পার্থ স্টেডিয়াম
স্টেডিয়াম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্টেডিয়াম উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পার্থ স্টেডিয়াম, (নামের অধিকার স্পন্সরশীপের কারণে অপটাস স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত), বার্সউড উপকূলে অবস্থিত, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, পার্থের একটি বহুমুখী স্টেডিয়াম। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয় এবং ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা (আসন ক্ষমতা) ৬০,০০০ এরও বেশি, যে কারণে এটি হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া এর পর এ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতাই বেশি। চর্তুকোণী খেলায় স্টেডিয়ামটি সর্বোচ্চ ৬৫,০০০ পর্যন্ত আসন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
অবস্থান | ব্রাসউড, পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩১°৫৭′৪″ দক্ষিণ ১১৫°৫৩′২০.৫″ পূর্ব | ||||||||
মালিক | পশ্চিম অস্ট্রেলীয় সরকার | ||||||||
পরিচালক | ভেনাস লাইভ[1][2] | ||||||||
উপস্থিতির রেকর্ড | ৫৯,৭২১ কুইন্সল্যান্ড রাগবী লীগ টিম ব এনএসডব্লিউ রাগবী লীগ টিম, ২৩ জুন, ২০১৯ | ||||||||
আয়তন | ১৬৫ মি × ১৩০ মি (১৮০ গজ × ১৪২ গজ)[3] | ||||||||
উপরিভাগ | সিন্থেটিক স্থিতিশীল আচ্ছাদন | ||||||||
নির্মাণ | |||||||||
কপর্দকহীন মাঠ | ডিসেম্বর ২০১৪ | ||||||||
উদ্বোধন | ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ (অনানুষ্ঠানিক) ২১ জানুয়ারী ২০১৮ (আনুষ্ঠানিক) | ||||||||
স্থপতি | হাসেল, এইচকেএস, ফিলিপ কক্স | ||||||||
ভাড়াটে | |||||||||
ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল(এএফএল) (২০১৮–) ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব (এএফএল/(২০১৮–) ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (২০১৮–) পার্থ স্কর্চার্স (বিবিএল) (২০১৮–) | |||||||||
ক্রিকেটের পরিসংখ্যান | |||||||||
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |||||||||
দেশ | অস্ট্রেলিয়া | ||||||||
ধারণক্ষমতা | ৬০,০০০[4] (ওভাল) ~৬৫,০০০ (চতুর্ভুজাকৃতি) | ||||||||
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |||||||||
প্রথম পুরুষ টেস্ট | ১৪–১৮ ডিসেম্বর ২০১৮: অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত | ||||||||
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ২৮ জানুয়ারি ২০১৮: অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ৪ নভেম্বর ২০১৮: অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||
| |||||||||
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুযায়ী উৎস: ক্রিকইনফো |
পার্থ স্টেডিয়ামটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হয় অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল এবং ক্রিকেট এর জন্য। পার্থের দুটি অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লীগ (এএফএল) দল – ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব এবং ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল – তাদের ঘরোয়া খেলাগুলো পার্থ স্টেডিয়াম থেকে সাবিয়াকো ওভাল এ স্থানান্তর করেছে। কারণ বিগ ব্যাশ লীগে পার্থ স্কর্চার্সের ঘরোয়া খেলা চলছিল, যা পূর্ব ওয়াকা গ্রাউন্ডে খেলা হতো।
পার্থ স্টেডিয়ামটি একটি মাল্টিপ্লেক্স কোম্পানীর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামটি নির্মাণের অবস্থান চয়নের জন্য পশ্চিম পার্থ, সাবিয়াকো এর ধারাবাহিকতায় ব্রাসউডের নাম আসে ২০১১ সালের জুনে।
