![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a9/N._T._Rama_Rao_in_Shavukaru_%25281950%2529.jpg/640px-N._T._Rama_Rao_in_Shavukaru_%25281950%2529.jpg&w=640&q=50)
এন. টি. রামা রাও
ভারতীয় অভিনেতা এবং অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
নন্দমুরি তারক রামা রাও (২৮ মে ১৯২৩[1] – ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬), এন টি আর হিসাবে জনপ্রিয়,ইনি ছিলেন একজন ভারতীয় তেলুগু অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ, যিনি তিনবারে সাত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে ব্যপকভাবে গণ্য করা হয় এবং আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের সঙ্গে তাঁকে তেলুগু চলচ্চিত্রের অন্যতম দুই কিংবদন্তি বলা হয়।[3][4] এন টি আর মাদ্রাজের ন্যাশনাল আর্ট থিয়েটারের ব্যানারে তার সহ-প্রযোজিত থোডু দোঙ্গালু (১৯৫৪) ও সীতারাম কল্যাণম (১৯৬০) এবং তার নিজের পরিচালিত ভারকাতনম (১৯৭০) চলচ্চিত্রের জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[5][6] এনটিআর রাজু পেদা (১৯৫৪) ও লব কুশ (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার অর্জন করেন।[7][8][9] তিনি ১৯৭০ সালে কোদালু দিদ্দিনা কর্পূরাম চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে নন্দী পুরস্কার, এবং ১৯৭২ সালে বাদি পানথুলু চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে উদ্বোধনী নন্দী পুরস্কার লাভ করেন।[7][9][10]
এন. টি. রামা রাও | |
---|---|
![]() এন. টি. রামা রাও | |
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৯ জানুয়ারি ১৯৮৩ – ১৬ আগস্ট ১৯৮৪ | |
গভর্নর | কে. সি. আব্রাহাম ঠাকুর রাম লাল |
পূর্বসূরী | কোটলা বিজয় ভাস্কর রেড্ডি |
উত্তরসূরী | এন. টি. রামা রাও |
কাজের মেয়াদ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ – ২ ডিসেম্বর ১৯৮৯ | |
গভর্নর | শঙ্কর দয়াল শর্মা |
পূর্বসূরী | নাদেন্দলা ভাস্কর রাও |
উত্তরসূরী | মারি চেন্না রেড্ডি |
কাজের মেয়াদ ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৪ – ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ | |
গভর্নর | কৃষাণ কান্ত |
পূর্বসূরী | কোটলা বিজয় ভাস্কর রেড্ডি |
উত্তরসূরী | নারা চন্দ্রবাবু নাইডু |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯২৩-০৫-২৮)২৮ মে ১৯২৩[1] নিম্মাকুড়ু, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত) |
মৃত্যু | ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬(1996-01-18) (বয়স ৭২)[2] হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত (বর্তমান তেলেঙ্গানা, ভারত) |
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
রাজনৈতিক দল | তেলুগু দেশম পার্টি (১৯৮২–১৯৯৬) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ন্যাশনাল ফ্রন্ট (১৯৮৯–১৯৯৬) |
দাম্পত্য সঙ্গী | বাসবাতারকম (বি. ১৯৪২–১৯৮৫) (মৃত) লক্ষ্মী পার্বতী (বি. ১৯৯৩) |
সন্তান | নন্দমুরি রামকৃষ্ণ সিনিয়র (মৃত্যু) নন্দমুরি জয়কৃষ্ণ নন্দমুরি সাঁইকৃষ্ণ (মৃত) নন্দমুরি হরিকৃষ্ণ (মৃত) নন্দমুরি মোহনকৃষ্ণ নন্দমুরি বালকৃষ্ণ নন্দমুরি রামকৃষ্ণ জুনিয়র নন্দমুরি জয়শঙ্কর কৃষ্ণ নারা ভূবণেশ্বরী কান্তামনেনি উমা মহেশ্বরী দাগ্গুবাতি পুরন্দরেশ্বরী গরপতি লোকেশ্বরী |
পিতামাতা | নন্দমুরি লক্ষ্মাইয়া চৌধুরী নন্দমুরি বেঙ্কটা রামাম্মা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অন্ধ্র-ক্রিশ্চান কলেজ, গুন্টুর |
ধর্ম | হিন্দু |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৬৮) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) |
এনটিআর ১৯৪৯ সালে এল. ভি. প্রসাদ পরিচালিত তেলুগু সামাজিক-নাট্য মানা দেশম চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতা হিসাবে তার অভিষেক করেন। ১৯৫০ এর দশকে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, যখন তিনি তাঁর হিন্দু দেবদেবীদের বিশেষত কৃষ্ণ ও রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত হয়েছিলেন,[11] চরিত্রগুলো যা তাকে "জনসাধারণের নায়ক" করে তুলেছিল।[12] পরে তিনি চলচ্চিত্রে খলচরিত্র এবং রবিনহুড সুলভ নায়ক চরিত্রের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি সর্বমোট ৩০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, এবং তেলুগু চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন।[13][14][15][16] তিনি ২০১৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সিএনএন-আইবিএন জাতীয় জরিপে "সর্বকালের সেরা ভারতীয় অভিনেতা" হিসাবে নির্বাচিত হন।[17][18][19][20]
তিনি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যেমন পাতাল ভৈরবী (১৯৫১), যা ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১ম ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়,[21][22] মল্লিশ্বরী (১৯৫১), এশিয়া প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়,[23] মায়াবাজার (১৯৫৭) ও নর্তনশালা (১৯৬৩), জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[24] চারটি চলচ্চিত্রের সবগুলোই সিএনএন-আইবিএনের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ ভারতীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয়।[25]
তিনি উম্মাডি কুটুম্বম চলচ্চিত্র যৌথভাবে প্রযোজন করেছিলেন, যা ১৯৬৮ সালের মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের চলচ্চিত্র ফেডারেশন কর্তৃক অন্যতম প্রবেশিকা হিসাবে মনোনীত হয়েছিলো।[13][26] তেলুগুর পাশাপাশি তিনি কিছু সংখ্যক তামিল চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।[27] পৌরাণিক চরিত্রে তাঁর চরিত্রায়নের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, এনটিআর ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি অভিনেতা ছিলেন,[11] গণমাধ্যমে তাঁকে বিশ্ব বিখ্যাত নট সার্বভৌম (অনু. বিশ্ববিখ্যাত সার্বভৌম অভিনেতা) হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[28] ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত হন।
চলচ্চিত্রে কর্মজীবনের পর এনটিআর ভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনবার কোলাহলপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একজন প্রবক্তা হিসাবে পরিচিত ছিলেন, ফলে প্রাক্তন মাদ্রাজ রাজ্যের থেকে সংস্কৃতি টি পৃথক হয়, যা প্রায়শই একীভূত করা হতো। জাতীয় পর্যায়ে, তিনি অ-কংগ্রেস দলগুলোর একটি জোট জাতীয় ফ্রন্ট গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন, যা ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ভারত শাসন করে।[29]