শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

ভারতরত্ন

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ভারতরত্ন
Remove ads

ভারতরত্ন (হিন্দি: भारत रत्न, হিন্দি উচ্চারণ: [bʰaːrt̪ rt̪ n]; ভারতের রত্ন)[] হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি এই সম্মান চালু হয়। জাতি, পেশা, পদমর্যাদা বা লিঙ্গ নির্বিশেষে "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ" এই সম্মান প্রদান করা হয়।[][][] প্রথম দিকে এই সম্মান কেবলমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও জনসেবায় বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদেরই দেওয়া হত। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত সরকার এই সম্মান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে "মানবিক কৃতিত্বের যে কোনো ক্ষেত্র" নামে আরো একটি শর্ত যুক্ত করে।[] যাকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয় তার নাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেন। বছরে সর্বোচ্চ তিন জনকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। প্রাপক ভারতের রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর-সংবলিত একটি সনদ (প্রশংসাপত্র) এবং অশ্বত্থ পাতার আকৃতি-বিশিষ্ট একটি পদক পান। এই সম্মানের সঙ্গে কোনো অর্থমূল্য দেওয়া হয় না। ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে ভারতরত্ন প্রাপকদের স্থান সপ্তম। তবে এই সম্মানের নাম উপাধি হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা আছে।

দ্রুত তথ্য ভারতরত্ন, ধরন ...
Remove ads

১৯৫৪ সালে রাজনীতিবিদ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ও বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন ভারতরত্ন সম্মান পান। তারাই ছিলেন এই সম্মানের প্রথম প্রাপক। তারপর থেকে ৪৫ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা না থাকলেও ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৩ সালে ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান। তিনিই কনিষ্ঠতম ভারতরত্ন প্রাপক। অন্যদিকে ধোন্দো কেশব কার্ভেকে তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়। সাধারণত ভারতীয় নাগরিকদের এই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ১৯৮০ সালে বিদেশি-বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক মাদার টেরেসা ভারতরত্ন সম্মান পান। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিককেও ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানি নাগরিক খান আবদুল গফফর খান এবং ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামী মদনমোহন মালব্য (মরণোত্তর) ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে এই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

১৯৭৭ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতের প্রথম অকংগ্রেসী কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য ব্যক্তিগত বেসামরিক সম্মাননার সঙ্গে ভারতরত্ন সম্মানও রদ করেছিল। এরপর ১৯৯২ সালের আগস্ট থেকে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সম্মানের সাংবিধানিক বৈধতা-সংক্রান্ত কয়েকটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বার এই সম্মান প্রদান বন্ধ ছিল। ১৯৯২ সালে সরকার সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থাকায়, এই সম্মানের সঙ্গে মরণোত্তর শব্দটি যুক্ত করায় সমালোচিত হয় এবং সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার এই সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মাননা প্রদান বাতিল করা হয়। এই একবারই সম্মাননা ঘোষণার পর সেটি বাতিল করা হয়েছিল।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুইন্দিরা গান্ধী যথাক্রমে ১৯৫৫ এবং ১৯৭১ সালে মনোনীত হওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন। কে কামারাজ (১৯৭৬) এবং এম জি রামচন্দ্রনের (১৯৮৮) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারণার লক্ষ্যে হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। বল্লভভাই পটেল (১৯৯১) ও মদনমোহন মালব্যের (২০১৫) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জনও সমালোচিত হয়েছিল।

Remove ads

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতির সচিবের কার্যালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুটি বেসামরিক সম্মাননা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই সম্মাননা দুটি ছিল সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন এবং ত্রিস্তরীয় পদ্মবিভূষণ ("প্রথম বর্গ", "দ্বিতীয় বর্গ" ও "তৃতীয় বর্গ" নামে শ্রেণিবদ্ধ)। উল্লেখ্য, পদ্মবিভূষণ সম্মাননার স্থান ছিল ভারতরত্নের নিচে।[] ১৯৫৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পদ্মবিভূষণ সম্মাননাটিকে পুনরায় তিনটি সম্মাননায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল: পদ্মবিভূষণ (তিনটি সম্মাননার মধ্যে সর্বোচ্চ), পদ্মভূষণপদ্মশ্রী[]

