উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (সাধারণত উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হিসাবে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে ইউরো হিসেবে পরিচিত) হচ্ছে একটি প্রাথমিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে ইউরোপীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের (উয়েফা) সদস্যপ্রাপ্ত পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলো প্রতিযোগিতা করে।[1] এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করে। এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৬০ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর বিশ্বকাপের মাঝে প্রতি জোড় বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত ইউরোপীয় নেশন্স কাপ নামে পরিচিত ছিল, অতঃপর ১৯৬৮ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের আসর হতে পরবর্তী প্রায় সকল আসরে এই প্রতিযোগিতাটিকে উয়েফা ইউরো নামে উল্লেখ করা হয়; এই বিন্যাসটি তখন থেকে পূর্ববর্তী আসরগুলো প্রতিক্রিয়াশীলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

দ্রুত তথ্য প্রতিষ্ঠিত, অঞ্চল ...
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
Thumb
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা
প্রতিষ্ঠিত১৯৫৮; ৬৬ বছর আগে (1958)
অঞ্চলইউরোপ (উয়েফা)
দলের সংখ্যা২৪ (চূড়ান্ত পর্ব)
৫৫ (বাছাইপর্ব)
উন্নীতকনমেবল–উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন (৪র্থ শিরোপা)
সবচেয়ে সফল দল স্পেন
(৪টি শিরোপা)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
বন্ধ
দ্রুত তথ্য প্রতিযোগিতা ...
বন্ধ

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে স্বাগতিক দেশ ব্যতীত (যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করে) অন্য সকল দল বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে। ২০১৬ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে খেলার স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করতো, তবে সেটি বাধ্যতামূলক ছিল না।[2]

এপর্যন্ত ১৫টি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ১০টি জাতীয় দল শিরোপা জয়লাভ করেছে: স্পেন ৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছে, জার্মানি ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে, ফ্রান্সইতালি ২টি করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন, চেকোস্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, গ্রিস এবং পর্তুগাল একটি করে শিরোপা জয়লাভ করেছে। আজ পর্যন্ত, স্পেন এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে যিনি টানা দুইবার শিরোপা জয়লাভ করেছে; স্পেন ২০০৮ সালে শিরোপা জয়লাভ করার পর পুনরায় ২০১২ সালে শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। ফিফা বিশ্বকাপের পরে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ফুটবল প্রতিযোগিতা;[3][4] ২০১২ সালের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন মিলিয়ন দর্শক দেখেছিল।[5]

সর্বশেষ আসরটি ২০২৪ সালে জার্মানির এই আসরটি ২০২৪ সালের ১৪ই জুন হতে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত জার্মানির ১০টি শহরের ১০টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই আসরের বিজয়ী দল পরবর্তীকালে ২০২৫ কনমেবল–উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্সে ২০২৪ কোপা আমেরিকার বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে। এই আসরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জর্জিয়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে অভিষেক হবে। ১৪ই জুলাই ২০২৪ বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে স্পেন ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।

ইতিহাস

সূচনা

১৯২৭ সালে, ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব অঁরি দলোনে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যকার একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করার সর্বপ্রথম একটি ধারণা প্রদান করেন, কিন্তু দলোনের মৃত্যুর তিন বছর পরে ১৯৫৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার কোন আসর অনুষ্ঠিত হয়নি।[6] দলোনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তার নামে এই প্রতিযোগিতার শিরোপার নামকরণ করা হয়েছিল। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৬০ সালের আসরে বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী ১৭টি দলের মধ্যে সর্বমোট ৪টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল।[7] ১৯৬০ সালের ১০ই জুলাই তারিখে, প্যারিসের পার্ক দে প্রাঁসে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে সোভিয়েত ইউনিয়ন ২–১ গোলে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতার প্রথম বিজয়ী দল হয়েছে।[8] দুটি রাজনৈতিক প্রতিবাদের কারণে স্পেন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে তার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ থেকে সরে গিয়েছিল।[9] এই আসরের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করা ১৭টি দলের মধ্যে অনুপস্থিত থাকা উল্লেখযোগ্য দলগুলো হচ্ছে: ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পশ্চিম জার্মানি এবং ইতালি[10]

পরবর্তী আসর ১৯৬৪ সালে স্পেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেটির বাছাইপর্বে ২৯টি দল অংশগ্রহণ করেছে, যা পূর্ববর্তী আসর হতে ১২টি দল বেশি।[11] পূর্ববর্তী আসরের মতো এই আসরেও পশ্চিম জার্মানি অনুপস্থিত ছিল এবং আলবেনিয়ার সাথে যুদ্ধ চলার কারণে আলবেনিয়ার সাথে ম্যাচ নির্ধারিত হওয়ায় গ্রিস এই আসর হতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছিল।[12] ১৯৬৪ সালের ২১শে জুন তারিখে, মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে পূর্ববর্তী বিজয়ী সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২–১ গোলে হারিয়ে স্পেন এই প্রতিযোগিতার শিরোপাজয়ী দ্বিতীয় দলে পরিণত হয়।[13]

