মাতৃভাষা

একজন ব্যক্তি জন্ম থেকে যে ভাষায় কথা বলে বড় হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা, প্রথম/প্রাথমিক ভাষা বা স্থানীয়/নিজস্ব ভাষা পরিভাষাটির সংজ্ঞা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা, অথবা এমন কোন ভাষা যা শিশুর বিকাশের জন্য মায়ের মতই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যে ভাষায় কথা বলতে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী, যে ভাষাটি সে তার পিতামাতা বা অভিভাবকের কাছ থেকে ছোটবেলায় শিখেছে ও ভাষাটি যে অঞ্চলে বহুল প্রচলিত, সে অঞ্চলের মানুষের মতই ভাষাটিতে কথা বলতে সক্ষম, তাকে সাধারণভাবে মাতৃভাষা বা প্রাথমিক ভাষা বলা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদান করে।

Thumb
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্তম্ভ উদ্বোধন।
Thumb
নাখচিভান, আজারবাইজানে মাতৃভাষা ("আনা দিলি") এর স্মৃতিস্তম্ভ

ব্যুৎপত্তি

ইভান ইলিচের মতে ক্যাথলিক পূজারীগণ লাতিন ভিন্ন অন্য কোন ভাষাকে বুঝাতে "মাতৃভাষা" শব্দের প্রথম ব্যবহার করেন।[][] কেনিয়া, ভারত, ও পূর্ব এশিয়া কয়েকটি দেশে "মাতৃভাষা" বলতে কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে "মাতৃভাষা" বলতে কোন ভাষায় পারদর্শী তা নয়, বরং কোন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে বুঝানো হয়।

গুরুত্ব

একটি শিশুর মাতৃভাষা হল তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ।[] মাতৃভাষা সফলভাবে কাজ ও কথা বলার সামাজিক ধরনকে প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করে। মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষা বলে কিছু নেই এমন যুক্তিও রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরের লোকজনও দুই বছরের মধ্যে সেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।[] তবু্ও মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি একজন মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এবং সাংস্কৃতিক ভিত্তি গড়ে তোলে। সর্বোপরি এই ভাষা দেশ এবং মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলে।

তথ্যসূত্র

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.