নাগর নদী

বাংলাদেশের নদী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

নাগর নদী

নাগর নদী বা নাগর আপার নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[১] এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা এবং বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলার একটি নদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক নাগর আপার নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৬৫।[২]

দ্রুত তথ্য দেশসমূহ, রাজ্য ...
নাগর নদী
River
Thumb
হরিপুর উপজেলার কান্ধাল সীমান্ত থেকে নাগর নদীর দৃশ্য।
হরিপুর উপজেলার কান্ধাল সীমান্ত থেকে নাগর নদীর দৃশ্য।
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চলসমূহ উত্তরবঙ্গ, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
জেলাসমূহ ঠাকুরগাঁও, উত্তর দিনাজপুর
উপনদী
 - বাঁদিকে পেটকি, আমনদামন, তীরনই, নোনা, গন্দর, কুলিক
 - ডানদিকে রতুয়া, দোলঞ্চা, সেরয়ানী
উৎস পশ্চিমবঙ্গ
মোহনা মহানন্দা
দৈর্ঘ্য ১৪৪ কিলোমিটার (৮৯ মাইল)
বন্ধ

প্রবাহ

Thumb
হরিপুর উপজেলার কান্ধাল গ্রামে নদীর তীরে একটি স্লুইস গেট যা জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে বর্ষায় ফসল রক্ষা করে।

নাগর নদী ভারতে উৎপন্ন হয়ে পঞ্চগড় জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা হয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁও জেলার পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে হরিপুর উপজেলা হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করেছে।[৩] তীরনই নদী এবং নোনা নদী, যমুনা খাল ও জালুই খাল নামে কিছু উল্লেখযোগ্য খালের সঙ্গে নাগর নদীর সংযোগ রয়েছে। নদীটির গতিপথ অধিকাংশ সময়ই ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্দেশ করেছে। বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৫ কিমি। কিছুটা আকস্মিক বন্যা প্রবণতা রয়েছে, তবে তেমন একটা ক্ষয়-ক্ষতি করে না। শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না, তবে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমের পানিকে বাঁধ দিয়ে আটকে রেখে সেচের জন্য ব্যবহার করে থাকে।[৪]

উপনদীসমূহ

নাগর নদী তার বাম দিকের প্রবাহে যেসব উপনদী নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে পেটকি, আমনদামন, তীরনই, নোনা, গন্দর, কাছ এবং কুলিক নদী। নাগর নদী তার ডানদিকে যেসব নদী থেকে প্রবাহ গ্রহণ করেছে সেগুলো হচ্ছে রতুয়া, দোলঞ্চা, সেরয়ানী নদী।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.