![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/bd/Twelvers1_copy_copy.png/640px-Twelvers1_copy_copy.png&w=640&q=50)
ইসনা আশারিয়া
শিয়া ইসলামের শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসনা আশারিয়া (আরবি: ٱثْنَا عَشَرِيَّة, প্রতিবর্ণীকৃত: ʾIthnā ʿAšarīyah; ফার্সি: شیعه دوازدهامامی, প্রতিবর্ণীকৃত: Šī'eh-ye Davâzdah-Emâmī), যা ইমামিয়া (আরবি: إِمَامِيَّة, প্রতিবর্ণীকৃত: Imāmīyah) নামেও পরিচিত, হল শিয়া ইসলামের বৃহত্তম শাখা। দ্বাদশী শব্দটি দ্বারা এর অনুসারীদের বারোজন ঐশ্বরিকভাবে মনোনীত নেতা তথা বারো ইমামে বিশ্বাস এবং সর্বশেষ ইমাম মুহম্মদ আল-মাহদীকে অন্তর্হিত ইমাম ও প্রতীক্ষিত মাহদী হিসেবে বিশ্বাস করাকে বোঝানো হয়। শিয়া ঐতিহ্য অনুসারে মাহদীর শাসনামল নবী ঈসার দ্বিতীয় আগমনের সমসাময়িক হবে এবং ঈসা মাহদীকে দজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করবেন।
![]() | এই নিবন্ধটিতে এক বা একাধিক তথ্যসূত্র আছে, যেগুলির বিন্যাস সঠিক নয়। |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/bd/Twelvers1_copy_copy.png/640px-Twelvers1_copy_copy.png)
ইসনা আশারিয়ারা বিশ্বাস করে যে বারো ইমাম হলেন নবী মুহাম্মদের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক উত্তরসূরী। এই ধর্মতত্ত্ব অনুযায়ী বারো ইমাম অনুকরণীয় মানবীয় ব্যক্তিত্ব যাঁরা ন্যায়বিচারের সাথে সমাজ পরিচালনার পাশাপাশি শরীয়ত ও কোরআনের গূঢ়ার্থ সংরক্ষণ ও ব্যাখ্যা করতে সক্ষম। মুহাম্মদ ও ইমামদের কথা ও কাজ (সুন্নত) জনসমাজের জন্য অনুসরণীয় পথপ্রদর্শক ও আদর্শ; ফলে তাঁদের অবশ্যই ত্রুটি ও পাপমুক্ত হতে হবে এবং অবশ্যই মুহাম্মদের মাধ্যমে ঐশী ফরমান বা নাস দ্বারা মনোনীত হতে হবে।[2][3][4]
ইসনা আশারিয়া মতবাদ শিয়া ইসলামের বৃহত্তম শাখা যা গোটা শিয়া সম্প্রদায়ের ৮৫% এবং সংখ্যায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন।[5][6][7][8]
ইসনা আশারিয়ারা ইরান, ইরাক, আজারবাইজান, লেবানন ও বাহরাইনে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, নাইজেরিয়া, চাদ ও তানজানিয়াতে তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু।[9][10][11][12][13][14] ইরান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ইসনা আশারিয়া শিয়া ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত।
ইসনা আশারিয়ারা অন্যান্য শিয়া উপদলের সঙ্গে বহু বিষয়ে, যেমন ইমামদের ওপর বিশ্বাসে, একমত পোষণ করে থাকে। তবে জায়েদি ও ইসমাইলিরা ভিন্ন সংখ্যক ইমাম এবং ইমামতের ভিন্ন ধারায় বিশ্বাস করে। এছাড়া তারা একজন ইমামের সামগ্রিক সংজ্ঞা ও ভূমিকা নিয়েও দ্বিমত পোষণ করে। তারা মুহম্মদের (স.) এঁর মাধ্যমে নবুওতের পরিসমাপ্তি (খতমে নবুয়ত) হয়েছে বলে বিশ্বাস করে, শরিয়ত রদ হবার সম্ভাবনাকে খারিজ করে এবং কোরানের জাহির ও বাতিন উভয় দিককে স্বীকৃতি দেয়, যা তাদের ইসমাইলিদের থেকে আলাদা করে।[15] তুরস্ক ও আলবেনিয়ার আলেভি সম্প্রদায় এবং সিরিয়া ও লেবাননের আলাওয়ী সম্প্রদায় ইসনা আশারিয়াদের বারো ইমামে বিশ্বাস করে, তবে ধর্মতাত্ত্বিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে।