Loading AI tools
আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ছিল ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ ব্রাজিলে ২০১৪ সালের ১৩ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। [1]
কোপা দু মুন্দো দা ফিফা ব্রাজিল ২০১৪[nb 1] | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | ব্রাজিল |
তারিখ | ১৩ জুন - ১৩ জুলাই ২০১৪ (৩২ দিন) |
দল | ৩২ (৫টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১২ (১২টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | জার্মানি (৪র্থ শিরোপা) |
রানার-আপ | আর্জেন্টিনা |
তৃতীয় স্থান | নেদারল্যান্ডস |
চতুর্থ স্থান | ব্রাজিল |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৬৪ |
গোল সংখ্যা | ১৭১ (ম্যাচ প্রতি ২.৬৭টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩৩,৫৫,১৩৫ (ম্যাচ প্রতি ৫২,৪২৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | হামেস রদ্রিগেস (৬ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | লিওনেল মেসি |
সেরা যুব খেলোয়াড় | পল পগবা |
সেরা গোলরক্ষক | ম্যানুএল নয়ার |
১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর এটি হচ্ছে ব্রাজিলের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই সাথে মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির পর ব্রাজিল হচ্ছে পঞ্চম দেশ যারা প্রত্যেকে দুইবার করে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এটি আমেরিকা মহাদেশে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। সেই সাথে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেই ব্রাজিল প্রতি আট বছর পর পর ইউরোপে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রচলিত ঐতিহ্য ভঙ্গ করেছে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবকয়টি দলই এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকায় ৪ বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সবকয়টিই জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকান কোন দল।
১৯৮৬,১৯৯০ এর ন্যায় ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ওঠে জার্মানি এবং আর্জেন্টিনা।নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের ১১৩ মিনিটে জার্মানির মারিও গোটজার গোলে ১-০ তে জেতে জার্মানি।এটিই ছিল পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির একীভূতকরণ হওয়ার পর জার্মানির প্রথম বিশ্বকাপ জয় এবং একইসাথে এটিই প্রথমবারের মতো কোন ইউরোপের দেশের দক্ষিণ আমেরিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ জয়!
ফিফা পর্যায়ক্রমিকভাবে মহাদেশভিত্তিক ২০১৪ সালের স্বাগতিক দেশের জন্যে দক্ষিণ আমেরিকাকে পূর্ব নির্ধারিত করেছিল। ফিফা পূর্বেই পর্যায়ক্রমিকভিত্তিতে স্বাগতিক দেশ নির্ধারণের জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।[2] কিন্তু ২০১৪ সালের পর এ সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে না বলে ঘোষণা করে।
কলম্বিয়া ২০১৪ সালের জন্যে স্বাগতিক দেশ হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল[3] কিন্তু প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে।[4] কোরিয়া-জাপানের সফলভাবে বিশ্বকাপ সমাপণের পর চিলি এবং আর্জেন্টিনাও যৌথভাবে স্বাগতিক দেশ হবার জন্যে কিছুটা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল; কিন্তু যৌথ ডাক প্রক্রিয়া অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়। ব্রাজিলও স্বাগতিক দেশ হবার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করে। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন কনমেবল ব্রাজিলকে স্বাগতিক হবার জন্যে সমর্থন ব্যক্ত করে।[5] ফলে ব্রাজিল একমাত্র দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কনমেবলের মাধ্যমে ডিসেম্বর, ২০০৬ সালে ডাক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সমাপণের জন্যে প্রস্তাবনা পাঠায়। ঐ সময়ে কলম্বিয়া, চিলি এবং আর্জেন্টিনা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ফেলে। ভেনেজুয়েলা ডাকে অংশগ্রহণ করেনি।
এরফলে ব্রাজিল প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষবিহীন অবস্থায় ডাক প্রক্রিয়ায় জয়লাভ করে। ৩০ অক্টোবর, ২০০৭ সালে ফিফা নির্বাহী পরিষদ স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করে।[6]