১৯৬৮ সালে অনুষ্ঠিত আসরেও এই প্রতিযোগিতার বিন্যাস একই রকম ছিল, যেটি ইতালিতে আয়োজিত হয়েছে।[14][15] এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই আসরের ১ম সেমি ফাইনাল ম্যাচের (ইতালি বনাম সোভিয়তে ইউনিয়ন) ফলাফল মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে,[16] যেটি ইতালি জয়লাভ করেছিল। ১৯৬৮ সালের ৮ই জুন তারিখে, রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে আয়োজিত যুগোস্লাভিয়া এবং ইতালির মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ের পরও ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল;[17] তাই এর দুই দিন পর, ১০ই জুন তারিখে, এই ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করা হয়; যেখানে ইতালি ২–০ গোলের ব্যবধানে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়েছে।[18] এই আসরের বাছাইপরবে পূর্ববর্তী আসর হতে বেশি দল অংশগ্রহণ করেছে, যা এই প্রতিযোগিতার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রমাণ।[19]

পরবর্তী আসর ১৯৭২ সালে বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেটির বাছাইপর্বে ৩২টি দল অংশগ্রহণ করেছে, যা পূর্ববর্তী আসর হতে ১টি দল বেশি। ১৯৭২ সালের ১৮ই জুন তারিখে, ব্রাসেল্‌সের হেসল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে গের্ড ম্যুলার (২টি) এবং হের্বের্ট ভিম্মারের করা গোলের বিনিময়ে পশ্চিম জার্মানি ৩–০ গোলে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়েছে।[20] এই আসরের পরবর্তী বছরের আগত তারকা ফুটবলারদের এক ঝলক দেখা গিয়েছিল; ১৯৭৪ ফিফা বিশ্বকাপে জার্মানি দলে স্থান পাওয়া বেশ কয়েকজন ফুটবলার এই আসরে খেলেছিলেন।[21][22]

১৯৭৬ সালে এই প্রতিযোগিতাটি যুগোস্লাভিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই আসরেই সর্বশেষ বার চূড়ান্ত পর্বে ৪টি দল অংশগ্রহণ করেছিল এবং সর্বশেষ আসর যেখানে স্বাগতিক দলকে বাছাইপর্বের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করে হতো। ১৯৭৬ সালের ২০শে জুন তারিখে, বেলগ্রেডের রেড স্টার স্টেডিয়ামে আয়োজিত পশ্চিম জার্মানি এবং চেকোস্লোভাকিয়ার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি অতিরিক্ত সময় শেষে ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল; অতঃপর সদ্য প্রয়োগকৃত পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে চেকোস্লোভাকিয়া ৫–৩ গোলে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছে। সাতটি সফল পেনাল্টির পর, পশ্চিম জার্মানির উলি হোনেস গোল করতে ব্যর্থ করেন; যার ফলে চেকোস্লোভাকীয় আন্তোনিন পানেনকা গোল করে এই আসরটি জয়ের একটি দারুণ সুযোগ পান। একটি "দু: সাহসী" চিপ শট,[23] যেটি উয়েফা দ্বারা "সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত স্পট কিক" খেতাব লাভ করেছে, তার দল চেকোস্লোভাকিয়া এই প্রতিযোগিতার ইতিয়াসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করতে সাহায্য করেছিল।[24]

৮ দলে সম্প্রসারণ

এই প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর ১৯৮০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে; যেখানে পূর্ববর্তী আসরগুলোর বিপরীতে ৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। এই আসরে অংশগ্রহণকারী ৮টি দলকে ২টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল, যেখানে তার একে অপরের বিরুদ্ধে ৩টি করে ম্যাচ খেলেছে। প্রত্যেক গ্রুপে শীর্ষ স্থান অর্জনকারী দল সরাসরি ফাইনাল ম্যাচে এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে।[25] ১৯৮০ সালের ২২শে জুন তারিখে, রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে হর্স্ট রুবেশের করা জোড়া গোলের বিনিময়ে বেলজিয়ামকে ২–১ গোলে হারিয়ে পশ্চিম জার্মানি প্রথম দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় দুইবার শিরোপাজয়ী দলে পরিণত হয়।[26] এই ম্যাচের ১০ম মিনিটেই হর্স্ট রুবেশ পশ্চিম জার্মানির হয়ে প্রথম গোলটি করেন, এর প্রায় ৬৫ মিনিট পর রেনে ভান্ডারেয়কেন পেনাল্টি হতে গোল করার মাধ্যমে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন; অবশেষে ৮৮তম মিনিটে হর্স্ট রুবেশ এই ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে পশ্চিম জার্মানির জয় নিশ্চিত করেন। [27]