ভারতরত্ন সম্মাননার প্রাপককে ভারতীয় হতেই হবে – এমন কোনো নিয়ম নেই। বিদেশি বংশোদ্ভুত ভারতীয় নাগরিক মাদার টেরেসা ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন সম্মাননা পেয়েছিলেন। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিকও ভারতরত্ন সম্মান পান। পাকিস্তানি নাগরিক খান আবদুল গফফর খান ১৯৮৭ সালে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।[] শচীন তেন্ডুলকর ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান; তিনিই এই সম্মাননার কনিষ্ঠতম প্রাপক।[] ১৯৫৮ সালের ১৮ এপ্রিল ধোন্দো কেশব কার্ভেকে তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল।[][] ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন।[১১]

ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান ইতিহাসে দু-বার রদ করা হয়েছিল।[১২] ১৯৭৭ সালে মোরারজি দেসাই ভারতের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম বার ভারতরত্ন রদ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ১৩ জুলাই তার সরকার সবকটি অসামরিক সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।[১৩][১৪] ১৯৮০ সালের ২৫ জানুয়ারি ইন্দিরা গান্ধী পুনরায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে এই সম্মাননা আবার চালু হয়।[১৫] ১৯৯২ সালের মধ্যভাগে দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অসামরিক সম্মাননাগুলি আবার রদ হয়েছিল। উক্ত মামলা দুটির একটি কেরল হাইকোর্টে এবং অপরটি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলা দুটিতে সম্মাননাগুলির "সাংবিধানিক যৌক্তিকতা" নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।[১২] ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরিসমাপ্তির পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবার এই সম্মাননাগুলি চালু করা হয়।[১৪][১৬]

Remove ads

নিয়মাবলী

সারাংশ
প্রসঙ্গ

ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয় "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ।"[] ১৯৫৪ সালের নিয়ম অনুসারে, শুধুমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজ সেবার ক্ষেত্রেই এই সম্মান প্রদান করা হত।[] ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে নিয়ম পরিবর্তন করে "মানবিক প্রচেষ্টার যে কোনো ক্ষেত্রে" এই সম্মান প্রদানের নিয়ম প্রবর্তিত হয়।[] ১৯৫৪ সালের নিয়মে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে সেই নিয়ম পরিবর্তন করে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা চালু হয়। ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।[][১৭]

ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পদ্ধতি নেই। তবে কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাপকের নাম সুপারিশ করতে পারেন। বছরে সর্বাধিক তিন জনের নাম সুপারিশ করা যায়। যদিও ১৯৯৯ সালে চার জনকে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। ভারতরত্ন প্রাপক রাষ্ট্রপতির সাক্ষর-সংবলিত একটি "সনদ" (শংসাপত্র) এবং একটি পদক পান। এই সম্মানের সঙ্গে কোনো অর্থমূল্য প্রদান করা হয় না। ভারতের সংবিধানের ১৮ (১) ধারা অনুসারে,[] যিনি ভারতরত্ন সম্মান পান, তিনি এই সম্মানটিকে উপাধির আকারে তার নামের আগে বা পরে ব্যবহার করতে পারেন না। তবে তিনি যে ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন, সেটি প্রকাশ করার জন্য "রাষ্ট্রপতি-কর্তৃক ভারতরত্ন সম্মাননা প্রাপ্ত" বা "ভারতরত্ন প্রাপক" জাতীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে পারেন।[] ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রাপকের স্থান ৭ম।[১৯]