২০১১ সালের ৩০ জুলাই রিও দি জেনিরোর মারিনা দা গ্লোরিয়ায় ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।[7][8] আয়োজক দেশ হিসেবে, ব্রাজিল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়।
২০৮টি ফিফা জাতীয় দলের মধ্যে ২০৩টি দল বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে, যা শুরু হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন থেকে এবং শেষ হয় ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর। ২০১০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ২৪টি দেশ ২০১৪ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এবারই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।[9] এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ দেশগুলোর মধ্যে র্যাংকিং এ সবচেয়ে উপরে অবস্থানকারী দেশ ইউক্রেন (১৮)।[10] ওএফসি অঞ্চল থেকে কোন দল ২০১৪ বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি।
নিচের ৩২টি দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। নিচে দলগুলোকে প্রতিযোগিতা পূর্ব র্যাংকিংসহ দেখানো হয়েছে।[11]
|
|
|
|
২০১৪ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ড্র অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাইয়ার মাতা দি সাঁও জোয়াঁও এর কোস্তা দো সাউইপে রিসর্টে।[12] স্থানীয় সময় ১৩:০০ (ইউসিটি−৩)।[13] চূড়ান্ত ড্রয়ের প্রস্তুতি হিসেবে, বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ ৩২টি দলকে চারটি পাত্রে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক পাত্রে রয়েছে আটটি করে দল। র্যাংকিং এর শীর্ষ সাতটি দলকে আয়োজক ব্রাজিলের সাথে একই পাত্রে রাখা হয়েছে।[14][15]
পূর্বেকার প্রতিযোগিতার মত ফিফা এমনভাবে গ্রুপ তৈরি করে যেন উয়েফা ব্যতীত একই কনফেডারেশনের দুইটি দল একই গ্রুপে না পড়ে। একটি গ্রুপে সর্বোচ্চ দুইটি উয়েফার দল থাকতে পারে।[16] পাত্রগুলোতে বিভিন্ন অঞ্চলের দলগুলোর সংখ্যা অসম হওয়ার কারণে, দলগুলো আটটি গ্রুপে ভাগ করতে ড্রয়ের জন্য অতিরিক্ত কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।[15]
২০১০ বিশ্বকাপের মত ২০১৪ বিশ্বকাপেরও প্রতিটি স্কোয়াড ২৩ সদস্য বিশিষ্ট (তিনজন গোলরক্ষক আবশ্যক)। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দেশকে প্রতিযোগিতা শুরুর কমপক্ষে ১০ দিন পূর্বে স্কোয়াড ঘোষণা করে। ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়দের প্রতিস্থাপনে বৈধতা রয়েছে, তবে তা তাদের প্রথম খেলা শুরুর ২৪ ঘণ্টা পূর্বে করতে হবে।[17]
২০১৩ সালের মার্চে, ৫২ জন সম্ভাব্য রেফারির তালিকা প্রকাশ করে এবং তাদের প্রত্যেকের সাথে ২ জন করে সহকারী রেফারিকে তালিকায় রাখা হয়।[18] ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারী, ফিফার রেফারি কমিটি ২৫ জন রেফারি এবং তাদের সাথে ২ জন করে সহকারী রেফারিকে নির্বাচিত করে।[19][20]
আঠারোটি শহরকে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য আয়োজক শহর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়: বেলেম, বেলো অরিজন্ঠ, ব্রাসিলিয়া, কাম্পো গ্রান্দে, কুইয়াবা, কুরিতিবা, ফ্লোরিয়ানোপোলিস, ফর্তালিজা, গোইয়ানিয়া, মাসেইও, মানাউশ, নাতাল, পোর্তো আলেগ্রে, রেসিফি, রিও ব্রাঙ্কো, রিউ দি জানেইরু, সালভাদোর এবং সাও পাওলো।[21]
ফিফা প্রস্তাব দেয় যে একাধিক শহরে দুইটি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না এবং আয়োজক শহরের সংখ্যা হতে হবে আট থেকে দশটি। অবশ্য, ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশনের তত্কালীন প্রধান রিকার্দো তেইশেইরা পুরো দেশের স্বার্থের জন্য বারোটি স্টেডিয়াম ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়। যা ২০০৮ সালের ডিসেম্বর ফিফা কর্তৃক গৃহীত হয়।[22]
২০০৯ সালের ৩১ মে, বারোটি আয়োজক শহরের নাম ঘোষণা করা হয়। বেলেম, কাম্পো গ্রান্দে, ফ্লোরিয়ানাপোলিস, গোইয়ানিয়া এবং রিও ব্রাঙ্কোকে বাতিল করা হয়।[23] ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে, মাসেইও তাদের প্রর্থীতা বাতিল করে। নির্বাচিত বারোটি শহর ব্রাজিলের বারোটি প্রদেশের রাজধানী, যা ব্রাজিলের সমস্ত প্রধান অঞ্চলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।[24] এর ফলে প্রতিযোগিতা চলাকালে দলগুলোর দীর্ঘ ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে।[25]
