম জেলার মত বিস্তৃত এলাকার জন্য থাকত। এই অনুমান থেকে পাওয়া যায় যে ক্রুসেড যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মুসলমানরা জেরুসালেমের বৃহত্তম গোষ্ঠী ছিল। ১৮৩৮ সাল থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে ইহুদি বা মুসলমানরা সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী ছিল কিনা তা নিয়ে বেশ কয়েকটি ধারণা বিদ্যমান, এবং ১৮৮২ সাল থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে কখনো ইহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।১৯৫০ সালে, জেরুসালেমের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,২০,৮৯৫।
২০১৬ সালের হিসাবে জেরুসালেমের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮৮২,৭০০ জন। এর মধ্যে ৫৩৬,৬০০ জন ইহুদি এবং ৩৪৫,৯০০ জন অন্যান্য গোষ্ঠীর (৩১৯,৮০০ জন মুসলিম ১৫,৮০০ জন খ্রিস্টান এবং ১০,৩০০ জন শ্রেণীবিহীন) সদস্য ছিল। ২০০৩ সালে পুরানো শহরের জনসংখ্যা ছিলো ৩,৯৬৫ জন ইহুদী এবং ৩১,৪০৫ জন "আরব ও অন্যান্য" ধর্মাবলম্বী।
২০১৯ সালে জেরুসালেমের জনসংখ্যা ৯,১৯,৪০৭ বলা হয়েছে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে।
এই জেরুসালেম শহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সহস্র বছরেরও প্রাচীন ইতিহাস। জেরুসালেম শহরটি বর্তমানে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দাবি করে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর একটি বলে গণ্য করা হয় এই শহরকে। জেরুসালেমের নাম ইহুদী, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের সাথে ওতোপ্রতোভাবে ও গভীরভাবে জড়িত। প্রাচীন কাল থেকেই ভয়াবহ সংঘর্ষ চলে আসছে নানান কিছুকে কেন্দ্র করে। বাইবেল অনুসারে, রাজা ডেভিড জেরুসালেম শাসন করেন এবং এটিকে ইসরায়েল রাজ্যের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন (২ স্যামুয়েল ৫:৬–৭:৬)। তার পুত্র রাজা সলোমন টেম্পল মাউন্টে প্রথম ইহুদী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসে বলে, এটিই প্রথম প্রাথনালয় জেরুসালেমে।
৫৮৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ব্যবিলনীয়রা জেরুসালেম অধিকৃত করে। তারা সেই সব মন্দির ধ্বংস করে এবং ইহুদীদের নির্বাসনে পাঠায়। ইহুদীদের সাথে শুরু হয় বৈরিতা। মহান কুরুশ ব্যাবিলনের ইহুদিদের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে জেরুসালেমে ফিরে যেতে দেন। এরও প্রায় ৫০ বছর পরে পার্শিয়ান রাজা সাইরাস ইহুদীদের আবারো জেরুসালেমে ফেরত আসতে দেন এবং আবার মন্দির স্থাপন করেন। এছাড়াও ৫৩৯ এবং ৫৩০ খ্রিস্টপূর্বের মাঝামাঝি কোন এক সময় সাইরাস সিলিন্ডার ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে বৈশ্বয়ীক মানবাধিকার ঘোষণা করেছিলেন যা বিশ্বের ইতিহাসে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম মানবাধিকারের সনদ।
৩৩২ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে এসে আলেক্সা্ন্ডার দ্য গ্রেট জেরুসালেমের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরবর্তীতে কয়েক শত বছর ধরে নানান দল এই শহরটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের মধ্যে রোমান, পার্শিয়ান, আরবস, ফাটিমিড, সেলজুক, তুর্কি, ক্রুশাডার, ইজিপশিয়ান, মামেলুকিস ও মুসলিমরা ছিলো।
