জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Deutsche Fußballnationalmannschaft) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জার্মানির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ৫ই এপ্রিল তারিখে, জার্মানি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইজারল্যান্ডের বাজেলের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জার্মানি সুইজারল্যান্ডের কাছে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। জার্মানি হচ্ছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শেষ চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৭ সালে চিলিকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

দ্রুত তথ্য ডাকনাম, অ্যাসোসিয়েশন ...
জার্মানি
Thumb
ডাকনামন্যাশনালএলফ (জাতীয় একাদশ)
ডিএফবি-এলফ (ডিএফবি একাদশ)
ডি মানশাফট (দল)[lower-alpha 1]
অ্যাসোসিয়েশনজার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচহান্স-ডিটার ফ্লিক
অধিনায়কমানুয়েল নয়ার
সর্বাধিক ম্যাচলোথার মাথেউস (১৫০)
শীর্ষ গোলদাতামিরোস্লাভ ক্লোসা (১১২)
মাঠআলিয়ানৎস আরেনা
ফিফা কোডGER
ওয়েবসাইটwww.dfb.de
Thumb
Thumb
Thumb
প্রথম জার্সি
Thumb
Thumb
Thumb
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান01
সর্বোচ্চ(ডিসেম্বর ১৯৯২– আগস্ট ১৯৯৩, ডিসেম্বর ১৯৯৩– মার্চ ১৯৯৪, জুন ১৯৯৪, জুলাই ২০১৪– জুন ২০১৫, জুলাই ২০১৭, সেপ্টেম্বর ২০১৭– জুন ২০১৮)
সর্বনিম্ন০১ (মার্চ ২০০৬)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান01
সর্বোচ্চ(১৯৯০–৯২, ১৯৯৩–৯৪, ১৯৯৬–৯৭, জুলাই ২০১৪– মে ২০১৬, অক্টোবর ২০১৭– নভেম্বর ২০১৭)
সর্বনিম্ন(সেপ্টেম্বর ১৯২৪ – অক্টোবর ১৯২৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
  সুইজারল্যান্ড ৫–৩ জার্মানি 
(বাজেল, সুইজারল্যান্ড; ৫ এপ্রিল ১৯০৮)[3]
বৃহত্তম জয়
 জার্মানি ১৬–০ রুশ সাম্রাজ্য 
(স্টকহোম, সুইডেন; ১ জুলাই ১৯১২)
সান মারিনো ০–১৩ জার্মানি 

(সেরাভাল্লে, সান মারিনো; ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬

[4]
বৃহত্তম পরাজয়
 ইংল্যান্ড ৪–৩ জার্মানি 
(অক্সফোর্ড, আর্জেন্টিনা; ১৩ মার্চ ১৯০৯)[5]
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১৯ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ১৩ (১৯৭২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৭২, ১৯৮০, ১৯৯৬)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ৩ (১৯৯৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (২০১৭)
বন্ধ

৭০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আলিয়ানৎস আরেনায় ডি মানশাফট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় জার্মানির রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হান্স-ডিটার ফ্লিক এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার

জার্মানি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৪ বার (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও জার্মানি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৩টি (১৯৭২, ১৯৮০ এবং ১৯৯৬) শিরোপা জয়লাভ করেছে।

লোথার মাথেউস, মিরোস্লাভ ক্লোসা, লুকাস পোডলস্কি, গের্ড ম্যুলার এবং রুডি ফোলারের মতো খেলোয়াড়গণ জার্মানির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে জার্মানি তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০০৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে জার্মানির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
আরও তথ্য অবস্থান, পরিবর্তন ...
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[6]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৪বৃদ্ধি  কলম্বিয়া১৬৫৫.২৯
১৫হ্রাস  মেক্সিকো১৬৫২.৭
১৬অপরিবর্তিত  জার্মানি১৬৩১.২২
১৭অপরিবর্তিত  জাপান১৬২০.১৯
১৮অপরিবর্তিত   সুইজারল্যান্ড১৬১৩.৪৪
বন্ধ
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
আরও তথ্য অবস্থান, পরিবর্তন ...
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[7]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২হ্রাস  ইতালি১৯৩৮
১৩বৃদ্ধি  জাপান১৯০৯
১৪হ্রাস  জার্মানি১৮৮৬
১৫বৃদ্ধি  ইকুয়েডর১৮৮৩
১৬বৃদ্ধি  ইউক্রেন১৮৫০
বন্ধ

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

আরও তথ্য ফিফা বিশ্বকাপ, বাছাইপর্ব ...
ফিফা বিশ্বকাপবাছাইপর্ব
সালপর্বঅবস্থানম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগোম্যাচজয়ড্রহারস্বগোবিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০অংশগ্রহণ করেনিঅংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১১
ফ্রান্স ১৯৩৮প্রথম পর্ব১০ম১১
ব্রাজিল ১৯৫০নিষিদ্ধ
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ফাইনাল১ম২৫১৪১২
সুইডেন ১৯৫৮৩য় স্থান নির্ধারণী৪র্থ১২১৪পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
চিলি ১৯৬২কোয়ার্টার-ফাইনাল৭ম১১
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ফাইনাল২য়১৫১৪
মেক্সিকো ১৯৭০৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১৭১০২০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ফাইনাল১ম১৩আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮দ্বিতীয় গ্রুপ পর্ব৬ষ্ঠ১০পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
স্পেন ১৯৮২ফাইনাল২য়১২১০৩৩
মেক্সিকো ১৯৮৬ফাইনাল২য়২২
ইতালি ১৯৯০ফাইনাল১ম১৫১৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪কোয়ার্টার-ফাইনাল৫মপূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
ফ্রান্স ১৯৯৮কোয়ার্টার-ফাইনাল৭ম১০২৩
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ফাইনাল২য়১৪১০১৯১২
জার্মানি ২০০৬৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১৪আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০৩য় স্থান নির্ধারণী৩য়১৬১০২৬
ব্রাজিল ২০১৪ফাইনাল১ম১৮১০৩৬১০
রাশিয়া ২০১৮গ্রুপ পর্ব২২তম১০১০৪৩
কাতার ২০২২অনির্ধারিতঅনির্ধারিত
মোট৪টি শিরোপা১৯/২১১০৯৬৭২০২২২২৬১২৫৯৪৭৪১৮২৯২৭০
বন্ধ

অর্জন

টীকা

  1. জার্মানিতে, এই দলটি সাধারণত ডি ন্যাশনালমানশাফট (জাতীয় দল), ডিএফবি-এলফ (ডিএফবি), ডিএফবি-আউসওয়াহল (ডিএফবি নির্বাচিত) অথবা ন্যাশনালএলফ (জাতীয় একাদশ) নামে পরিচিত। বিদেশী গণমাধ্যমে, এই দলটিকে সাধারণত ডি মানশাফট (দল) হিসেবেই অভিহিত করা হয়।[1] ২০১৫ সালের জুন মাস হতে, এগুলো ডিএফবি দ্বারা এই দলের আনুষ্ঠানিক ডাকনাম হিসেবে স্বীকৃত।[2]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.