প্রায় ৩.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টেডিয়াম প্রকল্পগুলোর পেছনে ব্যয় করা হয়েছে।[26] আয়োজক শহরগুলোর মধ্যে পাঁচটি শহরে বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গারিঞ্চা ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে তৈরি করা হয় এবং অপর ছয়টি স্টেডিয়ামের ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করা হয়।[27] রিউ দি জানেইরুতে অবস্থিত এস্তাদিও দো মারাকানা বারোটি স্টেডিয়ামের মধ্যে সবচেয়ে বড়। যা একটি বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড বহন করে (১৯৯,৮৫৪)। এই স্টেডিয়ামেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। সিবিএফ এর মূল উদ্দেশ্য ছিল উদ্বোধনী খেলাটি সাঁউ পাউলুর এস্তাদিও দো মরুম্বিতে আয়োজন করার, কিন্তু ২০১০ সালে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, যখন প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জন্য তারা আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যর্থ হয়। উদ্বোধনী খেলার জন্য বেছে নেওয়া হয় অ্যারেনা করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামটিকে।[28]
প্রথম নতুন স্টেডিয়াম ফর্তালিজার ক্যাস্তেলাও, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যবহার শুরু হয়।[29] ছয়টি স্টেডিয়ামকে ২০১৩ কোপা লিবের্তাদোরেসের সময় ব্যবহার করা হয়।[30] অপর ছয়টি স্টেডিয়ামের কাজ ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে না।[31] নতুন স্টেডিয়াম অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সের নির্মাণ কাজের সময় ক্রেন ধ্বসে পড়ার কারণে এর নির্মাণ কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং দুইজন নির্মাণ কর্মী নিহত হয়।[32]
রিউ দি জানেইরু | ব্রাসিলিয়া | সাও পাওলো | ফর্তালিজা |
---|---|---|---|
এস্তাদিও দো মারাকানা | এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গারিঞ্চা[33] | অ্যারেনা করিন্থিয়ান্স | এস্তাদিও ক্যাস্তেলাও |
ধারণক্ষমতা: ৭৬,৯৩৫[34]
(উন্নয়নকৃত) |
ধারণক্ষমতা: ৭০,০৪২[35]
(নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৬৮,০০০ (নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৬৪,৮৪৬[36]
(উন্নয়নকৃত) |
বেলো অরিজন্ঠ | পোর্তো আলেগ্রে | ||
এস্তাদিও মিনেইরাও | এস্তাদিও বেইরা-রিও | ||
ধারণক্ষমতা: ৬২,৫৪৭
(উন্নয়নকৃত) |
ধারণক্ষমতা: ৫১,৩০০[37] (renovated)[38] | ||
সালভাদোর | রেসিফি | ||
অ্যারেনা ফোন্তে নোভা | অ্যারেনা পেরনামবুকো | ||
ধারণক্ষমতা: ৫৬,০০০[39]
(নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৪৬,১৫৪
(নতুন স্টেডিয়াম) | ||
কুইয়াবা | মানাউশ | নাতাল | কুরিতিবা |
অ্যারেনা পান্তানাল | অ্যারেনা দা আমাজনিয়া | অ্যারেনা দাস দুনাস | অ্যারেনা দা ব্যাইশাদ |
ধারণক্ষমতা: ৪২,৯৬৮ (নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৪২,৩৭৪ (নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৪২,০৮৬ (নতুন স্টেডিয়াম) |
ধারণক্ষমতা: ৪৩,৯৮১[40] (উন্নয়নকৃত) |
২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারী, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের জন্য বেস ক্যাম্প ঘোষণা করে ফিফা।[41]
দল | শহর | প্রদেশ | দল | শহর | প্রদেশ | |
---|---|---|---|---|---|---|
আলজেরিয়া | সরোকাবা | সাঁউ পাউলু | গ্রিস | আরাকাজু | সেরজিপে | |
আর্জেন্টিনা | ভেসপাসিয়ানো | মিনাস জেরাইস | হন্ডুরাস | পোর্তো ফেলিজ | সাঁউ পাউলু | |
অস্ট্রেলিয়া | ভিতরিয়া | এস্পিরিতো সান্তো | ইরান | গুয়ারুলুস | সাঁউ পাউলু | |
বেলজিয়াম | মজি দাস ক্রুজেস | সাঁউ পাউলু | ইতালি | মাঙ্গারাতিবা | রিউ দি জানেইরু | |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | গুয়ারুজা | সাঁউ পাউলু | কোত দিভোয়ার | আগুয়াস দে লিন্দইয়া | সাঁউ পাউলু | |
ব্রাজিল | তেরেজোপোলিস | রিউ দি জানেইরু | জাপান | ইতু | সাঁউ পাউলু | |
ক্যামেরুন | ভিতরিয়া | এস্পিরিতো সান্তো | মেক্সিকো | সান্তোস | সাঁউ পাউলু | |
চিলি | বেলো অরিজন্ঠ | মিনাস জেরাইস | নেদারল্যান্ডস | রিউ দি জানেইরু | রিউ দি জানেইরু | |
কলম্বিয়া | কোতিয়া | সাঁউ পাউলু | নাইজেরিয়া | কাম্পিনাস | সাঁউ পাউলু | |
কোস্টা রিকা | সান্তোস | সাঁউ পাউলু | পর্তুগাল | কাম্পিনাস | সাঁউ পাউলু | |
ক্রোয়েশিয়া | মাতা দে সাঁও জোয়াঁও | বাইয়া | রাশিয়া | ইতু | সাঁউ পাউলু | |
ইকুয়েডর | ভিয়ামাও | রিও গ্রান্দে দু সুল | দক্ষিণ কোরিয়া | ফজ দো ইগুয়াসু | পারানা | |
