Loading AI tools
বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল লীগ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নিয়মিত পেশাদার ফুটবল লিগ এবং বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর। বাংলাদেশের ফুটবল লিগসমূহের স্তরবিন্যাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর পরে এই লিগের অবস্থান। প্রিমিয়ার লিগের মত এই লিগও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর পেশাদার লিগ কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।[1] বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবলের পরিধি বৃদ্ধি, কাঠামো উন্নয়ন ও নতুন নতুন ক্লাবকে পেশাদার ফুটবল দল গঠনে আগ্রহী করার লক্ষ্যে বাফুফে ২০১২ সালে এই লিগ চালু করা হয়েছিল।[2]
স্থাপিত | ২০১২ |
---|---|
প্রথম মৌসুম | ২০১২ |
দেশ | বাংলাদেশ |
কনফেডারেশন | এএফসি |
দলের সংখ্যা | ১২ |
লিগের স্তর | ২ |
উন্নীত | বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ |
অবনমিত | সিনিয়র ডিভিশন লিগ |
ঘরোয়া কাপ | ফেডারেশন কাপ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি (২য় শিরোপা) (২০২৩–২৪) |
সর্বাধিক শিরোপা | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি (২টি শিরোপা ) |
ওয়েবসাইট | www.bff.com.bd |
২০২৩–২৪ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ |
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২০০৭ সালে দেশের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ চালু করে। ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত দেশের একমাত্র পেশাদার লিগে অবনমনের নিয়ম না থাকায় নতুন ক্লাবের আগমন হচ্ছিল না; লিগটির মান নিম্নমুখী হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০১১ সালে পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে[3]। ফলাফল সরূপ মার্চ, ২০১২ হতে প্রিমিয়ার লিগের সাথে সাত দল নিয়ে ২য় স্তরের এই পেশাদার লিগ প্রথম বারের মত চালু করা হয়। কক্স সিটি স্পোর্টিং ক্লাব প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়[4]। বাফুফের অন্তর্ভুক্তিমুলক নীতির কারণে পরবর্তী মৌসুম গুলিতে দলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে এগারোটি দল অংশগ্রহণ করে[5]।
২০১২ মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে বিপিএল-এ উন্নীত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়, পরবর্তী মৌসুম হতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলকে বিপিএল-এ উন্নীত হওয়ার নিয়ম করা হয়[6]। ২০১২ ও ২০১৫ মৌসুমে কোন দল অবনমিত হয়নি, বাদবাকী মৌসুমগুলিতে পয়েন্ট তালিকার সর্বশেষ এক বা দুই দলকে নিচের স্তরের লিগে অবনমনের নিয়ম চালু রয়েছে। বাফুফে-এর অন্তর্ভুক্তিমুলক নীতির কারণে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা এখনো নির্দিষ্ট নয়। মৌসুমভেদে ২০১৯ পর্যন্ত বিসিএল-এ অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা, বিপিএল-এ উন্নীত দলের সংখ্যা, অবনমিত দলের সংখ্যা নিম্নরূপঃ
মৌসুম | অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা | বিপিএল-এ উন্নীত দলের সংখ্যা | অবনমিত দলের সংখ্যা | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|
২০১২ | ৭[7] | ১
(চ্যাম্পিয়ন) |