২০০৩ সালে, পশ্চিমা অস্ট্রেলিয়ার সরকার পশ্চিমা অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ক্রীড়া মাঠগুলির ভবিষ্যত পরীক্ষা করার জন্য একটি পর্যালোচনা কমিশন গঠন করে। পর্যালোচনা কার্য পরিচালনা করার জন্য একটি টাস্কফোর্স নিযুক্ত করা হয়। উক্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী জন লাঙ্গুলেন্ট এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ২০০৭ এর মে মাসে। [5] রিপোর্টে হয় কিচেনার পার্ক (যা সাবিয়াকো ওভালের সন্নিকটে) নতুবা পূর্ব পার্থে (যা অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল, ক্রিকেট এবং চতুর্ভুজাকৃতি মাঠের খেলা যেমন সকার, রাগবী এর জন্য উপযোগী) ৬০,০০০ আসন ব্যবস্থা সম্পন্ন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরামর্শ দেয়। টাক্সফোর্সটি সাবিয়াকো ওভালের পরবর্তী উন্নয়নের বিপক্ষে পরামর্শ দেয় যা কিনা ভেঙ্গে ফেলা হবে এবং ব্রাসউড এলাকায় নতুন করে স্টেডিয়াম নির্মাণের পক্ষেও অসম্মতি প্রদান করে। কারণ ব্রাসউড এলাকায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থার পর্যাপ্ত উন্নয়ন সাধন করতে হবে, যা হবে প্রচুর ব্যয়বহুল। [6]
২০০৭-এর জুলাইয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া সরকার সাবিয়াকো ওভালের পুননির্মাণের পরিবর্তে ৬০,০০০ আসন বিশিষ্ট একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা করে।[7] এবং ২০০৮ এর শুরুর দিকে নিশ্চিত করে যে, কিচেনার পার্কের নতুন পার্থ সুপার স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সাবিয়াকো ওভালকে ভেঙ্গে ফেলা হবে।[8] এলাকাটি নির্বাচন করা হয়েছিল অন্য একটি বিষয়ের ভাবনাকে সামনে রেখে, যার একপাশে ছিল পূর্ব পার্থ পাওয়ার স্টেশন এবং অপর পাশে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জাদুঘর।[9]
সাবিয়াকোতে নতুন স্টেডিয়ামটি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। স্টেডিয়ামটির অধিকাংশ কাজই সমাপ্ত হবে ২০১৪ সালে। তাই পার্থ স্টেডিয়ামের কাজ সমাপ্ত করার উদ্দেশ্যে সাবিয়াকো ওভালটিকে ২০১৪ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার জন্য নির্ধারণ করা হয়। এ অবস্থায় স্টেডিয়ামের দুই-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল খেলার উপযোগী হয়ে যায়, যেখানে প্রাথমিকভাবে ৪০,০০০ আসন পর্যন্ত ধারণ করা সম্ভব। চূড়ান্ত পর্যায়ে ৬০,০০০ আসন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামের কাজ সমাপ্ত হবে ২০১৬ সালে।[8][10]
স্টেডিয়ামে প্রথম অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, পার্থ স্কর্চার্স ও ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের মধ্যে। দুইদিন পর একই দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ম্যাচটি। [11] সাধারণ জনগণের জন্য অবমুক্ত করে দিয়ে স্টেডিয়ামটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২১ জানুয়ারী ২০১৮। [12]
পার্থ স্টেডিয়ামটিতে বিভিন্ন বড় বড় কনসার্ট ও অন্যান্য বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান আয়োজনেরও উপযোগী। এড শীরান এবং টেলর সুইফ্ট এর মতো বড় দুটি কনসার্ট এই মাঠেই অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালে।[13][14] নাইট্রো সার্কাস এর পারফরমেন্সও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ২২ এপ্রিয় ২০১৮।[15] এমিনেম একই মাঠে পারফর্ম করে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[16] মেটালিকা এই মাঠেই পারফর্ম করবে ১৭ অক্টোবর ২০১৯।[17] ইউ২ তাদের জশোয়া ট্রি ট্যুরের অংশ হিসেবে এই মাঠে পারফর্ম করতে আসছেন ২৭ নভেম্বর ২০১৯।[18] কুইন + এডাম লামবার্ট এ মাঠেই আসছে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।[19]