ইংল্যান্ড | রিউ দি জানেইরু | রিউ দি জানেইরু | স্পেন | কুরিতিবা | পারানা | |
ফ্রান্স | রিবেইরাও প্রেতো | সাঁউ পাউলু | সুইজারল্যান্ড | পোর্তো সেগুরো | বাইয়া | |
জার্মানি | সান্তা ক্রুজ কাব্রালিয়া | বাইয়া | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | সাও পাওলো | সাঁউ পাউলু | |
ঘানা | মাসেইও | আলাগোয়াস | উরুগুয়ে | সেতে লাগোয়াস | মিনাস জেরাইস |
গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার-আপ দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।[17]
গ্রুপ খেলার টাই-ব্রেকিং মানদণ্ড |
---|
প্রতিটি গ্রুপে প্রতিটি দলের র্যাংকিং নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে:
|
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল অন্তত ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারসরূপ পাবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল পাবে যথাক্রমে ৩৫ মিলিয়ন ও ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৬ দলের পর্বে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বকাপ আসরের জন্য ক্লাব থেকে বিদায় নেওয়ার সময় খেলোয়াড়রা যেসব ক্লাবে খেলে থাকেন সেসব ক্লাবকে খেলোয়াড়দের বীমা এবং অন্যান্য খরচ বাবদ দেওয়া হবে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট, ৫৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অর্থ খরচ করবে ফিফা, যা একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ফিফা খরচ করেছিল ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।[42]
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর, জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে ২০১৪ বিশ্বকাপের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়।[43] খেলা শুরু হওয়ার সময়গুলো ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।[44]
নিচের তালিকাভুক্ত খেলাগুলো ব্রাজিলের দাপ্তরিক সময় অনুযায়ী দেওয়া রয়েছে (ইউটিসি−৩)। এটি বারোটির মধ্যে দশটি মাঠের সময় অঞ্চল; অন্য দুইটি মাঠ, কুইয়াবা এবং মানাউশ, অ্যামাজন সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত (ইউটিসি–৪), সেজন্য এই দুইটি মাঠে অনুষ্ঠিতব্য খেলাগুলো শুরু হওয়ার স্থানীয় সময় নিচের তালিকাভূক্ত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে।[45]
গ্রুপ টেবিলের রঙের ব্যাখ্যা | |
---|---|
গ্রুপ বিজয়ী ও গ্রুপ রানার আপ ১৬ দলের রাউন্ডে অগ্রসর হবে |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রাজিল | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৭ |
মেক্সিকো | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৭ |
ক্রোয়েশিয়া | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৬ | ৬ | ০ | ৩ |
ক্যামেরুন | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | −৮ | ০ |
ক্যামেরুন | ০–৪ | ক্রোয়েশিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন | অলিচ ১১' পেরিশিচ ৪৮' মানজুকিচ ৬১', ৭৩' |
ক্রোয়েশিয়া | ১–৩ | মেক্সিকো |
---|---|---|
পেরিশিচ ৮৭' | প্রতিবেদন | মার্কেজ ৭২' গুয়ারদাদো ৭৫' হার্নান্দেস ৮২' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নেদারল্যান্ডস | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১০ | ৩ | +৭ | ৯ |
চিলি | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ৩ | +২ | ৬ |
স্পেন | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৭ | −৩ | ৩ |
অস্ট্রেলিয়া | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ৩ | ৯ | −৬ | ০ |
স্পেন | ১–৫ | নেদারল্যান্ডস |
---|---|---|
শাবি আলোনসো ২৭' (পে.) | প্রতিবেদন | ফন পার্সি ৪৪', ৭২' রোবেন ৫৩', ৮০' দে ফ্রেই ৬৪' |
অস্ট্রেলিয়া | ২–৩ | নেদারল্যান্ডস |
---|---|---|
কেহিল ২১' জেডিনাক ৫৪' (পে.) |
প্রতিবেদন | রোবেন ২০' ফন পার্সি ৫৮' মেমফিস ৬৮' |
নেদারল্যান্ডস | ২–০ | চিলি |
---|---|---|
ফার ৭৭' মেমফিস ৯০+২' |
প্রতিবেদন |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
কলম্বিয়া | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৯ | ২ | +৭ | ৯ |
গ্রিস | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ৪ | −২ | ৪ |
কোত দিভোয়ার | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৫ | −১ | ৩ |
জাপান | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৬ | −৪ | ১ |
