Remove ads
ঠাকুরগাঁও জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হরিপুর উপজেলা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি রংপুর বিভাগের অধীন ঠাকুরগাঁও জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে একটি এবং ঠাকুরগাঁও জেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত। হরিপুর উপজেলা পুরাতন হিমালয় পর্বত পাদদেশীয় সমতলভূমি দ্বারা গঠিত। এই উপজেলা হিমালয় পর্বতমালা থেকে সমভূমিতে পতিত বিভিন্ন জলধারা ও নদনদী কর্তৃক বহন করে আনা পলি পর্বতের পাদদেশে অবক্ষেপণের ফলে সুষম ঢালবিশিষ্ট পাদদেশীয় সমভূমিতে পরিণত হয়েছে।
হরিপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে হরিপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৮′১৫″ উত্তর ৮৮°৮′২৩″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | ঠাকুরগাঁও জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২০১.০৬ বর্গকিমি (৭৭.৬৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৪৬,৭২৬ |
• জনঘনত্ব | ৭৩০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫১৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৯৪ ৫১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হরিপুর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৫.৯১৪৮২° উত্তর ৮৮.২৪০৯° পূর্ব। এটি রানীশংকাইল-হরিপুর সড়কের দুপাশে এবং ঠাকুরগাঁও জেলার সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত। এই উপজেলার মোট আয়তন ২০১.০৬ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও রাণীশংকৈল উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রাণীশংকৈল উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
হরিপুরের উপর দিয়ে নাগর নদী প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি বাংলাদেশ ও ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী যা পঞ্চগড় জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা হয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁও জেলার পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে হরিপুর উপজেলা হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করেছে।[২]
হরিপুর উপজেলায় আরো চারটি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে কুলিক নদী, নোনা নদী[৩][৪] গন্দর নদী[৫] এবং কাছ নদী।
হরিপুর উপজেলার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যান্য অংশের মতোই। এখানকার মৃত্তিকার নাম হচ্ছে চুনবিহীন গাঢ় ধূসর প্লাবনভূমি মৃত্তিকা।[৬] মাত্র ৭৬ বর্গ মাইল আয়তন বিশিষ্ট উপজেলাটি পূর্বে ও পশ্চিমে দুই উপনদী কুলিক ও নাগরের মেখলা বেষ্টিত এবং উঁচু বেলে দোঁ-আশ মাটি বন্যরেখা বর্হিভূত জেলা মৃত্তিকা স্তরে বিভক্ত। পৌরণিক হরিপুর ছিল অরণ্যক আর অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, এর জনগোষ্ঠী ছিল আয়েশী, শ্রমবিমুখ ও উদ্বেগহীন।
ভূতাত্তিক উৎপত্তি ও গুণাগুণের নিরীখে তিস্তার পল্লী অঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হলেও বিহারের শুষ্ক মরু অঞ্চলের সঙ্গে এর ভূ-প্রাকৃতিক সাদৃশ্য চমকপ্রদ। হরিপুরের মাটি অধিকাংশ স্থানেই বেলে এবং দো-আশ। আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। বনাঞ্চল নেই বলে বৃষ্টিপাত স্বল্প।
হরিপুর উপজেলা মোট ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নগুলো হলো, ১. গেদুড়া, ২. আমগাঁও, ৩. বকুয়া, ৪. ডাঙ্গীপাড়া, ৫. হরিপুর এবং ৬. ভাতুরিয়া ইউনিয়ন। ১৮৭২ থেকে ১৮৮৬ সালের মধ্যে হরিপুর অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে গঠিত হয়।[৭] থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।[৮]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হরিপুরের সংসদীয় আসন ঠাকুরগাঁও-২। ঠাকুরগাঁও-২ আসনটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, হরিপুর উপজেলা এবং রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়ন ও কাশিপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।[৯][১০]