অতঃপর ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত সপ্তম আসরে প্রথমবারের মতো ফ্রান্স এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। পূর্ববর্তী আসরের মতো এই আসরেও ৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে; কিন্তু পূর্ববর্তী আসরের বিপরীতে এই আসরে গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল সেমি-ফাইনালে খেলেছে। এই আসর হতে পরবর্তী সকল আসরের জন্য তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে।[28] ১৯৮৪ সালের ২৭শে জুন তারিখে, প্যারিসের পার্ক দে প্রাঁসে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে ব্রুনো বেলোন এবং মিশেল প্লাতিনির করা গোলের বিনিময়ে স্পেনকে ২–০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স।[29][30] এই আসরের শীর্ষ গোলদাতা ছিলেন ফরাসি মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মিশেল প্লাতিনি; যিনি ৫ ম্যাচে ৯টি গোল করেছেন।

১৯৮৮ সালে পশ্চিম জার্মানি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, তবে সেমিফাইনাল ম্যাচে তারা তাদের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী নেদারল্যান্ডসের কাছে ২–১ গোলে হেরেছে, যেটি নেদারল্যান্ডসে জোর উদযাপনের সূচনা করেছিল।[31][32] অতঃপর নেদারল্যান্ডস ১৯৮৮ সালের ২৫শে জুন তারিখে মিউনিখের ওলিম্পিয়াস্টাডিওনে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে রুড হুলিট এবং মার্কো ফন বাস্তেনের করা গোলের বিনিময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ২–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করেছে।[33][34] ওলন্দাজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মার্কো ফন বাস্তেন ৫ গোল করে এই আসরের শীর্ষ গোলদাতা হয়েছেন।

১৯৯২ সালে পরবর্তী আসরটি সুইডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় ডেনমার্ক যুগোস্লাভিয়াকে প্রতিস্থাপন করেছিল; কেননা যুগোস্লাভীয় সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্রের কিছু রাজ্য নিজেদের সাথে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত ছিল।[35][36] এই আসরের গ্রুপ ১-এর দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দল ডেনমার্ক সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।[37] অতঃপর ১৯৯২ সালের ২৬শে জুন তারিখে গোথেনবার্গের উলেভিতে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে জন জেনসেন এবং কিম ভিলফাটের করা গোলের বিনিময়ে তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করেছে।[38] এই প্রথম প্রতিযোগিতা ছিল, যেখানে পুনঃএকত্রীকৃত জার্মান অংশগ্রহণ করেছিল এবং এই আসরেরই প্রথমবারের মতো খেলোয়াড়দের নাম পিঠে ছাপানো হয়েছিল।

১৬ দলে সম্প্রসারণ

এই প্রতিযোগিতার ১৯৯৬ সালের আসরটি ইংল্যান্ড আয়োজন করেছে; এটি প্রথম আসর ছিল যেখানে "ইউরো [সাল]" বিন্যাসটি ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্ববর্তী আসরে বিপরীতে এই আসরে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল, যা পূর্ববর্তী আসর হতে দ্বিগুণ।[39] ১৯৯০ ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের ফিরতি ম্যাচে জার্মানি পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এই আসর হতে নিষ্কাশন করেছে।[40] অতঃপর ১৯৯৬ সালের ৩০শে জুন তারিখে, লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে ওলিভিয়া বিয়ার্হোফের করা জোড়া গোলের বিনিময়ে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২–১ গোলে হারিয়ে জার্মানি প্রথম দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় তিনবার শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের ৯৫ মিনিটে ওলিভিয়া বিয়ার্হোফের করা গোলটি ছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম গোল্ডেন গোল[41][42] জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পর এটি জার্মানির প্রথম শিরোপা জয় ছিল।

উয়েফা ইউরো ২০০০ ছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর, যেখানে দুইটি দেশ (নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম) একত্রে আয়োজক হিসেবে কাজ করেছে।[43] ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স এই আসর জয়ের অন্যতম শক্তিশালী দল ছিল, যারা ১৯৯৬ সালের ৩০শে জুন তারিখে রটার্ডামের ডে কেপে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে ইতালিকে ২–১ গোলে হারিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মার্কো দেভেক্কিয়োর করা গোলটি ইতালিকে এই ম্যাচে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ৯৩তম মিনিটে সিলভাঁ উইল্টোর ফ্রান্সের হয়ে গোল করে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান, অতঃপর দাভিদ ত্রেজেগে ফ্রান্সের হয়ে গোল্ডেন ১০৩তম মিনিটে গোল করে শিরোপা জয়লাভ করতে সাহায্য করেন।[44]