কোত দিভোয়ার | ২–১ | জাপান |
---|---|---|
বুনি ৬৪' জের্ভিনিয়ো ৬৬' |
প্রতিবেদন | হন্দা ১৬' |
কলম্বিয়া | ২–১ | কোত দিভোয়ার |
---|---|---|
রোদ্রিগেস ৬৪' কিন্তেরো ৭০' |
প্রতিবেদন | জের্ভিনিয়ো ৭৩' |
গ্রিস | ২-১ | কোত দিভোয়ার |
---|---|---|
সামারিস ৪২' সামারাস ৯০+৩' |
প্রতিবেদন | বুনি ৭৪' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
কোস্টা রিকা | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৭ |
উরুগুয়ে | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৬ |
ইতালি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৩ | −১ | ৩ |
ইংল্যান্ড | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৪ | −২ | ১ |
ইতালি | ০–১ | কোস্টা রিকা |
---|---|---|
প্রতিবেদন | রুইজ ৪৪' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ফ্রান্স | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৮ | ২ | +৬ | ৭ |
সুইজারল্যান্ড | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৭ | ৬ | +১ | ৬ |
ইকুয়েডর | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ |
হন্ডুরাস | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৮ | −৭ | ০ |
সুইজারল্যান্ড | ২–৫ | ফ্রান্স |
---|---|---|
ডিমেইলি ৮১' ঝাকা ৮৭' |
প্রতিবেদন | জিহু ১৭' মাতুদি ১৮' ভালবুয়েনা ৪০' বেনজেমা ৬৭' সিসকো ৭৩' |
হন্ডুরাস | ০–৩ | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
প্রতিবেদন | শাকিরি ৬', ৩১', ৭১' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আর্জেন্টিনা | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৬ | ৩ | +৩ | ৯ |
নাইজেরিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ৩ |
ইরান | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৪ | −৩ | ১ |
আর্জেন্টিনা | ২–১ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা |
---|---|---|
কোলাশিনাচ ৩' (আ.গো.) মেসি ৬৫' |
প্রতিবেদন | ইবিশেভিচ ৮৫' |
আর্জেন্টিনা | ১–০ | ইরান |
---|---|---|
মেসি ৯০+১' | প্রতিবেদন |
নাইজেরিয়া | ১–০ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা |
---|---|---|
অডেমউইঞ্জি ২৯' | প্রতিবেদন |
নাইজেরিয়া | ২–৩ | আর্জেন্টিনা |
---|---|---|
মুসা ৪', ৪৭' | প্রতিবেদন | মেসি ৩', ৪৫+১' রোহো ৫০' |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৩-১ | ইরান |
---|---|---|
জেকো ২৩' পিয়ানিচ ৫৯' ভ্রশায়েভিচ ৮৩' |
প্রতিবেদন | ঘুচান্নেজহাদ ৮২' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জার্মানি | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৭ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪ |
পর্তুগাল | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৭ | −৩ | ৪ |
ঘানা | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৪ | ৬ | −২ | ১ |
ঘানা | ১–২ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|---|---|
আ. আয়িউ ৮২' | প্রতিবেদন | ডেম্পসি ১' ব্রুকস ৮৬' |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২–২ | পর্তুগাল |
---|---|---|
জোন্স ৬৪' ডেম্পসি ৮১' |
প্রতিবেদন | ন্যানি ৫' ভারেলা ৯০+৫' |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বেলজিয়াম | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৯ |
আলজেরিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৬ | ৫ | +১ | ৪ |
রাশিয়া | ৩ | ০ | ২ | ১ | ২ | ৩ | −১ | ২ |
দক্ষিণ কোরিয়া | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ৬ | −৩ | ১ |
রাশিয়া | ১–১ | দক্ষিণ কোরিয়া |
---|---|---|
কের্ঝাকভ ৭৪' | প্রতিবেদন | লি কেন-হো ৬৮' |
দক্ষিণ কোরিয়া | ২-৪ | আলজেরিয়া |
---|---|---|
সন হেউং-মিন ৫০' কু জা-চেয়োল ৭২' |
প্রতিবেদন | সুলাইমানি ২৬' হালিশ ২৮' জাবু ৩৮' ইব্রাহিমি ৬২' |
দক্ষিণ কোরিয়া | ০-১ | বেলজিয়াম |
---|---|---|
প্রতিবেদন | ভের্তঙ্গেন ৭৮' |
নকআউট পর্বে যদি কোন খেলা সাধারণ ৯০ মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ না হয়, তবে ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হবে (১৫ মিনিট করে দুইবার)। যদি এতেও খেলা শেষ না হয়, তাহলে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।[17]
কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||||||||
২৮ জুন – বেলু ওরিজোঁতি | ||||||||||||||
ব্রাজিল (পে.) | ১ (৩) | |||||||||||||