এ অঞ্চলটি খোলড়া পরগনার অন্তর্গত ছিল। এ অঞ্চলের নামকরণ হিসেবে যে লোকশ্রুতি আছে তা নিম্নরুপ- শালবাড়ি পরগণার জামুন গ্রামে নাশকি জমিদার ছিলেন কামরুন নাহার নামের এক মহিলা। তিনি ছিলেন বিধবা ও অপুত্রক। তার জমিদারি দেখাশুনার জন্য পার্শ্ববর্তী ভৈষা গ্রামের হরিমোহন ছিলেন তার নায়েব। এই হরিমোহন পরে উক্ত নাশকি জমিদারির মালিক হন এবং নতুন জমিদারি স্টেটের নামকরণ করেন হরিমহন স্টেট। পরবর্তীতে হরিমোহনপুর থেকে হরিপুর নাম পরিচিতি লাভ করে। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকার হরিপুরকে থানা এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।[১১]
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হরিপুর অঞ্চল ছিল ৭ নং সেক্টরের অধীন। এ সময় হরিপুরের কামার পুকুরে, ভাতুরিয়ায়, ডাঙ্গীপাড়ায় ও গেদুড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকসেনাদের লড়াই সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে এ উপজেলার মোঃ ইসমাইল, ডাঃ ইসমাইল, ডাঃ আজিজসহ ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২৩ জন আহত হন। ১ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।[১২]
১,৪৬,৭২৬জন (২০১১আদমশুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ- ৭৩,৫২০ জন; মহিলা-৭৩,২০৬ জন।১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী লোকসংখ্যা ১০১,৬৫৮ জন।[১৩]
উপজেলায় শিক্ষার হার ৬৮.৯৮%। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৮টি; নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৮টি; মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি; কলেজ ১০টি; মাদ্রাসা ১৫টি। উল্লেখযোগ্য কলেজগুলো হচ্ছে সরকারি মোসলেমউদ্দিন মহাবিদ্যালয়, হরিপুর মহিলা কলেজ, যাদুরাণী আদর্শ কলেজ এবং দামোল আইডিয়াল কলেজ। উল্লেখযোগ্য বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, হরিপুর দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রণহাট্টা চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, ডাঙ্গীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, যাদুরানী উচ্চ বিদ্যালয়, কাঁঠালডাঙ্গী হাইস্কুল, ভাতুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ডাঙ্গীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও মাদ্রাসার মধ্যে আছে বীরগড় দারুল উলম শরীফিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
হরিপুর উপজেলায় অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -
১. অক্সিজেন (একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন)
২. অক্সিজেন জ্ঞান সমৃদ্ধ কেন্দ্র (নিবন্ধিত গণ-পাঠাগার)
৩. নারীমুক্তি (নারীবাদী সংগঠন /অক্সিজেন)
৪. অক্সিজেন ইয়ুথ ফোরাম (নিবন্ধিত যুব সংগঠন)
৫. অধিকার (প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা/ অক্সিজেন)
৬. মিনাপুর যুবশক্তি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (নিবন্ধিত যুব সংগঠন)
৭. কৈশোর নিরাপত্তা ও সমাজসেবা সংগঠন
৮. আমরা হরিপুর উপজেলা বাসী (ফেসবুক গ্রুপ)
কৃষিই অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। কৃষকদের মধ্যে ভূমিমালিক ৫৮.১২%, ভূমিহীন ৪১.৮৮%। প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, ভুট্টা, আলু, ডাল, শাকসবজি। প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, তরমুজ, সুপারি, কলা, পেঁপে। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, খেসারি, ছোলা, আউশ ধান, অড়হর, মাষকলাই। মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার -গবাদিপশু ৮, হাঁস-মুরগি ৪৮, হ্যাচারি ১। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের মধ্যে রয়েছে হস্তচালিত-৩৩টি, ধানমারাই কল-৩৮৭টি, এবং কুমর-২২টি। বৃহৎ শিল্প নেই। ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনায় হরিপুরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় ক্ষুদ্র শিল্প। এসব ক্ষুদ্র শিল্পের সংখ্যা প্রায় ১২৪টি (চাতালসহ ধানের মিল)। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হরিপুর উপজেলায় ইজারাকৃত ছোট-বড় হাট-বাজার সর্বমোট ১৮(আঠারো)টি রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হাট- যাদুরাণী হাট । [১৪]
হরিপুর উপজেলায় কোনো প্রাকৃতিক সংরক্ষিত বনভূমি নেই। তবে এই উপজেলার পাশেই নাগর নদীর তীরে বেশ কিছু প্রাণী ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্য দেখা যায়। এছাড়া সীমান্তের পাশেই কুলিক পক্ষীনিবাস অবস্থিত থাকায় প্রচুর পাখি দেখা যায়। এশীয় শামুকখোল এবং অন্যান্য পরিযায়ী পাখি একসময় খোলড়ার বিলে দেখা যেত। এই অঞ্চল থেকে, বিশেষ ভাবে নাগর নদীর ভূমি অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে নীলগাই।