০ | উদ্বোধনী মৌসুমে কক্স সিটি এফসি চ্যাম্পিয়ন[4][8] ও উত্তর বারিধারা ক্লাব রানার্স-আপ হয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন দলকে বিপিএল-এ উন্নীত করা হয়। কক্স সিটি ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হলে পরের মৌসুমে অর্থ সংকটের কারণে দল গঠন করে না পারায় বিপিএল খেলতে না চাইলে বাফুফে দলটিকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে [9][10]। এই মৌসুমে কোন দলকে অবনমিত করা করা হয়নি। |
২০১৩ | ৮ | ২
(চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ)[6] |
১ | চট্টগ্রাম আবাহনী চ্যাম্পিয়ন ও উত্তর বারিধারা রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[11]।
ঢাকা ইউনাইটেড ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগ-এ অবনমিত হয়। |
২০১৪ | ৭ | রহমতগঞ্জ এমএফএস চ্যাম্পিয়ন[12] ও ফরাসগঞ্জ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়।
বাড্ডা জাগরণী ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। | ||
২০১৫* | ৮[13][14][15] | উত্তর বারিধারা চ্যাম্পিয়ন[16] ও আরামবাগ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়।
ওয়ারী ক্লাবকে ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়[17]। | ||
২০১৬ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়ন ও সাইফ এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[18]। আর্থিক সংকটের কারণে দল গঠনে অপারগতা থাকায় ফকিরেরপুল বিপিএল খেলেনি[19][20], ২০১৭ মৌসুমে দলটি পুনরায় বিসিএল-এ অংশ নেয়। সাইফ এস সি পরের মৌসুমে বিপিএল-এ অংশ নেয়।
চট্টগ্রাম মোহামেডান, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে অবনমিত হয়। | |||
২০১৭ | ১০ | বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন[21] ও নোফেল এসসি রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[22]।
কারওয়ান বাজার প্রগতি সংঘ ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। | ||
২০১৮-১৯ | ১১[5] | ২
(লিগ টেবিলের সর্বনিম্ন দুই দল) |
বাংলাদেশ পুলিশ এফসি চ্যাম্পিয়ন ও উত্তর বারিধারা রানার্স-আপ হয়ে বিপিএল-এ উন্নীত হয়[23][24]।
প্রথম বারের মত পয়েন্ট তালিকার সর্ব নিম্নের দুই দল- ফেনী সকার ক্লাব ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবনমিত হয়। |
*২০১৫ মৌসুমে দশটি দল অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আটটি দল অংশ নেয়[25]। যাত্রাবাড়ী ও বাসাবো তরুণ সংঘ লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়[13]।
এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা হল:[26][27][28]
মৌসুম | ক্লাব | খে | জ | ড্র | হা | গপ | গবি | গপা | প |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
২০১২ | কক্সসিটি | ১২ | ৫ | ৫ | ২ | ১৪ | ১১ | ৩ | ২০ |
২০১৩ | চট্টগ্রাম আবাহনী | ১৪ | ৯ | ৩ | ২ | ২৮ | ১১ | ১৭ | ৩০ |
২০১৪ | রহমতগঞ্জ এমএফএস | ১৮ | ১৩ | ৫ | ০ | ৩৬ | ৮ | ২৮ | ৪৪ |
২০১৫ | উত্তর বারিধারা স্পোর্টিং ক্লাব | ১৪ | ৭ | ৬ | ১ | ১৮ | ৯ | ৯ | ২৭ |
২০১৬ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১৪ | ৭ | ৬ | ১ | ১৫ | ৮ | ৭ | ২৭ |
২০১৭ | বসুন্ধরা কিংস | ১৮ | ১০ | ৫ | ৩ | ২৩ | ১৭ | ৬ | ৩৫ |
২০১৮-১৯ | বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব | ২০ | ১১ | ৬ | ৩ | ৩১ | ১৩ | ১৮ | ৩৯ |
২০১৯-২০ | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছিল।[29] | ||||||||
২০২০-২১ | স্বাধীনতা কে.এস | ২২ | ১৩ | ৬ | ৩ | ৩০ | ১১ | ১৯ | ৪৫ |
২০২১-২২ | ফর্টিস | ২২ | ১৩ | ৮ | ১ | ২৯ | ৯ | ২০ | ৪৭ |
২০২২-২৩ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ২০ | ১৬ | ৩ | ১ | ৩০ | ৬ | ২৪ | ৫১ |
