আর্মেনীয় ভাষা

আর্মেনীয় ভাষা (আর্মেনীয় ভাষায়: Հայերեն হাইয়েরেন) একটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। এটি কোন দলের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এর কোন আত্মীয় ভাষা নেই। গ্রিক ভাষার সাথে এর সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। ভাষাটিতে প্রচুর ফার্সি কৃতঋণ শব্দ ব্যবহার করা হয় বলে অনেক সময় এটিকে ইরানীয় ভাষা বলে ভুল করা হয়।

আর্মেনিয়ান পাণ্ডুলিপি, ৫ম-৬ষ্ঠ শতাব্দী

আর্মেনিয়
հայերէն/հայերեն hayeren
উচ্চারণ	[hɑjɛˈɾɛn]
দেশোদ্ভব	আর্মেনিয়া এবং আর্টসখ।
জাতি	আরমেনীয়
মাতৃভাষী	৬.৭ মিলিয়ন[১]
ভাষা পরিবার	ইন্দো-ইউরোপীয় আর্মেনিয়
পূর্বসূরী	প্রোটো-আর্মেনিয় ধ্রুপদী আর্মেনিয়ান মধ্য আর্মেনীয়
প্রমিত রূপ	পূর্ব আর্মেনীয় পশ্চিম আর্মেনীয়
লিখন পদ্ধতি	আর্মেনিয়ান বর্ণমালা আর্মেনিয়ান ব্রেইল
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা	আর্মেনিয়া আর্টসখ (নাগারনো-কারাবাখ)
সংখ্যালঘু ভাষায় স্বীকৃত	তালিকা অফিসিয়াল স্ট্যাটাস:[২] সাইপ্রাস[৩][৪] হাঙ্গেরি[৫] ইরাক[৬] পোল্যান্ড[৭][৮] রোমানিয়া[৯] ইউক্রেন[১০]
নিয়ন্ত্রক সংস্থা	ভাষা ইনস্টিটিউট (আর্মেনিয়ান জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী)[১১]
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-১	hy
আইএসও ৬৩৯-২	arm (বি) hye (টি)
আইএসও ৬৩৯-৩	বিভিন্ন প্রকার: hye – পূর্ব আর্মেনীয় hyw – পশ্চিম আর্মেনীয় xcl – ক্লাসিকাল আর্মেনীয় axm – মধ্য আর্মেনীয়
লিঙ্গুয়াস্ফেরা	57-AAA-a
সংখ্যাগরিষ্ঠদের সরকারী ভাষা বলা হয়   সংখ্যালঘুদের স্বীকৃত ভাষা   স্পিকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা
এই নিবন্ধটিতে আধ্বব ধ্বনিমূলক চিহ্ন রয়েছে। সঠিক পরিবেশনার সমর্থন ছাড়া, আপনি ইউনিকোড অক্ষরের পরিবর্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বক্স, অথবা অন্যান্য চিহ্ন দেখতে পারেন।

আর্মেনীয় ভাষায় প্রায় ৬০ লক্ষ লোক কথা বলেন। পূর্ব আর্মেনীয় ভাষাটি ককেসাস অঞ্চলে অবস্থিত প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আর্মেনিয়ার সরকারি ভাষা। সেখানে প্রায় ৩৫ লক্ষ লোক আর্মেনীয় ভাষাতে কথা বলেন। তবে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক আর্মেনীয় ভাষাভাষী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন, এবং এদের ভাষাকে পশ্চিম আর্মেনীয় ভাষা নাম দেয়া হয়েছে।

১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯১৫-১৯১৬) তুরস্কে আর্মেনীয় জনগণ জাতিগত পরিশুদ্ধি অভিযান ও গণহত্যার শিকার হয়। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে আর্মেনীয়রা একটি স্বাধীন আর্মেনীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং এটি সোভিয়েত ইউনিয়ন, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। এর ফলশ্রুতিতে আর্মেনীয়রা বিপুল সংখ্যায় বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েন।^[১২]