Thumb
উয়েফা ইউরো ২০০৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

পরবর্তী আসরটি ২০০৪ সালে পর্তুগালে, যেটি ১৯৯২ সালের মতো এক অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। এই আসরের শিরোপা গ্রিস জয়লাভ করেছিল; যারা ইতিপূর্বে মাত্র ১টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৯৪) এবং ১টি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (১৯৮০) খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২০০৪ সালের ৪ঠা জুলাই তারিখে, লিসবনের এস্তাদিও দা লুসে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে আঙ্গেলোশ খারিস্তেয়াসের ৫৭তম মিনিটে করা একমাত্র গোলের বিনিময়ে পর্তুগালকে ১–০ গোলে হারিয়ে গ্রিস প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়লাভ করেছে। এই আসর শুরু পূর্বে শিরোপা জয়লাভের জন্য গ্রিসের সম্ভাবনা ছিল ১৫০–১।[45] ফাইনালে খেলার পূর্বে গ্রিস শিরোপাধারী ফ্রান্স[46] এবং চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রকে গ্রিস সিলভার গোলের মাধ্যমে হারিয়েছে,[47][48] এটি এমন একটি নিয়ম ছিল যা পূর্ববর্তী গোল্ডেন গোল নিয়মকে প্রতিস্থাপন করেছিল (যদিও এই নিয়মটি এই প্রতিযোগিতার শেষের কিছুদিন পর বাতিল করা হয়েছিল)।

পরবর্তী আসরটি ২০০৮ সালে অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আসরটি দুইটি দেশের সমন্বয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় আসর এবং নতুন শিরোপা উন্মোচনের পর প্রথম আসর ছিল।[49] এই আসরটি ২০০৮ সালের ৭ই জুন তারিখে শুরু এবং ২৯শে জুন তারিখে শেষ হয়েছিল।[50] ২৯শে জুন তারিখে, ভিয়েনার আর্নস্ট হাপেল স্টাডিওনে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে ৩৩তম মিনিটে ফের্নান্দো তোরেসের করা একমাত্র গোলের বিনিময়ে এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল জার্মানিকে ১–০ গোলে হারিয়ে স্পেন দ্বিতীয়বারের শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।[51][52] এটি ১৯৬৪ সালের স্পেনের প্রথম শিরোপা জয় ছিল। এই আসরে ১২টি গোল করার মাধ্যমে স্পেন সর্বোচ্চ গোল করা দলে এবং ৪ গোলের মাধ্যমে ডেভিড ভিয়া শীর্ষ গোলদাতায় পরিণত হয়েছিল। জাভি এই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিল এবং এই আসরের সেরা দলে ৯ জন স্পেনীয় খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

২০১২ সালে আসরটি পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে।[53] ১লা জুলাই তারিখে, কিয়েভের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই আসরের ফাইনাল ম্যাচে ডেভিড সিলভা, জর্দি আলবা, ফের্নান্দো তোরেস এবং হুয়ান মাতার করা গোলের বিনিময়ে ইতালি ৪–০ গোলে হারিয়ে স্পেন প্রথম দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় টানা দুইবার শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও স্পেন প্রথম হিসেবে একাধারে তিনটি প্রধান শিরোপা জয়লাভ করেছে (ইউরো ২০০৮, ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ, ইউরো ২০১২)।[54] ফাইনালের ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তরেস প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুইটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে গোল করেছে। একজন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে খেলা সত্ত্বেও তরেস মারিও মাঞ্জুকিচ, মারিও গোমেজ, মারিও বালোতেল্লি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, আলান জাগোভের শীর্ষ গোলদাতা হয়েছিলেন। এই আসরে সর্বমোট ৭৬টি গোল হয়েছে; যার মধ্যে ২৬টি গোল এসেছে হেড থেকে, যার ফলে এটি এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বেশি হেড থেকে করা গোলের আসরের পরিণত হয়েছে। ১৯শে জুন তারিখে ইউক্রেন বনাম ইংল্যান্ডের গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে একটি গোল বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেটি রিপ্লেতে দেখা যায় যে গোললাইন অতিক্রম করেছিল। এর ফলে পূর্বে গোল-লাইন প্রযুক্তির বিরোধিতা করা ফিফার তৎকালীন সভাপতি সেপ ব্লাটার এক টুইটে জানান যে:

সেপ ব্লাটার টুইটার লোগো, শৈলীযুক্ত একটি নীল পাখি
@SeppBlatter

After last night’s match #GLT is no longer an alternative but a necessity.


গত রাতের ম্যাচের পরে #GLT আর কোন বিকল্প নয় বরং প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

২০ জুন ২০১২[55]

শিরোপা

ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ীকে অঁরি দেলোনে শিরোপাটি পুরস্কৃত করা হয়, যা উয়েফার প্রথম সাধারণ সম্পাদক অঁরি দেলোনের সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে; অঁরি দেলোনে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ধারণা উদ্ভাবন করেছেন, তবে ১৯৬০ সালে এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের পাঁচ বছর আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর ছেলে পিয়ের দেলোনে এই শিরোপাটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন।[56] প্রথম আসরের পর থেকে বিজয়ী দলকে চার বছর যাবত (পরবর্তী আসরের পূর্ব পর্যন্ত) শিরোপাটি ধারণ করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এই শিরোপাটিতে "ক্যু দোরোপে', 'ক্যু অঁরি দেলোনে" এবং সামনে "শম্পিওনাত দোরোপে" এবং পিছনে একটি জাগল করা বালক উল্লেখ রয়েছে।