২০২৩–২৪ | ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১৪ | ৮ | ৩ | ৩ | ২৮ | ১৪ | ১৪ | ২৭ |
ক্লাব | চ্যাম্পিয়নশিপের সংখ্যা |
---|---|
ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ২ |
চট্টগ্রাম আবাহনী | ১ |
কক্সসিটি | ১ |
রহমতগঞ্জ এমএফএস | ১ |
উত্তর বারিধারা এস সি | ১ |
ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব | ১ |
বসুন্ধরা কিংস | ১ |
বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব | ১ |
স্বাধীনতা কে. সি. | ১ |
ফর্টিস | ১ |
ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ১ |
বছর | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল | |
২০১৩ | নাবিব নেওয়াজ জীবন | উত্তর বারিধারা | ১২ | |
২০১৭ | আরিফুল ইসলাম | নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব | ১২ | |
রোকনুজ্জামান কাঞ্চন | বসুন্ধরা কিংস | |||
২০১৮–১৯ | আমিরুল ইসলাম | বাংলাদেশ পুলিশ এফসি | ১৮ | |
২০১৯–২০ | লিগ বাতিল | |||
২০২০–২১ | আলী আকবর কানন | ওয়ারী ক্লাব | ১৩ | |
২০২১–২২ | মইনুল ইসলাম মঈন | উত্তরা এফসি | ১৮ | |
২০২২–২৩ | মিরাজুল ইসলাম | বাফুফে এলিট একাডেমি | ১৯ | |
২০২৩–২৪ | রাফায়েল টুডু | ফকিরেরপুল ওয়াইএমসি | ১২ |
এই মৌসুমে মোট ২টি মাঠে খেলা হয়। মাঠগুলি হল-
প্রথম মৌসুম হতে বর্তমান(২০১৯)অবধি বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগের পৃষ্ঠপোষকতা সংক্রান্ত তথ্যবলী নিম্নে দেয়া হলোঃ
সময় কাল | স্পন্সরের নাম | প্রতিষ্ঠানের ধরন | মন্তব্য | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০১৪ | প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড | ব্যাংক | প্রথম তিন মৌসুমেই ব্যাংকটি পৃষ্ঠপোষকতা করে। প্রথম মৌসুমে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড 'টাইটেল স্পন্সর' হিসেবে বাফুফেকে ২০ লাখ টাকা দেয়। ডেসটিনি গ্রুপ 'কো-স্পন্সর' হিসেবে ১২ লাখ টাকা দেয়। | [7][30] |
২০১৪-২০১৫ | মিনিস্টার ফ্রিজ | ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড | প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এই মৌসুমে 'প্রেজেন্টিং স্পন্সর' ছিল। এছাড়া প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, নভো এয়ার ও ট্রেজার সিকিউরিটিজ 'কো-স্পন্সর' ছিল। | [31] |
২০১৫-২০১৭ | আর বি-মারসেল গ্রুপ | মারসেল ইলেক্ট্রনিক্স ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৭ মৌসুম পৃষ্ঠপোষকতা করে। | [32][33][34] | |
২০১৯-বর্তমান | ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস পার্টনার(আইএসপি) | বিপণন সংস্থা | মে, ২০১৯-এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাফুফে'র পাঁচ বছরের 'স্পন্সরশীপ' চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রিমিয়ার লিগ এবং ঘরোয়া ফুটবলের অন্য প্রতিযোগিতাগুলোর সঙ্গে বিসিএল-এর স্বত্ব আইএসপি-কে দেয়া হয়। | [35][36][37] |
মে, ২০১৯ হতে আইএসপি-কে বাফুফে বিপিএল, বিসিএল সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতার স্বত্ব প্রদান করে, সে অনুযায়ী আইএসপি-এর সম্প্রচার সহযোগী বাংলা টিভি বিপিএল-এর খেলা সম্প্রচার[37] শুরু করলেও অদ্যাবধি বিসিএল-এর খেলা সম্প্রচার করেনি। ২০১৯ সালের পূর্ব মৌসুমের খেলাও অদ্যাবধি কোন টেলিভিশন চ্যানেল অথবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেনি। ২০১৯ সাল[38] হতে বিসিএল-এর সকল ম্যাচ 'মাইকুজু' নামক একটি 'অনলাইন স্ট্রিমিং' সেবা প্রদানকারী প্লাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে[39]।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.