হিন্দি ভাষা(দেবনাগরী: हिन्दी, প্রতিবর্ণী: হিন্দী), অথবা আরও সঠিকভাবে আধুনিক প্রমিত হিন্দি (দেবনাগরী: मानक हिन्दी, প্রতিবর্ণী: মানাক্ হিন্দী),[১২] হল একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা প্রধানত উত্তর ভারতে কথিত হয়। হিন্দিকে হিন্দুস্তানি ভাষার একটি প্রমিত ও সাংস্কৃতায়ন নিবন্ধন[১৩] হিসেবে বর্ণনা করা হয়, যেটি নিজেই মূলত দিল্লি ও উত্তর ভারতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের খারিবোলি উপভাষার উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে।[১৪][১৫][১৬] ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি দেবনাগরী লিপিতে লিখিত হিন্দি হল ভারত সরকারের দুটি দাপ্তরিক ভাষার মধ্যে একটি।[১৭] ভাষাটি ভারতের ৯ টি রাজ্য ও ৩ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাপ্তরিক ভাষা এবং অন্যান্য ৩ টি রাজ্যে একটি অতিরিক্ত দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃত।[১৮][১৯][২০][২১] হিন্দি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ২২ টি তফসিলি ভাষার মধ্যে একটি।[২২]
হিন্দি | |
---|---|
আধুনিক প্রমিত হিন্দি | |
हिन्दी হিন্দী | |
উচ্চারণ | হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: [ˈɦin̪d̪iː] |
দেশোদ্ভব | ভারত |
অঞ্চল | হিন্দি বলয় |
মাতৃভাষী | প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা: হিন্দি ও বিভিন্ন সম্পর্কিত ভাষার ৩২.২ কোটি ভাষাভাষীরা তাদের ভাষাকে 'হিন্দি' বলে প্রতিবেদন করেছেন[১] (২০১১-এর আদমশুমারি)[২] দ্বিতীয় ভাষা: ২৭ কোটি (২০১৬)[৩] |
ইন্দো-ইউরোপীয়
| |
পূর্বসূরী | সৌরসেনী প্রাকৃত
|
উপভাষা |
|
| |
স্বাক্ষরিত রূপ | চিহ্ন ভাষা |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | ভারত |
সংখ্যালঘু ভাষায় স্বীকৃত | |
নিয়ন্ত্রক সংস্থা | কেন্দ্রীয় হিন্দি নির্দেশালয় (ভারত)[১০] |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-১ | hi |
আইএসও ৬৩৯-২ | hin |
আইএসও ৬৩৯-৩ | hin |
ভাষাবিদ তালিকা | hin-hin |
গ্লোটোলগ | hind1269 [১১] |
লিঙ্গুয়াস্ফেরা | 59-AAF-qf |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারতে প্রথম ভাষা (মাতৃভাষা) হিসাবে স্ব-প্রতিবেদিত হিন্দিভাষীদের ঘনত্বের মানচিত্র।
০% ১০০% |
হিন্দি হল হিন্দি বলয় ও ক্ষুদ্রতর ব্যাপ্তিতে ভারতের অন্যান্য অংশের সংযোগস্থাপনকারী ভাষা (সাধারণত বাজার হিন্দুস্তানি বা হাফলং হিন্দির মতো একটি সরলীকৃত বা পিডগিনিসড বৈচিত্র্য)।[১৮][২৩] ভারতের বাইরে, অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভাষা সরকারিভাবে "হিন্দি" হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু সেই ভাষাসমূহ এখানে বর্ণিত মান্য বা প্রমিত হিন্দি ভাষাকে উল্লেখ করে না এবং পরিবর্তে আওয়াধি ও ভোজপুরির মতো অন্যান্য উপভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এই ধরনের ভাষাসমূহের মধ্যে রয়েছে ফিজি হিন্দি, যা ফিজিতে সরকারী[২৪] এবং ক্যারিবীয় হিন্দুস্তানি, যা ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গায়ানা এবং সুরিনামে কথিত হয়।[২৫][২৬][২৭][২৮] লিপি ও আনুষ্ঠানিক শব্দভান্ডার ছাড়াও, হিন্দুস্তানির আরেকটি স্বীকৃত নিবন্ধন প্রমিত উর্দুর সঙ্গে প্রমিত হিন্দি পারস্পরিকভাবে বোধগম্য, কারণ উভয়েরই একটি সাধারণ চলিত ভাষা ভিত্তি রয়েছে।[২৯]