২০০৮ সালের আসরের জন্য, অঁরি দেলোনে শিরোপাটিকে আরো বড় করার জন্য পুনরায় তৈরি করা হয়েছে, কারণ পুরানো শিরোপাটি উয়েফার অন্যান্য শিরোপার (যেমন: নতুন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবস কাপ) চেয়ে ছোট আকারের ছিল। নতুন শিরোপাটি খাঁটি রৌপ্য দ্বারা তৈরি, যার ওজন ৮ কিলোগ্রাম (১৮ পা), উচ্চতা ৬০ সেন্টিমিটার (২৪ ইঞ্চি); পূর্বে শিরোপাটির ওজন ছিল ২ কিলোগ্রাম (৪.৪ পা) এবং উচ্চতা ছিল ১৮ সেন্টিমিটার (৭.১ ইঞ্চি)। যে মার্বেল স্তম্ভমূলটি ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শিরোপাটির নতুন রৌপ্য ভিত্তিটি স্থিতিশীল করতে বড় করতে হয়েছিল। বিজয়ী দেশগুলোর নাম, যা স্তম্ভমূলে আটকে থাকা ফলকে প্রকাশিত হতো, তা বর্তমানে শিরোপাটির পিছনে "ক্যু অঁরি দেলোনে" শব্দটির নিচে খোদাই করা হয়[57] এবং দেশগুলোর নাম ইংরেজিতে লেখা হয় (যা পূর্বে ফরাসি ভাষায় লেখা হতো। ১৯৭২ এবং ১৯৮০ সালের বিজয়ী দেশ পশ্চিম জার্মানিকে শুধু "জার্মানি" হিসেবে লেখা হয়। ২০১৬ সালে, জাগল করা বালকের চিত্রটি শিরোপাটির গায়ে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

বিজয়ী দল ও রানার-আপ দলের খেলোয়াড় ও কোচদের যথাক্রমে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক প্রদান করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি অ্যাসোসিয়েশন একটি স্মারক ফলক অর্জন করে। প্রতি আসরে সেমি-ফাইনালে পরাজিত দলের পাশাপাশি ফাইনলে অংশগ্রহণকারী উভয় দল একটি উৎসর্গীকৃত ফলক অর্জন করে। যদিও বর্তমানে পূর্বের মতো তৃতীয় নির্ধারণী ম্যাচ নেই, উয়েফা ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে পরাজিত দলদের (তুরস্ক ও রাশিয়া) ব্রোঞ্জ পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত করে[58] এবং ২০১২ সালে একই কাজ করে, উক্ত আসরে জার্মানি এবং পর্তুগাল ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিল।[59] তবে উয়েফা সিদ্ধান্ত নেয় যে, সেমি-ফাইনালে পরাজিত দলদের ২০১৬ সাল হতে আর ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হবে না।[60]এর পূর্বে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলোকে ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হতো, যার সর্বশেষটি ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিন্যাস

প্রতিযোগিতা

১৯৮০ সালের পূর্বে মাত্র চারটি দল এই প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হতো। ১৯৮০ সাল থেকে আটটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করে। ইউরোপীয় দেশগুলোর পক্ষে তাদের নিজস্ব মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ হওয়ার সহজ বলে ১৯৯৬ সালে এই প্রতিযোগিতাটি ১৬ দলে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল; ১৯৮২, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ বিশ্বকাপে ২৪টি দলের মধ্যে ইউরোপের ১৪টি দল ছিল, যেখানে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে তখনো মাত্র ৮টি দল অংশগ্রহণ করতো।

২০১৬ সালে এই প্রতিযোগিতাটি ২৪টি দলে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে, চেকোস্লোভাকিয়া, যুগোস্লাভিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিচ্ছেদের পর ইউরোপে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ইসরায়েলকাজাখস্তানের অন্তর্ভুক্তির কারণে স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র দ্বারা শুরু করা ২৪টি দলে এই প্রতিযোগিতার সম্প্রসারণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। উয়েফার তৎকালীন সভাপতি মিশেল প্লাতিনি এই প্রতিযোগিতায় দলের সংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে ছিলেন। তবে ২০০৭ সালের ১৭ই এপ্রিল তারিখে উয়েফার নির্বাহী কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের আসর হতে দলের সংখ্যা সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০০৮ সালের জুন মাসে, প্লাতিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে উয়েফা ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের আসরগুলোতে ১৬ দল থেকে ২৪টি দলে অংশগ্রহণ করবে।[61] ২৫শে সেপ্টেম্বর ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ার ঘোষণা করেছিলেন যে, ২৪টি দলের সম্প্রসারণের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে এবং পরের দিন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।[62]

অংশগ্রহণকারী দলগুলো বাছাইপর্বের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়: ১৯৬০ এবং ১৯৬৪ সালে হোম এবং অ্যাওয়ে প্লে-অফের মাধ্যমে দলগুলো নির্ধারিত হয়েছিল; ১৯৬৮ সাল থেকে উত্তীর্ণ দলগুলো গ্রুপ এবং প্লে-অফ উভয় খেলার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ নির্ধারিত হওয়ার পরে আয়োজক দেশটি সেম-ফাইনালে অংশগ্রহণকারী চার দল হয়ে নির্বাচিত হতো। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া চূড়ান্ত পর্বের সম্প্রসারণের পর থেকে আয়োজক দেশ অথবা দেশগুলোকে আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়, যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়।

