![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/ed/North_East_Delhi_Riots_2020_%25281%2529.jpg/640px-North_East_Delhi_Riots_2020_%25281%2529.jpg&w=640&q=50)
২০২০ দিল্লি দাঙ্গা
From Wikipedia, the free encyclopedia
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর পূর্ব দিল্লিতে একের পর এক দাঙ্গা এবং সহিংসতার ঘটনা শুরু হয়, যার ফলে ৪৯ জন নিহত হন[1][4][5] এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন।[6][7] নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক (এনপিআর) সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিরুদ্ধে যখন কিছু মানুষের বিক্ষোভ চলছিল, সেই সময়ে এক বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্র বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য একটি চূড়ান্ত সময় সীমা জারি করে বলেন যে বিক্ষোভ বন্ধ করা না হলে তিনি বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেবেন। তার এই মন্তব্যের পরের দিন উত্তর পূর্ব দিল্লিতে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যার ফলে পুলিশ এবং বেসামরিক নাগরিক মারা যায়।
উত্তর পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা | |
---|---|
![]() উত্তর পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা | |
তারিখ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ – ১ মার্চ ২০২০ (৭ দিন)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
অবস্থান | ২৮.৬৯৩৬° উত্তর ৭৭.৩০৭৩° পূর্ব / 28.6936; 77.3073 |
কারণ | নাগরিকত্ব সংশোধন আইন |
লক্ষ্য | নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ রোধ করা |
পদ্ধতি | দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা, গুলি চালানো |
অবস্থা | চলছে |
ক্ষয়ক্ষতি | |
নিহত | ৪৯[1] |
আহত | ২০০+[2] |
গ্রেপ্তার | ৬০০[3] |
২৪ ফেব্রুয়ারি কিছু লোক নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং হেড কনস্টেবল রতন লাল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং সহিংস সংঘর্ষের কারণে ছয়জন বিক্ষোভকারী মারা যায়।[8][9][lower-alpha 1] ভজনপুরায় কিছু লোকজন একটি পেট্রোল পাম্প আক্রমণ করে, আজাদির স্লোগান দেয় ও পেট্রোল বোমা, লাঠি, অস্ত্র বহন করে এবং উপলব্ধ নগদ টাকা লুটের পরে গাড়ি ও পেট্রোল ট্যাঙ্ক পুড়িয়ে দেয়।[10][11][12] পরে সেই রাতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একটি ভিড় দু'জনকে লাঠি ও পাথর দিয়ে মারধর করে। তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।[12] কিছু মানুষের একটি ভিড় ১৭০ টি গাড়ি সমেত একটি বিশাল পার্কিংয়ের জায়গা আগুনে পুড়িয়ে দেয়।[13]
পরের দিন, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে একটি দাঙ্গা শুরু হয়, জনতা মানুষেরদের সম্পত্তি ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় ।[14][15][16] দাঙ্গা বেশ কয়েক দিন অব্যাহত ছিল এবং সেখানে সম্পত্তিগুলির ব্যাপক ধ্বংস হয় । যাতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের লোক ছিল।[15] মসজিদ[17] ও মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়,[18] এবং বেশ কয়েকটি স্কুল, দোকান, ঘর এবং যানবাহনে দাঙ্গাকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়;[19] সব মিলিয়ে ৪৯ জন নিহত হয়[1] এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়।[2] হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই সহিংসতার শিকার হয়।[14][20][21][22] জাফরাবাদ ও মৌজপুরের মধ্যবর্তী এলাকায়, যেখানে হিন্দু ও মুসলমানদের মিশ্র জনসংখ্যা রয়েছে, সেখানে তারা একে অপরকে রক্ষা করে এবং সেখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করা থেকে বাইরের জনতাকে রোধ করতে ব্যারিকেড করে ঐক্য প্রদর্শন করে স্থানীয় জনতা।[23][24]
দিল্লি পুলিশ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।[25] দাঙ্গা নিয়ে রিপোর্টিং করা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বলেন যে তাদের লোকজন সিএএ সমর্থক এবং সিএএ বিরোধী উভয়ের থেকে হুমকি পায়।[26] ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ ১২৩ টি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং সহিংসতায় জড়িত ৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করে।[3]