মাশরিক
From Wikipedia, the free encyclopedia
মাশরিক (مشرق) দ্বারা মিশর থেকে পূর্ব দিকের আরব দেশসমূহকে বোঝানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে মিশর, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্ডান, ও সিরিয়া।[5][6][7] শাব্দিকভাবে এর অর্থ “সূর্যোদয়ের স্থান”। নামটি শারাকা (شرق “আলোকিত করা”) ক্রিয়া থেকে উদ্ভব হয়েছে যা দ্বারা সূর্যোদয়ের দিক তথা পূর্বদিক নির্দেশ করা হয়।[8][9]
ভূমধ্যসাগর ও ইরানের মধ্যবর্তী স্থান মাশরিকের অন্তর্গত। অনুরূপ একটি পরিভাষা হল মাগরেব যা উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাংশ নিয়ে গঠিত। দেশসমূহের মধ্যে মিশর সাংস্কৃতিক, জাতিতাত্ত্বিক ও ভাষাগত দিক থেকে মাশরিক ও মাগরেবের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। একারণে মিশর আরব বিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং আরব লীগের সদরদপ্তর মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত। তবে সাধারণত মিশর মাশরিকের অংশ বিবেচিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে মিশর ও লেভান্ট অনেক সময় একই অঞ্চল হিসেবে শাসিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় রাজ্য, উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমীয় খিলাফত, আইয়ুবী রাজবংশ, মামলুক ও মুহাম্মদ আলি পাশার অধীন কিছু সময়। মিশরীয় ও লেভান্টাইন ভাষার মধ্যে মিল রয়েছে।
একইভাবে লিবিয়ার উপর মাশরিক ও মাগরেবের প্রভাব রয়েছে। এর পূর্ব অংশ মিশরের মাধ্যমে মাশরিকের সাথে সম্পর্কিত।[10]
এই ভৌগোলিক পরিভাষাটি মুসলিম সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের সময় থেকে ব্যবহার শুরু হয়। এই অঞ্চল বিলাদ আল শাম ও মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ের অনুরূপ। মাশরিকে অনেক ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
২০১৪ সালের হিসাব মতে মাশরিক পৃথিবীর জনসংখ্যার ১.৭%।[11][12][13][14][15][16]