বাছাইপর্ব

চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণের জন্য, একটি দলকে অবশ্যই উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বিদ্যমান অবস্থানের মধ্যে একটিতে শেষ করতে হবে অথবা প্লে-অফ ম্যাচে জয়লাভ করতে হবে। এরপর, একটি দল স্বাগতিক দেশে আয়োজিত চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে, যদিও স্বাগতিক দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে। ফাইনালের প্রায় দুই বছর পূর্বে, পূর্ববর্তী ফিফা বিশ্বকাপের পরে শরৎকালে বাছাইপর্ব পর্ব শুরু হয়।

বাছাইপর্বের জন্য গ্রুপগুলো পাত্র ব্যবহার করে উয়েফা কমিটি দ্বারা বণ্টন করা হয়। পূর্ববর্তী ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং সর্বশেষ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে দলগুলোর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বণ্টন করা হয়, যার মধ্যে পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন দল এবং অন্যান্য দল রয়েছে। দলগুলোর ক্ষমতার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি পেতে, একটি র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট দল দ্বারা অর্জন করা মোট পয়েন্টের সংখ্যা এবং খেলাগুলোর সংখ্যা অর্থাৎ প্রতি খেলায় পয়েন্ট অনুযায়ী গণনা করা হয়। একটি দল পূর্ববর্তী দুইটি প্রতিযোগিতার মধ্যে একটি আয়োজন করার ক্ষেত্রে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার ফলাফল ব্যবহার করা হয়। যদি প্রতি খেলায় দুইটি দলের সমান পয়েন্ট থাকে, তবে কমিটি তখন নিম্নোক্ত নিয়মের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ধারণ করে:

  1. সাম্প্রতিক বাছাইপর্বে খেলা ম্যাচগুলো থেকে গুণাঙ্ক;
  2. গড় গোল পার্থক্য;
  3. গড় স্বপক্ষে গোল;
  4. গড় বিপক্ষে গোল;
  5. লটারি।

বাছাইপর্বের খেলাগুলো গ্রুপ বিন্যাসে আয়োজন করা হয়, পূর্ব সংজ্ঞায়িত বীজ যুক্ত পাত্র থেকে ড্র মাধ্যমে গ্রুপে দলের অবস্থান নির্ধারিত হয়। পূর্ববর্তী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের পরে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। উয়েফা ইউরো ২০২০-এর জন্য বাছাইপর্ব দশটি গ্রুপ নিয়ে গঠিত হয়েছিল; ৬ দল বিশিষ্ট পাঁচটি এবং ৪ দল বিশিষ্ট পাঁচটি।

প্রতিটি গ্রুপের খেলাগুলো লিগ বিন্যাসে আয়োজন করা হয়, যেখানে দলগুলো একে অপরকে বিরুদ্ধে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে মুখোমুখি হয়। অতঃপর শীর্ষ দুই দল চূড়ান্ত পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়, অবশিষ্ট অবস্থান উয়েফা নেশনস লিগে তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ের উপর নির্ভর করে প্লে-অফ দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। অধিকাংশ লিগের মতো, জয়ের জন্য তিনটি পয়েন্ট প্রদান করা হয়, ড্রয়ের জন্য একটি এবং হারের জন্য কোন পয়েন্ট প্রদান করা হয়নি। সব ম্যাচ খেলার পর সমান পয়েন্ট থাকা এক বা একাধিক দলের ক্ষেত্রে, সমতা দূর করতে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো প্রয়োগ করা হয়:

  1. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে পয়েন্ট;
  2. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল পার্থক্য;
  3. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল সংখ্যা;
  4. যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলের সংখ্যা;
  5. গ্রুপের সকল ম্যাচের ক্ষেত্রে:
    1. গোল পার্থক্য;
    2. গোল সংখ্যা;
    3. অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
    4. শাস্তিমূলক পয়েন্ট (লাল কার্ড = ৩ পয়েন্ট, হলুদ কার্ড = ১ পয়েন্ট, এক ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ডের জন্য বহিষ্কার = ৩ পয়েন্ট);
  6. লটারি

চূড়ান্ত পর্ব

১৬টি দল ২০১২ সালের আসরের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে যৌথ আয়োজক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন, পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন দল এবং বাছাইপর্বের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ৯টি দল এবং অন্যান্য গ্রুপের রানার-আপের মধ্যে ৪টি প্লে-অফ ম্যাচের বিজয়ী দল। এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে সমানভাবে বিভক্ত করা হয়, এ, বি, সি এবং ডি-এর প্রতিটি চারটি দল নিয়ে গঠিত। দলগুলো ড্রয়ের মাধ্যমে উয়েফা দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাছাই করা দলগুলো আয়োজক দেশ, পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন দল (যদি তারা উত্তীর্ণ হয়) এবং যারা প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বের এবং পূর্ববর্তী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে প্রতি খেলায় সেরা পয়েন্ট গুণাঙ্ক অর্জন করেছে। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে একটি ড্রয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেখানে ভিত্তি হিসেবে গুণাঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছিল।