ভারত সরকারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রকাশনা বিভাগের দ্য গেজেট অব ইন্ডিয়া নামক প্রকাশনায় বিভিন্ন সরকারি ঘোষণা ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের ঘোষণাও এই প্রকাশনায় ঘোষণা ও নথিভুক্ত করতে হয়। গেজেটে প্রকাশ না করে এই সম্মাননা প্রদান বৈধ বলে গণ্য হয় না। কোনো প্রাপকের থেকে সম্মাননা বাতিল বা প্রত্যাহার করতে হলেও তা গেজেটে নথিভুক্ত করতে হয়। প্রাপকের সম্মাননা বাতিল বা প্রত্যাহারের অধিকার কেবল রাষ্ট্রপতিরই আছে। যাঁর সম্মাননা বাতিল বা প্রত্যাহৃত হয়, তাকে পদকটি ফেরত দিতে হয় এবং নথি থেকে তার নাম কাটা যায়।[][]

Remove ads

বৈশিষ্ট্য

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৫৪ সালে এই সম্মাননার বৈশিষ্ট্য ছিল একটি + ইঞ্চি (৩৫ মিলিমিটার) ব্যাস-বিশিষ্ট গোলাকার সোনার পদক। এই পদকের সামনের দিকে কেন্দ্রে সূর্যের একটি প্রতিকৃতি অঙ্কিত থাকত। তার উপরে দেবনাগরী হরফে "ভারতরত্ন" শব্দটি রুপোর গিল্টিতে এবং নিচের দিকে শিরোমাল্য খোদিত থাকত। পিছনের দিকে কেন্দ্রে প্ল্যাটিনামে খচিত ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং তার নিচে রুপোর গিল্টিতে ভারতের জাতীয় নীতিবাক্য "সত্যমেব জয়তে" দেবনাগরী লিপিতে খোদিত থাকত।[]

এক বছর পর পদকের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তিত নকশাতেই বর্তমান পদকটি দেওয়া হয়। বর্তমান পদকটি একটি অশ্বত্থ পাতার আকৃতিবিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য +১৬ ইঞ্চি (৫৯ মিলিমিটার), প্রস্থ + ইঞ্চি (৪৮ মিলিমিটার) এবং স্থূলতা ইঞ্চি (৩.২ মিলিমিটার)। পদকটিতে প্ল্যাটিনামের বেড় দেওয়া থাকে। সামনের দিকে প্ল্যাটিনামে নির্মিত সূর্যের প্রতীক চিহ্নটি বর্তমান। এটির ব্যাস ইঞ্চি (১৬ মিলিমিটার)। সূর্যের রশ্মিগুলির দৈর্ঘ্য ইঞ্চি (২১ মিলিমিটার) থেকে ইঞ্চি (১৩ মিলিমিটার) পর্যন্ত (সূর্যের কেন্দ্র থেকে)। সামনের দিকে ১৯৫৪ সালের পদকটির মতোই "ভারতরত্ন" কথাটি খচিত। অন্যদিকে প্রথম পদকটির মতোই ভারতের জাতীয় প্রতীক ও "সত্যমেব জয়তে" কথাটি খোদিত। ২-ইঞ্চি-প্রশস্ত (৫১-মিলিমিটার) একটি সাদা রিবনের মাধ্যমে পদকটিকে প্রাপকের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।[][১২][২০] ১৯৫৭ সাল থেকে রুপোর গিল্টির পরিবর্তে পালিশ-করা ব্রোঞ্জ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[][২১] পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, এবং পরমবীর চক্র অন্যান্য অসামরিক ও সামরিক পুরস্কারের পাশাপাশি "ভারতরত্ন" পদক কলকাতার আলিপুর টাঁকশালে তৈরি হয়।[২২]

সুবিধা

ভারতরত্ন পুরস্কার পেলে যদিও কোন অর্থ দেওয়া হয় না।তবে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।যেমনঃ

বিতর্ক

সারাংশ
প্রসঙ্গ

ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সম্মাননা প্রদানের বিরুদ্ধে একাধিকবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে

স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে এই পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হলে, তিনি জানিয়ে দেন পুরস্কার নির্বাচক সমিতির কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানও করেন। পরে ১৯৯২ সালে তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[২৪]

সুভাষচন্দ্র বসুকে পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে
Thumb
১৯৯২ সালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল ঘোষণা করে।

১৯৯২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। "মরণোত্তর" সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।[২৫] মামলাকারী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, সম্মাননার তুলনায় মহত্তর কোনো ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান প্রদান হাস্যকর এবং এর ফলে অতীত ও ভবিষ্যতের ভারতরত্ন প্রাপকদের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের অযৌক্তিক তুলনা শুরু হতে পারে। তাছাড়া মামলায় আরও জানানো হয় যে, ভারত সরকার সরকারিভাবে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর ঘটনাকে স্বীকার করে নেয়নি। মামলাকারী উক্ত তারিখের পর সুভাষচন্দ্র কোথায় ছিলেন সেই সম্পর্কে ১৯৫৬ সালের শাহনওয়াজ কমিটি ও ১৯৭০ সালে খোসলা কমিটির প্রতিবেদনও জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। এছাড়া সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মীয়রা এই সম্মান গ্রহণে অসম্মতি জানান।[২৬][২৭]

মামলায় রায়দানের জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি সুজাতা ভি. মনোহর ও জি. বি. পট্টনায়েককে নিয়ে একটি স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণপদ্মশ্রী সম্মাননা প্রদানের জন্য প্রাপকের নাম দ্য গেজেট অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত হওয়া এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক রক্ষিত প্রাপক রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আবশ্যক।[] আরও বলা হয় যে, সম্মান প্রদানের বিষয়টি শুধুমাত্র সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণাই করা হয়েছিল। সরকার দ্য গেজেট অফ ইন্ডিয়া-য় প্রাপকের নাম অন্তর্ভুক্ত করেনি। তাছাড়া ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আর. ভেঙ্কটরমন (১৯৮৭-৯২) ও শঙ্কর দয়াল শর্মা (১৯৯২-৯৭) তাদের স্বাক্ষর ও সিলমোহর সহ প্রাপকের নামে কোনো সনদ প্রকাশ করেননি।[২৬]

১৯৯৭ সালের ৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যেহেতু সম্মান দেওয়া হয়নি, সেহেতু এটি বাতিল করা যাবে না। ঘোষণা করা হয়, প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল বলে গণ্য করা হবে। তবে আদালত সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু ও "মরণোত্তর" শব্দটির উল্লেখ নিয়ে কোনো রায় দিতে অস্বীকার করে।[২৬][২৮]

সি এন আর রায় এবং শচীন তেন্ডুলকর (২০১৩)
Thumb
সি এন আর রায়, ২০০৪ সালে
Thumb
শচীন তেন্ডুলকর, ২০১৪ সালে

নভেম্বর ২০১৩ সালে, সি এন আর রায় এবং শচীন তেন্ডুলকরকে ভারতরত্ন পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয়ার পর, পুরস্কারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করা হয়। সি এন আর রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাললায় উল্লেখ করা হয়, অন্যান্য ভারতীয় বিজ্ঞানীদের যেমন হোমি ভাবা এবং বিক্রম সারাভাইয়ের তার থেকে বেশি অবদান রয়েছে এবং তার ১৪০০টি গবেষণাপত্র প্রকাশের ঘটনাও "শারীরিকভাবে অসম্ভব" ছিল বলে দাবি জানায়। তারা এই মামলার হিসাবে বিষয়টিকে কুম্ভীলকবৃত্তি প্রমাণিত করে বলেন, তাকে পুরস্কার প্রদান করা উচিত নয় বরং নাকচ করাই উচিত।[২৯] তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয় যে তেন্ডুলকরকে ভারতরত্ন পদকে ভূষিত করা মডেল কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন। আবেদনকারী উল্লেখ করেন যে তেন্ডুলকর ছিলেন একজন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য, তাই তাকে ভারতরত্ন পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, এবং মিজোরামের ভোটারদের প্রভাবিত করবে কারণ সে সময়ে এই অঞ্চলগুলোতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছিল।[৩০] তেন্ডুলকর এবং কয়েকজন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরেকটি মাললা হল, একজন ভারতীয় হকি খেলোয়াড় ধ্যান চাঁদের "ষড়যন্ত্র অভিযোগের উপেক্ষা"।"[৩১][]