জেরুসালেম শহরটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেকভাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানেই শিশু হিসেবে এসেছিলেন যিশু খ্রিস্ট, যিনি খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারক। । প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এখানেই ধর্ম প্রচার করেছেন তিনি এবং জীবনের শেষে এখানেই ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছেন ও ঈশ্বরের দ্বারা পুনরুত্থিত হয়েছেন বলে বর্ণিত আছে। আবার ইহুদীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাদের ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মোজেসেরও পূণ্যভূমি এই জেরুসালেম। ইহুদীদের প্রথম মন্দির এই শহরে অবস্থিত ছিলো। যা টেম্পল মাউন্টে অবস্থিত ছিল। ৩৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হেরড সেখানে দ্বিতীয় মন্দির তৈরি করেন এবং সেটার চারপাশে দেয়াল তুলে দেন। রোমানরা এগুলো ধ্বংস করে দেয় ৭০ খ্রিষ্টাব্দে।
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা:) বোরাকে চড়ে মিরাজে গমন করেন। যা ধর্মীয়ভাবে খুবই মর্যাদাকর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে। পাশাপাশি ইসলাম ধর্মীয় ইতিহাসে জেরুসালেমকে পবিত্র নগরী হিসেবেই আলোকপাত করা হয়েছে বেশি।
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে প্রায় ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এবং সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দান করার ঘটনাসহ নানা ঘটনা এবং সময় জেরুসালেমকে আলোচনায় রেখেছে বিশ্বের সামনে।[9]
নোট - গুরুত্বপূর্ণ দিনপঞ্জি। এখানে একটি বিশদ নোট আছে। যা জেরুসালেমের অনেক ইতিহাস উল্লেখ করে।
১৯৬৭ সালের ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল এবং মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে সংঘটিত হয়। মিশর তখন ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক নামে পরিচিত ছিল। একে অনেক ইতিহাসবিদ 'জুন যুদ্ধ', ১৯৬৭ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ বা তৃতীয় আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধও বলা হয়। সিনাই উপদ্বীপে ইসরায়েলি সীমান্তে মিশরের সেনা সমাবেশের পর ৫ জুন মিশরীয় বিমানক্ষেত্রে ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে এই যুদ্ধ শুরু হয়।[10]
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের কাছে পরাজিত হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পর ইসরায়েলি জেরুসালেম পৌরসভা, পূর্ব জেরুসালেম ও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় বর্ধিত হয়। আইডিএফ ও মাগরিবি মহল্লা, ১৩৫টি বাড়ি বিশিষ্ট পুরাতন শহরের দখল নেয় এবং, দ্বাদশ শতকের আফদালিয়া বা শেখ ঈদ মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে বোরাক দেয়ালের সামনে একটি চত্বর সৃষ্টি করে। ইসরায়েল জেরুসালেমকে একীভূত বলে ঘোষণা দেয় এবং এর সকল ধর্মীয় পুণ্যস্থানে সকল ধর্মের মানুষের অবাধ প্রবেশাধিকারের ঘোষণা দেয়।
ডেভিড বেন গুরিয়ন ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইহুদীবাদসহ নানা বিষয়ের জের ধরে ইসরায়েল ও আরব লীগের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ সংঘঠিত হয়।
জেরুসালেমের ইতিহাস যেহেতু বিচিত্র এবং অনেক দীর্ঘ তাই শহরটিতে ভাষাগত ও সংস্কৃতিগতভাবে বিচিত্রতা খুঁজে পাওয়া যায়। ইসরায়েলে ৩৩টির মত ছোট-বড় ভাষা ও উপভাষা প্রচলিত। ভাষার সরকারি মর্যাদা ও ভাষা সংক্রান্ত নীতিমালার উপর ইসরায়েলে বেশ কিছু আইন আছে। ইসরায়েলের দুটি সরকারি ভাষা হিব্রু এবং আরবি। ইংরেজি তাদের আধা-সরকারি ভাষা। হিব্রু প্রধান ভাষা ব্যবহৃত হয় জেরুসালেমসহ পুরো ইসরায়েলে। ইসরায়েল-আরব নাগরিকদের ব্যবহৃত মূল ভাষা আরবি।[12]
ফিলিস্তিন-এ সংসদীয় গণতন্ত্র পদ্ধতি আছে। আইন, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় শাখা নিয়ে মুল কাঠামো গঠিত। রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা। ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.