ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলো ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অসহযোগ আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গঠিত হওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এই অস্থায়ী সরকার গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরকারী সমন্বয়কদের প্রতিনিধি দল, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং সেনাবাহিনীর প্রধান।[১][২][৩] ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে সরকার গঠন করা হয়।[৪] রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ৬ আগস্ট সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
দ্রুত তথ্য ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, গঠনের তারিখ ...
বন্ধ
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। নতুন এই সরকারে উপদেষ্টা মোট ২৪ জন, যাদের মধ্যে তিনজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক।[৫][৬][৭]
নিম্নোক্ত ব্যক্তিদেরও সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[৮][৯]
আরও তথ্য ক্রম, নাম ...
ক্রম |
নাম |
প্রতিকৃতি |
পদ |
দায়িত্বাধীন মন্ত্রণালয় |
পরিচিতি |
০১ |
মুহাম্মদ ইউনূস |
|
প্রধান উপদেষ্টা |
উপদেষ্টাপরিষদ বিভাগ |
সামজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা |
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ |
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় |
০২ |
আলী ইমাম মজুমদার |
|
উপদেষ্টা |
উপদেষ্টার কার্যালয় |
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব |
খাদ্য মন্ত্রণালয় |
০৩ |
সালেহউদ্দিন আহমেদ |
|
উপদেষ্টা |
অর্থ মন্ত্রণালয় |
সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক |
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় |
০৪ |
আসিফ নজরুল |
|
উপদেষ্টা |
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও অধ্যাপক এবং লেখক |
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় |
০৫ |
আদিলুর রহমান খান |
|
উপদেষ্টা |
শিল্প মন্ত্রণালয় |
সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক |
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় |
০৬ |
এ. এফ. হাসান আরিফ |
|
উপদেষ্টা |
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় |
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা |
ভূমি মন্ত্রণালয় |
০৭ |
তৌহিদ হোসেন |
|
উপদেষ্টা |
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব |
০৮ |
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান |
|
উপদেষ্টা | পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, |
আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী এবং বেলার প্রধান নির্বাহী |
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় |
০৯ |
শারমিন মুরশিদ |
|
উপদেষ্টা |
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, |
বাংলাদেশী আন্দোলনকর্মী ও ব্রটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা |
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
১০ |
বিধান রঞ্জন রায় |
|
উপদেষ্টা |
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় |
সাবেক পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল |
১১ |
ফারুক-ই-আজম |
|
উপদেষ্টা | মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
বীর প্রতীক পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা |
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় |
১২ |
এম. সাখাওয়াত হোসেন |
|
উপদেষ্টা |
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার |
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় |
১৩ |
সুপ্রদীপ চাকমা | |
উপদেষ্টা | পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় | সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান |
১৪ |
আ ফ ম খালিদ হোসেন | |
উপদেষ্টা | ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় | লেখক ও গবেষক এবং নায়েবে আমীর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ |
১৫ |
ফরিদা আখতার | |
উপদেষ্টা | মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় | অর্থনীতিবিদ ও প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী, উবিনীগ |
১৬ |
নুরজাহান বেগম | |
উপদেষ্টা | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় | গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক |
১৭ |
নাহিদ ইসলাম | |
উপদেষ্টা | ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় | সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন |
১৮ |
আসিফ মাহমুদ | | উপদেষ্টা | যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় |
১৯ |
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ | |
উপদেষ্টা | শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় | অর্থনীতিবিদ |
২০ |
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান | |
উপদেষ্টা | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় | সাবেক সচিব |
২১ |
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী | |
উপদেষ্টা | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় | বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক |
২২ |
সেখ বশির উদ্দিন | |
উপদেষ্টা | বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় | ব্যবসায়ী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ-বশির গ্রুপ |
২৩ |
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী | |
উপদেষ্টা | সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় | চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক |
২৪ |
মাহফুজ আলম | |
উপদেষ্টা | চূড়ান্ত নয় | সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন |
বন্ধ
অভ্যন্তরীণ
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা মুহাম্মদ ইউনূসের মনোনয়নকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি দ্বারা প্রস্তাব ও সমর্থন করা হয়।[১০] বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম (পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা) ৬ আগস্ট ২০২৪-এ বলেন,
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে... ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরু দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন
- বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সরকারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বলেন,
আমরা দ্রুত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই। বর্তমানে এই সরকার সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দ্বারা নির্বাচিত সরকারের কোনো বিধান নেই, কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি, এবং ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ বিক্ষোভকারী একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু। এই সরকারের জন্য কেউ ভোট দেয়নি। সুতরাং, তারা আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে কিনা, তা এখনও দেখা বাকি।... ক্ষমতা দখল করা এক বিষয়; কিন্তু শাসন করা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের জনগণের সমর্থন নেই। কে তাদের কথা শুনবে? বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল রয়েছে। আপনি যাই করুন না কেন, যদি আপনি ১৭ কোটি মানুষের সাথে গণতন্ত্র চান... আমাদের ১০ কোটি সমর্থক রয়েছে। তারা এই সরকারের জন্য ভোট দেয়নি বা সমর্থন করেনি। সুতরাং তাদের সমর্থন ছাড়া, আপনি কিভাবে শাসন করবেন? আমি অপেক্ষা করছি যে কে এই সরকারের কথা শুনবে। ক্ষমতায় বসানো এক বিষয়, কিন্তু জনগণের সমর্থন পাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আন্তর্জাতিক
- চীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, 'চীন বাংলাদেশের একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে এবং এটাকে স্বাগত জানায়।[১৭]
- ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানান।[১৯] প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফও ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'আমাদের দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করার এবং আমাদের সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রত্যাশায় রয়েছি।[২০]
- কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্বোধনকে স্বাগত জানান।[২১]
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, "সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।"[২২][২৩]
প্রতিষ্ঠান
- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী ও গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল কাজে সহায়তা করবে।[২৩] ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, 'ইইউ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত হতে এবং এই জটিল রূপান্তরকে সমর্থন করার প্রত্যাশায় রয়েছে, যা সুশাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত।[২৬]
- মিয়ানমারের ২৫৫টি বিপ্লবী দল ও সুশীল সমাজের একটি জোট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে এবং রাজ্য প্রশাসন কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের সরকারকে সহযোগিতা ও সমর্থন করার জন্য ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।[২৭][২৮]
১৯৮ বিশ্বনেতার দৃঢ় সমর্থন
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানান ১৯৮ বিশ্বনেতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতি বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিরা বলেন,
“ |
আমরা বছরের পর বছর ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন দিতে পেরে গর্বিত। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি রোমাঞ্চকর নতুন ভোরের সূচনা। আমরা আগামী মাস ও বছরগুলোতে তাঁর এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সাফল্য কামনা করি। |
” |
বিবৃতিতে সই করা ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন শান্তি, অর্থনীতি, সাহিত্য, চিকিৎসা, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ৯২ জন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বারাক ওবামা, শিরিন এবাদি, হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, রামোস-হোর্তা, মার্টিন কার্প্লাস, জোসেফ স্টিগলিৎজ, হার্টা মুলার, চার্লস রাইস, হিরোশি আমানো প্রমুখ।
অন্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে আছেন নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো ব্রুন্ডল্যান্ড, রোমানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমিল কনস্টান্টিনেস্কু, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাটস কার্লসন, ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, মার্কিন রাজনীতিক টেড কেনেডি জুনিয়র প্রমুখ।[২৯]