Loading AI tools
বাংলাদেশি কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মারজুক রাসেল (জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা। তার কর্মজীবনের শুরু কবিতা ও গানের গীত রচনার মধ্য দিয়ে। তিনি টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম কাজ ছিল মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল। সেই থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন এবং অসংখ্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ের সূচনা করেন এবং প্রশংসা পান। মারজুক একাধিক সঙ্গীত ভিডিওতে কাজ করেছেন, যেমন ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো (২০১২),[1] স্মৃতি কথা (২০১৭)।[2]
মারজুক রাসেল ১৯৭৩ সালের ১৫ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[3] তার বাবা দৌলতপুরে একটি জুট মিলে কাজ করতেন। বাবার চাকরি সূত্রে তিনি বড় হয়েছেন খুলনার দৌলতপুরে। তিনি প্রথমে কৃষ্ণমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তবে তার বাবা তাকে একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করান।[4] খুলনায় থাকাকালীন তিনি ১৯৮৪-৮৫ সালে ঢাকার সংবাদপত্রে ছাপার জন্য কবিতা লিখে পাঠাতেন। ১৯৯৩ সালে দৈনিক বাংলার বাণীতে তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। এরপর নিয়মিত তার কবিতা বিভিন্ন দৈনিকে ছাপা হয়।[5]
মারজুক ১৯৯৫ সালে গান লেখা শুরু করেন। সে সময় তিনি গান লিখে বিভিন্ন সুরকারকে দিতেন, কিন্তু কোন সুরকার তার গান নেননি। দুই বছর পর তিনি এক বন্ধুর বাসায় জেমসের গাওয়া "মান্নান মিয়ার তিতাস মলম" গান শুনে জেমসের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। লেখালেখির সূত্র ধরে তার সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে পরিচয় ছিল, তার মাধ্যমেই সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে জেমসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জেমস তখন লেইস ফিতা অ্যালবামের কাজ করছেন। মারজুক সেই অ্যালবামের জন্য "হাউজি", "দে দৌড়", এবং "রাখে আল্লাহ মারে কে" গান লিখেন।[5] এরপর সাড়ে চার বছর জেমসের সাথে কাজ করেন। জেমসের "ঠিক আছে বন্ধু" অ্যালবামের জন্য "মীরাবাঈ", "এপিটাফ", "পত্র দিও"সহ ৭-৮টি গান লিখেন। "মীরাবাঈ" তার লেখা প্রথম জনপ্রিয় গান।[5] এরপর তিনি বৃহস্পতি মিক্সড অ্যালবামের জন্য লিখেন "তেরো নদী সাত সমুদ্দুর", "শুরু হলো ভালোবাসা"। তিনি পুনরায় জেমসের জন্য পাগলা হাওয়া অ্যালবামের "আমি ভাসবে যে জলে" গান লিখেন।[5]
তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ। তারপরে তিনি যথাক্রমে তিনটি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন - চান্দের বুড়ির বয়স যখন ষোল (২০০৩), বাঈজী বাড়ি রোড, ছোট্ট কোথায় টেনিস বল।
তিনি প্রথম মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল ভিডিও ফিকশনের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন।[6] এরপর তিনি চড়ুইভাতি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। ফারুকীর সহকারী হিসেবে তিনি স্বরবর্ণ থিয়েটারে কাজ করেন।[5] ২০০৪ সালে ব্যাচেলর দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এবং তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়।[7]
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৪ | ব্যাচেলর | মারজুক | সহযোগী পরিচালক[6] |
২০০৭ | মেড ইন বাংলাদেশ | সাদেকুর রহমান | [6] |
২০১৭ | রাত্রির যাত্রী | ||
২০১৯ | দি ডিরেক্টর | ||
সাপলুডু |
নাম | বছর | চরিত্র | পরিচালক | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|
কানামাছি | - | - | মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী | |
স্বরবর্ণের চোখে | - | মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী | ||
আয়না মহল | - | - | [6] | |
একান্নবতী | টিভি সিরিজ[6] | |||
পালাবি কোথায় | ওয়েব সিরিজ | |||
৪২০ | - | - | মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী | |
কবি | - | - | মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী | |
মুরব্বি | - | - | ||
অস্থির প্রেমিক | - | - | ||
ক্যাপটিন | - | - | ||
চড়ুইভাতি | ২০০২ | মারজুক | মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী | |
হাউজ ফুল | ২০০৯ | সুজন | রেদওয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি | ড্রামা সিরিজ |
রিলেশন | ২০১৩ | [6] | ||
বিশ্বাস | ২০১০ | |||
খরসু+ময়না | মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী | |||
বিসিএস পাগলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র | ২০১৪ | |||
মিঃ টেনশন | ২০১৮ | |||
ছাতি রইস | ২০১৮ | ছাতি রইস | জুবাইর আনার | |
ব্যাচেলর পয়েন্ট | ২০২০ | পাশা | কাজল আরেফিন অমি | বাংলাভিশন ও ধ্রুব টিভি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত |
হাউজ নং ৯৬ | ২০২১ | মাহমুদুর রহমান হিমি | এনটিভি[11] | |
নাম | চলচ্চিত্র | বছর | শিল্পী |
---|---|---|---|
আমিতো প্রেমে পরি নি |
ব্যাচেলর (চলচ্চিত্র) | ২০০৩ | আইয়ুব বাচ্চু পান্থ কানাই পান্থ কানাই আসিফ আকবর |
দ্বিধা ভিতর বলে দূরে থাকুক |
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার | ২০০৯ | হাবিব, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি |
দোলনা | চাঁদের নিজের কোন আলো নেই | - | আরেফিন রুমি, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি |
বছর | শিরোনাম | ওটিটি | চরিত্র | সহ-শিল্পী | টীকা |
---|---|---|---|---|---|
২০২০ | বদমাইশ পোলাপাইন | মকবুল স্যার | মাবরুর রশিদ বান্নাহ |
নাম | অ্যালবাম | বছর | শিল্পী |
---|---|---|---|
লেইস ফিতা লেইস |
লেইস ফিতা লেইস | ১৯৯৮ | জেমস |
জাত যায় |
ঠিক আছে বন্ধু | ১৯৯৯ | জেমস |
তেরো নদী সাত সমুদ্র |
বৃহস্পতি | - | জেমস |
সবার বাংলাদেশ | হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ | - | আসিফ আকবর |
তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিও | পাশানি | ২০০৩ | আসিফ আকবর |
নারী | ফিস ফাস ফিস | - | আসিফ আকবর |
একটি পরীর গল্প |
হ্রদগন্ত | ২০০৭ | হাসান মাসুদ |
ফুল তোক্বা | শখি তুমি কার | ২০১৬ | মারজুক রাসেল |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.