৪ জুলাই – ফর্তালিজা | ||||||||||||||
চিলি | ১ (২) | |||||||||||||
ব্রাজিল | ২ | |||||||||||||
২৮ জুন – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
কলম্বিয়া | ১ | |||||||||||||
কলম্বিয়া | ২ | |||||||||||||
৮ জুলাই – বেলু ওরিজোঁতি | ||||||||||||||
উরুগুয়ে | ০ | |||||||||||||
ব্রাজিল | ১ | |||||||||||||
৩০ জুন – ব্রাসিলিয়া | ||||||||||||||
জার্মানি | ৭ | |||||||||||||
ফ্রান্স | ২ | |||||||||||||
৪ জুলাই – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
নাইজেরিয়া | ০ | |||||||||||||
ফ্রান্স | ০ | |||||||||||||
৩০ জুন – পোর্তু আলেগ্রে | ||||||||||||||
জার্মানি | ১ | |||||||||||||
জার্মানি (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
১৩ জুলাই – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
আলজেরিয়া | ১ | |||||||||||||
জার্মানি (অ.স.প.) | ১ | |||||||||||||
২৯ জুন – ফর্তালিজা | ||||||||||||||
আর্জেন্টিনা | ০ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ২ | |||||||||||||
৫ জুলাই – সালভাদোর | ||||||||||||||
মেক্সিকো | ১ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস (পে.) | ০ (৪) | |||||||||||||
২৯ জুন – রেসিফি | ||||||||||||||
কোস্টা রিকা | ০ (৩) | |||||||||||||
কোস্টা রিকা (পে.) | ১ (৫) | |||||||||||||
৯ জুলাই – সাও পাওলো | ||||||||||||||
গ্রিস | ১ (৩) | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ০ (২) | |||||||||||||
১ জুলাই – সাও পাওলো | ||||||||||||||
আর্জেন্টিনা (পে.) | ০ (৪) | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ||||||||||||
আর্জেন্টিনা (অ.স.প.) | ১ | |||||||||||||
৫ জুলাই – ব্রাসিলিয়া | ১২ জুলাই – ব্রাসিলিয়া | |||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ০ | |||||||||||||
আর্জেন্টিনা | ১ | ব্রাজিল | ০ | |||||||||||
১ জুলাই – সালভাদোর | ||||||||||||||
বেলজিয়াম | ০ | নেদারল্যান্ডস | ৩ | |||||||||||
বেলজিয়াম (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১ | |||||||||||||
বেলজিয়াম | ২-১ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|---|---|
দে ব্রুয়িন ৯৩' লুকাকু ১০৫' |
প্রতিবেদন | গ্রিন ১০৭' |
নেদারল্যান্ডস | ০-০ (অ.স.প.) | কোস্টা রিকা |
---|---|---|
প্রতিবেদন | ||
পেনাল্টি | ||
ফন পার্সি রোবেন স্নাইডার কাইট |
৪–৩ | বোর্হেস রুইস গোঞ্জালেস বোলানিয়োস উমানিয়া |
নেদারল্যান্ডস | ০–০ | আর্জেন্টিনা |
---|---|---|
পেনাল্টি | ||
ফ্লার রোবেন স্নাইডার কুইট |
২–৪ | মেসি গারাই আগুয়েরো রোদ্রিগেস |
প্রতিযোগিতায় এখনও সক্রিয় রয়েছে এধরণের খেলোয়াড়ের নাম গাঢ় অবস্থায় প্রদর্শিত হয়েছে।
উৎস:[51]
উৎস: UEFA[52]
টুর্নামেন্ট শেষে নিম্নলিখিত পুরষ্কারসমূহ প্রদান করা হয়ে থাকে:[53]
চ্যাম্পিয়ন
রানার -আপ |
তৃতীয় স্থান
চতুর্থ স্থান |
কোয়ার্টার-ফাইনাল
১৬ দলের পর্ব |
গ্রুপ পর্ব |
র্যা | দল | গ্রু | খেলা | জ | ড্র | প | পগো | বিগো | গোপা | পয়ে. |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ফাইনাল | ||||||||||
১ | জার্মানি | জি | ৭ | ৬ | ১ | ০ | ১৮ | ৪ | +১৪ | ১৯ |
২ | আর্জেন্টিনা | এফ | ৭ | ৫ | ১ | ১ | ৮ | ৪ | +৪ | ১৬ |
৩য় এবং ৪র্থ অবস্থান | ||||||||||
৩ | নেদারল্যান্ডস | বি | ৭ | ৫ | ২ | ০ | ১৫ | ৪ | +১১ | ১৫ |
৪ | ব্রাজিল | এ | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ১১ | ১৪ | -৩ | ১১ |
কোয়ার্টার-ফাইনালে বাদ পরা দল | ||||||||||
৫ | কলম্বিয়া | সি | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ১২ | ৪ | +৮ | ১২ |
৬ | বেলজিয়াম | এইচ | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ৬ | ৩ | +৩ | ১২ |
৭ | ফ্রান্স | ই | ৫ | ৩ | ১ | ১ | ১০ | ৩ | +৭ | ১০ |
৮ | কোস্টা রিকা | ডি | ৫ | ২ | ৩ | ০ | ৫ | ২ | +৩ | ৯ |
১৬ দলের পর্বে বাদ পরা দল | ||||||||||
৯ | চিলি | বি | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ৪ | +২ | ৭ |
১০ | মেক্সিকো | এ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৫ | ৩ | +২ | ৭ |
১১ | সুইজারল্যান্ড | ই | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৭ | ৭ | ০ | ৬ |
১২ | উরুগুয়ে | ডি | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৪ | ৬ | –২ | ৬ |
১৩ | গ্রিস | সি | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ৫ | −২ | ৫ |
