Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দেব কোহলি (২ নভেম্বর ১৯৪২ - ২৬ আগস্ট ২০২৩) একজন ভারতীয় কবি ও গীতিকার। তিনি শতাধিক হিন্দি চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "ইয়ে কালি কালি আঁখেঁ", "চলতি হ্যায় ক্যায়া ন দো গ্যারা", "প্যায়ার কিয়া তো নিভানা", "হাওয়া ও নে ইয়ে কহা" ও "সাকি সাকি"। তিনি ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া (১৯৮৯)-এর "আতে জাতে হাঁসতে গাতে", বাজীগর (১৯৯৩)-এর "ইয়ে কালি কালি আঁখেঁ" ও হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..! (১৯৯৪)-এর "হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
দেব কোহলি | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৬ আগস্ট ২০২৩ ৮০) মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | কবি, গীতিকার |
কর্মজীবন | ১৯৭১-২০২৩ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
দেব কোহলি ১৯৪২ সালের ২রা নভেম্বর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের (বর্তমান পাঞ্জাব, পাকিস্তান) রাওয়ালপিন্ডিতে এক শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পাঁচ ভাইবোন ছিল। ভারত বিভাজনের পর ১৯৪৮ সালে তারা সপরিবারে দিল্লিতে চলে আসেন এবং পরে ১৯৪৯ সালে দেহরাদুনে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তার পিতা একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। তার পিতা ১৯৬০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[1]
কোহলি শ্রী গুরু নানক দেব গুরু মহারাজ ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি চলচ্চিত্র দেখতে পছন্দ করতেন এবং বিলিয়ার্ড খেলায় পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি জুনিয়র বিলিয়ার্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন।[1]
কোহলি ১৯৬৪ সালে ২২ বছর বয়সে মুম্বই পাড়ি জমান এবং চলচ্চিত্রে কাজ খুঁজতে শুরু করেন। তিনি দুই বছর খর উপশহরের এভারগ্রিন হোটেলে ছিলেন। তখন এস. ডি. বর্মণ, সাহির লুধিয়ানবি, ও ইফতেখার এই হোটেলে থাকতেন। সঙ্গীত পরিচালক জি. এস. কোহলি এই হোটেলের পাশে একটি ভবনে থাকতেন। তিনি তার ফ্ল্যাটে গিয়ে তার নজম ও কবিতা আবৃতি করতেন। একদিন তিনি একটি গানের মুখরা লিখেন। জি. এস. কোহলি তাকে কয়েকটি অন্তরা লিখতে বলেন। তিনি কয়েকটি ছত্র লিখেন। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন তিনি নিজেই সম্পূর্ণ গান লিখেছেন এবং তার কোন ছত্রই গ্রহণ করেননি বরং তাকে পুনরায় লিখতে বলেন। এই গানে তার খুবই অল্প অবদান ছিল কিন্তু তিনি তাকে এই কাজের স্বীকৃতি দেন এবগ্ন তাকে ৫০০ রুপী পারিশ্রমিক দেন। এই গানটি ১৯৬৯ সালের গুন্ডা চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়। ফলে এই চলচ্চিত্রের "খুশি সে জান লো জী" গান দিয়ে গীতিকার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। তার প্রথম আলোচিত সাফল্য আসে লাল পাত্থর (১৯৭১)-এর "গীত গাতা হুঁ" গান দিয়ে। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রের গান লিখেন, কিন্তু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। তিনি ১৯৮৯ সালের ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া চলচ্চিত্রের "আতে জাতে হাঁসতে গাতে", "কবুতর জা জা জা", "আজা শাম হোনে আয়ে", "ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া" ও "কহে তো সে সাইনা" গানগুলো দিয়ে পুনরায় সফলতা অর্জন করেন।[1] "আতে জাতে হাঁসতে গাতে" গানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৯০-এর দশকে আনু মালিক তার লেখা কয়েকটি গান সুর করেন, তন্মধ্যে বাজীগর (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের "ইয়ে কালি কালি আঁখেঁ" গানের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি হাম আপকে হ্যায় কৌন..! (১৯৯৪) চলচ্চিত্রের শিরোনাম গানের জন্য আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
কোহলি বার্ধক্যকালীন জটিলতায় ভুগে ২০২৩ সালের ২৬শে আগস্ট ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[2]
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
১৯৯০ | ৩৫তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার | "আতে জাতে হাঁসতে গাতে" – ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া | মনোনীত | [3] |
১৯৯৪ | ৩৯তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | "ইয়ে কালি কালি আঁখেঁ" – বাজীগর | মনোনীত | [4] | |
১৯৯৫ | ৪০তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | "হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন"– হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..! | মনোনীত | [5] | |
২০০০ | ৩য় জি সিনে পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার | "বিবি নাম্বার ওয়ান" – বিবি নাম্বার ওয়ান | মনোনীত | [6] |
২০০৫ | ৬ষ্ঠ আইফা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার | "সাকি সাকি" – মুসাফির | মনোনীত |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.