একটি ভাষাগত বৈচিত্র্য হিসাবে, ম্যান্ডারিন, স্প্যানিশ ও ইংরেজির পরে হিন্দি চতুর্থ সর্বাধিক কথিত প্রথম ভাষা।[৩০] হিন্দুস্তানি হিসাবে মান্দারিন ও ইংরেজির পরে উর্দুর পাশাপাশি হিন্দি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক কথিত ভাষা।[৩১][৩২]
উৎপত্তি
হিন্দী ভাষার এর উৎপত্তি হয় দিল্লির খাড়িবুলি ভাষার সাথে আরবি, ফারসি ও তুর্কি ভাষার সংমিশ্রণে।[৩৩] মুসলিম শাসন উত্তর ভারতে বিস্তৃত হওয়া শুরু করলে এর মাধ্যমে স্থানীয় ভাষায় ফার্সি শব্দ প্রবেশ শুরু হয়।[৩৩] হিন্দি ভাষাও খাড়িবুলি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।[৩৩]
সময়ের প্রেক্ষিতে উর্দু একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে ঘোষিত হলেও, প্রধান প্রধান উর্দু লেখক বৃন্দ 19তম শতকের শুরু পর্যন্ত তাদের ভাষাটিকে হিন্দি বা হিন্দভি হিসাবে উল্লেখ করতে থাকেন।[৩৪]
যেমন গুলাম হমদান মুসহাফি তার কবিতায় লিখেছেন: -
“ |
মুসহাফি ফার্সি কো তাক পহ রাখ অব হ্যায় অশয়ার ই হিন্দবী কা রিওয়াজ[৩৫]
|
” |
মীর তাকি মীর নিজের শায়েরীতে লিখছেন:-
“ |
না জানে লোগ কেহতে হ্যায় কিসকো সুরূর ই ক্বলব আয়া নেহি য়ে লফজ তো হিন্দী জবান কে বীচ৷[৩৬] |
” |
এবং মির্জা গালিবের কাদির নামা তে লেখা আছে:-
“ | হিন্দী চিড়িয়া ফ়ার্সী গুঞ্জিশ্ক হ্যায়, মেংগনী জিস কো কহেঁ ওহ পিশ্ক হ্যায়[৩৭] | ” |
ইতিহাস
মধ্য ইন্দো-আর্য থেকে হিন্দি
অন্যান্য ইন্দো-আর্য ভাষার মতো হিন্দি বৈদিক সংস্কৃতের আদিরূপ থেকে শৌরসেনী প্রাকৃত ও শৌরসেনী অপভ্রংশ হয়ে উৎপত্তিলাভ করেছে।[৩৮]
যেসব ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে মধ্য ইন্দো-আর্য থেকে হিন্দি ভাষা উৎপত্তিলাভ করেছে তা হলো:[৩৯]
- দীর্ঘ ব্যাঞ্জনধ্বনির পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির দীর্ঘীকরণ: সং. hasta (হাত) > প্রাকৃ. hattha > hāth
- শব্দের শেষের স্বরধ্বনির বিলুপ্তি: rātri (রাত) > rattī > rāt
- নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি থেকে নাসিক্য দীর্ঘ স্বরধ্বনির উৎপত্তি: bandha (বন্ধন) > bā̃dh
- শ্বাসাঘাত পড়ে না এরকম হ্রস্ব স্বরধ্বনির বিলুপ্তি: susthira (সুস্থির) > sutthira > suthrā
- শব্দের শেষের -m, -ṽ-এ পরিণত হওয়া: grāma (গ্রাম) > gāma > gāṽ
- স্বরধ্বনির মাঝের -ḍ-, -ṛ- কিংবা -l--এ পরিণত হওয়া: taḍāga (পুকুর) > talāv
- v, b-এ পরিণত হওয়া: vivāha (বিবাহ) > byāh
হিন্দুস্থানি ভাষা