১৪ | আলজেরিয়া | এইচ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৭ | ৭ | ০ | ৪ |
১৫ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | জি | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৫ | ৬ | −১ | ৪ |
১৬ | নাইজেরিয়া | এফ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | −২ | ৪ |
গ্রুপ পর্বে বাদ পরা দল | ||||||||||
১৭ | ইকুয়েডর | ই | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ |
১৮ | পর্তুগাল | জি | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৭ | –৩ | ৪ |
১৯ | ক্রোয়েশিয়া | এ | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৬ | ৬ | ০ | ৩ |
২০ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | এফ | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ৩ |
২১ | কোত দিভোয়ার | সি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৫ | −১ | ৩ |
২২ | ইতালি | ডি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৩ | –১ | ৩ |
২৩ | স্পেন | বি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৭ | −৩ | ৩ |
২৪ | রাশিয়া | এইচ | ৩ | ০ | ২ | ১ | ২ | ৩ | −১ | ২ |
২৫ | ঘানা | জি | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৪ | ৬ | −২ | ১ |
২৬ | ইংল্যান্ড | ডি | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৪ | −২ | ১ |
২৭ | দক্ষিণ কোরিয়া | এইচ | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ৬ | −৩ | ১ |
২৮ | ইরান | এফ | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৪ | −৩ | ১ |
২৯ | জাপান | সি | ৩ | ০ | ১ | ২ | ২ | ৬ | −৪ | ১ |
৩০ | অস্ট্রেলিয়া | বি | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ৩ | ৯ | −৬ | ০ |
৩১ | হন্ডুরাস | ই | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৮ | −৭ | ০ |
৩২ | ক্যামেরুন | এ | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | −৮ | ০ |
প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল লোগোটি ডিজাইন করে ব্রাজিলীয় সংস্থা আফ্রিকা। লোগোটি "ইন্সপিরেশন" শিরোনামে উন্মুক্ত করা হয়।[54] লোগোর ডিজাইনে তিনটি বিজয়ী হাত বিশ্বকাপের শিরোপা তুলে ধরে রয়েছে এবং এর হলুদ ও সবুজ রং ব্রাজিলের পুরো বিশ্বকে তাদের দেশে উষ্ণ স্বাগতম জানানোর প্রতি নির্দেশ করে। এই লোগোটি উন্মুক্ত করা হয় ২০১০ বিশ্বকাপ চলাকালে জোহানেসবার্গে একটি অনুষ্ঠানে।[54] লোগো ডিজাইনের জন্য ব্রাজিল ভিত্তিক ২৫টি সংস্থাকে আমন্ত্রন জানানো হায়েছিল, এবং এই ২৫টি ডিজাইনের মধ্যে থেকে লোগোটি নির্বাচিত করা হয়।[55] ব্রাজিলীয় গ্রাফিক ডিজাইনার আলেজান্দ্রে অউনের ডিজাইনের সমালোচনা করেন।
ফিফা প্রতিযোগিতার একটি অফিসিয়াল পোস্টারও অনুমোদিত করে যা ২০১৩ সালের জানুয়ারীতে উন্মুক্ত করা হয়, এবং এর ডিজাইন করে ব্রাজিলীয় উদ্ভাবনী সংস্থা ক্রামা.[56] প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল স্লোগান হল "একই ছন্দে সব" (পর্তুগিজ: Juntos num só ritmo, ইংরেজি: All in One Rhythm).[57]
১৯৬২ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে অফিসিয়াল সঙ্গীত তৈরি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারী, ফিফা এবং সনি মিউজিক ঘোষণা করে যে প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল সঙ্গীত হতে যাচ্ছে "উই আর ওয়ান (ওলে ওলা)", যাতে কন্ঠ দিয়েছেন পিটবুল, জেনিফার লোপেজ এবং ক্লাউদা লেইত্তি।[58] এছাড়া সনি প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল অ্যালবাম ওয়ান লাভ, ওয়ান রিদমের জন্য একটি গান নিবার্চিত করতে 'সুপারসং' শিরোনামে বিশ্বব্যাপী একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতাও চালু করে।[59] এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গান জমা দিতে পারবে এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত গানটি রিকি মার্টিনের কন্ঠে রেকর্ড করা হবে।[59] ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন গীতিকার এলিজাহ্ কিং এর দাখিল করা "ভিদা" (বাংলায় "জীবন") গানটি নির্বাচিত করা হয়।[60] শাকিরার "ডেয়ার (লা লা লা)" গানটির একটি পরিবর্তীত সংস্করণ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অফিসিয়াল সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত হবে।[61]
