আব্বাসীয় খিলাফত
তৃতীয় ইসলামী খিলাফত / From Wikipedia, the free encyclopedia
আব্বাসীয় খিলাফত (আরবি: الخلافة العباسية / ALA-LC: আল-খিলাফাহ আল-'আব্বাসিয়্যাহ) ইসলামী খিলাফতগুলোর মধ্যে তৃতীয় খিলাফত। এটি আব্বাসীয় বংশ কর্তৃক শাসিত হয়। বাগদাদ এই খিলাফতের রাজধানী ছিল। উমাইয়া খিলাফতকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে আন্দালুসে উমাইয়া খিলাফত উৎখাত করা যায়নি।
আব্বাসীয় খিলাফত الخلافة العباسية আল-খিলাফাহ আল-'আব্বাসিয়্যাহ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
৭৫০–১২৫৮ ১২৬১–১৫১৭ (মামলুক সালতানাতের অধীন) | |||||||||||
আব্বাসীয় বংশের পতাকা | |||||||||||
আব্বাসীয় খিলাফতের সর্বোচ্চ সীমা (৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)। | |||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য | ||||||||||
রাজধানী | কুফা (৭৫০–৭৬২) রাকা (৭৯৬–৮০৯) সামারা (৮৩৬–৮৯২) বাগদাদ (৭৬২–৭৯৬) (৮০৯–৮৩৬) (৮৯২–১২৫৮) | ||||||||||
প্রচলিত ভাষা | দাপ্তরিক ভাষা: আরবি আঞ্চলিক ভাষা: আরামায়িক, আর্মেনীয়, বার্বার, কপ্টিক, জর্জিয়ান, গ্রিক, কুর্দি, ফার্সি, অঘুজ তুর্কি,[1][2] | ||||||||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম | ||||||||||
সরকার | খিলাফত | ||||||||||
খলিফা | |||||||||||
• ৭৫০–৭৫৪ | আস সাফা (প্রথম) | ||||||||||
• ১২৪২–১২৫৮ | আল মুসতাসিম (শেষ) | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ৭৫০ | ||||||||||
• বিলুপ্ত | ১৫১৭ | ||||||||||
মুদ্রা | দিনার (স্বর্ণ মুদ্রা) দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা) ফালস (তাম্র মুদ্রা) | ||||||||||
| |||||||||||
বর্তমানে যার অংশ | বর্তমান দেশসমূহ
|
আব্বাসীয় খিলাফত নবি মুহাম্মাদ (সা.) এর চাচা আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরদের কর্তৃক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে কুফায় প্রতিষ্ঠিত হয়।[3] ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হয়। পারস্যে ১৫০ বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করার পর খলিফাকে প্রধান কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে স্থানীয় আমিরদের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চাপ দেয়া হয়। খিলাফতকে তার পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ আন্দালুস, মাগরেব ও ইফ্রিকিয়া যথাক্রমে একজন উমাইয়া যুবরাজ, আগলাবি ও ফাতেমীয় খিলাফতের কাছে হারাতে হয়।
মঙ্গোল নেতা হালাকু খানের বাগদাদ দখলের পর ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় খিলাফত বিলুপ্ত হয়। মামলুক শাসিত মিশরে অবস্থান করে তারা ১৫১৭ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় ব্যাপারে কর্তৃত্ব দাবি করতে থাকেন। যদিও রাজনৈতিক ক্ষমতার অভাব (কায়রোর খলিফা আল-মুস্তাইনের সংক্ষিপ্ত ব্যতিক্রম ছাড়া), রাজবংশটি ১৫১৭ সালে মিশরের উসমানীয় বিজয়ের আগ পর্যন্ত ধর্মীয় কর্তৃত্ব দাবি করতে থাকে।[4]