ভারতের অন্যান্য উচ্চ আদালত সেইসাথে রাও এবং তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আবেদন খারিজ করে দেয়।[৩২]

Remove ads

সমালোচনা

সারাংশ
প্রসঙ্গ

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘন ঘন ভারতরত্ন প্রদান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বদের উপেক্ষা করার অভিযোগ একাধিকবার উত্থাপিত হয়েছে। ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদানের সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে করেন। সেই হিসেবে, ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু (১৯৪৭-৬৪) ও ১৯৭১ সালে অপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (১৯৬৬-৭৭, ১৯৮০-৮৪) বিরুদ্ধে নিজেদের ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে।[৩৩][৩৪]

১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (১৯৮৪-৮৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম. জি. রামচন্দ্রনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করেন। তার এই সিদ্ধান্ত ১৯৮৯ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল।[৩৫][৩৬] স্বাধীনতা সংগ্রামী ভীমরাও রামজি আম্বেডকরবল্লভভাই প্যাটেলের আগে রামচন্দ্রনকে ভারতরত্ন প্রদান করা নিয়েও সমালোচনা হয়। উল্লেখ্য, আম্বেডকর ও প্যাটেলকে যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।[৩৭]

রবি শংকরের বিরুদ্ধে ভারতরত্নের জন্য তদ্বির করার অভিযোগ ওঠে।[৩৩] ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক কে. কামরাজকে ভারতরত্ন প্রদান ১৯৭৭ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে সমালোচিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের বিরুদ্ধে দলিতদের প্রভাবিত করার জন্য আম্বেডকরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের অভিযোগ ওঠে।[৩৪][৩৫]

কয়েকজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পরে তাদের ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।[৩৮] উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ১৯৭৯ সালে মাদার টেরিজা নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করলে ১৯৮০ সালে তাকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়। আবার ১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার পাওয়ার পর ভারতরত্ন পান।[৩৯][৪০] আবার ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ানান তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে অমর্ত্য সেনের নাম ভারতরত্ন সম্মানের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী তার সুপারিশ মেনে নেন।[৪১][৪২]

Remove ads

জনপ্রিয় দাবি

সারাংশ
প্রসঙ্গ

সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, ভারতরত্ন প্রদানের সুপারিশ একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রপতির কাছে করতে পারেন।[] তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দলের বিশিষ্ট নেতানেত্রীদের ভারতরত্ন প্রদানের জন্য একাধিক দাবিও অতীতে উত্থাপিত হয়েছিল। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে ভারতরত্ন প্রদানের সুপারিশ জানিয়ে চিঠি লেখেন।[৪৩][৪৪] এর পরেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) তাদের নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ভারতরত্ন প্রদানের সুপারিশ জানায়।[৪৫] জ্যোতি বসু অবশ্য জানিয়েছিলেন, তাকে ভারতরত্ন প্রদান করা হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করবেন।[৪৬] তেলুগু দেশম পার্টি নেতা এন. চন্দ্রবাবু নাইডু উক্ত দলের নেতা এন. টি. রামা রাও, বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী তার দলের নেতা কাঁশি রামশিরোমণি অকালি দল প্রকাশ সিং বাদলকে ভারতরত্ন প্রদানের সুপারিশ জানিয়েছিল।[৪৭]