এই বিশ্বকাপের মাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ব্রাজিলীয় তাতু-বলা, একটি আরমাডিলো যা শিকারিদের থেকে বাঁচতে বলের মত করে গুটিয়ে যায়। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় আয়োজক কমটি কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এটিকে নির্বাচিত করা হয়।[62] ছয়টি ব্রাজিলীয় সংস্থা কর্তৃক দাখিলকৃত ৪৭টি ডিজাইনের মধ্যে থেকে এটিকে নির্বাচিত করা হয়।[63]
সে সময় নামহীন এই মাসকটটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয় ব্রাজিলীয় সংবাদ অনুষ্ঠান ফান্তাসতিকোর একটি অংশে।[64] তিনটি সম্ভাব্য নাম দিয়ে একটি অনলাইন ভোটের আয়োজন করা হয়।[65] বিজয়ী ফুলেকো (পর্তুগিজ: Fuleco) নামটি ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর।[66] ১.৭ মিলিয়ন (প্রায় ৪৮ শতাংশ) ভোট পায় ফুলেকো, জুজেকো পায় ৩১ শতাংশ ভোট এবং আমিজুবি পায় ২১ শতাংশ ভোট।[67]
ফুলেকো (Fuleco) শব্দটি দুইটি পর্তুগিজ শব্দের সংমিশ্রণ: "Futebol" ("ফুটবল") এবং "Ecologia" ("বাস্তুসংস্থান")। অসফল নাম দুইটি আমিজুবি (Amijubi) ("Amizade" ("বন্ধুত্ব") এবং "Júbilo" ("আনন্দ")) এবং জুজেকো ("Azul" ("নীল") এবং "Ecologia").[66]
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল আডিডাস ব্রাজুকা।[68] বলের নাম নির্বাচনের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল, যাতে অংশগ্রহণ করে ১০ লক্ষেরও বেশি ব্রাজিলীয় ফুটবল ভক্ত। ব্রাজুকা নামটি প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়।[69] বিশ্বকাপে বল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় আডিডাসকে, যারা ১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছে।[69]
প্রতিযোগিতায় একটি অফিসিয়াল বাদ্যযন্ত্রেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার নাম কাশিরলা। এটি টোকা দিয়ে বাজানো যায় এমন একটি বাদ্যযন্ত্র যা তৈরি করেছেন ব্রাজিলীয় সুরকার কারলিনিয়োস ব্রাউন। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা আফ্রিকান ভুভুজেলার চেয়ে মৃদু ধ্বনি সৃষ্টি করতে পারে। অবশ্য, নিরাপত্তা জনিত কারণে, ফিফা পরবর্তীতে ঘোষণা দেয় যে কাশিরলাকে নিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢোকা যাবেনা।[70] ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল, বা-ভি ডার্বিতে দর্শকরা মাঠে বাদ্যযন্ত্রটি ছুড়ে মারার কারণে ফিফা এটিকে স্টেডিয়ামের ভিতরে নিষিদ্ধ করে।[71] অবশ্য, ২০১০ বিশ্বকাপে ভুভুজেলাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল না।
এবারই প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপ আসরে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিগত বিশ্বকাপকে বলা যায় এই প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুঘটক। কেননা, বিগত বিশ্বকাপের ১৬ দলের, পর্বে জার্মানি ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডের একটি গোল বাতিল হয়ে যায়।[72] এই ঘটনার পর ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারও গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে মত প্রকাশ করেন।[73] ২০১২ সালে আইএফএবি এই প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বীকৃতি প্রদান করে।[74] এটি ফিফার চতুর্থ প্রতিযোগিতা যেখানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এর আগে ২০১২ ক্লাব বিশ্বকাপ, ২০১৩ ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ কনফেডারেশন্স কাপে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে, জার্মান কোম্পানি গোলকন্ট্রোলকে প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল গোল-লাইন প্রযুক্তি প্রদানকারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।[75]
২০১৩ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ, ২০১৩ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে সফল ব্যবহারের পর প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ভ্যানিশিং স্প্রে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এটি পানি দিয়ে তৈরি এক ধরনের স্প্রে যা ব্যবহারের এক মিনিটের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায়। খেলা চলাকালে প্রতিপক্ষ দলের জন্য ১০ গজের লাইন চিহ্নিত করতে এটি ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, ফ্রি-কিকের স্থান চিহ্নিত করতেও রেফারিরা এটি ব্যবহার করবেন।[76]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.