গোপালগঞ্জ জেলা
বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ এর ঢাকা বিভাগের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর বা প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি রাজধানী ঢাকা ১২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মধুমতি নদীর তীরের অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১৪৬৮.৭৪ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১১,৭২,৪১৫ জন। গোপালগঞ্জ হলো এই জেলার প্রধান ও জেলাসদর শহর। শহরটি ক শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে তালিকাভুক্ত। গোপালগঞ্জ মিউনিসিপিলিটি কমিটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। রেলপথের সাথে সংযুক্ত থাকলেও শহরের যোগাযোগের প্রধান উপায় সড়ক পথ। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।[২] এই জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা। যশোর বিমানবন্দর, গোপালগঞ্জের সবচেয়ে নিকটবর্তী আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। গোপালগঞ্জ এর আবহাওয়া গরম ও আর্দ্র জলবায়ু বিশিষ্ট। জেলাটিতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশকিছু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গোপালগঞ্জ | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′ উত্তর ৮৯°৪৮′ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট | শেখ শামছুল আরেফীন (ভারপ্রাপ্ত) |
আয়তন | |
• মোট | ১,৪৬৮.৭৪ বর্গকিমি (৫৬৭.০৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১১,৭২,৪১৫ |
• জনঘনত্ব | ৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৮.১০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) তৎকালীন ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা ছিলো গোপালগঞ্জ জেলা। এই গোপালগঞ্জ জেলা এক সময় রাজগঞ্জ নামেও পরিচিত ছিল।
গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমনির দায়িত্বে ছিল। তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন।সিপাই বিদ্রোহের সময়, তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুর অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। ধারণা করা হয় সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জ জেলার নাম আবার রাজগঞ্জ জেলা করা হোক।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬' উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা। এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%। শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রবর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।[৩]
গোপালগঞ্জ জেলা ৫ টি উপজেলা, ৫ টি থানা, ৪টি পৌরসভা ও ৬৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৫ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২১৫ গোপালগঞ্জ-১ | কাশিয়ানী উপজেলা এবং মুকসুদপুর উপজেলা | শূণ্য | |
২১৬ গোপালগঞ্জ-২ | গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা এবং কাশিয়ানী উপজেলা | শূণ্য | |
২১৭ গোপালগঞ্জ-৩ | টুঙ্গিপাড়া উপজেলা এবং কোটালীপাড়া উপজেলা | শূণ্য |
গোপালগঞ্জ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.