ক্রিকেট খেলা যেমন, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক এর মত খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে সাধারণ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যবর্তী। [20] ২০১৭ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল তাদের পার্থে অনুষ্ঠিত টেস্ট ও টি২০ খেলার অধিকাংশ খেলাই এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[20] এই স্টেডিয়ামটি পার্থ স্কর্চার্স এর জন্য বিগ ব্যাশ লীগের ঘরোয়া মাঠ, যারা পূর্ব ওয়াকা স্টেডিয়ামের বাসিন্দা ছিল ২০১৮ পর্যন্ত। স্টেডিয়ামটি প্রাথিমকভাবে ২০২০ সালে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ খেলাগুলো অনুষ্ঠানের জন্য মনোনীত হয়েছে। সর্বপ্রথম বৃহত খেলার আয়োজনের মধ্যে ছিল ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ এ ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ওডিআই, যাতে ইংল্যান্ড ১২ রানে বিজয়ী হয়।[21]
নং | উপস্থিতি | তারিখ | খেলা | স্পোর্টস | সিরিজ |
---|---|---|---|---|---|
১ | ৫৯,৭২১ | ২৩ জুন ২০১৯ | কুইন্সল্যান্ড ব নিউ সাইথ ওয়ালেস | রাগবী লীগ | ২০১৯ স্টেট অরিজিন সিরিজ |
২ | ৫৯,৬০৮ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল ফাইনাল সিরিজ |
৩ | ৫৯,৫৮৮ | ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব কলিংউড ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল ফাইনাল সিরিজ |
৪ | ৫৮,২১৯ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৯ এএফএল মৌসুম |
৫ | ৫৭,৬১৬ | ২০ মে ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব রিচমন্ড ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল মৌসুম |
৬ | ৫৭,৩৭৫ | ৫ আগস্ট ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল মৌসুম |
৭ | ৫৬,৫২১ | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল মৌসুম |
৮ | ৫৬,৩৭১ | ১৯ মে ২০১৯ | পার্থ গ্লোরি ব সিডনি এফ সি | এসোসিয়েশন ফুটবল | ২০১৯ এ-লীগ গ্রান্ড ফাইনাল |
৯ | ৫৬,৩৫৮ | ৬ জুলাই ২০১৯ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব ফ্রিমান্টেল ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৯ এএফএল মৌসুম |
১০ | ৫৫,৮২৪ | ১৯ আগস্ট ২০১৮ | ওয়েস্ট কোস্ট ঈগল ব মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব | অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল | ২০১৮ এএফএল মৌসুম |
ক্র | উপস্থিতি | তারিখ | অংশগ্রহণকারী | অনুষ্ঠান | আয়োজন | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১১৪,০৩১ (২টির অধিক কনসার্ট) | ২ ও ৩ মার্চ ২০১৮ | এড শীরান | কনসার্ট | ÷ Tour | [13] |
২ | ১১০,০০০ (দিন ব্যাপী চলে)[lower-alpha 1] | ২১ জানুয়ারী ২০১৮ | সাধারণ জনগণ | প্রাতিষ্ঠানিক উদ্বোধন ও আরম্ভের দিন | নাই | [12][22][23] |
৩ | ৬০,০০০ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ইমিনেম | Concert | র্যাপচার ট্যুর (২০১৯) | [24] |
৪ | ৫০,৯০০ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮ | টেলর সুইফ্ট | Concert | টেলর সুইফ্ট রেপুটেশন ট্যুর | [25] |
৫ | ১৩,৬৬৩ | ২২ এপ্রিল ২০১৮ | নাইট্রো সার্কাস | স্টান্ট শো | নেক্সট লেভেল ট্যুর | [26] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.