বৌদ্ধধর্ম
গৌতম বুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত ধর্ম / From Wikipedia, the free encyclopedia
বৌদ্ধধর্ম (সংস্কৃত: बौद्धधर्मः, পালি: বৌদ্ধধম্ম) একটি ভারতীয় ধর্ম বা দার্শনিক ঐতিহ্য।[1] এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম[2][3] যার অনুসারী সংখ্যা ৫২০ মিলিয়নেরও বেশি বা বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৭ শতাংশের অধিক এবং তারা বৌদ্ধ হিসেবে পরিচিত।[4][5] বৌদ্ধধর্ম বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক চর্চাকে ধারণ করে যেগুলো মূলত সিদ্ধার্থ গৌতমের মৌলিক শিক্ষা ও এর ব্যাখ্যাকৃত দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে প্রাচীন ভারতে একটি শ্রমণ ঐতিহ্য হিসেবে উৎপত্তিলাভ করে এবং এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বৌদ্ধধর্মের তিনটি প্রধান বিদ্যমান শাখা সাধারণত পণ্ডিতদের দ্বারা স্বীকৃত: থেরবাদ, মহাযান ও বজ্রযান।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৫২ কোটি | |
প্রতিষ্ঠাতা | |
সিদ্ধার্থ গৌতম | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া | |
ধর্ম | |
থেরবাদ, মহাযান, বজ্রযান | |
ধর্মগ্রন্থ | |
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ, ত্রিপিটক, পালি ত্রিপিটক, মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র | |
ভাষা | |
পালি, সংস্কৃত, তিব্বতি, চীনা |
বুদ্ধের চার আর্যসত্য মোতাবেক বৌদ্ধধর্মের লক্ষ্য হল তৃষ্ণা বা আসক্তি ও অবিদ্যার ফলে উদ্ভূত দুঃখ নিরসন করা।[6] অধিকাংশ বৌদ্ধ ঐতিহ্য নির্বাণলাভের মাধ্যমে অথবা বোধিসত্ত্বকে অনুসরণপূর্বক সংসার তথা মৃত্যু ও পুনর্জন্মচক্রের অবসান ঘটিয়ে স্বতন্ত্র সত্তাকে অতিক্রম করার ওপর জোর দিয়ে থাকে।[7][8][9] বৌদ্ধ চিন্তাধারাগুলোতে তাদের মোক্ষলাভের উপায়ের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের আপেক্ষিক গুরুত্ব ও ধর্মসম্মতি এবং তাদের নির্দিষ্ট শিক্ষা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।[10][11] ব্যাপকভাবে উদ্যাপিত অনুশীলনগুলোর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণ নেওয়া, নৈতিকতা, ভিক্ষুত্ব, ধ্যান এবং পারমিতার চর্চা।
থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয়। মহাযান বৌদ্ধধর্ম—পুণ্যভূমি, জেন, নিচিরেন, শিঙ্গোন ও তিয়ান্তাই ঐতিহ্য যার অন্তর্ভুক্ত—মূলত পূর্ব এশিয়া জুড়ে পাওয়া যায়। বজ্রযান বৌদ্ধধর্ম—যা ভারতীয় মহাসিদ্ধদের তন্ত্রসাধনা ও শিক্ষা দ্বারা উদ্ভূত—একটি পৃথক শাখা অথবা মহাযান বৌদ্ধধর্মের একটি ধারা হিসেবে বিবেচিত হয়।[12] তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম—যা অষ্টম শতাব্দীর ভারতের বজ্রযান শিক্ষাবলিকে ধারণ করে—হিমালয় অঞ্চল, মঙ্গোলিয়া[13] ও কালমিকিয়াতে চর্চিত হয়।[14]