২০১৬ সালের আসরের জন্য, ২৪টি দলে সম্প্রসারণ করা হয়েছিল, যার অর্থ হচ্ছে চারটি করে দল ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে, ছয়টি গ্রুপ বিজয়ী, ছয়টি গ্রুপ রানার-আপ এবং চারটি সেরা তৃতীয় স্থানাধিকারী দল ১৬ দলের পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে।[60] গ্রুপ পর্বে ম্যাচগুলো লিগ বিন্যাসে আয়োজন করা হয়, যেখানে একটি দল একবার তার প্রতিপক্ষ দলের মুখোমুখি হয়। একই পয়েন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট, পরাজয়ের জন্য কোন পয়েন্ট নেই)। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য যে সময়সূচী তৈরি করা হয়, সেখানে একটি গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ একই সাথে শুরু করতে হয়। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার-আপ পরবর্তী পর্বে উত্তীর্ণ হয়, যেখানে নকআউট পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (দুটি দল একবার একে অপরের মুখোমুখি হয়, বিজয়ী দল পরবর্তী পর্বে উত্তীর্ণ হয়), এটি পরবর্তী সকল পর্বের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কোয়ার্টার-ফাইনালের বিজয়ী দল সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়, অতঃপর সেমি-ফাইনালে বিজয়ী দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হয়। যদি নকআউট পর্বে, যদি একটি খেলার ফলাফল ৯০ মিনিট পরেও সমতায় থাকে, অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে খেলা হয় (১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট), যেখানে প্রতিটি দলের ষষ্ঠ খেলোয়াড় বদল করার অনুমতি দেওয়া হয়। যদি অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকে, তবে খেলার ফলাফল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। ফিফা বিশ্বকাপের মতো এই প্রতিযোগিতায় কোন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নেই।

