বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালচিত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি থেকে উৎপাদনমুখী শিল্পে পরিবর্তনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক শিল্প।
মুদ্রা | বাংলাদেশী টাকা (BDT, ৳) |
---|---|
অর্থবছর | ১ জুলাই – ৩০ জুন |
বাণিজ্যিক সংস্থা | সাফতা, সার্ক, বিম্সটেক, ডব্লিউটিও, এআইআইবি, আইএমএফ, কমনওয়েলথ অব নেশন্স, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, উন্নয়নশীল-৮ |
দেশের স্তর |
|
পরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ১৬,৫১,৫৮,৬১৬ (২০২২ জনশুমারি)[3] |
জিডিপি | |
জিডিপি ক্রম | |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | |
মাথাপিছু জিডিপি |
|
মাথাপিছু জিডিপি ক্রম | |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | |
মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) | ৯.৯৪% (মে ২০২৩)[9] |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | |
৪৯.৯ উচ্চ (২০২২)[10] | |
শ্রমশক্তি | |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি |
|
বেকারত্ব |
|
প্রধান শিল্পসমূহ | |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ক্রম | ১৬৮তম (গড়ের নিচে, ২০২০)[18] |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | |
রপ্তানি পণ্য | সুতি বস্ত্র এবং নিটওয়্যার, [22][23] পাট ও পাটজাত দ্রব্য, [22][23] মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার,[23] চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ঘরোয়া টেক্সটাইল, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, [24] প্লাস্টিক, বাইসাইকেল।[23] |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার |
|
আমদানি |
|
আমদানি পণ্য | তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোলিয়াম, যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম, রাসায়নিক, তুলা, খাদ্যদ্রব্য। |
প্রধান আমদানি অংশীদার | |
এফডিআই স্টক | |
চলতি হিসাব | −$৩.৮০৮ বিলিয়ন (২০২০-২১)[31]}} |
মোট বৈদেশিক ঋণ | $৯৫.৮৬ বিলিয়ন (২০২১ - ২০২২)[32] |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | জিডিপির ৪০.৭% (নভেম্বর ২০২১)[33] |
বাজেটের ভারসাম্য | −৩.২% (জিডিপির) (২০১৭ আনু.)[30] |
রাজস্ব | ৳৪,৩৩,০০০ কোটি (ইউএস$৪০ বিলিয়ন) (২০২২-২০২৩)[34] |
ব্যয় | ৳৬,৭৮,০৬৪ কোটি (ইউএস$৬৩ বিলিয়ন)(২০২২-২০২৩)[34] |
ঋণ পরিশোধে ঝুঁকির মূল্যায়ন | |
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | $২৪.২৫ বিলিয়ন (১৪ জুলাই ২০২৩)[39](৬০ তম) |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
বাংলাদেশ একটি নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল বাজার অর্থনীতি।[40] এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যমহারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র্য, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে সেবা খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাংলাদেশের মাথাপিছু স্থূল দেশজ উৎপাদন[41] স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশিদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯ তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২৯ তম যা দক্ষিণ এশিয়ায় ২য়। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬.৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে (পিপিপি) বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি ৪,৬০০ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তি ৭,০০,০৯,৩৫৩ জন।[42][43][44]
২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩১৭.৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে অনুমিত ৮৬০.৯১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[45][46]
২০১৮, ২০১৯ সালে জিডিপির হার ছিল যথাক্রমে ৮ % এবং ৭.৯ %। ২০২০, ২০২১ সালে সম্ভাব্য হার হবে যথাক্রমে ২ % ও ৯.৫ %।[46]