ভারতের ধর্মবিশ্বাস
From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৮০% মানুষ হিন্দু বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় ইসলাম জনসংখ্যার প্রায় ১৪.২%। অন্যান্য ধর্মের প্রতি হিন্দুধর্মের বদান্যতা লক্ষ্য করে জন হার্ডন লিখেছেন, “যদিও সাম্প্রতিক হিন্দুধর্মের সর্বাপেক্ষা লক্ষ্যনীয় বৈশিষ্ট্য হল এর অ-হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব ধর্মই সমান;...”[2]
দেশজ অন্যান্য ভারতীয় ধর্ম হল বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও শিখধর্ম। প্রাচীন ভারতে দুই প্রকার দার্শনিক ভাবধারা লক্ষিত হত; যথা – শ্রমণ ধর্ম ও বৈদিক ধর্ম। এই সমান্তরাল ভাবধারাদুটি সহস্রাধিক বছর ধরে একত্রে অবস্থান করেছিল।[3] বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম উভয়েই ছিল শ্রমণ প্রথার প্রবহমান ঐতিহ্য। অন্যদিকে আধুনিক হিন্দুধর্ম বৈদিক ধর্ম থেকে উদ্ভূত। এই সহাবস্থানকারী ধর্মবিশ্বাসগুলি পরস্পর দ্বারা প্রভাবিতও হয়েছিল।
ভারতের জনসংখ্যার দুই শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী। জরথুস্ট্রবাদ ও ইহুদি ধর্ম ভারতে এক অতি প্রাচীন ইতিহাসের অধিকারী। ভারতে সহস্রাধিক জরথুস্ট্রবাদী ও ইহুদি দেখা যায়।
আন্তর্ধর্মবিবাহ খুব একটা সুপ্রচলিত না হলেও, ভিন্ন ধর্মীদের প্রতি ভারতীয়রা সাধারণত সহিষ্ণু ও ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন। সাম্প্রদায়িক সংঘাত সমাজের মূলস্রোতের সমর্থন এদেশে পায় না। মনে করা হয়, ধর্মীয় সংঘাতের কারণ যত না আদর্শগত তার থেকে অনেক বেশি রাজনৈতিক। ভারতের ধর্মবৈভিন্ন্য সরকারের সর্বোচ্চ স্তর অবধি প্রসারিত। ভারতীয় সংবিধানে ভারত রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। এই ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও আইনশৃঙ্খলাগত কিছু বিধিনিষেধ ব্যতীত অন্য সর্বত্র ভারতীয় নাগরিকদের স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ দেয়।