বৈশালী (প্রাচীন শহর)
From Wikipedia, the free encyclopedia
বৈশালী ছিল প্রাচীন ভারতের একটি শহর। এটি বর্তমানে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিহার রাজ্যের তিরহুত বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রত্নক্ষেত্র।[1] বৈশালী ছিল লিচ্ছবির রাজধানী। উল্লেখ্য, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে লিচ্ছবি ছিল বজ্জি রাষ্ট্রসংঘের (মহাজনপদ) অন্তর্গত প্রথম প্রজাতন্ত্রগুলির অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ অব্দে বৈশালী প্রজাতন্ত্রের কুণ্ডলগ্রামে ২৪তম জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই অঞ্চলটি তাই জৈনদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অব্দে এখানেই গৌতম বুদ্ধ মৃত্যুর আগে তার শেষ উপদেশ দিয়েছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৩ অব্দে রাজা কালাশোক এখানেই দ্বিতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতির আয়োজন করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।[2][3][4] বৈশালীতে একটি সুসংরক্ষিত অশোকস্তম্ভ রয়েছে। এই স্তম্ভের শীর্যে একটি মাত্র এশীয় সিংহের মূর্তি দেখা যায়।
বৈশালী वैशाली | |
---|---|
প্রাচীন শহর | |
বিহারের মানচিত্রে বৈশালীর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫.৯৯° উত্তর ৮৫.১৩° পূর্ব / 25.99; 85.13 | |
দেশ | India |
রাজ্য | বিহার |
জেলা | বৈশালী |
ভাষা | |
• সরকারি | ভোজপুরি, হিন্দি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
গৌতম বুদ্ধ একাধিকবার বৈশালীতে এসেছিলেন। তার সমসাময়িক কালে বৈশালী ছিল একটি সমৃদ্ধ ও বর্ধিষ্ণু শহর। এই জনবহুল শহরে খাদ্যদ্রব্যের প্রাচুর্য দেখা যেত। এই শহরে ৭,৭০৭টি প্রমোদ উদ্যান এবং সমসংখ্যক পদ্ম পুকুর ছিল। এই শহরের রাজনর্তকী আম্রপালি তার সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত ছিলেন। এই শহরের সমৃদ্ধির পিছনে তার যথেষ্ট অবদান ছিল।[5] শহরে তিনটি প্রাচীর ছিল। প্রাচীরগুলির তিন স্থানে নজরদারির জন্য স্তম্ভসহ দরজা ছিল। শহরের বাইরে থেকে হিমালয় পর্বতমালা পর্যন্ত মহাবন নামে একটি বিশাল প্রাকৃতিক বন পরিব্যাপ্ত ছিল। [6] শহরের কাছে গোসিঙ্গলশাল নামে আরও একটি বন ছিল।[7]
চীনা পর্যটক ফাহিয়েন (খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দী) ও হিউয়েন সাংয়ের ভ্রমণবিবরণীতে বৈশালী শহরের কথা উল্লিখিত হয়েছে। এই বিবরণ অনুসারে ১৮৬১ সালে পুরাতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম অধুনা বিহারের বৈশালী জেলার বাসরাহ গ্রামটিকে প্রাচীন বৈশালী নগর হিসেবে চিহ্নিত করেন।[8][9]