জয়া বচ্চন
ভারতীয় অভিনেত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
জয়া বচ্চন (বিবাহপূর্ব ভাদুড়ি; জন্ম ৯ এপ্রিল ১৯৪৮) হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য,[1] তিনি ২০০৪ সাল থেকে চার মেয়াদে এই পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তাকে তার সময়ের হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়; বিশেষ করে মূলধারার ও "মধ্যবর্তী" চলচ্চিত্রে তার সহজাত অভিনয়ের জন্য।[2][3] কর্মজীবনে তিনি নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে তিনটি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে, তিনটি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে; ফলে তিনি অভিনয় বিভাগে নারীদের মধ্যে রানী মুখার্জীর সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০০৭ সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে।[4]
জয়া বচ্চন | |
---|---|
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জুলাই ২০০৪ | |
সংসদীয় এলাকা | উত্তর প্রদেশ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জয়া ভাদুড়ী (1948-04-09) ৯ এপ্রিল ১৯৪৮ (বয়স ৭৬) জব্বলপুর, ভারত |
রাজনৈতিক দল | সমাজবাদী পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অমিতাভ বচ্চন (বি. ১৯৭৩) |
সম্পর্ক | দেখুন বচ্চন পরিবার |
সন্তান | অভিষেক বচ্চন শ্বেতা নন্দা |
পিতামাতা | তরুনকুমার ভাদুড়ী (পিতা) ইন্দিরা ভাদুড়ী (মাতা) |
শিক্ষা | ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান |
পেশা | অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ |
স্বাক্ষর |
কিশোর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের মহানগর (১৯৬৩) চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেকের পর প্রাপ্ত বয়স্ক চরিত্রে তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের গুড্ডি (১৯৭১)। এরপর তিনি হৃষিকেশের পরিচালনায় আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি উপহার (১৯৭১), কোশিশ (১৯৭২) ও কোরা কাগজ (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি তার স্বামী অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে জঞ্জির (১৯৭৩), অভিমান (১৯৭৩), চুপকে চুপকে (১৯৭৫), মিলি (১৯৭৫) ও শোলে (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী ও অভিষেক বচ্চন ও শ্বেতা নন্দার মা।[5] বিয়ের পর তাকে চলচ্চিত্রে কম অভিনয় করতে দেখা যায়। ১৯৮১ সালে সিলসিলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতি নেন। এরপর তিনি গোবিন্দ নিহলানির হাজার চৌরাশি কী মা চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন। তখন থেকে তিনি কয়েকটি সমাদৃত ও ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ফিজা (২০০০), কভি খুশি কভি গম... (২০০১), ও কাল হো না হো (২০০৩), যার জন্য তিনি সমাদৃত হন এবং কয়েকটি পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করেন।