দিল্লি সালতানাত বর্তমান কালের উত্তর ভারত, পাকিস্তানের পূর্বাংশ, দক্ষিণ নেপাল ও বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল[৪০] এবং এর ফলে হিন্দু ও মুসলিম সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটেছিল। সেই সময় প্রাচীন হিন্দি, ফার্সি শব্দ দ্বারা সমৃদ্ধ হতে লাগল, যার ফলে হিন্দুস্থানি ভাষার জন্ম হয়েছিল।[৪১][৪২][৪৩][৪৪][৪৫][৪৬] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুস্থানি ভারতের জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল[৪৭][৪৮] এবং এটি উত্তর ভারতীয়দের সাধারণ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হতে লাগল,[৪৯] যা বলিউড চলচ্চিত্র ও গানে প্রতিফলিত হয়।[৫০][৫১]
স্বাধীন ভারত
১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯-এ ভারতের গণপরিষদ ভারতের সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দু ভাষার পরিবর্তে দেবনাগরী লিপিতে হিন্দি ভাষাকে গ্রহণ করেছিল।[৫২][৫৩][৫৪] ততক্ষণ সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী হিন্দির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, বিশেষত বেওহার রাজেন্দ্র সিংহ, হাজারি প্রসাদ দ্বিবেদী, কাকা কালেলকর, মৈথিলী শরণ গুপ্ত এবং শেঠ গোবিন্দ দাস, যাঁরা এব্যাপারে সংসদে তর্কবিতর্ক করেছিলেন। এর ফলে, বেওহার রাজেন্দ্র সিংহের ৫০তম জন্মদিনে, অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯-এ হিন্দি সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।[৫৫] বর্তমানে এই দিনটি হিন্দি দিবস হিসেবে পালিত হয়।[৫৬]
সরকারি ব্যবহার
ভারত
ভারতের সংবিধানের ১৭ নং ভাগ ভারতীয় সংঘের সরকারি ভাষা সম্বন্ধে আলোচনা করে। ৩৪৩ নং অনুচ্ছেদে সংঘের সরকারি ভাষা হিসেবে দেবনাগরী লিপিতে হিন্দি এবং ইংরেজির নাম উল্লেখ আছে।[৫৭]
এটা ভাবা হয়েছিল যে ১৯৬৫ সালের মধ্যে হিন্দি ভাষা ভারত সরকারের একমাত্র সরকারি ভাষা হবে (৩৪৪ (২) ও ৩৫১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী),[৫৮] যেখানে রাজ্য সরকার তাদের পছন্দমতো ভাষায় কাজকর্ম করতে পারবে। কিন্তু, হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে অহিন্দিভাষীরা, বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয়রা, বিক্ষোভ শুরু করেছিল (যেমন তামিলনাড়ু রাজ্যে হিন্দি বিরোধী আন্দোলন)। এর ফলে সরকারি ভাষা আইন, ১৯৬৩ লাগু হয়েছিল এবং সমস্ত সরকারি কাজকর্মে অনির্দিষ্টকাল ধরে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার হতে লাগল, তবে সংবিধানে কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দি ভাষা প্রচার করার নির্দেশিকা বজায় রাখা হয়েছে এবং এটি সরকারের পদক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।[৫৯]
রাজ্যস্তরে হিন্দি ভাষা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের সরকারি ভাষা।[৬০] গুজরাতে হিন্দি ও গুজরাতি উভয়ই সরকারি ভাষা।[৬১][৬২] পশ্চিমবঙ্গের যেসব মহকুমা বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের জনসংখ্যার ১০%-এর বেশি হিন্দিভাষী, সেইসব মহকুমা বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে এটি অতিরিক্ত সরকারি ভাষা।[৬৩][৬৪][৬৫] একইভাবে, হিন্দি আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ ও দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি ভাষা।
সংবিধানে কোনো জাতীয় ভাষার উল্লেখ না থাকলেও এটা বিশ্বাস করা হয় যে হিন্দি ভারতের জাতীয় ভাষা। এই বিশ্বাস কখনো কখনো বিতর্কের জন্ম দেয়।[৬৬][৬৭][৬৮] ২০১০ সালে গুজরাত উচ্চ আদালত বলেছিল যে হিন্দি ভারতের জাতীয় ভাষা নয় কারণ সংবিধানে এরকম কোনো উল্লেখ নেই।[৬৯][৭০] ২০২১ সালে গঙ্গম সুধীর কুমার রেড্ডি এবং নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স অ্যাক্ট সঙ্ক্রান্ত মামলায় বোম্বাই উচ্চ আদালত রেড্ডির জামিন বাতিল করে দাবি করেছিল যে হিন্দি ভারতের জাতীয় ভাষা। রেড্ডি বোম্বাই উচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে হিন্দি ভারতের জাতীয় ভাষা নয়।[৭১][৭২][৭৩] ২০২১ সালে ভারতীয় খাদ্য ডেলিভারি কোম্পানি জোম্যাটো বিতর্কের শামিল হয়েছিল যখন এক কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ তামিলনাড়ুর এক ব্যবহারকারীকে বলেছিলেন, "হিন্দি আমাদের জাতীয় ভাষা।" জোম্যাটো ঐ কর্মীকে বাদ দিয়েছিলেন এবং তিনি পরে পুনরায় নিযুক্ত হলেন।[৭৪][৭৫]
ফিজি
এশিয়া মহাদেশের বাইরে ফিজিতে অবধি, ভোজপুরি, ফিজীয় ও ইংরেজি ভাষার মিশ্র ভাষা প্রচলিত।[৭৬][৭৭] ১৯৯৭ সালের ফিজির সংবিধান অনুযায়ী এটি ফিজির সরকারি ভাষা,[৭৮] যেখানে এটি "হিন্দুস্তানি" বলে অবিহিত করা হয়েছিল। তবে ২০১৩ সালের ফিজির সংবিধানে একে ফিজি হিন্দি বলে অবিহিত করা হয়।[৭৯]
সংযুক্ত আরব আমিরাত
হিন্দি আবুধাবি আমিরাতের আদালতের তৃতীয় দাপ্তরিক ভাষা।[৮০] অর্থাৎ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভারতীয় শ্রমিকেরা তাঁদের নিজস্ব মাতৃভাষায় দেশের শ্রমিক আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করতে পারেন।[৮১]
লিখন পদ্ধতি
দেবনাগরী লিপিতে লেখা সাহিত্যিক বা লেখ্য হিন্দি ভাষায় সংস্কৃতের বড় প্রভাব রয়েছে। তবে ঊনবিংশ শতকের শেষ পর্যন্ত হিন্দি ভাষা নাস্তালিক ও কায়থী হরফের দ্বারাও ব্যাপক ভাবে লেখা হত৷[৮২][৮৩]
উপভাষা ও অন্যান্য ভাষার সঙ্গে সম্পর্ক
দিল্লির উত্তর ও পূর্বে প্রচলিত খাড়ি বোলি উপভাষা লেখ্য হিন্দির ভিত্তি। এছাড়া হিন্দির একটি উপভাষা ব্রজ ভাষায় ১৫শ শতক থেকে ১৭শ শতক পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য রচিত হয়। হিন্দির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপভাষার মধ্যে আওয়াধি, বাঘেলি, ছত্তিশগড়ি, বুন্দেলি ও কনৌজি অন্যতম। তবে ছত্তিসগড়ি,ভোজপুরি সহ অন্যান্য স্বতন্ত্র ভাষাকে এটি রাজনৈতিকভাবে আগ্রাসনের শিকার করেছে।
ব্যাকরণ
হিন্দি ভাষার বিভক্তি ব্যবস্থা সংস্কৃতের তুলনায় সরল। বিভক্তির তুলনায় অনুসর্গই বেশি ব্যবহৃত হয়। হিন্দিতে দুইটি ব্যাকরণিক লিঙ্গ রয়েছে (গুজরাতি ও মারাঠিতে লিঙ্গের সংখ্যা তিন)। ক্রিয়াগুলোতেও বিভক্তির জটিলতা কম।
সাহিত্য
হিন্দি সাহিত্য চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত: ভক্তি (কবিরদাস), শৃণগার (কেশব, বিহারী), বিগাথা ও আধুনিক।
আরও দেখুন
টীকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.