জেসি ড্যানিয়েল রাইডার (ইংরেজি: Jesse Ryder; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৮৪) ওয়েলিংটনের মাস্টারটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলছেন। এছাড়াও জেসি রাইডার কার্যকরী মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে পারদর্শী। এরপূর্বে ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট এ ক্রিকেটে খেলছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জেসি ড্যানিয়েল রাইডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাস্টারটন, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ৬ আগস্ট ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম, মাঝে-মধ্যে অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪১) | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ ডিসেম্বর ২০১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৬) | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২-০৪ | সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-১৩ | ওয়েলিংটন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-১২ | পুনে ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | ওতাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | মেলবোর্ন রেনেগেডেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন, ৫ মার্চ ২০১৪ |
খেলোয়াড়ী জীবন
৩০ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ১২-সদস্যের নিউজিল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক দলে ও ১৩-সদস্যের একদিনের আন্তর্জাতিক দলের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নির্বাচক ও ব্যবস্থাপক স্যার রিচার্ড হ্যাডলি এ প্রসঙ্গে বলেন যে, উভয় ধরনের খেলায় ইনিংসের সূচনাকল্পে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের যোগ্য সঙ্গী তিনি।[1] কিন্তু সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার অ্যাডাম প্যারোরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেন ও রাইডারকে দল থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দেন। তার মতে, সে বেশ মোটা ও নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্য উপযুক্ত নয়।[2]
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ জয়ের পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের একটি বারের টয়লেট ভাঙ্গার চেষ্টাকালে তার হাত মারাত্মকভাবে কেটে যায়। এরফলে রাইডারের ২০০৭-০৮ মৌসুমে খেলা শেষ হয়ে যায়।[3]
২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ৩১ রান সংগ্রহ করার পর রোগ সংক্রমণের কারণে প্রতিযোগিতায় তিনি আর কোন খেলায় অংশ নেননি। পরবর্তীতে আরন রেডমন্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন।[4]
কীর্তিগাঁথা
নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে রাইডার তার প্রথম দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেন। ২০১ রানের ঐ ইনিংস খেলার সময় রস টেলরের (১৫১) সাথে ২৭১ রানের জুটি গড়েন। যে-কোন দলের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ রানটি নতুন রেকর্ডের সৃষ্টি করে ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট জুটি। নাথান অ্যাসলের পর তিনিই প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় যিনি পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকান।[5]
অবসর
৮ মার্চ, ২০১২ তারিখে ব্যক্তিগত আঘাতজনিত অসুস্থতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের ইতিহাসে সম্পৃক্ততার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।[6] ডিসেম্বর, ২০১২ সালে খেলায় সুন্দর অবস্থানে থাকা স্বত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত নন বলে জানান। অথচ, ১১ ডিসেম্বর তারিখে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে তিনি ১৭৪ বলে ১৬২ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[7]
প্রত্যাবর্তন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে কুইন্সটাউন ইভেন্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত খেলায় কোরে অ্যান্ডারসনকে সাথে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কার ইনিংস গড়তে সহায়তা করেন। রাইডার ৬ষ্ঠ দ্রুততম শতক গড়েন ৪৬ বলে। ৫ ছক্কায় তিনি ১০৪ রান করেন। তার সাথে অ্যান্ডারসন ৩৬ বলে দ্রুততম শতরান করেন ও শহীদ আফ্রিদি'র ১৭ বছর পূর্বেকার গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.