Loading AI tools
২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চ্যালেঞ্জ ২ ২০১২ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। রাজা চন্দ পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছে দেব[1] ও টেলিভিশনের স্বনামধন্য তারকা পূজা বোস। ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র চ্যালেঞ্জের সিক্যুয়েল নয় এটি। এটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে গড়ে উঠেছে। কলকাতা ছাড়াও এই ছবি মালয়েশিয়া, দুবাই এবং মুম্বইয়ে শ্যুটিং হয়েছে। ২০১৩ সালে রংবাজ এবং ডিসেম্বরের ছবি চাঁদের পাহাড়ের আগে পর্যন্ত এই ছবির বাজেট ছিল সর্বোচ্চ (প্রায় ১৪০ মিলিয়ন)[2]। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু চলচ্চিত্র ডুকুডুর[3] পুন”নির্মাণ এটি। শ্রীনু ভাইতালা পরিচালিত সেই চলচ্চিত্র অভিনয় করেছিল মহেশ বাবু ও সামান্থা।
চ্যালেঞ্জ ২ | |
---|---|
পরিচালক | রাজা চন্দ |
প্রযোজক | শ্রীকান্ত মোহতা মহেন্দ্র সোনী |
রচয়িতা | এন.কে. সলিল রাথী বিশ্বাস গোপীমোহন |
শ্রেষ্ঠাংশে | দেব পূজা বোস তাপস পাল আশিষ বিদ্যার্থী খরাজ মুখোপাধ্যায় |
সুরকার | জিৎ গাঙ্গুলী স্যাভি গুপ্ত |
চিত্রগ্রাহক | শৈলেশ আওয়াস্তি |
সম্পাদক | রবিরঞ্জন মৈত্র জাহিদুল ইসলাম শুভ |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
আইপিএস কর্মকর্তা অভিরাজ রায় (দেব) মুম্বাইয়ের সাহসী এবং বিখ্যাত একজন অফিসার। তাকে মাফিয়া ডন গুরুনায়েক (আশিষ বিদ্যার্থী) ধরার মিশন দেয়া হয়। তার পিতা দেবরাজ রায় (তাপস পাল) আদর্শবাদী নেতা ছিলেন এবং তাকে একটি দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। পরে যদিও জানা যায় যে সে আসলে মরেনি, কোমায় ছিল; প্রথমে সকলেই জানত সে মারা গেছে। অভি তার সহকর্মীদের সাথে মালয়েশিয়া যায় ডনের ছোটভাই বান্টিকে (সুরজিৎ সেন) ধরতে। তাকে পাবার পর জানা যায়, তার বাবার দুর্ঘটনার পিছনে অপূর্ব ঘোষ (দীপংকর দে)-এর হাত ছিল।
এরইমধ্যে সে পূজা বক্সীর (পূজা বোস) প্রেমে পড়ে। পূজা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, যে মালয়েশিয়ায় ফ্যাশনের কাজ করতে যায়। পূজা অভির বস অজিত বক্সীর (রজতাভ দত্ত) মেয়ে। এদিকে দেবরাজ যখন কোমা থেকে ফিরে আসে, ডাক্তারেরা বলে দেয়, যে কোন শক তাকে আবারও কোমায় নিয়ে যেতে পারে। তাই অভি তার বাড়িতে নকল সেট সাজায়, যেন তার বাবা মনে করে সে একজন নেতা। কারণ তার বাবার ইচ্ছা ছিল সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। সে স্বর্নকমল-এর (খরাজ মুখোপাধ্যায়) সহায়তায় তার অভিনয় চালিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে গুরুনায়েক-এর সব সাথীকে মেরে ফেলে। এবং এক পর্যায়ে সে অনেক কষ্ট করে সেই ডনকে মেরে ফেলে।
চলচ্চিত্রের শেষে দেখা যায় দেবরাজ জানতে পারে যে তার ছেলে আসলে এক আইপিএস কর্মকর্তা। সে দুঃখ পায়, কিন্তু এটা ভেবে খুশি হয়, যে তার ছেলে তার জন্যই এটা করেছে।[4]
চলচ্চিত্রটি ১৯শে অক্টোবর, ২০১২ সালে (দূর্গা পঞ্চমীর দিন) সারা ভারতে ২৭০টি থিয়েটার জুড়ে একসাথে মুক্তি পায়। এরমধ্যে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, বিহার, আসাম, ত্রিপুরা, ছত্রিশগড় এবং মধ্য প্রদেশ উল্লেখযোগ্য।[5][6][7] এছাড়া মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিনেও মুক্তি পায়। প্রযোজক মাহেন্দ্র সোনি বলেন, এই প্রথ কোন বাংলা চলচ্চিত্র একযোগে এত স্থানে মুক্তি পেল এবং হিট হল। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এই চলচ্চিত্র বাংলার বাইরেও মুক্তি দেয়ার কথা ভাবেন।[8] শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস চলচ্চিত্রটিকে দেশের বাইরে মুক্তি দেবার কথাও ভেবেছিলেন।[9][10]
চ্যালেঞ্জ ২ | |
---|---|
চলচ্চিত্রের গান | |
মুক্তির তারিখ | অক্টোবর, ২০১২ |
শব্দধারণের সময় | ২০১২ |
ঘরানা | চলচ্চিত্রের গান |
সঙ্গীত প্রকাশনী | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস – ভি মিউজিক |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
জিৎ গাঙ্গুলীএবং স্যাভি গুপ্ত এই চলচ্চিত্রের সংগীতের কাজ করেন।
নং | গান | গায়ক/গায়িকা | সময় (মিনিট:সেকেন্ড) | সুর | কথা |
---|---|---|---|---|---|
১ | "চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা" | সুরয জগন | ৪:২০ | জিৎ গাঙ্গুলী | প্রসেনজিত মুখোপাধ্যায় |
২ | "পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে" | অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও আকৃতি কক্কর | ৪:১১ | জিৎ গাঙ্গুলী | রাজা চন্দ |
৩ | "এলো যে মা" | অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও শ্রেয়া ঘোষাল | ৫:০৭ | জিৎ গাঙ্গুলী | প্রিয় চট্টোপাধ্যায় |
৪ | "পেয়ার কা বুখার" | সুরয জগন | ৩:২২ | স্যাভি গুপ্ত | স্যাভি গুপ্ত |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.