ফলাফল

উয়েফা ইউরো ২০২৪ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
আরও তথ্য সাল, আয়োজক ...
সালআয়োজকফাইনালতৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ/সেমি-ফাইনালে পরাজিত দল[lower-alpha 1]
চ্যাম্পিয়নফলাফলরানার-আপতৃতীয় স্থানফলাফলচতুর্থ স্থান
১৯৬০ ফ্রান্সসোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতাকা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
২–১ (অ.স.প.)যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র-এর পতাকা
যুগোস্লাভিয়া
চেকোস্লোভাকিয়া-এর পতাকা
চেকোস্লোভাকিয়া
২–০ফ্রান্স-এর পতাকা
ফ্রান্স
১৯৬৪ স্পেনস্পেন-এর পতাকা
স্পেন
২–১সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতাকা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
হাঙ্গেরি-এর পতাকা
হাঙ্গেরি
৩–১ (অ.স.প.)ডেনমার্ক-এর পতাকা
ডেনমার্ক
১৯৬৮ ইতালিইতালি-এর পতাকা
ইতালি
১–১ (অ.স.প.)
২–০ (পুনরায়)
যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র-এর পতাকা
যুগোস্লাভিয়া
ইংল্যান্ড-এর পতাকা
ইংল্যান্ড
২–০সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতাকা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৭২ বেলজিয়ামপশ্চিম জার্মানি-এর পতাকা
পশ্চিম জার্মানি
৩–০সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতাকা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
বেলজিয়াম-এর পতাকা
বেলজিয়াম
২–১হাঙ্গেরি-এর পতাকা
হাঙ্গেরি
১৯৭৬ যুগোস্লাভিয়াচেকোস্লোভাকিয়া-এর পতাকা
চেকোস্লোভাকিয়া
২–২ (অ.স.প.)
(৫–৩ পে.)
পশ্চিম জার্মানি-এর পতাকা
পশ্চিম জার্মানি
নেদারল্যান্ডস-এর পতাকা
নেদারল্যান্ডস
৩–২ (অ.স.প.)যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র-এর পতাকা
যুগোস্লাভিয়া
১৯৮০ ইতালিপশ্চিম জার্মানি-এর পতাকা
পশ্চিম জার্মানি
২–১বেলজিয়াম-এর পতাকা
বেলজিয়াম
চেকোস্লোভাকিয়া-এর পতাকা
চেকোস্লোভাকিয়া
১–১[lower-alpha 2]
(৯–৮ পে.)
ইতালি-এর পতাকা
ইতালি
১৯৮৪ ফ্রান্সফ্রান্স-এর পতাকা
ফ্রান্স
২–০স্পেন-এর পতাকা
স্পেন
 ডেনমার্ক এবং  পর্তুগাল
১৯৮৮ পশ্চিম জার্মানিনেদারল্যান্ডস-এর পতাকা
নেদারল্যান্ডস
২–০সোভিয়েত ইউনিয়ন-এর পতাকা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
 ইতালি এবং  পশ্চিম জার্মানি
১৯৯২ সুইডেনডেনমার্ক-এর পতাকা
ডেনমার্ক
২–০জার্মানি-এর পতাকা
জার্মানি
 নেদারল্যান্ডস এবং  সুইডেন
১৯৯৬ ইংল্যান্ডজার্মানি-এর পতাকা
জার্মানি
২–১ (অ.স.প.)চেক প্রজাতন্ত্র-এর পতাকা
চেক প্রজাতন্ত্র
 ইংল্যান্ড এবং  ফ্রান্স
২০০০ বেলজিয়াম
 নেদারল্যান্ডস
ফ্রান্স-এর পতাকা
ফ্রান্স
২–১ (অ.স.প.)ইতালি-এর পতাকা
ইতালি
 নেদারল্যান্ডস এবং  পর্তুগাল
২০০৪ পর্তুগালগ্রিস-এর পতাকা
গ্রিস
১–০পর্তুগাল-এর পতাকা
পর্তুগাল
 চেক প্রজাতন্ত্র এবং  নেদারল্যান্ডস
২০০৮ অস্ট্রিয়া
  সুইজারল্যান্ড
স্পেন-এর পতাকা
স্পেন
১–০জার্মানি-এর পতাকা
জার্মানি
 রাশিয়া এবং  তুরস্ক
২০১২ পোল্যান্ড
 ইউক্রেন
স্পেন-এর পতাকা
স্পেন
৪–০ইতালি-এর পতাকা
ইতালি
 জার্মানি এবং  পর্তুগাল
২০১৬ ফ্রান্সপর্তুগাল-এর পতাকা
পর্তুগাল
১–০ (অ.স.প.)ফ্রান্স-এর পতাকা
ফ্রান্স
 জার্মানি এবং  ওয়েলস
২০২০[lower-alpha 3] ইউরোপ[lower-alpha 4]ইতালি-এর পতাকা
ইতালি
১–১ (অ.স.প.)
(৩–২ পে.)
ইংল্যান্ড-এর পতাকা
ইংল্যান্ড
 স্পেন এবং  ডেনমার্ক
২০২৪ জার্মানিস্পেন-এর পতাকা
স্পেন
২–১ইংল্যান্ড-এর পতাকা
ইংল্যান্ড
 নেদারল্যান্ডস এবং  ফ্রান্স
২০২৮ যুক্তরাজ্য
 আয়ারল্যান্ড
২০৩২ ইতালি
 তুরস্ক
বন্ধ
টীকা
  1. ১৯৮০ সালের পর থেকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা অনুষ্ঠিত হয় না।
  2. অতিরিক্ত সময়ের খেলা আয়োজন করা হয়নি।
  3. ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল।
  4. ১১টি দেশ: আজারবাইজান, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড এবং স্পেন।

পরিসংখ্যান

দল অনুযায়ী

Thumb
এই প্রতিযোগিতার অন্যতম সফল এবং ২০১২ সালে শিরোপা জয়ী দল স্পেন
আরও তথ্য দল, চ্যাম্পিয়ন ...
দলচ্যাম্পিয়নরানার-আপ
 স্পেন ৪ (১৯৬৪,[lower-alpha 1] ২০০৮, ২০১২,২০২৪) ১ (১৯৮৪)
 জার্মানি ৩ (১৯৭২,[lower-alpha 2] ১৯৮০,[lower-alpha 2] ১৯৯৬) ৩ (১৯৭৬,[lower-alpha 2] ১৯৯২, ২০০৮)
 ইতালি ২ (১৯৬৮[lower-alpha 1], ২০২০[lower-alpha 3]) ২ (২০০০, ২০১২)
 ফ্রান্স ২ (১৯৮৪,[lower-alpha 1] ২০০০) ১ (২০১৬[lower-alpha 1])
 রাশিয়া ১ (১৯৬০[lower-alpha 4]) ৩ (১৯৬৪,[lower-alpha 4] ১৯৭২,[lower-alpha 4] ১৯৮৮[lower-alpha 4])
 চেক প্রজাতন্ত্র ১ (১৯৭৬[lower-alpha 5]) ১ (১৯৯৬)
 পর্তুগাল ১ (২০১৬) ১ (২০০৪[lower-alpha 1])
 নেদারল্যান্ডস ১ (১৯৮৮)
 ডেনমার্ক ১ (১৯৯২)
 গ্রিস ১ (২০০৪)
 ইংল্যান্ড ২ (২০২০[lower-alpha 3],২০২৪)
 সার্বিয়া ২ (১৯৬০,[lower-alpha 6] ১৯৬৮[lower-alpha 6])
 বেলজিয়াম ১ (১৯৮০)
বন্ধ
টীকা
  1. আয়োজক দেশ হিসেবে
  2. ইউরোপের ১১টি দেশ আয়োজন করেছে: আজারবাইজান, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড এবং স্পেন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.