২০১১ সালে ঠাকুরগাঁয়ের এই উপজেলার সিংহারী গ্রামে অনুপ সাদির তথ্য মতে সৌরভ মাহমুদ ও সায়েম ইউ চৌধুরী ২৪টি মদনটাকের সন্ধান পেয়েছিলেন। ঐ গ্রামে একটি শিমুলগাছে ২০০৭ সাল থেকে বাসা বেঁধে ছানা তুলতো এই পাখি। আইনুল হক ও তার বড় ভাই শামসুল হকের রক্ষণাবেক্ষণে ও গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এই পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে বর্তমানে এই পাখির সংখ্যা কম ও অনিয়মিত।[১৫] ২০১৯ সালে ছিলো ১২টি পূর্ণবয়স্ক এবং চারটি ছানাসহ মোট ১৬টি পাখি।[১৬]
আদিকাল থেকেই বৃহত্তর দিনাজপুরের সমতল এ অঞ্চলটিতে মুসলিম, হিন্দু, সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুন্ডা, মুসহোর প্রভৃতি জাতি জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তাই ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। হরিপুর উপজেলার প্রধান ভাষা বাংলা। জেলা ঠাকুরগাঁও সহ অন্য উপজেলাগুলোর মতো হরিপুর উপজেলায় বসবাসকারী জনগণ যে স্থানীয় ভাষায় কথা বলে তার নাম রাজবংশী ভাষা । তবে সাঁওতাল জাতির লোকজন সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। হরিপুরে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং পালকি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল।
হরিপুর উপজেলা বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত একটি উপজেলা। ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্টপ এলাকার বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক এন৫ থেকে হরিপুর যেতে হলে বালিয়াডাঙ্গী মোড় যেতে হবে এবং জেলা সড়ক ৫০০২ এবং ৫০০৪ ধরে এগোলে হরিপুর যাওয়া যাবে। ঠাকুরগাঁও থেকে হরিপুরের দূরত্ব ৫৪.৬ কিলোমিটার এবং ঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে হরিপুরের দূরত্ব ৪৬৬ কিলোমিটার। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পীরগঞ্জ যেতে হয় এবং পীরগঞ্জ থেকে অন্যান্য যানবাহনে করে হরিপুরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে।
এই উপজেলায় ৫৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৪১১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে।[১৭] হরিপুর বাস স্ট্যান্ড থেকেই মূলত বিভিন্ন গন্তব্য বাস ছেড়ে যায়। এ উপজেলায় কোন রেললাইন বা ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। যদিও নৌপথ রয়েছে তবে নৌ যাতায়াতের ব্যবস্থাও নেই। দেশভাগের পূর্বে ছোট ছোট নৌকা নাগর নদী দিয়ে চলাচল করলেও বর্তমানে সীমান্ত নদী হওয়ায় এবং নাব্যতা কমে যাওয়ায় তা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হরিপুর উপজেলার প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ হচ্ছে মেদনীসাগর জামে মসজিদ, গেদুড়া জামে মসজিদ, ভাতুরিয়ার গড়, বীর গড়, ভাতুরিয়ায় ভবানীপুরের গড়, হরিপুরের জমিদার বাড়ি মিনাপুর চা বাগান, মিনাপুর বড় দীঘি এবং বকুয়া ইউনিয়নের বহরমপুরের শাহ মখদুমের (রঃ) মাযার। অন্যান্য চিত্তাকর্ষক স্থানের ভেতর আছে উত্তর সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত নাগর নদী; আমগাঁও, ডাঙ্গীপাড়া ও হরিপুর ইউনিয়নে প্রবাহিত নোনা নদী; আমগাও, ডাঙ্গীপাড়া, ভাতুরিয়া এবং হরিপুর ইউনিয়নে প্রবাহিত গন্দর নদী; ভাতুরিয়া ইউনিয়নে কাছ নদী। এছাড়াও আমগাঁও ইউনিয়নের যাদুরাণী হাট হচ্ছে বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম হাট যা বসে প্রতি মঙ্গলবার।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দীঘি হচ্ছে আমাই দীঘি যা উপজেলা পরিষদ চত্বরের পার্শ্বে অবস্থিত। এছাড়াও আছে পীর দীঘি, টুনি দীঘি। জলাভূমির ভেতরে আছে ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে পশর ও গুটলিয়া বিল। ফিশারিজ প্রকল্প আছে একই ইউনিয়নের পাহারগাওতে। একসময় ছিল একই ইউনিয়নের চৌরঙ্গীতে একটি সাপের খামার।
আছে আদিবাসী সাঁওতালদের গ্রাম ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের শিহিপুর ও দামোল এবং আমগাও ইউনিয়নের কামারপুকুরে।
এই উপজেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভেতর আছে মসজিদ ৩৩১টি, মন্দির ২৩টি, গির্জা ২টি, পুরাতন মাযার ৫টি। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভেতর আছে লাইব্রেরি ১টি, সিনেমা হল ১টি, ক্লাব ৩০টি, মহিলা সংগঠন ৯৬টি এবং খেলার মাঠ ১০টি।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.