মূল সাংবিধানিক বিধি অনুসারে, ক্রীড়াবিদদের ভারতরত্ন দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে নিয়মে পরিবর্তন এনে "মানবীয় কৃতিত্বের যে কোনো ক্ষেত্র"কে ভারতরত্নের আওতাভুক্ত করা হয়।[] এরপরই বিভিন্ন ক্রীড়াবিদের নাম ভারতরত্নের জন্য আলোচিত হয়। এঁদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলেন ফিল্ড-হকি খেলোয়াড় ধ্যান চাঁদ। তাঁর নাম একাধিকবার মরণোত্তর সম্মানের জন্য বিবেচিত হয়েছিল।[৪৮] ২০১১ সালের ৮২ জন সাংসদ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ধ্যান চাঁদের নাম ভারতরত্নের জন্য সুপারিশ করেন। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক বিজয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রা ও শেরপা তেনজিং নোরগের নামও সুপারিশ করা হয়। [৪৯] ২০১৩ সালের মে মাসে ন্যাশানাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও বিন্দ্রার নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। [৫০] ২০১৩ সালের জুলাই মাসে যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আবার ধ্যান চাঁদের নাম সুপারিশ করা হয়।[৪৯][৫১] ২০১৩ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে ভারতরত্ন পান।[] ধ্যান চাঁদের আগে তেন্ডুলকরকে ভারতরত্ন প্রদান করার জন্য সরকারের বিস্তর সমালোচনা হয়।[৫২]

Remove ads

প্রাপকদের তালিকা

সূত্র
   # বিদেশি বংশোদ্ভুত নাগরিক প্রাপক
   double-dagger বিদেশি নাগরিক প্রাপক
   ছুরি মরণোত্তর প্রাপক
আরও তথ্য বছর, চিত্র ...
Remove ads

ব্যাখ্যামূলক টীকা

  1. The Bharat Ratna ceremony is usually held at Rashtrapati Bhavan, New Delhi but a special ceremony was held at Brabourne Stadium, Mumbai to honour Karve on his 100th birthday on 18 April 1958.[][১০]
  2. Per Article 18 (1) of the Constitution of India: Abolition of titles, "no title, not being a military or academic distinction, shall be conferred by the State".[১৮]
  3. The PIL accused the then Prime Minister Manmohan Singh, Home Minister Sushilkumar Shinde, Sports Minister Bhanwar Jitendra Singh and the secretary to the union home department.
  4. In 1960, Ramachandran was awarded the Padma Shri, the fourth highest civilian award, but declined as the invitation was written in the Devanagari script and not Tamil.[৮৪]
  5. Desai had earlier abolished the awards while he was in the office of Prime Minister for it being "worthless and politicised".[৯১]
  6. Earlier, Abul Kalam Azad had refused the Bharat Ratna while he was the Education Minister of India (1947–58) citing that the selection committee members should not themselves be the recipients.[৩৩][৯৩][৯৪]
মরণোত্তর প্রাপক
  1. Lal Bahadur Shastri died on 11 January 1966, at the age of 61.
  2. K. Kamaraj died on 2 October 1975, at the age of 72.
  3. Vinoba Bhave died on 15 November 1982, at the age of 87.
  4. M. G. Ramachandran died on 24 December 1987, at the age of 70.
  5. B. R. Ambedkar died on 6 December 1956, at the age of 65.
  6. Rajiv Gandhi died on 21 May 1991, at the age of 46.
  7. Vallabhbhai Patel died on 15 December 1950, at the age of 75.
  8. Abul Kalam Azad died on 22 February 1958, at the age of 69.
  9. Aruna Asaf Ali died on 29 July 1996, at the age of 87.
  10. Jayaprakash Narayan died on 8 October 1979, at the age of 76.
  11. Gopinath Bordoloi died on 5 August 1950, at the age of 60.
  12. Madan Mohan Malaviya died on 12 November 1946, at the age of 84.
  13. Hazarika died on 5 November 2011, at the age of 85.
  14. Deshmukh died on 27 February 2010, at the age of 93.

তথ্যসূত্র

Loading content...

গ্রন্থতালিকা

Loading content...

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads